X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

মার্চ ও মুক্তিযুদ্ধ: বাঙালি জাতির জীবনে দুই বরাভয়

মাসুদা ভাট্টি
০৪ মার্চ ২০১৭, ১৬:২৯আপডেট : ০৪ মার্চ ২০১৭, ১৬:৩২

মাসুদা ভাট্টি বসে আছি শাহবাগের পাঠক সমাবেশে। অপেক্ষা করছি পাঠক সমাবেশের স্বত্বাধিকারী বিজুদার জন্য। উদ্দেশ্য পাঠক সমাবেশের মার্চ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের প্রদর্শনী সম্পর্কে আলোচনা। নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত আয়োজন। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারলে ভালো লাগবে ভেবেই আসা। সাহিদুল ইসলাম বিজুদা ছিলেন না। বসে আছি ল্যাপটপ নিয়ে, কিছু লেখার চেষ্টা করছি। একেবারে পেছনের টেবিলেই বসে আছেন এক ভদ্রলোক। পায়জামা-পাঞ্জাবি পরনে, একটা ‘গলাবন্ধনী’ দিয়ে তার গলাটা মোড়া, হয়তো ঘাঁড়ে ব্যথাজনিত কারণ থেকেই হবে। ভদ্রলোক একটু উচ্চস্বরে কথা বলেন, তাই তার প্রতিটি কথাই বইঘরে উপস্থিত সবাই শুনে থাকবেন। বইঘরে যে শব্দ করে কথা বলা যায় না, সে সম্পর্কে তার ধারণা নেই বলেই নিশ্চিত হলাম।
যাহোক, ভদ্রলোক বার বার বইঘরে কর্মরতদের চিৎকার করে বলছেন যে, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কী কী বই আছে, নিয়ে আসো আমার কাছে। একটি ছেলে কিছু বই হাতে তুলে এগিয়ে আসে, ভদ্রলোক সেগুলো খুলেও দেখেন না, আমি হতভম্বের মতো বসে দেখছি, কারণ ভদ্রলোকের তর্জন-গর্জনে সেখানে বসে তার দিকে নজর না দিয়ে উপায় নেই। যাই হোক, ভদ্রলোক এরপর ছেলেটিকে একের পর এক মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের নাম বলতে থাকলেন, প্রতিটি নামই ইংরেজিতে এবং আশ্চর্যের কথা হলো বইগুলোর প্রতিটির লেখকই একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। এরপর কিছুক্ষণ নামের তালিকায় এলো কয়েকজন ভারতীয়ের লিখিত বইয়ের নাম, সেগুলোও সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিচারণ। এরপর ভদ্রলোক এলেন আসল কথায়। তিনি বললেন, ‘তোমরা কী সব বই রাখো এখানে, ওসব মুনতাসীর মামুন-টামুনের লিখিত ইতিহাসের বই রাখবে না, ও কিচ্ছু জানে না’ বলেই ভদ্রলোক অধ্যাপক মুনতাসীন মামুনের পারিবারিক ইতিহাস বলতে শুরু করলেন। যা ছিল নিতান্তই অসুয়া-প্রসূত এবং একপেশে। ধরেই নিলাম যে, ভদ্রলোক কোনও হোমড়া-চোমড়া হবেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আগ্রহ আছে, নাহলে এভাবে বই খুঁজবেন কেন? এছাড়া ভদ্রলোক যেসব বইয়ের তালিকা দিলেন, সেগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য সন্দেহ নেই, কিন্তু একজন সিভিলিয়ানের লেখার কথা তিনি উল্লেখ করলেন না এবং তারপর ছেলেটির লিখিত তালিকা হাতে নিয়ে ভদ্রলোক ছেলেটিকে রীতিমতো ধমকাতে শুরু করলেন, কী লেখাপড়া করেছে সে, কেন এত মানুষের নাম ভুল করেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ছেলেটি আসলে আচানক আসা এই আক্রমণের হেতুটি ঠিক বুঝতে পারেনি। ভদ্রলোক কিন্তু তখনও সমানভাবে বলে চলেছেন যে, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিছুক্ষণ পরে পাঠক সমাবেশে আরেকজন ভদ্রলোক এলে জানতে পারি যে, ভদ্রলোক সত্যিই একজন মুক্তিযোদ্ধা। প্রশ্ন হোলো, একজন বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা কেন একটি বইয়ের দোকানে এসেও তার ‘ক্ষমতা’ প্রয়োগ করবেন? মুক্তিযুদ্ধ কি কেবল আমাদের দেশটিকে স্বাধীন করেছে? নাকি আমাদের ভেতরে থাকা যে অকারণ অহং, অনিষ্টচিন্তা, পাপাচার, ইত্যাদি থেকেও আমাদের কোনওভাবে মুক্তি দেয়? এই শেষোক্ত বিষয়গুলোই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়?

ব্যক্তিগত কথা সাধারণত আমি আমার লেখায় আনি না। কিন্তু মার্চ মাস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের প্রদর্শনী বিষয়ে কিছু কথা বলতে গিয়েই ওই ভদ্রলোকের এই আচরণকে লেখায় আনতে হলো। যেকোনও সুস্থ বিবেকবান মানুষের মনে হতে পারে ভদ্রলোক হয় অনেক ক্ষমতাধর, তাই যত্রতত্র ক্ষমতার প্রদর্শন করছেন, না হয় কারও মনে হতে পারে যে, ভদ্রলোক হয়তো মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তার জ্ঞান জাহির করতে চাইছেন। ধরে নিচ্ছি শেষোক্তটি সত্য, কিন্তু এ কোন পদ্ধতি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়ার? যেখানে আরেকজন মানুষকে ছোট হতে হচ্ছে চোখের সামনে? যতক্ষণ সেখানে ছিলাম ততক্ষণ ভদ্রলোক এক নাগাড়ে একাই কথা বলেছেন, উচ্চস্বরে এবং তার শেষ বক্তব্য হচ্ছে, এদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আসলে কেউই কিছু জানেন-টানেন না, একমাত্র তিনিই জানেন। এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর তালিকা তার কণ্ঠস্থ। অতএব ওটিও আর কেউই নন, একমাত্র তিনিই এ বিষয়ে সবিশেষ জ্ঞাত।

এদেশের সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। একটি জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করেছেন তারা, নিজের জীবনকে, ভবিষ্যৎকে মৃত্যুর কাছে বাজি রেখেই। যেকোনও জাতির জন্যই তারা গর্বের ধন। কিন্তু একাত্তরের পর থেকে আমাদের জাতীয় জীবনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ এই শব্দদ্বয়কে যতভাবে সম্ভব প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। কখনও কোনও কোনও মুক্তিযোদ্ধা বা গোষ্ঠী নিজেরাই কাজটি করেছে আবার কখনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করতে চেয়েছে। প্রকাশ্যেই এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ডাকাত ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েও তারা একটি বড় রাজনৈতিক দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে এদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেত্রী যখন এদেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তখন আসলে এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে হত্যা করা হয়। এদেশে মুক্তিযুদ্ধ একদিনে ঘটা কোনও ঘটনা নয়, নয় মাত্র নয় মাসের যুদ্ধও, বরং দীর্ঘ ২৫ বছর কাল ধরে প্রস্তুত হওয়া একটি জাতির মানবচরিত্র গঠনের প্রক্রিয়াও। এই প্রক্রিয়াতে ছিল নানাবিধ যুদ্ধ যেমন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভাষার জন্য, জাতীয়তাবাদের জন্য, অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া যা একটি জাতিকে সমস্ত অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, নোংরামি থেকে মুক্ত করে থাকে। বঙ্গবন্ধুসহ তৎকালীন নেতৃত্ব এজন্যই বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ আখ্যা দিয়েছিলেন। আমার কেন যেন মনে হয়, আমরা এই বোধ থেকেই ক্রমশ সরে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। সেনা শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধ শব্দকে বদলে স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সংগ্রাম করা হয়েছিল। সাধারণ্যে নামটি অনেকটাই হয়ে গিয়েছিল ‘গণ্ডগোলের’ বছর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বদলে ‘পাকিস্তানি বাহিনী’ ব্যবহারও ইচ্ছাকৃত, তাতে বিষয়টি অনেকটাই গোলমেলে হয়ে যায়। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতেও আমরা অনেকটাই সফলকাম হতে পেরেছি জাতিগতভাবে—এ এক বিস্ময়কর কুপ্রবণতা জাতি হিসেবে আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে, হচ্ছে এবং হবেও।

একটি জাতি-ইতিহাসের দীর্ঘ পথ থাকে, থাকে পথপরিক্রমা। সেটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম জেনে-শুনে-বুঝে বড় হয়, এগিয়ে যায় এবং জাতিকেও এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এদেশে স্পষ্টত দু’টি পক্ষ, যার মধ্যে একটি পক্ষ, যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে তারা ক্রমাগত মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে নিজেদের গর্ব প্রকাশ করে, জাতিকে গর্বিত করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, যদিও মাঝে মাঝে নিজেরাই সে চেতনা থেকে অনেক দূরে সরে আসে। আরেকটি পক্ষ কেবলই মুক্তিযুদ্ধকে প্রত্যাখ্যান (ডিনাই) করে, বিতর্কিত করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে একটি অবয়বহীন ‘ফাজলামি’ হিসেবে প্রমাণ করতে চায়, যদিও তারা নিজেদের ভাগে স্বাধীনতার ঘোষকের পদটি রেখে দিয়েছেন। তার মানে হলো, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে এদেশে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব প্রচার-প্রচলন করেছে, যা হয়তো কোথাও কোথাও মূল ইতিহাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কিন্তু শেষোক্ত রাজনৈতিক পক্ষটিতো মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে কেবল হাতই মেলায়নি, তাদের মন্ত্রীত্ব দিয়েছে, তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতিয়তাবোধকে আহত করেছে। এমনকি যখন এদেশের মানুষ মারমুখী হয়ে সরকারকে বলতে গেলে বাধ্য করেছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পন্ন করতে তখনও এই রাজনৈতিক পক্ষটি মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, দেশে-বিদেশে তাদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছে এবং বিচার বন্ধে আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশকে চাপ দেওয়ানোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। দেশের ভেতরে যে অরাজকতার সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা না হয় বাদই দেওয়া গেলো। তার মানে কী দাঁড়ালো? তার মানে আমরা কি এ প্রশ্ন করতেই পারি যে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় একটি পক্ষ এখনও এর বিরোধিতা করে চলেছে চরমভাবে?

ব্যক্তিগতভাবে আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সৃষ্ট এই টানাপড়েনকে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে করি না, যতটা না ক্ষতিকর মনে করি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার রাজনীতিকে। দুঃখজনক সত্য হলো, একাত্তরেও যারা মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামবিরোধী বলে প্রচার করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছিল তারাই স্বাধীন বাংলাদেশে এসে মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিতে কখনও কখনও সফলতা লাভ করে এবং এটাই তাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। উদাহরণ হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চকে কেন্দ্র করে যে রাজনীতি শুরু হয়েছে এদেশে তার কথা বলতে পারি। যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবি নিয়ে জড়ো হওয়া তরুণদের নাস্তিক, ধর্মবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে তাদের পেছনে ধর্মের চাপাতি লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এখনও চলছে সে প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ‘ন্যায়ের প্রতীক’ সরানোর আন্দোলন চাঙ্গা করার মধ্য দিয়ে। আমরা জানি, এরপরই হয়তো আসবে অপারেজয় বাংলা’কে সরানোর দাবি। তারপর হয়তো অন্য কোনও দাবি নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যাবে এই উগ্র ধর্মবাদী গোষ্ঠীকে। সুখের কথা হলো, এদেশের গণমাধ্যম এখনও সার্বিকভাবে মুক্তিযুদ্ধকে, স্বাধীনতাকে, অসাম্প্রদায়িকতাকে মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে এবং মোটাদাগে এর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালায়। স্বাভাবিক ভাবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ জরুরি কাজটি অব্যাহত রাখায় তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।

লেখার শুরুতে এক মুক্তিযোদ্ধার ধমকানির কথা বলেছিলাম, এটি আসলে এ কারণেই বলেছি যে, বীরত্ব জাহির করার নয়, বীর তিনিই যিনি আনত হন এবং তার চারপাশে তৈরি করেন বীরত্বের আলোকিত বলয়। কিন্তু এদেশের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি বলেই হয়তো মুক্তিযুদ্ধকে কেউ কেউ আত্মবড়াইয়ের জায়গা থেকে দেখেছেন এবং তা মূলত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টিতেই সহায়তা করেছে। আর তারপরে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে রাজনীতি যোগ করেছে আরও নেতিবাচক বিস্ময়, যা জনমনে বিরূপতার জন্মও দিয়েছে। এর সঙ্গে ধর্মকে টেনে এনে আজ নতুন করে এদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে, যা একাত্তরেই বাঙালি সমাধান করে ফেলেছিল। জানি না এর শেষ কোথায় এবং কিভাবে। কিন্তু মার্চ এসেছে, এ মাসে আমাদের জাতীয় জীবনে যোগ হয়েছে বেশ কয়েকটি তারিখ, তার মধ্যে ৩ মার্চ, ৭ মার্চ, ২৫ মার্চ, ২ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, আগামী প্রজন্মকে এই মাস সম্পর্কে জানানোর প্রয়োজন রয়েছে, প্রয়োজন রয়েছে ইতিহাসকে জেনেবুঝে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই। নিশ্চিত ভাবেই একথা বলা যায় যে, সহজ ও সত্যিকার ইতিহাসই পারে মুক্তিযুদ্ধকে টেনে বের করে আনতে এই অপরাজনীতি ও অপপ্রচার থেকে।

লেখক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক।

[email protected]

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ