X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশ নির্ভরতার নামে রাষ্ট্রবিরোধিতা আর নয়

মাসুদা ভাট্টি
১১ মার্চ ২০১৭, ১২:১২আপডেট : ১১ মার্চ ২০১৭, ১৭:২৭

মাসুদা ভাট্টি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে—এটি কেবল একটি বাক্য নয় কিংবা রাজনৈতিকভাবে অতি ব্যবহারে পুরনো বাক্যও নয়, এটি বাস্তবতা। দেশের ভেতর যেকোনও মানুষকেই তার জীবনযাপন ও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নবিষয়ক প্রশ্ন করলেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিতান্তই দলান্ধ কিংবা ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক অসূয়ার জায়গা থেকে অবশ্য কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী বা কর্মীসমর্থক ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। কিন্তু অর্থনীতিবিদ বা গবেষকের দৃষ্টিতে এই এগিয়ে যাওয়ার সত্যকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও উপায় নেই। প্রশ্ন হলো, এই এগিয়ে যাওয়া কি বাংলাদেশকে আরও সক্ষম বা শক্তিশালী করেছে? আরও একটু স্পষ্ট করে বললে প্রশ্নটি এরকম হতে পারে—অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়া কি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশিদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তর একেবারে স্পষ্টভাবেই দিতে হবে, না, হয়নি। বরং বাংলাদেশের এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত রাষ্ট্রগুলো ও তাদের পক্ষ থেকে এদেশে নিযুক্ত দেশি-বিদেশি ‘ব্যক্তিবর্গ’ কী করে বাংলাদেশকে এখনও গরিব, ক্ষমতাহীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করা যায়, তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। যেকোনও দেশপ্রেমিক বা আন্তর্জাতিকতাবাদে বিশ্ববাসী মানুষের কাছে বিষয়টি কেবল দৃষ্টিকটুই নয়, বরং অত্যন্ত অন্যায় বলে বিবেচিত হওয়ারও কথা।

বাংলাদেশের রাজনীতির দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাই,  পাকিস্তান আমল থেকেই এদেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ ছিল। যদিও ইতিহাসের ভয়ঙ্কর শিক্ষা হচ্ছে, বিদেশিদের অবাধ সুযোগ দেওয়ায় মুঘোল শাসকদের হাত থেকে ভারতবর্ষ ইংরেজদের হস্তগত হয়েছিল। পরামর্শক হয়ে ঢুকে আড়াই  শ’ বছর এদেশে বিদেশি শাসন চালু ছিল। কিন্তু পাকিস্তান আমলেও, বিশেষ করে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধের সময়টাতে পাকিস্তান পুরোপুরিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক খেলার মাঠে পরিণত হয়। কিংবা আন্তর্জাতিক রাজনীতির মাঠে পাকিস্তান একটি পলিটিক্যাল ফুটবলে পরিণত হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে অত্যন্ত স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বিদেশি প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ়তর অবস্থান আমাদের অবাক করে। প্রবল প্রতাপশালী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারকে পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সুযোগ দেননি এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর। কিন্তু ওই সময়ের বৈশ্বিক রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পেরে ওঠেননি। একদিকে ভারতীয় সৈন্যদের অতি দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজে বঙ্গবন্ধুর সফলতা যেমন উল্লেখ করার মতো, তেমনি তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচরদের দেশকে একটি মার্কিন রাজনৈতিক বলয়ে পরিণত করার ষড়যন্ত্র ঠেকানোর ব্যর্থতা বাংলাদেশকে একেবারেই অস্থিতিশীল করে তোলার বিষয়টিও মনে রাখার মতো।

ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা যিনি বিক্রমাদিত্য ছদ্মনামে একটি বই লিখেছেন, যার নাম ‘কনফিডেন্সিয়াল ডায়েরি’, তাতে স্পষ্টভাবেই বাংলাদেশের ওই সময়ের বিদেশি তৎপরতা, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বিষয়ে অনেক ঘটনা স্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, এদেশে নিয়োজিত সিআইএ-র চরেরা কী করে বঙ্গবন্ধু ও তার সরকারকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে কোণঠাসা করে ফেলেছিল, তার বহু বিবরণ এই বইতে পাওয়া যায়। লেখক বইটিতে কোনও রাখঢাক রাখেননি, সেনা বাহিনীর ভেতরে ও বাইরে, নতুন রাজনৈতিক দল জাসদ গঠন এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রশাসনের ভেতর মার্কিনপন্থী কর্মকর্তাদের অপতৎপরতা সম্পর্কে আগ্রহী পাঠক বইটি পড়ে দেখতে পারেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ভেতর দিয়ে এদেশে বিদেশি ষড়যন্ত্র সফলতা লাভ করে। তারপর থেকে এদেশের রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ আর কোনও প্রতিরোধের মুখে পড়েনি। বরং বলা যায়, বাংলাদেশের সামরিক সরকারগুলো এবং তারপর নতুন গণতান্ত্রিক আমলে সামরিক ছাউনিজাত রাজনৈতিক দলের সরকার মূলত বিদেশি প্রেসক্রিপশনেই চলেছে ।

কিন্তু ১৯৯৬ সালে এসে শেখ হাসিনার সরকার এতদিনকার বিদেশি-প্রভাবিত রাজনীতির চর্চায় একটু হলেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। যেমন, উল্লেখ করার মতো ঘটনা হিসেবে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরকালে শেখ হাসিনা স্পষ্টই মার্কিন কোম্পানির কাছে গ্যাস রফতানিতে অস্বীকৃতি জানান। এটি হয়তো খুবই ওপরিতলের ঘটনা। কিন্তু এর বাইরেও রাজনীতির গভীরে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যায় ওই সময়। বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ-এর ওপর আক্রমণ ও তাদের লাশ বাঁশে ঝুলিয়ে বহন করার দৃশ্য অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ঢাকায় একটি পত্রিকা অফিসে নিয়ে আসা এবং পরদিন তা প্রথম পাতায় প্রকাশ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খেপিয়ে তুলেছিল। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক তৎপরতায় তাদের ক্ষোভ আপতভাবে প্রশমন করা গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। কিন্তু কথা সেটি নয়, কথা হলো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি, বিশেষ করে দাতা-রাষ্ট্রগুলো, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও কারণে-অকারণে হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অনেক সময় তাদের এই আগ্রহে কোনও রাখঢাকও থাকে না, তখন বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। 

একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন বিরোধী দলে থাকে, তখন মূলত তাদের বিদেশ নির্ভরতা অত্যন্ত বেড়ে যায়। তারা মনে করে যে, বিদেশিদের কাছে গিয়ে ধর্না দিলেই বুঝি ক্ষমতায় যাওয়াটা সহজ হয়ে যায়। সে বিচারে এদেশের জনগণের ওপর তাদের ভরসা বলতে গেলে শূন্য। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখনও দেখেছি যে, কারণে-অকারণে দলটি গিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়েছে। যদিও বিদেশিদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা আওয়ামী লীগ কখনও পেয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং আওয়ামী লীগের সরকারবিরোধী আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে বিদেশিরা বরাবর তৎপর ছিল নানাবিধ অজুহাতে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব অবশ্য জনগণের ওপর আস্থাশীল থেকে কোনও চাপের মুখেই রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াননি বলেই বার বার তিনি রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করতে পেরেছেন। কিন্তু এ দিক দিয়ে বিএনপি আরেককাঠি সরেস, তারা কেবল বিরোধী দলে থাকলেই নয়, ক্ষমতায় থাকলেও বিদেশিদের সঙ্গে তাদের দহরম-মহরম এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের জন্য আরও বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করে দেয়।

এদিকে ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের বিদেশ নির্ভরতা অনেকটাই কমে যায় বলে আমরা লক্ষ করি। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিদেশি সহযোগিতার প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করে না সেটা আবারও প্রমাণিত হলো সম্প্রতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের সময়। নতুন ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৎপরতা শুরু হলে বিদেশিদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আবেদন করা হয়। পশ্চিমা ও শক্তিশালী কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও আগ্রহ দেখানো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বিদেশিরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি। তারা এরপর থেকেই কোনও রকম রাখঢাক ছাড়াই নেমে পড়েছে সরকারবিরোধী তৎপরতায়। এক মাসে অন্তত কুড়ি বারেরও বেশি সাক্ষাৎ দিতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে বিদেশিদের সঙ্গে। তার দলের বাকি নেতাদের কথা না হয় বাদই দিচ্ছি। একটি দেশের রাষ্ট্রদূত অন্তত নিজের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তারপর বেরিয়েই বলেছেন যে, তিনি এত জটিল রাজনীতি আর কোথাও দেখেননি। যদিও মানুষ তার দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ওপর আর আস্থা রাখতে পারছে না বলে তার এই জটিল কথাটিকে একেবারেই হাল্কাভাবে নিয়েছে।

লক্ষ করা যাচ্ছে, নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই বিদেশিদের তৎপরতা ঘনীভূত হচ্ছে। এদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে একাধিক 'বিরোধী দল'কে মোকাবিলা করতে হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধার তথা এদেশীয় প্রধানরা। তারা বিরোধী দল তথা বিএনপির সঙ্গে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে চান। স্মরণ করতে চাই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার চলার সময় বিদেশি-বিএনপি-জামায়াত মিলে যে 'বিবিজা পার্টি' গঠিত হয়েছিল, তাদের তৎপরতার কথা। এদেশকে সম্পূর্ণ অচল করে দেওয়া হয়েছিল, রাষ্ট্র হিসেবে পৌঁছে গিয়েছিল একেবারেই গৃহযুদ্ধের কাছাকাছি, তখন কিন্তু কোনও বিদেশিদের পক্ষ থেকে আক্রমণকারীদের কোনও বাধা দেওয়া হয়নি বরং আক্রান্ত রাষ্ট্রকে আরও অক্ষম করে তোলার চেষ্টা চলছিল। এখন যেমন আবার নানা রকম গবেষণালব্ধ তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, বিশেষ করে এদেশের জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কিত খবর। একদিকে যেমন সরকারের জঙ্গি দমনের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে, অন্যদিকে, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে এই আলামতকে সামনের কঠিন ও ভয়ঙ্কর ঘটনার ইঙ্গিত বলেই বিশ্বাস করি। কিন্তু যেহেতু এটি একটি রাজনৈতিক তৎপরতা, তাই বাংলাদেশকেও এটি রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমার মনে হয় কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিয়ে বিদেশিদের এই অপতৎপরতা দমন সম্ভব নয়। প্রয়োজন সমন্বিত রাজনৈতিক সক্ষমতা। এই সক্ষমতা কেবল সরকারের থাকলে চলবে না, থাকতে হবে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের, ব্যক্তির ও প্রতিষ্ঠানের। একদিনে রাষ্ট্র পদ্মা সেতু বানাতে চাইবে আরেকদিন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সেটি যেন না হতে পারে, সে তৎপরতা জারি রাখবেন, তাতে তো হতে পারে না। কারণ পদ্মা সেতু না হলে ক্ষতিটা কি শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার হতো? নাকি দেশের জনগণের হতো? আমাদের এখন কথা বলা প্রয়োজন, দল বা ব্যক্তির প্রতি প্রতিহিংসা বা ঘৃণা থাকলে সেটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দিয়ে মোকাবিলা করাটাই সঙ্গত, কিন্তু সেজন্য বিদেশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি হোক এমন কোনও পথে পা বাড়ানো হবে আত্মঘাতী। কারণ দেশের মানুষ আর ততটা বোকা নেই, যতটা বোকা তাদের ভাবা হতো। তারা এটুকু বুঝতে পারে যে, বিদেশিরা যেহেতু তাদের খাওয়াবে না, পরাবে না, তাদের মাটি-কেটে কিংবা হাল-চাষ করেই জীবন নির্বাহ করতে হবে, তাহলে কেন যারা বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে রাজনীতি করে, তাদের পেছনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের এই অনুচ্চারিত প্রশ্নটি যে রাজনৈতিক দল বুঝতে পারবে না, তাদের পক্ষে সামনে এদেশের রাজনীতিতে টিকে থাকা সত্যিই কঠিন হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

লেখক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক।
[email protected]

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
তামাকে বিষ, তবুও ঝুঁকছেন কৃষক 
তামাকে বিষ, তবুও ঝুঁকছেন কৃষক 
এফএ কাপে হাল্যান্ডকে নিয়ে সংশয়ে সিটি
এফএ কাপে হাল্যান্ডকে নিয়ে সংশয়ে সিটি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ