X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা দিবস ২০১৭: একটি কাল্পনিক কিন্তু বাস্তব গল্প

মাসুদা ভাট্টি
২৬ মার্চ ২০১৭, ০৮:৫৩আপডেট : ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৮:১৭

মাসুদা ভাট্টি
- আপনি একজন রাজনীতিবিদ?
- জি জনাব, আমি রাজনীতি করার চেষ্টা করেছি, তবে তার চেয়েও আমার বড় পরিচয় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।

- আমার নাম আমিনুল ইসলাম, মৃত্যুর পূর্বে আমি স্থানীয় মসজিদের একজন ইমাম ছিলাম।
- বাহ্ আপনিতো সারা জীবন পূণ্য সঞ্চয় করেছেন তাহলে।

- আপনিও জনাব একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছেন। মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের জন্ম দিতে পেরেছেন। আর দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। সেদিক দিয়ে আপনার মতো এতো পূণ্যতো আমি অর্জন করতে পারিনি।
- না না আপনি মানুষকে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষকে ধর্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আপনি দিনের মধ্যে পাঁচবার আল্লাহ্ স্মরণাপন্ন হন, আপনার পেছনে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। আপনি অবশ্যই মানুষকে সদুপদেশ দিয়েছেন। আপনার মতো পূণ্যার্জনের ভাগ্য আমার হয়নি। আমি রাজনীতি করেছি সারাজীবন। মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। কতরকম ভুলভ্রান্তির ভেতর দিয়ে জীবন কেটেছে। সরকারি দলে থাকাকালে জীবন একরকম ছিল, বিরোধী দলে থাকার সময় আরেক রকম। তবে একটি কথা বলতে পারি আমি কখনওই বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। কিন্তু ব্যক্তি চরিত্রে কখনও কখনও স্খলন এসে থাকলেও থাকতে পারে।

- আমি অবশ্য আপনার মতো করে বলতে পারবো না জনাব। আমি গরিব ঘরে জন্মেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার যে বয়স ছিল তাতে আমার যুদ্ধে যোগদানের কথা ছিল। আমাদের গ্রামের অনেকেই যুদ্ধে গিয়েছে। তাদের ভেতর কেউ ফিরে এসেছেন, কেউ ফেরেননি। যারা ফিরে এসেছেন তারা যুদ্ধের পরে বিভিন্ন কাজে জড়িয়েছেন, রাজনীতি করেছেন কেউ কেউ, কেউ বা চাকরি-বাকরি করেছেন, কৃষিকাজও করেছেন অনেকে। তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের পার্থক্য দেখিনি খুব একটা। তবে সব সময় তাদের ভেতর এক ধরনের গর্ব দেখেছি জনাব। তারা দেশটিকে ছিনিয়ে এনেছেন পাকিস্তানিদের কাছ থেকে, জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, তাই তাদের গর্ব হয়তো অমূলক নয়। কিন্তু আমি কেন যুদ্ধে যাইনি জানতে চাইবেন না?
- অবশ্যই ভাই সাহেব, এখনতো আমাদের বলা বা না-বলায় কিছু এসে যাবে না, আপনি যদি বলেন তাহলে আমার ভালোই লাগবে। বলুন, কেন আপনি যুদ্ধে যাননি? যখন আপনারই গ্রামের আর সব যুবকেরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন? দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন?

- জনাব, আমার আব্বাজান মুসলিম লীগের রাজনীতি করেছেন। ভারত ভাগ করে পাকিস্তান আনার জন্য তিনি রাজনীতি করেছেন। তিনি আবার কী করে পাকিস্তান ভাঙার আন্দোলনে সমর্থন দেন? আমার আব্বা শেখ মুজিবকে গাদ্দার হিসেবেই চিনতেন, পাকিস্তান ভাঙার জন্য তিনি শেখ মুজিবকেই দায়ী করেছেন। আমাদের কখনওই রাজনীতির দিকে হাঁটতে দেননি। মাদ্রাসায় পড়িয়েছেন। কৃষিকাজেও যোগ দিতে দেন নাই।
- হুম, সেই সময় এদেশে সকলেইতো মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, বিশেষ করে মুসলমানরা। এমনকি শেখ মুজিব নিজেও কিন্তু মুসলিম লীগের রাজনীতিকেই সমর্থন করেছিলেন ভারত ভাগের সময়। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাঙালি মুসলমানের কি কোনও অধিকার ছিল? আপনার বাবা সে বিষয়ে আপনাদের কখনও কিছু বলেননি?
- দেখুন জনাব, বলাবলির আর কী বা আছে। আমাদের প্রায় একশ বিঘা জমি ছিল। আমার আব্বাজান জোতদার ছিলেন। খাওয়া-পরার অভাব ছিল না, আমরা এটা শিখেই বড় হয়েছি যে, আওয়ামী লীগের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে, শেখ মুজিব পাকিস্তানকে ভাঙতে চায়।
- কেন ভাঙতে চান সে প্রশ্ন কোনোদিন মাথায় আসেনি?
- না জনাব, সে প্রশ্ন কেন আসবে? আমাদেরতো সে প্রশ্ন নিয়ে ভাববার কথা নয়, তাই না? বললামইতো আমাদের খাওয়া-পরার অভাব ছিল না। আমরা ধর্মীয়ভাবেও পাকিস্তান আমলে অনেক বেশি ধার্মিক ছিলাম, প্রশ্ন আসবে কেন?
- পাকিস্তান আমলে যেভাবে ধর্মের দোহাই দিয়ে এদেশে দাঙ্গা বাঁধানো হয়েছিল, তাকে আপনি ধর্ম বলবেন? কোন ধর্মে লেখা আছে যে নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা করতে হবে?
- না, জনাব ধর্মে সেরকম কিছু লেখা নেই। সেটা অবশ্য অনেক পরে জেনেছি বা বুঝেছি। কিন্তু জনাব, এই ধর্ম রক্ষার জন্যই মুক্তিযুদ্ধে যাইনি। আব্বাজান বলেছিলেন যে, পাকিস্তান না থাকলে এই দেশ ভারতের দখলে চলে যাবে, আমাদের সবাইকে হিন্দু বানিয়ে ফেলবে, তাই মুক্তিযুদ্ধে যাইনি। আমার আব্বাজান শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এলাকার হিন্দু বাড়ি চিনিয়ে দিতেন, পাকিস্তানিরা সেসব বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিতো, হিন্দু মেয়েদের ধরে নিয়ে যেতো। আব্বাজান এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদেরও ধরিয়ে দিতেন, তাদের বাড়িঘরও পুড়িয়ে ফেলার জন্য চিনিয়ে দিতেন পাকিস্তানি বাহিনীকে।
- আপনার খারাপ লাগতো না? এসবও কি ধর্মসম্মত?
- মুক্তিযুদ্ধের পরেই আমার জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল জনাব। যখন মাত্র মাস খানেকের মধ্যেই ভারতীয় সৈন্যরা এদেশ থেকে চলে গিয়েছিল তখন আব্বাজানকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কই আব্বাজান ভারততো এদেশকে দখল করলো না? আমাদেরকেতো জোর করে হিন্দু বানানো হলো না, আপনি যেমন বলেছিলেন?
- আপনার আব্বাজান কী উত্তর দিয়েছিলেন?
- আব্বাজান কোনও উত্তর দেন নাই। দালাল আইনে আব্বাজানের বিচার হয়েছিলো। তিনি শাস্তিও পেয়েছিলেন কিন্তু একজন সেনা শাসক ক্ষমতায় আসার পর তিনি আবার মুক্তি পান। যদিও বছর পাঁচেক ধরে রোগে ভুগে তিনি মারা যান একাশি বছর বয়সে। আব্বাজানের ভেতর কোনও অনুশোচনা কেন হয়নি পাকিস্তান আমলে এই অত্যাচার/অনাচার চালানোর জন্য, সে প্রশ্ন আমার ভেতরে অনেকদিন ছিল। এখন আর নেই।
- কেন নেই?
- নেই এ কারণে যে, মানুষের বিচারবোধ যখন লোপ পায় তখন সমস্ত ন্যায্য যুক্তি অগ্রাহ্য করে মানুষ। আব্বাজানও তাই করেছিলেন। নাহলে পাকিস্তান বলে যে দেশটি গঠন করা হয়েছিল বিভিন্ন জাতির নামের অদ্যাক্ষরকে যুক্ত করে সেখানেতো বাঙালির'র ব-অক্ষরটি ছিলই না। অথচ আমার আব্বাজানের মাথায় এ প্রশ্ন কোনোদিন আসেনি। তিনি বারবার বলেছেন, পাকিস্তানিরা আমাদের চেয়ে খাঁটি মুসলমান। আচ্ছা বলুন জনাব, কে খাঁটি আর কে কম-খাঁটি মুসলমান তা নির্ধারণ করার দায়িত্বতো আমাদের নয়, অসীম দয়ালু আল্লাহ্ তায়ালা সে দায়িত্বভার তার কাছে রেখেই আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাই না? এখন আমরা যদি দেশে ও বিদেশের মাটিতে কে মুসলিম আর কে মুসলিম নয়, এই প্রশ্ন তুলে মানুষ হত্যা করতে থাকি তাহলে এক সময় আর খুন করার জন্যও মানুষ পাওয়া যাবে না পৃথিবীতে তাই না?
- বাহ্ বেশ মূল্যবান একটি কথা বলেছেনতো? পৃথিবীতে যদি এই শিক্ষাটি দেওয়া হত তাহলে নিশ্চয়ই খুব ভালো হতো। কিন্তু একটি প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে থেকে ভাইসাব জানতে ইচ্ছে করে, ধরুন, এই যে পাকিস্তান আমলে মুক্তিযুদ্ধকে ইসলাম-বিরোধী বলে দাঁড় করানো হয়েছিল, আপনার কি কখনও মনে হয়েছে যে, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ইসলামের কোনও বিরোধ আছে?
- সত্যি কথা বলতে কি জনাব পাকিস্তান আমলে আমাদের আব্বাজানের মতো অনেকেই যারা পাকিস্তানের কাছ থেকে উপকার লাভ করেছেন তারা মনে করতেন যে, মুক্তিযুদ্ধকে যদি ইসলাম-বিরোধী হিসেবে প্রমাণ করা যায় তাহলে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান আর মুক্তিযুদ্ধে যাবে না। কোনও যুক্তি দিয়েই এটা প্রমাণ করা সম্ভব ছিল না যে, মুক্তিযোদ্ধারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা এ বিষয়টি বারবার কোনও তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই প্রচার চালিয়ে গেছে এবং এক সময় এই মিথ্যা ধর্মপ্রাণ বাঙালিদের অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। কিন্তু একজন ইমাম হিসেবে একথা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি যে, আত্মরক্ষা, দেশরক্ষা, মাতৃভাষা রক্ষা, স্বাধীনতা অর্জন এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের জন্য যে যুদ্ধ তা সবচেয়ে বড় ন্যয়যুদ্ধ। এখানে ধর্ম কোনও রকম বাধার সৃষ্টি করতে পারে না। বরং পাকিস্তানি সেনা বাহিনীই ধর্মপ্রাণ বাঙালির ওপর আক্রমণ চালিয়েছে, তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছে যা ধর্মমতে গুনাহের কাজ। দেশপ্রেম যদি ঈমাণের অঙ্গ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধ কী করে ইসলাম-বিরোধী হবে বলুন?
- সত্যিই কী সুন্দর করে কথা বলেন আপনি ভাইসাহেব। তার মানেতো এটাও সত্য যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে যদি বাংলাদেশকে গড়া যেতো বা যায় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদেরকে আর কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না, তাই না?
- আপনি একটি মোক্ষম প্রশ্ন তুলেছেন জনাব। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে আমরা কী বুঝি সেটাইতো এখনও কেউ স্পষ্ট করতে পারেননি, তাই না?
- আপনার কথা সত্য ভাইসাহেব। কিন্তু একথাও কি সত্য নয় যে, এই চেতনা মানে গণতান্ত্রিক দেশে নিজের ও অপরের মান-সম্মান বাঁচিয়ে, নিরাপদে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার সঙ্গে বসবাস করার অধিকার নিশ্চিত করা? একজন নাগরিকের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করারই অপর নাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
- তার মানেতো এই যে জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় সহিংসতা, এর সঙ্গেতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরাসরি বিরোধ রয়েছে, তাই নয় কি?
- অবশ্যই, কারণ একজন মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কখনওই অন্যের ওপর আক্রমণ চালাতে পারেন না, তাকে হত্যা করাতো দূরের কথা। একারণেই পারেন না যে, অপরের বিশ্বাস ও চিন্তাকে সম্মান জানানোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন। এটি কেবল রাজনৈতিক স্লোগান নয়, এর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মানদণ্ড রয়েছে। যে কেউ চাইলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ নিয়ে গবেষণা করে তার মাপ ও মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। কিন্তু মজার ব্যাপার কী জানেন? সে জন্য তাকে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার প্রয়োজন হবে না, নিজের বিবেকের কাছেই এ প্রশ্ন তিনি রাখতে পারবেন, তিনি আসলে কতটা সততার সঙ্গে দেশকে ভালোবাসছেন? দেশ ও জাতির প্রতি তার দায় ও দায়িত্ব পালন করছেন? এবং ব্যক্তিগত ভাবে তিনি তার কাজে ও কর্মে কতোটা সৎ থেকেছেন? বিশ্বাস করুন, এই মৌলিক বিষয়গুলোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদেরকে নিশ্চিত করতে শেখায়।
- আহা যদি বেঁচে থাকতে আমাদেরকে আপনার মতো করে কেউ বোঝাতো তাহলে জীবনে ফেলে আসা দিনগুলোতে করা অনেক ভুলের জন্য এখন আফসোস করতে হত না।
- ভাইসাহেব আমরাতো সকলেই এখন জীবনের ঊর্ধ্বে চয়ে এসেছি, তাই নয়?
- তা আপনি ঠিকই বলেছেন, কিন্তু মনে একটা দুঃখ থেকেই গেলো যে, নিজের দেশ ও দেশের মানুষের মৌলিক চাওয়াকেই আমরা অগ্রাহ্য করেছি, ধর্ম দিয়ে তাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি, এর বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদও করিনি। দুঃখ হবে না বলুন?
- না দুঃখ করবেন না, আপনি করেননি, আপনি আপনার বাবার করা ভুলকে ধরতে পেরেছিলেন, হয়তো আপনার সন্তান সে ভুল আর করবে না কোনোদিন।
- কী জানি জনাব, সে দৃঢ়তাতো আর নেই আমার। দেখছেন না চারদিকে ধর্মের নামে কী শুরু হয়েছে?
- হুম ভাইসাহেব দেখছি। কিন্তু আবারও দেশকে যদি মুক্তিযুদ্ধের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে দেখবেন, এইসব জঙ্গিবাদ আর থাকবে না। আশাকরি অচিরেই দেশটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাছে ফিরে যাবে। চলুন আমরা দেশটার জন্য, দেশের মানুষের জন্য মনের গভীর থেকে দোয়া করি।
- জ্বি জনাব, বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে আমাদের দুয়ার খুব প্রয়োজন রয়েছে।

(এই সংলাপ নিতান্তই কাল্পনিক, দু’জন মৃত মানুষের সংলাপ আজকের লেখায় উদ্ধৃত করা হলো। রাজনৈতিক কলাম লেখক হলেও পরিচয়টা আমার কথা সাহিত্যিকই। সে কারণেই এরকম একটি গল্পকেই আজকের লেখা হিসেবে আপনাদের সামনে হাজির করলাম। ভেবে দেখুন, এই কথোপকথনের কোথাও কোনও অসত্য কিছু আছে? এই ২৬ মার্চ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসে, এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ আমার কলমে এলো না। পাঠকের কাছে এ জন্য করজোড়ে ক্ষমা চাইছি)।

লেখক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বাংলাদেশের সাবেক কোচকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সাবেক কোচকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বিএনপির চিন্তাধারা ছিল অন্যের কাছে হাত পেতে চলবো: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির চিন্তাধারা ছিল অন্যের কাছে হাত পেতে চলবো: প্রধানমন্ত্রী
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ