X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক জুজু

মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুর রশীদ
০৬ এপ্রিল ২০১৭, ২০:৫৫আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৪৯

মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুর রশীদ বাংলাদেশ-ভারতের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারককে কেন্দ্র করে উভয় দেশের পত্রপত্রিকায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্কের নীতিগত ভিত্তি উপলব্ধি না করে কেউ-কেউ দেনা-পাওনার অঙ্ক কষে প্রাপ্তির পরিমাণ খোঁজাখুঁজি করছেন। কেউ-কেউ বলছেন প্রতিরক্ষা চুক্তি কেন? কেউ বলছেন, ভারতের অস্ত্র বিক্রির ধান্দা, কেউ বলছেন, বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করতে চাচ্ছে ভারত। কেউ বলছেন, এটি চীনা বলয় থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনার ভারতীয় কৌশল। কেউ আবার সরকারি দলের শুভাকাঙ্ক্ষী বনে শেখ হাসিনাকে চুক্তি না করার পরামর্শ দিচ্ছেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই ভাবছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিনির্মাণ অহেতুক রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করছে।
এদিকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সমঝোতা স্মারককে প্রতিরক্ষা চুক্তি বানিয়ে সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্নের ধুয়া তুলে ভারতবিরোধী কার্ডকে সচল করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তপ্ত করা হচ্ছে। বিএনপি-জোট দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, কারিগরী ও উন্নয়ন সহযোগিতার আকার আকৃতি, প্রকার-প্রকৃতি নিয়ে কোনও মাথা না ঘামালেও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে বিরোধিতা করছে। যদিও ২০০২ সালের ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া চীন সফরে গিয়ে ‘বাংলাদেশ-চায়না ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট’ শীর্ষক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। তখন চুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও বিষয় নিয়ে তেমন কোনও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি।
প্রতিরক্ষায় সামরিকভাবে কৌশলগত স্পর্শকাতর বিষয় যেমন থাকে তেমনি সামরিক বিষয়ের বাইরে প্রশিক্ষণ, সফর, সংযোগ বৃদ্ধির মতো নৈমিত্তিক বিষয়ও থাকে। সামরিক সহযোগিতার স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে উপলব্ধি  না করে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় বিরুদ্ধে অনড় অবস্থান নিয়ে দেশের স্বার্থ সংশ্লেষ না হলেও  রাজনৈতিক পালে হাওয়া যোগাতে ব্যস্ত। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থকে ভর করে বিনির্মিত হয় এটা সবার জানা। ডিফেন্স প্যাক্ট বা ট্রিটি যা চুক্তি হিসেবে পরিচিত যা সম্পাদিত হলেই কার্যকরী হয় না, যতক্ষণ না সংসদে অনুমোদন দেয়। ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৪ সালে সম্পাদিত হলেও ভারতের সংসদের অনুমোদন পেতে ৪৫ বছর সময় লেগেছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে  প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন যেমন রয়েছে, তেমনি তিস্তাসহ যৌথ নদীগুলোর পানি ভাগাভাগি অদ্যাবধি অসম্পাদিত রয়ে গেছে। ভবিষ্যতে অববাহিকার যৌথ ব্যবস্থাপনা ও পানির প্রবাহের পুনর্জীবন  প্রক্রিয়া তৈরি করতে না পারলে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া ঠেকানো যাবে না। সীমান্তে হত্যার মতো ঘটনা সম্পর্কে আঁচড় কাটছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণ হওয়ার পরও বাণিজ্যঘাটতি কমানো যাচ্ছে না।
ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে শুল্কজনিত বাধা দূর হলেও অশুল্কজনিত বাধা এখনও দূর হয়নি। স্থল সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে সীমানা বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে, ছিটমহল বিনিময় হয়েছে, সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হয়েছে, দুই দেশের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।  অনিষ্পন্ন দৃশ্যমান বিষয়গুলোকে পুঁজি করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মূল্যায়ন করা হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা ও অবস্থানের সঙ্গে অন্য দেশকে সব সময় না পেলেও ভারতকে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশি চক্রান্ত ঠেকাতে ভারত যেমনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে, তেমনি বাংলাদেশও সমর্থন দিয়েছে ভারতকে। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশীর সম্পর্ক, দয়া-দাক্ষিণ্যের নয়। সমতা ও পারস্পরিক মর্যাদা এবং পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতার ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে উঠেছে এই সম্পর্ক। বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) এবং বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) উপআঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে উঠেছে।       

অন্যদিকে ভারত-পাকিস্তান বৈরী সম্পর্ক সার্কের মতো আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সাফল্যের মুখ দেখতে দেয়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার ও রায় নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানো থেকে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে। ভারতকে ঘিরে রাখার উদ্দেশ্যে চীনের স্ট্রিং অব পার্ল কৌশল  বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব সৃষ্টি করে। ভারতবিদ্বেষী মনস্তত্ত্ব দিয়ে রাজনীতির মাঠ গরমের গলাবাজি করা গেলেও কূটনীতি পরিচালনা বা সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। কূটনীতি ঘুরতে থাকে রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে কেন্দ্র করে।  দুই দেশের স্বার্থ ও লক্ষ্যের অভিন্নতা এবং পারস্পরিক সামর্থ্য বিনিয়োগের যৌথ কৌশল তৈরি করা থেকেই সমঝোতার জন্ম হয়। সামরিক সম্পর্ক নিয়ে শঙ্কা তৃতীয় কোনও দেশের এজেন্ডা হয়ে থাকে। সেটাই সংশয়ের বিষয়। নীতিগতভাবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,  বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক হতে পারলে সামরিক সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি যুক্তিহীন।

প্রতিবেশী, নিকট প্রতিবেশী ও দূর প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের আকার-আকৃতি, প্রকার-প্রকৃতি ভিন্ন হয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, প্রকৃতি ও মানুষের বন্ধন। বন্ধুপ্রতিম চীনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক তৈরি হলেও মানুষের মধ্যে বন্ধন এখনও গড়ে ওঠেনি। কিন্তু বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে কোনও বাধা সৃষ্টি হয়নি। রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক সংস্কৃতি ও মানুষের বন্ধনকে প্রভাবিত করতে পারলেও আত্মিক সম্বন্ধ তৈরি করতে পারে না। বহুমুখী সম্বন্ধের বৈশিষ্ট্য  জড়ানো বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্য দেশের সম্পর্ক থেকে গুণগতভাবে আলাদা ও তুলনা করা ভুল।

বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ভারতের সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে গড়ে উঠেছিল। স্বাধীনতার লক্ষ্যে একসঙ্গে ও কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে লড়াইয়ের সম্পর্ক এবং একে অন্যের জন্য রক্ত দেওয়ার সম্পর্ক।  দেনা-পাওনা বা দয়া-দাক্ষিণ্যের পাল্লায় মাপলে ভুল হবে। বড়দেশের দাদাগিরি ছোট দেশকে শঙ্কায় ফেলে কিন্তু বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও বর্তমান সক্ষমতা যেকোনও বড় দেশের হুমকি-ধামকিতে নতজানু নয়। পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে অধিক সামর্থ্যবান।

বাংলাদেশের জন্ম পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সামরিক, রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে পাকিস্তান সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখে। বাংলাদেশকে ভারত বৈরী করতে পারলে পাকিস্তান লাভবান হয়। ভারতকে খোঁচা দিতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে না পারলে আক্রমণের দিক ও মাত্রাকে সম্প্রসারিত করতে পারে না। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পাকিস্তানের স্বার্থবিরোধী। সম্পর্কের গভীরতা বেড়ে উঠতে দেখলে পাকিস্তান ভীত হয়। ভারতবিদ্বেষকে চাঙ্গা করতে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না।

বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে সামরিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে বাধা কোথায়? চীনের সঙ্গে একচেটিয়া সম্পর্ক ধরে রাখলে লাভ হবে পাকিস্তানের। কেননা চীন বাংলাদেশের বন্ধু হলেও বাংলাদেশের বিষয়ে পাকিস্তানের পরামর্শে প্রভাবিত হওয়ার অনেক নজির ইতিহাসে এখনও জ্বলজ্বল করছে। প্রতিরক্ষার নির্ভরতা বহুমুখী হলে আস্থা বাড়ে।  

প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকে অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদির খসড়া প্রকাশ করেছে একটি জাতীয় দৈনিকের ৩১ শে মার্চ সংখ্যায়। ‘পাঁচ বছর মেয়াদি  সমঝোতা স্মারকের খসড়ায় প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতার পাশাপাশি এই শিল্পের বিকাশে যৌথ উদ্যোগ, মহাকাশ প্রযুক্তি, কারিগরি সহায়তা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে এক দেশ অন্য দেশকে সহযোগিতার উল্লেখ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমারেখায় সমন্বিত টহলসহ যৌথ ও সমন্বিত অনুশীলন করবে দুই দেশ। উভয়পক্ষ আন্তর্জাতিক আইন, নিজ নিজ জাতীয় আইন, শর্ত,  নীতি ও প্রথা মেনে কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে সক্রিয়ভাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।

সামরিক সদস্যদের সফর বিনিময়ে বিশেষজ্ঞ, তথ্যবিনিময়, কর্মশালা আয়োজন, প্রশিক্ষণ, আলোচনা সভা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে অনুষ্ঠান ও পারস্পরিক সুবিধাজনক শিক্ষা সফরের আয়োজন করবে। এসব সফরের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সংশ্লিষ্ট বেসামরিক ব্যক্তিরাও সফরের জন্য মনোনীত হতে পারবেন।

সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সহযোগিতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে দুই দেশ। প্রশিক্ষণ, অভিমত, সক্ষমতা বিনিময়ে, একে অন্যের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের সুযোগ গ্রহণ, প্রশিক্ষক বিনিময়, আলোচনা সভা, কর্মশালা ও যৌথ প্রশিক্ষণের আয়োজন কথা রয়েছে।

নিয়মিত ক্রীড়া ও দুঃসাহসিক অভিযান কার্যক্রম আয়োজনের পাশাপাশি চিকিত্সা সহযোগিতা থাকবে। জাহাজ ও উড়োজাহাজের সফর বিনিময় হবে।  উভয়পক্ষ সরকারি-নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা শিল্পে উন্নয়নে সহযোগিতার ধরন একং প্রতিরক্ষা পণ্য উত্পাদনে সহযোগিতা করবে। প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা গবেষণা সহযোগিতার কথা আছে। ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার রূপরেখা সমঝোতা স্মারকটির পরিসমাপ্তি যেকোনও পক্ষ যেকোনও সময় করতে পারে ৬ মাসের নোটিশ দিয়ে।

এখানে সামরিক কৌশলগত বিষয় দেখা যাচ্ছে না। সামরিক বাহিনী মোতায়েন, সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ ও ব্যবহার, অস্ত্র কেনা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর শর্ত নেই, যা আমাদের সিন্ধান্ত গ্রহণে সার্বভৌম ক্ষমতার ক্ষুণ্ন বা খর্ব হওয়ার  আশঙ্কা থাকতে পারে। মূলত এখানে দুই দেশের প্রতিরক্ষা  বাহিনীর মধ্যে পেশাগত ও কারিগরি সংযোগ বৃদ্ধির প্রয়াস দেখা যাচ্ছে। যৌথ মহড়া, সফর বিনিময়, প্রশিক্ষণ সহযোগিতার মতো চলমান বিষয়গুলো নিয়েই সহযোগিতার রূপকল্প তৈরি হয়েছে। নতুন বিষয়ের মধ্যে সমুদ্র সীমান্তে যৌথ টহল, সামরিক শিল্পে বিনিয়োগ, মহাকাশ প্রযুক্তি সহযোগিতা শুরু হবে।  

বাংলাদেশের সঙ্গে ৩৫টির বেশি সহযোগিতা চুক্তির বা সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের মাধ্যমে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংযোগ ও জ্বালানি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শর্তহীন ও খোলাভাবে সামরিক খাতে বরাদ্দ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি চীন, রাশিয়াসহ অনেক দেশের সঙ্গে গড়ে উঠেছে। ভারতের সঙ্গে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে শঙ্কা ছড়ানো হচ্ছে। চীন সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে পাকিস্তানে এরপর বাংলাদেশের অবস্থান। রাশিয়া সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দিয়েছিল। বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জামের ভাণ্ডারে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতা যেমন সম্প্রসারিত হবে, তেমনি তিস্তার পানি চুক্তিসহ অনেক অনিষ্পন্ন বিষয়ের সুরাহার পথ খুলবে। উন্নয়নের বিকাশ ঘটিয়ে পারস্পরিক সমৃদ্ধি অর্জন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা এবং একে অন্যের ক্ষতি না করার মৌলিক অঙ্গীকার থেকে টেকসই সম্পর্ক বেড়ে উঠবে।

লেখক: স্ট্রাটেজি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক। ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস (আই ক্লাডস)-এর নির্বাহী পরিচালক।   

 

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে চার জন অগ্নিদগ্ধ
ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে চার জন অগ্নিদগ্ধ
প্রিয় দশ
প্রিয় দশ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করার নির্দেশ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করার নির্দেশ
বাংলাদেশে চীনের উদ্যোক্তাদের বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান নানকের
বাংলাদেশে চীনের উদ্যোক্তাদের বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান নানকের
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ