X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতায় মুজিব মূর্তি সরানোর দাবি প্রসঙ্গে

গর্গ চট্টোপাধ্যায়
০৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:০৭আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:০২

গর্গ চট্টোপাধ্যায় একটি ছোট কুইজ প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি। বাংলাদেশের বাইরে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী বিচার নিয়ে সবচেয়ে বড় জমায়েতটি কোথায় হয়েছিল? উত্তর হলো কলকাতার শহীদ মিনারে। এটি একটি ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ। এখানেই ১৬ আগস্ট ১৯৪৬ সালে কুখ্যাত প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস বা ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে'তে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এক ভীষণ কঠিন সময়ে। কঠিন সে সময়ে যুদ্ধ শেষের ক্লেশে, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ক্লান্ত এক জাতির দুই অংশের মধ্যে বিরাজ করছিল ঘোরতর সাম্প্রদায়িক বৈরিতা। যার ফল ছেচল্লিশের মর্মান্তিক হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা, কলকাতার দাঙ্গা। যার ফল কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিনে ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগ নেতা গোলাম সারওয়ারের নেতৃত্বে নোয়াখালীতে একতরফা হিন্দু নিধন যজ্ঞের সূত্রপাত। এরপর আরও হানাহানি, অবিশ্বাস, বাংলা ভাগ। সেই একই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিশাল জমায়েতটি কিন্তু যুদ্ধাপরাধী বিচারের পক্ষে ছিল না। ছিল ঘৃণ্য নরখাদক-ধর্ষক-খুনি-ধর্মান্তরকরণকারী রাজাকারদের সমর্থনে। জমায়েতের মঞ্চ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধ্বনিত হয়েছিল প্রকট হুমকি। অন্যতম উদ্যোক্তা ছিল মুহম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। দুই একটি বিরল ব্যতিক্রম বাদ দিলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এই খবরটি কলকাতার মূলধারার সংবাদপত্রগুলো চেপে গিয়েছিল, যদিও একাধিক সংবাদপত্রের অফিস এই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে প্রায় ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে- এ রকম একটি ধারণা থেকে কলকাতার সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে এক অদ্ভুত অলিখিত নিয়ম চালু আছে বহুকাল। তা হলো, সাম্প্রদায়িক কোনও খারাপ ঘটনার হয় রিপোর্টিং হবে না কিংবা যদি খুব বেশি বড় ঘটনা হয়, তাহলে যেন পড়ে বোঝাই না যায় যে, কোন কোন পক্ষ যুক্ত, আদৌ ঘটনাটি কী। যুক্তি হলো এই সব খবরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। এই বাস্তববিরোধী ভূমিকার ফলে আসলে যেটা হয়, সেটা হলো এই যে, পশ্চিম বাংলার জনসাধারণ খবরও পায় না, বাস্তবে কী কী ঘটছে। ফলে সংবাদমাধ্যম থাকার মৌলিক কারণটিই মার খায়। সব খবর দেওয়া দরকার, যতটা সত্যনিষ্ঠ হয়ে দেওয়া যায়, ততটা। এটা আমার অভিমত। মুক্ত সমাজে চোরাগোপ্তা বিষ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। বিষ ছড়ালে চোখে দেখা যায়, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়। নইলে যেটা হয়, সেটা হলো সমাজের আপাত শান্তির তলায় তলায় স্রোতের মতো বিষ ছড়ায়। ছড়াতে ছড়াতে এক সময় এমন রূপ ধারণ করে যে, তা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়। তখন তাকে রোখা মুশকিল হয়ে ওঠে। মুক্তভাবে সত্য সামনে আসা সমাজের সুস্থতা বজায় রাখার প্রাথমিক শর্ত। কারণ অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয় না।
এত কথার অবতারণার কারণ আছে। মুহম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের কথা আগে বললাম ৭১-এর ঘাতক-দালালদের সমর্থনে কলকাতায় জমায়েতের অন্যতম সংগঠক হিসেবে, সেই সংগঠনটি আবার পশ্চিমবঙ্গে সংবাদ শিরোনামে এসেছে অন্য এক কারণে। কারণটি আপাতত অন্য হলেও খুব আলাদা নয়। শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য স্থান হলো কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজের ( আগের নাম ইসলামিয়া কলেজ) বেকার হোস্টেল। কলকাতার জানবাজার এলাকায় এই হোস্টেলের ঘরে ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৬-এ ছাত্রাবস্থায় বাস করতেন শেখ মুজিবুর রহমান। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে, কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের নেতৃত্বের নিবিড় যোগাযোগের কথা আমরা ভুলে যাই। বাংলা ভাগের পরে দুই বাংলার মধ্যে সংযোগ এবং হৃদ্য সম্পর্কের এক ধরনের ব্যাঘাত যে ঘটেছে, তা সত্য। বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর ঘর ২০১১ সালে শেখ মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত বলে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ওই দুই কক্ষের প্রবেশপথে শেখ মুজিবের একটি অনুপম শ্বেতপাথরের ‘মূর্তি’ স্থাপন করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে এই আবক্ষমূর্তি উন্মোচন করেন। ২০১৭’র ১৮ মার্চ বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলে, ‘ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মূর্তি বাসানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ছাড়া ভারতে কোনও মুসলিম প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের মূর্তি স্থাপন বিরল ঘটনা। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি সরিয়ে দেওয়া হোক।’ কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে আসবেন, তার আগে তিনি যেন বেকার হোস্টেল থেকে তার বাবার মূর্তি সরানোর ব্যবস্থা করেন, সেই দাবি জানাচ্ছি। মৌলানা আজাদ কলেজ থেকে বহু মুসলিম প্রসিদ্ধ ব্যক্তি পড়ালেখা করেছেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কেন, কোনও বন্ধুর মূর্তিই মেনে নেব না। আমরা আশা করব শেখ হাসিনা কোনও সংঘাতে না গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের ভাবাবেগকে সম্মান দেবেন। প্রয়োজনে তিনি কলকাতা করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি কলকাতার অন্য কোনও স্থানে বসান। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। মুসলিম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মূর্তি আমরা মেনে নেব না’। একইরকম মনোভাব ব্যক্ত করে বেকার হোস্টেলের কিছু বর্তমান ছাত্র। সাহেব আলী শেখ বলেন, ‘এই হোস্টেলে যারা থাকি, সবাই মুসলমান। এটা একটা ধর্মীয় স্থানও- মসজিদ আছে। ইসলাম ধর্মে মূর্তিপূজা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই আমাদের হোস্টেলের পরিবেশে কোনও ব্যক্তির মূর্তি রাখা আমরা মেনে নিতে পারছি না।’ আরেক আবাসিক ছাত্র মুহম্মদ গোলাম মাসুদ মোল্লার মতে, ‘ওই মূর্তিটা সংগ্রহশালার ঘরে লাগানো কাচের দরজার বাইরে থেকেই দেখা যায়। সেখানে অনেক ফুলও দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। একটি ইসলামিক পরিবেশে মূর্তি থাকাটা হারাম। তাই সেটিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হোক’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী স্বাভাবিকভাবেই এই অবাস্তব, কুরুচিপূর্ণ ও আধিপত্যবাদী দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সব ধর্মের, বেকার হোস্টেল সব ধর্মের, শেখ মুজিব সব ধর্মের। তার চেয়ে বড় কথা, পশ্চিমবঙ্গ বাঙালির, বেকার হোস্টেল বাঙালির, শেখ মুজিব বাঙালির।
আমি ধর্মতত্ত্বের আলোচনায় যাচ্ছি না। কিন্তু কয়েকটি প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ। ২০১১ সালে স্থাপিত মূর্তি নিয়ে ধর্মীয় আবেগ হঠাৎ মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের ৩ সপ্তাহ আগে উতলা ওঠা কি কাকতালীয়? ৭১-এর যুদ্ধাপরাধী ঘাতক-দালালদের সমর্থনে জমায়েতের মঞ্চ থেকে শেখ হাসিনার প্রতি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, সেই জমায়েতের এক পুরোধা সংগঠনই যে এই মুজিব-মূর্তি সরানোর আন্দোলনের মুখ, সেটা কি কাকতালীয়? হয়তো যেটা সবচেয়ে অদ্ভুত, তা হলো, দুই বাংলার প্রায় একই সময়ে ইসলামের তথা মুসলমান ভাবাবেগের নিজেই নিজেকে ঠিকাদারি দেওয়া আপাতভাবে সম্পর্কহীন দুটি সংগঠনের প্রায় একই সময়ে ঢাকায় কোর্টের সামনে ন্যায়মূর্তি ও কলকাতায় বেকার হোস্টেলে মুজিবের আবক্ষমূর্তির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা কি কাকতালীয় ও সংযোগহীন?
বাংলায় মুসলমানের ভাবাবেগ কোনও সংগঠনের বাপের সম্পত্তি নয়। ৭১-এর যুদ্ধাপরাধী ঘাতক দালালদের বিচার প্রক্রিয়ার বিরোধীদের সম্পত্তি তো নয়ই। যদি এই সংগঠন আর তার অনুসারী ছাত্ররা বাংলার মুসলমানের ইতিহাস নিয়ে বিন্দুমাত্র জ্ঞান রাখতেন, তাহলে বাংলায় ইসলামের ৮০০ বছরের বহুমাত্রিক, বহুত্বকে ধারণ করার ঐতিহ্য নিয়েও সচেতন হতেন। সেই বহুত্ব ধারণ করার ঐতিহ্য ও ক্ষমতা ছিল বলেই বাংলার ইসলাম একান্তই বাংলার। সেই ঐতিহ্য ও ক্ষমতার বলেই বাংলার এক বিরাট সংখ্যক মানুষের ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে ইসলামিকরণ ঘটেছে। যার ফল বাংলার মুসলমান। এই বহুত্ব ধারণের ক্ষমতা না থাকলে বাংলায় না থাকত বাংলার ইসলাম, না থাকত পশ্চিম বাংলায় ইসলাম, না থাকত আজকে পশ্চিম বাংলায় ইসলামের ঠিকাদারির দাবি করা যুব সংগঠন। বহুত্ব ধারণ করা বাংলার ইসলাম যদি বাপ হয়, বাংলার মুসলমান সেই বাপের সন্তান। আর যদি সেই বাপকে সে অস্বীকার করে, তাহলেই তো সে স্বয়ম্ভু হয়ে যায় না। তখন বাকিদের খোঁজ করতে হয় নতুন বাপের। আজ কোন আদর্শের ফলে এই বেকার হোস্টেল গোষ্ঠী বাংলার ইসলামের গড়ে ওঠার কথাকে আমল না দিয়ে বাংলার ইসলামকে বাংলায় ইসলামে পরিণত করতে চায়, এটা বোঝা প্রয়োজন এবং বাংলা ও বাঙালির স্বার্থে রোখা প্রয়োজন। বাংলার ইসলাম শুধু ব্যক্তি মূর্তি নয়, এখানকার দেব-দেবীর বিগ্রহের পূজারি হিন্দুদের সঙ্গে সহাবস্থান করেছে। বাংলার হিন্দু ও মুসলমান একে অন্যের রক্তের। এই রক্তের সম্পর্ক রক্তাক্ত হয়েছে অনেকবার, আজও হচ্ছে। একই সঙ্গে চলেছে এই রক্তাক্ত করার বিরুদ্ধে বাংলা ও বাঙালির নিরন্তর সংগ্রাম ও প্রতিরোধ । এমনই এক সংগ্রাম ও প্রতিরোধের অর্জনের নাম বাংলাদেশ। ১৯৭১ থেকে ২০১৭’র মাঝের দীর্ঘ কয়েক দশক কেটে গেছে। ১৯৭২’এ ঢাকার কোর্টের সামনে বা কলকাতার বেকার হোস্টেলের সামনে এই মূর্তি সরানো আন্দোলন সম্ভব ছিল না। আজ সম্ভব। কেন? সেই সময় আর আজকের সময়ের মধ্যে যে পরিবর্তন তা ইসলামি ধর্মগ্রন্থে খুঁজে পাওয়া যাবে না, পাওয়া যাবে রাজনীতিতে। ১৯৭২-এ বেশ চাপে থাকা এবং ২০১৭ সালে ১৯৭২-এর মতো চাপে না থাকা রাজনৈতিক শক্তিগুলো ১৯৭১-এ কোন পক্ষে ছিল? যদিও ইতিহাস দুই বার মঞ্চস্থ হয় না, তবু বোধহয় ভাবা উচিত যে, ২০১৭ সালে যারা কলকাতায়, ঢাকায় মূর্তির সরানোর দাবি তুলছে, তারা ১৯৭১-এ বর্তমান থাকলে কি এই একই দাবি তুলতে পারত? না পারলে কেন পারত না?
কারণ ১৯৭১-এর রেশ, দুই বাংলাতেই। সে রেশ অসাম্প্রদায়িকতার, সম্প্রীতির, বাঙালিত্বের। যে আবেগ অসাম্প্রদায়িকতা, সম্প্রীতি ও সদ্য বিজয়ী বাঙালিত্বের আবহাওয়ায় মাথা তুলতে ভয় পায়, লুকিয়ে থাকে এই আদর্শগুলো শিথিল হওয়ার সময়ের সুযোগ নেওয়ার, যে ‘আবেগ’-এর কারণে কলকাতার বুকে আজ শেখ মুজিবের মূর্তি সরানোর দাবি ওঠে, ঢাকার বুকে ন্যায়মূর্তি সরানোর দাবি আজ, সেই আবেগ বাংলা ও বাঙালিবিরোধী। হাজার বছরের বাঙালির, বাংলার হিন্দুর, মুসলমানের মঙ্গলময় যা যা অর্জন আছে, তার সম্পূর্ণ বিরোধী এই আবেগ। এবং এই আবেগ দুই বাংলাতে সক্রিয়। পশ্চিম বাংলাকে এই আবেগ ভারতের হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানি রাজনীতির ব্যাপারীদের জোগাচ্ছে তাদের আগ্রাসনের পক্ষে আরও বেশি মানুষ ক্ষেপানোর ইন্ধন। ঠিক যেমন সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ করে হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানি রাজনৈতিক শক্তিগুলো গোলা চড়ালো পশ্চিমবঙ্গের সরকারি পাঠ্যপুস্তকের তথাকথিত ইসলামিকরণের বিরুদ্ধে, প্রায় ঠিক যে সময়ে একইরকম একটা বিতর্ক ঘতে গেল বাংলাদেশে? কাকতালীয়?
দুই পারেই মূর্তি বিবাদ একই সময়ে কাকতালীয়? কাকতালীয় দেখায় ইচ্ছেমতো এমন ঘটনা তৈরি করার কোনও নতুন প্রযুক্তির আমদানি হয়েছে? সেটাও দুই বাংলাতেই, শুধু একটিতে না। সেটাও তো বড়ই কাকতালীয়। দুই বাংলার এমন অভিন্ন আবেগ আমদানি নীতির নির্ণায়করা কি একে অন্যকে চেনেন? না চেনাটাই হবে সবচেয়ে কাকতালীয়।

 লেখক: স্থিত মস্তিষ্ক-বিজ্ঞানী

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আইপিএলে সুযোগ পেলেও যে কারণে যাওয়া হয়নি শরিফুলের
আইপিএলে সুযোগ পেলেও যে কারণে যাওয়া হয়নি শরিফুলের
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবির মহাপরিচালক
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবির মহাপরিচালক
‘সামরিক বাহিনীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইন কর্মকর্তাদের পেশাগত মানোন্নয়ন জরুরি’
সামরিক বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সেমিনারে বিমান বাহিনী প্রধান‘সামরিক বাহিনীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইন কর্মকর্তাদের পেশাগত মানোন্নয়ন জরুরি’
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ