X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

আওয়ামী লীগের শত্রু-মিত্র

প্রভাষ আমিন
২৮ মে ২০১৭, ১৫:৫০আপডেট : ২৮ মে ২০১৭, ১৬:০১

প্রভাষ আমিন একটা প্রশ্ন, আপনারা কি আওয়ামী লীগের শত্রু-মিত্র চেনেন?
প্রশ্নটা আরও একটু নির্দিষ্ট করি, আওয়ামী লীগ কি তার শত্রু-মিত্র চেনে?
গত ২৭ মে, দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠাটি দেখে এই প্রশ্নটি এসেছে আমার মাথায়। সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণের একদিন পরের প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠার পুরোটা জুড়েই ছিল এই প্রসঙ্গে নানান খবর ও প্রতিক্রিয়া। একটি খবরে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ‘মূর্তি’ সরানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, এতে তাদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। ২০১৩ সালের ৫ মে রাতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর বাবুনগরীর বক্তব্য পড়লে মনে হতে পারে, তিনিই বুঝি শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী বা বন্ধু। শুধু বাবুনগরী নন, আরও যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন, তারা হলেন; ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ফয়জুল্লাহ, হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী, হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটির সহসভাপতি আবদুর রব ইউসুফি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সভাপতি মুফতি রেদওয়ানুল বারি সিরাজী।

এবার চলুন আরেকটা খবরের দিকে চোখ বুলাই। দেশের ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এক বিবৃতিতে ভাস্কর্য অপসারণকে ধর্মান্ধ অপশক্তির কাছে সরকারের নতি স্বীকার বলে অভিহিত করেছে। বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে তা দেখার আগে চলুন, বিবৃতিদাতাদের নামগুলোতে একটু চোখ বুলাই- আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, হাসান আজিজুল হক, সন্‌জীদা খাতুন, সৈয়দ হাসান ইমাম, রামেন্দু মজুমদার, পান্না কায়সার, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ হতে ন্যায়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্য অপসারণে আমরা ক্ষুব্ধ এবং প্রগতিবিরোধী এহেন হীন কর্মে গভীর ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। এই অপসারণ কর্মের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল কর্তৃক গঠিত সরকার কার্যত ধর্মান্ধ মৌলবাদী অপশক্তির কাছে নতি স্বীকার করেছে।’ বিবৃতির বাইরে প্রথম আলো আলাদা করে আরো কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। সরকারের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ’। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘ভালো লক্ষণ নয়’। রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আঘাত’। আরেক নিউজে দেখা যায় বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের পিটুনি খেয়েছে, টিয়ার শেল খেয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে। এর আগে হেফাজতের সাথে সরকারের সমঝোতার পর সরকারের আরো দুই মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও আসাদুজ্জামান নূরও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন।

নিউজগুলো পড়তে পড়তে আমি বিভ্রান্ত হয়ে যাই। আমার মাথায় গিট্টু লেগে যায়। আওয়ামী লীগের বন্ধু কে বাবুনগরী না গাফফার চৌধুরী? আওয়ামী লীগের শত্রু কে পান্না কায়সার না ফয়জুল্লাহ? আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষী কে রাশেদ খান মেনন না নূর হোসাইন কাসেমী?

আপনি যদি শত্রু-মিত্র চিনতে পারেন, আওয়ামী লীগের মত একটি পুরোনো ঐতিহ্যবাহী দল কেন চিনতে পারবে না? কওমী মাদ্রাসার নেতৃবৃন্দ তথা হেফাজতে ইসলামের সাথে সরকারের সমঝোতার ঘটনায় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী বিব্রত, তারা অস্বস্তিতে আছেন; না পারছেন সরাসরি এর পক্ষে অবস্থান নিতে, না পারছেন জোর গলায় বিরোধিতা করতে। অফ দ্যা রেকর্ড একেকজন দারুণ বিপ্লবী। কিন্তু অন রেকর্ড বলতে বললেই চুপসে যান। এই ইস্যুতে টক শো’তে গেস্ট পাওয়া কঠিন। তবে সবাই এমন নয়। কেউ কেউ নৈতিক অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করছেন। ভাস্কর্য অপসারণের পর শহীদ সন্তান ডাঃ নুজহাত চৌধুরী, যিনি আওয়ামী রাজনীতির একজন কট্টর সমর্থক, ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হোঁচট খেয়েছি দেখে ভেবো না একদম পড়ে গেছি। হোঁচট খেতে খেতেই মানুষ হাঁটতে শেখে। অসাম্প্রদায়িকতা এক অনন্য উচ্চতার মানবিক চেতনা। চেতনার সেই উচ্চতায় আরোহণের জন্য এ জাতিকে দীর্ঘ পথ হাঁটতে হবে - বোঝা যাচ্ছে। হাঁটতে হাঁটতে হোঁচট খেতে হবে বহুবার - তাও স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। তাই বলে ভেবো না, সেই সুউচ্চ চূড়ায় এদেশ উঠবে না। একদিন উঠবে। নিশ্চয়ই উঠবে। পিতার প্রতিশ্রুতি তো সেটাই ছিল। সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে ত্রিশ লক্ষ মানব সন্তানের রক্তে এদেশ কিনে রেখেছে সেই শৃঙ্গ। সরল-সোজা অথবা আঁকা-বাঁকা যে পথেই যাও, সেই গন্তব্যেই পৌঁছাতে হবে তোমায় বাংলাদেশ। তোমায় রক্ষা করতেই হবে পিতার প্রতিশ্রুতি। তুমি যে রক্তের শপথে অঙ্গীকারাবদ্ধ।‘ এটুআইয়ের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা চমৎকার মানুষ এবং পারিবারিকভাবেই আওয়ামী রাজনীতির ঘোরতর সমর্থক। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি নিজেও একজন রাজনৈতিক কর্মী, নির্বাচনেও অংশ নিতে চাই কিন্তু আমার চেতনায় বিশ্বাস করে না এমন মানুষের ভোটে আমি বিজয়ী হতে চাই না। আমার মনোনয়ন বোর্ড যদি আমার এই আবেগের জন্য অযোগ্য মনে করে তাহলে সেই মনোনয়ন আমার দরকার নাই...’। নুজহাত বা মুক্তার মত অমন সাহস সবার নেই। তাই অনেকের মনের কথা মুখে আসে না, ফেসবুকে তো নয়ই। তবে আদর্শের সাথে আওয়ামী লীগের এই আপোসে কষ্ট পেয়েছেন অনেকেই। কষ্টের কারণ হলো, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক অংশের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের হাতে। সেই আওয়ামী লীগ যখন দলের এবং দেশের মূলনীতির বিপক্ষের কারো সাথে ভোটের প্রশ্নে, ক্ষমতার প্রশ্নে আপোষ করে তখন সম্মিলিত অসহায়ত্ব, সামষ্টিক বিষাদ ভর করে সর্বত্র।

আওয়ামী লীগ যতই ভোটের হিসাব করুক, এই হিসাব কখনওই মিলবে না। বাবুনগরী কখনওই আওয়ামী লীগের পাশে থাকবে না। বরং যারা এখন আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর, যারা বিবৃতি দিচ্ছে, পুলিশের মার খাচ্ছে; তারাই আওয়ামী লীগের পাশে থাকবে। আওয়ামী লীগও এটা জানে, প্রগতিশীল অংশ যতই লাফঝাঁপ করুক, শেষ পর্যন্ত তারা আওয়ামী লীগেই ভরসা রাখবে। তারা সহজাত আওয়ামী লীগার। এটা আওয়ামী লীগের আদর্শিক ব্ল্যাকমেইল। কিন্তু আওয়ামী লীগ বুঝতে পারছে না, হেফাজতে ইসলামকে সঙ্গে রাখতে গেলে এই প্রগতিশীল অংশের সমর্থন হারানোর ঝুকি তো থাকছেই, থাকছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতো ইসলামী শক্তির সমর্থন হারানোর শঙ্কাও। হেফাজতে যতটুকু প্লাস হবে, মাইনাস হবে তারচেয়ে অনেক বেশি। আমাদের সমস্যা হলো, আমরা সামনে দিয়ে মশা গেলে ধরার জন্য দৌড় দেই, পেছন দিয়ে হাতি গেলেও দেখি না।

ভাস্কর্য অপসারণের পর যে রাজনীতিটা হচ্ছে, তা খুবই ইন্টারেস্টিং। আওয়ামী লীগ তো এটা করেছেই, বিএনপিও এর সমর্থক, জাতীয় পাটি, জামায়াত, হেফাজত সবাই ধন্য ধন্য করছে। খালি রাজনীতির বাইরের কিছু শুভ চিন্তার মানুষ, রাজনীতির এই অলিখিত অশুভ ঐক্যের বিরুদ্ধে চিৎকার করছে। সবচেয়ে মজা হলো, এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি অভিন্ন কণ্ঠে কথা বলছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভাস্কর্য অপসারণের সিদ্ধান্ত সরকারের নয়, প্রধান বিচারপতির। ওবায়দুল কাদেরের ইনটেশনটা পরিস্কার। ভাস্কর্য সরিয়ে হেফাজতকে শান্ত করা গেছে। এখন কাঁঠালটা প্রধান বিচারপতির মাথায় ভাঙতে পারলে দায়টা এড়ানো যায়, প্রগতিশীলদের বোঝানো যায়। ওবায়দুল কাদের যেটা বলেছেন, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, তা আরও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে বুঝিয়েছেন, কেন এই সিদ্ধান্ত সরকার নয়, প্রধান বিচারপতিই নিয়েছেন। মওদুদের ইনটেনশনটাও পরিস্কার। বিএনপি বিশ্বাস করে ভাস্কর্য সরানোর কাজটি খুব ভালো হয়েছে। এই ভালো কাজের কৃতিত্ব যদি আওয়ামী লীগ পেয়ে যায়, তাহলে তো বিশাল লস। বিএনপির ইসলামী ভোট ব্যাংকে ভাগ বসাবে আওয়ামী লীগ। হেফাজতের লোকজনকে বোঝানো যে, এই ‘ভালো কাজ’টা সরকার করেনি, এখানে সরকারের কোনো কৃতিত্ব নেই। দুই পক্ষই প্রধান বিচারপতির কাঁধে বন্দুক রেখেই গুলি করতে চাইছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মন্তব্য নেই।

অনেকে ভাস্কর্য অপসারণকে ইসলামের জয় হিসেবে দেখে উল্লসিত। কিন্তু একটা বিষয় পরিস্কার করা দরকার, ইসলামের সাথে ভাস্কর্যের কোনও সম্পর্কও নেই, বিরোধও নেই। ভাস্কর্য নিছকই একটা শিল্প। এবং এটা আদি শিল্পের একটি। হাজার হাজার বছরের পুরোনো অনেক ভাস্কর্য সারাবিশ্বের ঐতিহ্য। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই, এমনকি সৌদি আরবেও ভাস্কর্য আছে। ইসলাম ১৪০০ বছরের পুরোনো একটি ধর্ম এবং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে একটি ভাস্কর্য স্থাপনে ইসলামের কোনও ক্ষতি হয় না, এই ভাস্কর্যের পতনেও ইসলাম সমুন্নিত হয় না। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী, কিন্তু এটি কোনো ইসলামী রাষ্ট্র নয়। বরং ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে বাংলাদেশ বিকশিত হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্র হিসেবে, যার মৌলিক চেতনা ধর্মনিরপেক্ষতা। আওয়ামী লীগ এতদিন এই চেতনার রক্ষক ছিল। আজ তারাই ভক্ষকের ভূমিকায়।

আওয়ামী লীগ ভাবছিল, সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য অপসারণ করেই হেফাজতকে শান্ত রাখা যাবে। কিন্তু হেফাজত এখন রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘ। ২০১৩ সালে ঘোষিত তাদের ১৩ দফার ৭ নম্বর দফা দেশের সকল ভাস্কর্য অপসারণ। সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য সরানোর দাবি তাদের পরীক্ষামূলক। দাবি পূরণের সাথে সাথেই তারা মনে করিয়ে দিয়েছে আসল দাবির কথা। সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য অপসারণের পরদিন শুকরিয়া সমাবেশে হেফাজত দাবি তুলেছে, সারাদেশের সকল ভাস্কর্য অপসারণের। হেফাজত বলছে, এটা তাদের প্রাথমিক বিজয়। এখন তারা নিশ্চয়ই চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যেতে চাইবে। আর হেফাজতের বিজয় মানে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয়। আর আওয়ামী লীগেকে নিয়ে আহমদ ছফার ঐতিহাসিক উক্তি সবসময় স্মরণযোগ্য ‘আওয়ামী লীগ জিতলে একাই জেতে, আর হারলে গোটা বাংলাদেশ হারে।‘আদর্শে অনঢ় থাকলে সাময়িক ক্ষতি হলেও চূড়ান্ত বিচারে সংগঠন লাভবান হয়। আর আদর্শ না থাকলে আর কিছুই থাকে না। ভোটের হিসেবে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট যতটা নিন্দাযোগ্য, একই হিসেবে হেফাজদের সাথে আওয়ামী লীগের আপস, সমঝোতা, কৌশল; যাই হোক; সেটাও ততটাই নিন্দাযোগ্য। তাই আওয়ামী লীগকে চিনতে হবে তার আসল শত্রু-মিত্র।

পুনশ্চ: সরিয়ে ফেলা ভাস্কর্যটি শনিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। তার মানে ভাস্কর্যটি জাতীয় ঈদগাহের মুসল্লিদের দৃষ্টির আড়ালে নেওয়া হয়েছে। এটা ভালো উদ্যাগ। শুধু হেফাজত নয়, ঈদের নামাজ আদায় করতে আসা সাধারণ মুসল্লীরাও এতে বিব্রত হতে পারতেন। তবে এরপর যদি হেফাজত কোনো উচ্চবাচ্য করে বাবুনগরীকে ২০১৩ সালের ৫ মে কান ধরে মধ্যরাতের দৌঁড়ের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে। সরকার লাঠি না ভেঙ্গে সাপ মারার কৌশল নিয়েছে। তবে সবাইকে খুশি করতে চাইলে অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়; কেউই খুশি হয় না। ভরসা রাখতে হলে আদর্শে অবিচল নৌকা চাই। দ্বিধা থরথর দুই নৌকায় পা দেওয়া বিপদজনক।

লেখক:  হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

[email protected]

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ