X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ি নিপীড়ন, পাহাড়ের আর্তনাদ

গোলাম মোর্তোজা
১৪ জুন ২০১৭, ১৬:৪৮আপডেট : ১৪ জুন ২০১৭, ১৬:৫৫

গোলাম মোর্তোজা পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা ১৩০। হতে পারে এই সংখ্যা ১৪০ বা ১৫০ বা আরও বেশি। তো? এটাতো শুধুই একটি ‘সংখ্যা’। এত আহাজারির কী আছে? ২০০৭ সালেও তো মৃতের ‘সংখ্যা’ ১২৭ জেনেছিলাম। কিছু আসে-গেছে আমাদের? না, যায়নি। যাওয়ার কথাও নয়। আপনি বা আপনার সন্তান বা আপনার পরিবারের কেউ তো ধসে পড়া পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েনি। পাহাড় ধ্বংস করছেন আপনি বা আপনার সন্তান বা আপনার বন্ধু বা বন্ধুর বন্ধু। চাপা পড়ে তাদের কেউ মরছে না। উদ্ধার করতে গিয়ে মারা গেছেন ৪ সেনা সদস্য। সমতল থেকে পাহাড়ে যাদের মানব ঢাল হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, মরছে সেই সেটেলাররাও। মূলত মরছে কিছু গরিব মানুষ।
পাহাড় ধসে মৃত্যু চেয়েও পাহাড়িরা বহুমূখী নিপীড়ন- নির্যাতনের শিকার। তাদের আমরা ‘আদিবাসী’ বলতে পারবো না। ‘জাতি’ বলতে পারবো না, ‘উপজাতি’ বলবো। ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ বলতে হবে, তারা না চাইলেও। তাদের হত্যা করা হবে, ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে, নারীদের নির্যাতন করা হবে- এগুলো তো এদেশে স্বাভাবিক বিষয়, অবাক হবো কেন!
২০১৭ সালে লংগদু জ্বালানোর আগে কি লংগদু জ্বলেনি? ১৯৮৯ সালে লংগদু হত্যাকাণ্ডের কথা আমরা মনে রাখিনি। সেদিন গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল। তখন গণমাধ্যমে এসব সংবাদ আসত না। এখনও যে খুব বেশি বা প্রকৃত সংবাদ আসে, তা নয়। তবে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে, তখন ছিল না। এখন কোনও কিছু গোপন রাখা যায় না, গণমাধ্যম প্রকাশ না করলেও। তখন প্রায় পুরোটাই অজানা থেকে যেত। তারপরও লংগদুর সেই জ্বালাও-পোড়াও, হত্যাকাণ্ডের কথা দেশের মানুষ অনেক পরে জেনেছিল। জানলেই কী, দেশ পরিচালনার নীতিতে তো তার কোনও প্রভাব নেই।
২.

ইতিহাস বলতে চাই না। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে আমরা খুব কম জানি। এই কম জানার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। লংগদুর ঘটনার পর দেখছি যার যার রাজনৈতিক বিশ্বাস অনুযায়ী ইতিহাস লিখছেন। কেউ লিখছেন, জিয়াউর রহমানের সময় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, চুক্তির মাধ্যমে বাঙালিদের বঞ্চিত করে সমস্যা প্রকোট করা হয়েছে। খুব সংক্ষেপে ইতিহাসটা একটু বলি।
‘উন্নয়ন’র ধারণা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার জন্ম। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছিল পাকিস্তানি শোষকেরা। এর ফলে পাহাড়িদের জীবনে কী ঘটতে পারে, তা জানানো হয়নি। সাধারণ পাহাড়িরা পুরোটা বুঝতে না পারলেও, এটা যে ভালো কিছু হবে না- তা বুঝতে পেরেছিলেন পাহাড়ি নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ চালু করা হয়। সে বছরই নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। ১৯৬১ সালের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট আবাদী জমির ৪০% ডুবে যায়। সেখানে মোট জনসংখ্যার ২৫% বসবাস করতেন। সেই সময় প্রায় ৪০ হাজার চাকমা উদ্বাস্তু হয়ে অরুণাচল চলে যায় । সন্তু লারমারাদের জমি- বসত বাড়ি ডুবে যায় । তিনি স্মৃতিচারণ করেন এভাবে, ‘আমাদের বাড়ির সামনে ছিল বিশাল ধান ক্ষেত। সোনালী ধানের ক্ষেত বাতাসে ঢেউ খেলে যেত। কাপ্তাই বাঁধ চালু হলো। চোখের সামনে দেখলাম আস্তে আস্তে সব ডুবে যাচ্ছে সেই ধান খেত। দু'চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে। ভেজা চোখে দেখছি সেই দৃশ্য। সময় গড়িয়ে যায়। শুকিয়ে যায় চোখের অশ্রু। এক সময় আমাদের বাড়ি ঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো লেকের পানিতে। সব হারিয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে বের হলাম আমরা...।’

সন্তু লারমার বাবা শিক্ষক, দাদা স্কুল ইন্সপেক্টর ছিলেন। খাগড়াছড়ির সেই বাড়িতে, সেই সময় কলকাতা থেকে ‘উল্টো রথ’ পত্রিকা আসত। সেই পরিবারটি সর্বহারা হয়ে গেলো। পাহাড়িদের সর্বহারা করে দিল কাপ্তাই লেক।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড়, নীল পানির গভীর লেক আমাদের শিহরিত করে। এই লেকের পানি মানে শুধু পানি নয়, পাহাড়িদের চোখের পানি। এই পানিতেই তলিয়ে গেছে পাহাড়িদের স্বপ্ন, আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি, গরু-ছাগল, কিছু মানুষও। আমরা পবিত্র পানির সঙ্গে মিলিয়ে পানি পান করি রোগ মুক্তির আশায়। পাহাড়িরা আজও চোখের পানি ফেলে এই লেকের পানিতে। আজও পাহাড়িদের চোখের পানি মিলে যায় মিশে যায়, সেই স্বপ্ন হারানো আগের প্রজন্মের চোখের পানির সঙ্গে। সেই লেক-পানির ওপরও তার অধিকার নেই। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তার বেয়ে বিদ্যুৎ এসে নগর আলোকিত হয়, আমরা পুলকিত হই। এই বিদ্যুতের তারে যে পাহাড়িদের রক্ত, চোখের পানি মিশে আছে, তা অনুধাবন করি না, করিনি কোনও দিন। পাকিস্তানিরা করেনি, আমরাও করি না।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। প্রচারণা চালানো হয় পাহাড়িরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানিদের পক্ষ নেয়। বাস্তবে যার পুরোটা সত্যি নয়। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের পক্ষ নিলেও, পাহাড়িদের অধিকাংশের অবস্থান ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। অনেকেই সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন। দেশ স্বাধীন হলেও পাহাড়িদের সমস্যা সমাধানের নীতি নেওয়া হয় না। ১৯৭২ সালের ১৬ মে এম এন লারমা ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে পাহাড়িদের আত্মমর্যাদা এবং শায়ত্তশাসনের দাবির বিষয়গুলো তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু তাদের বাঙালি হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এম এন লারমা রাঙ্গামাটি ফিরে গিয়ে ২৪ জুন গঠন করেন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি। সরকারের মনোভাব বুঝে ১৯৭২ সাল থেকেই সশস্ত্র সংগ্রামের কথা ভাবছিলেন। ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারি গঠন করেন জনসংহতি সমিতির ‘সশস্ত্র’ শাখা। আনুষ্ঠানিক নাম কখনো শান্তিবাহিনী না হলেও, শান্তিবাহিনী নামেই পরিচিতি পায়। ১৯৭৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটিতে একটি বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আজ থেকে আমরা সবাই বাঙালি। এখানে কোনো উপজাতি নেই’।

বঙ্গবন্ধু হয়ত তার স্বভাবসুলভ কাছে টেনে নেওয়ার উদ্দেশে বলেছিলেন। কিন্তু পাহাড়িরা সেভাবে বোঝেন নি। বুঝেছিলেন, তাদের জোর করে বাঙ্গালি করা হচ্ছে।
পাহাড়িদের ক্ষিপ্ত করে এই বক্তব্য। দলে দলে পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা যোগ দেন শান্তিবাহিনীতে। এম এন লারমা, সন্তু লারমা দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে পাহাড়িদের সংগ্রাম ভিন্নমাত্রা পায়। জনসংহতি সমিতির প্রধান এম এন লারমা, শান্তিবাহিনীর ফিল্ড কমান্ডার সন্তু লারমা। আজকের উষাতন তালুকদার এমপি ছিলেন শান্তিবাহিনীর সর্বশেষ ফিল্ড কমান্ডার। ১৯৯৭ সালের চুক্তির আগে পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে এম এন লারমা অনুরোধ করেছিলেন পাহাড়িদের বিষয়গুলো আলাদা করে দেখার। বঙ্গবন্ধু তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি বসতি স্থাপন করার প্রসঙ্গ সামনে এনেছিলেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদও তাদের ‘বাঙালি’ করার উদ্যোগ নিয়ে ঐতিহাসিক ভুল করেছিল। সম্ভবত বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যটি সেদিন এম এন লারমা রেখেছিলেন।
জিয়াউর রহমানের সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাঙালিদের পার্বত্য অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক দাগী আসামিদেরও নেওয়া হয়। শান্তিবাহিনী-সামরিক বাহিনী যুদ্ধ চলতে থাকে। এরশাদ, খালেদা জিয়ার সময়েও বাঙালি বসতি যা সেটেলার নামে পরিচিত, চলতে থাকে। শেখ হাসিনার সময়ে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয় না। পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যা ভূমি বিরোধ। পাহাড়িদের জায়গা-জমি-বাড়ি দখল করানো হয়েছে সেটেলার বাঙালিদের দিয়ে। সেই সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয় না। চুক্তি অনুযায়ী যে কেউ পাহাড়ে নিয়ে জমি ক্রয় বা লিজ নিতে পারে না। আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন নিয়ে একটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ক্রয় বা লিজ নেয়ার কথা। বাস্তবে সামরিক-বেসামরিক আমলা, তাদের আত্মীয়-বন্ধু, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজের কেউ কেউ, কয়েকজন সাংবাদিকও লিজ নিয়ে সিকি, অর্ধ বা শত একর বা তারও বেশি জমি-পাহাড়ের মালিক হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
৩.
পাহাড়িরা দিন দিন পাহাড় থেকে বিতাড়িত হয়েছে। দখলবাজরা কেউ গাছ লাগিয়ে লিজের নামে দখল প্রতিষ্ঠা করেছে। কেউ পাহাড় ধ্বংস করেছে নির্বিচারে। রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিবেচনায় না নিয়ে বসতি স্থাপন করা হয়েছে। আজকের যে পাহাড় ধ্বংস, দু’এক বছর পরপর যে ধসে শত শত মানুষ চাপা পড়ে মারা যায়, তা প্রাকৃতিক নয় মানুষ সৃষ্ট দুর্যোগ। পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যারা, মূলত দায়ি তারা। তাদের কোনও জবাবদিহিতা নেই, আছে পাহাড়িদের ওপর নিপীড়ন আর নির্যাতন। নিপীড়নের শিকার শুধু পাহাড়ি মানুষ নয়, পাহাড়ও।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিক। প্রথমে সামরিক উপায়ে সমাধান করতে গিয়ে বড় ভুল করা হয়েছে। যদিও একজন সামরিক অফিসার মেজর জেনারেল মঞ্জুর পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার প্রকৃত অবস্থাটা উপলব্ধি করেছিলেন। যুদ্ধ চলাকালীন জিয়াউর রহমানের সময় তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের জিওসি। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানে তার আলাদা আগ্রহ ছিল। পাহাড়িদের সশস্ত্র সংগ্রাম যে নিছক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়, এর যে গভীর তাৎপর্য ছিল- তা তিনি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। পাহাড়িদের উদ্বুদ্ধ করার জন্যে এম এন লারমা, সন্তু লারমাসহ পাহাড়ি নেতাদের অধিকাংশই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন শিক্ষকতা। দীর্ঘমেয়াদি, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা শিক্ষকতা পেশায় গিয়েছিলেন। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। জেনারেল মঞ্জুর পাহাড়িদের এই সংগ্রামকে ‘টিচার্স রেভ্যুলেশন’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।
৪.
প্রথমে সায়ত্ত্বশাসন, তারপর স্বাধীন জুমল্যান্ডের প্রতিষ্ঠার জন্যে সশস্ত্র যুদ্ধ। আলোচনায় স্বস্তি এবং বদলে যাওয়া আঞ্চলিক রাজনীতির ফলশ্রুতিতে স্বাক্ষর হয় চুক্তি। বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সংবিধান মেনে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে পাহাড়িদের পক্ষে জনসংহতি সমিতি। বিশেষ অঞ্চল হিসেবে বিশেষ ব্যবস্থার এমন চুক্তির নজীর ভারতের মেঘালয়, দার্জিলিংসহ আরও অনেক দেশে  আছে। তবে চুক্তি করে তা বাস্তবায়ন না করার এতটা অবহেলা খুব কম দেশই দেখিয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যা ঘটছে বিশেষ করে চুক্তির পরে যা ঘটছে- তা কোনোভাবেই বাংলাদেশের স্বার্থের জন্যে ভালো কিছু নয়।
আমরা যখন পাহাড় ধস নিয়ে হা-হুতাশ করি, জ্বালিয়ে দেওয়া ঘর-বাড়ি দেখে কান্নাকাটি করি- পাহাড়িরা সেটাকে মায়াকান্না মনে করেন। এই মনে করাটা খুব অযৌক্তিক নয়। একদিকে পাহাড়িদের বিতাড়িত করব, নিপীড়কদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রটেকশন দেব, সেটেলারদের দিয়ে তাদের জমি দখল করাব, বিত্তবানরা অবৈধভাবে লিজ নেব, আবার সমবেদনা দেখাব- তা তো আসলে হয় না। কল্পনা চাকমারা হারিয়ে যাবে, তদন্ত-বিচার করবেন না। আবার প্রতিবাদও করতে দেবেন না। পাহাড়িরা ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ। পাহাড়ি তরুণ প্রজন্ম উগ্রভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ তা দেখছে, জানছে- গুরুত্ব দিচ্ছে না। গুরুত্ব না দেওয়ার নীতিতে কি শান্তি আসবে? দেশের একটি অঞ্চলকে বিক্ষুব্ধ-অশান্ত রেখে কি শান্তি-সমৃদ্ধি সম্ভব?

লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় যুবকের মরদেহ
হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় যুবকের মরদেহ
ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রুশ সাংবাদিক নিহত
ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রুশ সাংবাদিক নিহত
নীলফামারীতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারিসহ ৩ জন গ্রেফতার
নীলফামারীতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারিসহ ৩ জন গ্রেফতার
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরলো বাংলাদেশ
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরলো বাংলাদেশ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ