X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

হলি আর্টিজান: শেষ না শুরু?

আমীন আল রশীদ
০১ জুলাই ২০১৭, ১৪:৩৪আপডেট : ০১ জুলাই ২০১৭, ১৪:৪০

আমীন আল রশীদ বাংলাদেশ যখন হলি আর্টিজান হামলার এক বছর (১ জুলাই) পূর্ণ করলো, ঠিক তার দুদিন আগে অর্থাৎ ২৯ জুন ইরাকের একটি সংবাদ আমাদের নজরে আসে; তা হলো-জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্বঘোষিত খেলাফতের অবসান ঘোষণা করেছে ইরাক।
খবরে বলা হয়, দীর্ঘ আট মাস ধরে চলা লড়াই শেষে ২৯ জুন দেশটির মসুলে বিধ্বস্ত গ্র্যান্ড আল-নুরি মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরাকি বাহিনী, যে  মসজিদ থেকে ২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিলেন আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। ইরাক সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আইএসের একজন সদস্যও যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিন যুদ্ধ চলবে। ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া রাসুল বলেন, আইএস -এর কল্পিত রাষ্ট্রের পতন হয়েছে।
যদিও ইরাকে এই ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর মতো প্রতিশোধপরায়ণ জঙ্গি সংগঠন জন্মের পেছনে জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও ধর্মীয় যেসব কারণ চিহ্নিত করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম নূরি আল মালিকী (প্রধানমন্ত্রী ২০ মে ২০০৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪) সরকারের দুর্নীতি এবং সে দেশের সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড। এর বাইরে সবচেয়ে বড় কারণ সংখ্যালঘু সুন্নি মুসলমানদের ওপর শিয়া মতাবলম্বী সরকারের বৈষম্য ও নির্যাতন যার পেছনে মূলত দায়ী ধর্ম বা আদর্শ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য চলে যাওয়ার পর নূরি আল-মালিকি যেভাবে শিয়াদের মদদ দিয়েছেন, তা সুন্নিদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বাড়িয়েছে এবং এর ফলে এমন একটি জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ত্বরান্বিত হয়েছে।

ইরাকে সংখ্যালঘু সুন্নি অনুসারীদের একটি অংশ আইএস-এর মতো সংগঠন গড়ে তুললেও এটি সংখ্যাগুরু সুন্নি অধ্যুসিত প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায়ও ছড়িয়ে গেছে; যেখানের শাসক বাশার আল আসাদ শিয়া মতাবলম্বী। তার সাথে ইরানের বন্ধুত্বের এটিও একটি কারণ যে, ইরান হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। ইরাকের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধের সময়ও ইরানের পাশে ছিল সিরিয়া। ধর্মীয় এই আদর্শগত মিল এবং শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক নীতি ও নির্যাতন আইএস-এর মতো সংগঠন গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে বলে মনে করা হয়।

প্রখ্যাত আইরিশ সাংবাদিক প্যাট্রিক ককবার্নের মতে, আইএস শুধু নিজ দেশে গড়ে ওঠা একটি ক্ষমতালোভী দল নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নিজেদে সুবিধার্থে এই সংগঠনটির জন্ম দিয়েছে অথবা এর জন্ম প্রক্রিয়ায় ইন্ধন দিয়েছে। ইরাকে শিয়া সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেমন তাদের দরকার, তেমনি দরকার সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারকে নামাতে। আবার আসাদ সরকারও চায় আইএস জীবিত থাকুক, যাতে বিশ্বশক্তি আইএস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যুক্তরাষ্ট্র তো চাইবেই। কারণ আইএস থাকলে এই জুজুর ভয় দেখিয়ে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ওপরে তার খবরদারিটা করা সহজ; এমনকি তার মিত্র মুসলিম দেশগুলোর ওপরেও।

তবে এটা ঠিক, আইএস-এর মতো সংগঠন সৃষ্টির পেছনে আন্তর্জাতিক এসব খেলা বা নোংরামি পরোক্ষ ভূমিকা রাখলেও প্রত্যক্ষ কারণ আসলে ইরাকে সংখ্যালঘু সুন্নিদের ক্ষোভ। ইরাকের সামরিক বাহিনী যখন মসুলে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই করছিল, তখন সেখানে সুন্নি জনগোষ্ঠীর সাধারণ নারী-পুরুষও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছিল। তারা প্রধানমন্ত্রী নূর-ই আল মালিকীকে ইরানের মদদপুষ্ট এবং বিদেশি বলে গালি দিতো। এমনকি শিশুরাও ইরাকি সৈন্যদের অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে। ফলে ওই যাত্রায় আইএস নিধন অভিযান ব্যর্থ হয়েছে শুধু নয়, বরং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এই সংগঠনটি শক্তিশালী হয়েছে। মনে রাখা দরকার, কোনও একটি দেশে বা জনপদে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কোনও একটি অংশের (সেটি রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক) প্রত্যক্ষ সহায়তা ছাড়া কোনও সংগঠনের টিকে থাকা কঠিন।

২.

এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ কেন আইএস-এর টার্গেট হলো? হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের আটকের পরে অকপটেই স্বীকার করতো যে, তারা আইএস-এর স্থানীয় রিক্রুটার বা আইএস-এর সাথে সম্পৃক্ত কাউকে ধরেছে। কিন্তু হলি আর্টিজানের পরে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান একেবারেই পাল্টে যায়। তাদের দাবি, এখানে আইএস নেই। এটা সরকারের একটা কৌশলী অবস্থান এবং এ বিষয়ে তাদের যুক্তিও আছে। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। তা হলো, আইএস এখন আর কোনও সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের নাম নয় যে কোথাও এর সাইনবোর্ড থাকতে হবে, নিজস্ব ভবন থাকতে হবে। আইএস এখন একটি আদর্শ যা ইরাক-সিরিয়া-এশিয়া-ইউরোপ এমনকি আমেরিকায়ও আছে। সেটা যে নামেই হোক।

আইএস মানে ইসলামিক স্টেট অর্থাৎ তারা বর্তমান বিশ্বের প্রচলিত শাসনব্যবস্থা পাল্টে দিয়ে খেলাফত নামে একটি শাসনব্যবস্থা চালু করতে চায়, যার একটি ধরন আমরা দেখেছি আফগানিস্তানে রাশিয়াকে হঠিয়ে দেওয়ার পর তালেবান শাসনামলে যেখান থেকে জন্ম নেয় আল কায়েদার মতো সংগঠন।

২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট আইএস মুখপাত্র মোহাম্মদ আল আদনানির (মৃত্যু ৩০ আগস্ট,২০১৬) নামে প্রচারিত বার্তায় বলা হয়েছিল, ‘আমাদের অঙ্গীকার সরকার উৎখাত নয়, আমরা চাই সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন। যে শাসনব্যবস্থায় ইসলামবিরোধী কোনও আইন থাকবে না, কোনও শিরক থাকবে না। আমাদের এই দাবি পূরণ না হলে যেই সরকারই আসুক তাতে কিছু যায় আসে না। আইনের পরিবর্তন না হলে হোসনি মোবারক, মুয়াম্মার গাদ্দাফি, বিন আলী আর মোহাম্মদ মুরসি, আবদুল জলিল বা আল ঘানুসির মধ্যে কোনও তফাৎ থাকবে না। তারা সবাই অবাধ্য, আমেরিকার পক্ষবিশেষ।’

তবে সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় বলা হচ্ছে যে, আইএস এখন বেশ কোণঠাসা। তারা যেভাবে ইরাক থেকে সিরিয়ার বিশাল অংশ নিজেদের দখলে নিয়ে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেই ধাক্কাটা ইরাক সরকার বেশ সফলভাবেই সামলে নিয়েছে। এখন তারা সিরিয়াতেও বেকায়দায়। কিন্তু আইএস-এর আদর্শ এরইমধ্যে বিশ্বের নানা প্রান্তেই ছড়িয়ে গেছে এমনকি বাংলাদেশেও, যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলি আর্টিজান।

বিভিন্ন সময়ে জঙ্গিদের জবানবন্দি, গোয়েন্দা ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধান এবং জঙ্গিদের অডিও-ভিডিও বার্তায় এটা স্পষ্ট যে, তারা যে কথিত আদর্শের জন্য এই কর্মকাণ্ডগুলো করছে তার সাথে আইএস-এর চিন্তা-চেতনার যথেষ্ট মিল রয়েছে। তারাও একধরনের খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যে কারণে তাদের টার্গেট পশ্চিমা বিশ্বের সাদা চামড়ার মানুষ, তাদের টার্গেট ভিন্ন পদ্ধতিতে ধর্ম চর্চাকারী পীর, তাদের টার্গেট শিয়া, আহমদিয়া, কাদিয়ানিরা-যাদেরকে তারা বিধর্মী ও শত্রু মনে করে এবং যাদের হত্যা করাকে ঈমানি দায়িত্ব মনে করে। ইসলাম বা মহানবী (স.)-এর যেকোনও সমালোচনাকারীকে যারা কাফের ও নাস্তিক মনে করে এবং তাদের হত্যা করাকে বৈধ মনে করে। যে কারণে টাঙ্গাইলে নিখিল নামে একজন দর্জিকেও তারা কুপিয়ে হত্যা করে।

২০১৩ সালে ডিসেম্বরে রাজধানীর গোপীবাগে লুৎফর রহমান নামে এক কথিত পীরসহ ছয়জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর পেছনে ধর্মীয় আদর্শগত বিরোধ ছিল বলে পুলিশের ধারণা। নিহত লুৎফর রহমানকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল। হিযবুল মাহাদী নামে নিজের ধর্মীয় মতাদর্শ প্রচারের জন্য তার একটি সংগঠনও ছিল।

২০১৫ সালের অক্টোবরে আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি চলার সময় পুরনো ঢাকার হোসেনী দালান চত্বরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। একই মাসে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মুহম্মদ খিজির খানকে তার বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, যিনি নক্সবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়ার একজন পীর ছিলেন। রহমতিয়া খানকাহ শরীফের ঢাকার শাখাটি পরিচালনা করতেন। প্রতি বৃহস্পতিবার দরবারে মুরীদরা অংশ নিতেন ও জিকিরের আয়োজন করা হতো। নারী-পুরুষ একসঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত বন্দেগী করতেন।

২০১৪ সালের আগস্ট মাসে টেলিভিশনে ইসলামি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকীকেও রাজধানীর পূর্ব রাজাবারের বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই খুনের পেছনেও ধর্মীয় আদর্শ থাকতে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা। জনাব ফারুকী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মাজারের ওপরে অনুষ্ঠান করতেন।

৩.

হলি আর্টিজানের পরে এ যাবত ২০টির বেশি জঙ্গিবিরোধী অভিযান, সেসব অভিযানে নারীসহ অর্ধশতাধিক জঙ্গির নিহত হওয়া এবং বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় আটক করা হলেও এটা ভেবে তুষ্ট হওয়ার কোনও সুযোগ নেই যে, জঙ্গিরা নির্মূল হয়ে গেছে। আইএস নামে এখানে কোনও জঙ্গি থাকুক বা না থাকুক, ইরাকে আইএস-এর কল্পিত/ঘোষিত খেলাফতের অবসান ঘোষণা করা হলেও তাদের আদর্শ এখানে আছে। সেই আদর্শে দিক্ষীত হয়ে অনেকে সিরিয়ায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং সেই প্রশিক্ষিতদের অনেকে নিহত হলেও আরও কতজন এখনও কী নামে কোন সংগঠনের ব্যানারে সক্রিয়, তা জানতে গোয়েন্দারা নিশ্চয়ই কাজ করছেন। তবে সাম্প্রতিককালে পরপর কয়েকটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান এবং একাধিক জায়গায় জঙ্গিদের পরিবারসমেত আত্মঘাতি হওয়ার প্রবণতা যে ভয়াবহ প্রশ্নের সামনে আমাদের দাঁড় করিয়েছে তা হলো, এরকম ঠিক কতগুলো পরিবার এখনও রয়েছে?

সুতরাং হলি আর্টিজান যে শেষ নয় বরং ওটা যে একটি বড় ধরনের শক্তির মহড়া, সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণের সুযোগ নেই। কেননা শুধু টাকার জন্য একজন লোকের পক্ষে আত্মঘাতী হওয়া খুব কঠিন। অর্থকষ্টে থাকলে মানুষ বড়জোর ভিক্ষা বা চুরি করতে পারে, কিন্তু আত্মঘাতী হয় না এবং পরিবারসহ তো নয়ই। বরং একজন লোকের আত্মঘাতী হওয়ার পেছনে তার মনোজগতে বিশাল পরিবর্তনের প্রয়োজন, যা কোনও একটি আদর্শের দ্বারা চূড়ান্তভাবে উদ্বুদ্ধ না হলে অসম্ভব। সুতরাং লড়াইটা এখন আর কেবল অস্ত্রের নয়, লড়াইটা আদর্শের। সেই লড়াইটা কতটুকু হচ্ছে?

ইরাক থেকে আইএস বিতাড়ন বা সিরিয়ায় তাদের দুর্বল করে ফেলাই চূড়ান্ত বিচারে আইএস ধ্বংস নয়। বরং আইএস যে আদর্শের ওপরে প্রতিষ্ঠিত, সেই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় বা করছে তাদের সেই প্রতিশোধপরায়ণতা কিভাবে দূর হবে? বিশ্ব থেকে সব ধরনের বৈষম্য রাতারাতি উবে যাবে? কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে একের পর মুসলিম রাষ্ট্রকে টার্গেট করা বন্ধ হবে? যদি না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে, একদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং অন্যদিকে আইএস অথবা অন্য যে কোনও নামে জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এবং বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতাই যথেষ্ট। কিন্তু সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের পেছনে যখন ধর্মীয় বিশ্বাস ও আদর্শ এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বঞ্চনা ক্রিয়াশীল থাকে, সেই অবস্থা মোকাবিলা কেবল বন্দুকের নল এবং বিচার বিভাগ দ্বারা সম্ভব হয় না। সেই লড়াইটা অনেক বেশি কঠিন। সেই কঠিন কাজটি হতে হয় পরিবার থেকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবং সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে। রাষ্ট্র সেই লড়াইয়ের প্রধান নয়, বরং সহায়ক শক্তি।

একটি সমাজ বা রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় বৈষম্য জিইয়ে রেখে, দুর্নীতির অবাধ বিস্তার রোধের চেষ্টা না করে, শিক্ষাব্যবস্থাকে মানবিক ও জ্ঞাননির্ভর না করে কেবল বাণিজ্যিকীকরণের দিকে ঠেলে দিয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করা বা সাফল্য দাবি করা নিতান্তই ছেলেমানুষী।

লেখক: সাংবাদিক ও লেখক।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে যা বললেন ড. ইউনূস
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে যা বললেন ড. ইউনূস
‘বাংলাদেশ-আমেরিকা ছাড়া কোনও দেশের স্বাধীনতার লিখিত ঘোষণাপত্র নেই’
‘বাংলাদেশ-আমেরিকা ছাড়া কোনও দেশের স্বাধীনতার লিখিত ঘোষণাপত্র নেই’
এবার ভারতের দাবাড়ুর সঙ্গে বাংলাদেশের মননের ড্র
এবার ভারতের দাবাড়ুর সঙ্গে বাংলাদেশের মননের ড্র
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস পালনের নির্দেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস পালনের নির্দেশ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ