X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থমন্ত্রীর মুখে ফুলচন্দন পড়ুক

প্রভাষ আমিন
১০ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৩০আপডেট : ১০ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৪১

প্রভাষ আমিন মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি সাংবাদিকদের একটি অতি পুরনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে দিলেন। সাংবাদিকদের কেউ বাড়ি ভাড়া দিতে চাইতো না। প্রথম কথা হলো, এমনিতেই বাড়িওয়ালারা ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দেন না। আর সেই ব্যাচেলর যদি সাংবাদিক হন তাহলে তো কথাই নেই। বাসা ভাড়া নিতে গেলে বাড়িওয়ালা জিজ্ঞেস করেন, আর কী করেন? মানে বাড়ি ভাড়া দেবেন কিভাবে? সাংবাদিকরা বিয়ে করতে গেলেও একই সমস্যায় পড়তে হতো। মেয়ের বাবা জিজ্ঞেস করেন, সাংবাদিকতা তো করো, আর কী করো? মানে আমার মেয়েকে খাওয়াবে কিভাবে? এত সব সংগ্রাম করেই সাংবাদিকদের পেশায় টিকে থাকতে হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে দিলেন অর্থমন্ত্রী। অবিবাহিত এবং বাসা ভাড়া না পাওয়া সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যটি তাদের মোবাইলে রাখলেই সমস্যা মিটে যাবে। মেয়ের বাবা বা বাড়িওয়ালা আবার এ ধরনের প্রশ্ন করলেই মুখের ওপর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য বাজিয়ে দিলেই চলবে। অর্থমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো সরকারি বেতন কাঠামোর চেয়ে বেশি। তাই তাদের ওয়েজ বোর্ড দরকার নেই। এরপর আশা করি বেকার ছেলেরা বিসিএস’এর সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে পত্রিকা অফিসে লাইন দেবে। যেখানে বেতন বেশি সেখানেই তো তাদের আসার কথা, আসা উচিত।
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন ‘নোয়াব’এর নেতাদের সাথে বৈঠক করার পরপরই অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। বুঝতে অসুবিধা হয় না, মালিকরা অর্থমন্ত্রীর মগজটা ভালোই ধোলাই করতে পেরেছেন। মালিকদের একতরফা কথা শুনে অর্থমন্ত্রী যেভাবে সাংবাদিকদের ধোলাই করলেন; তাতে সাংবাদিক সমাজ হতাশ, ক্ষুব্ধ। তারা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যা্ন করে একে অনাকাঙ্ক্ষিত, অগ্রহণযোগ্য ও অনভিপ্রেত হিসেবে অভিহিত করেছে। ২০১২ সালে করা অষ্টম ওয়েজবোর্ড এখন চলছে গণমাধ্যমে। এই সময়ে সরকারি কর্মচারিদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, টাকার দাম কমেছে। দীর্ঘদিন ধরেই সাংবাদিকরা নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন। নোয়াব তাদের প্রতিনিধি দিচ্ছে না বলে ওয়েজবোর্ড গঠন করা যাচ্ছে না। সরকারের যেখানে নোয়াবকে প্রতিনিধির নাম দিতে চাপ দেওয়া উচিত, সেখানে নোয়াব’এর কথা শুনে অর্থমন্ত্রী ওয়েজবোর্ডের বিপক্ষে অবস্থান নিলেন, যা সত্যিই দুঃখজনক। তার বক্তব্য গণমাধ্যমের বিকাশে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের ঘোষিত নীতির বিরুদ্ধে। তবে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে আমি হতাশ হইনি, ক্ষুব্ধ হইনি; অবাক হয়েছি, বিস্মিত হয়েছি। বয়সের কারণে অর্থমন্ত্রী প্রায় সব বিষয়েই আবোল-তাবোল বকেন, তাতে এখন আর কেউ কিছু মনে করেন না। কিন্তু একটা পেশা সম্পর্কে প্রায় কিছু না জেনে, অর্থমন্ত্রীর মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে কেউ এ ধরনের ঢালাও মন্তব্য করতে পারেন, তা অবিশ্বাস্য। মালিকদের বক্তব্য শোনার পর অর্থমন্ত্রী যদি সাংবাদিক নেতাদের সাথে একটু কথা বলে নিতেন তাহলে ভালো হতো। একতরফা কথা শুনে অর্থমন্ত্রীর এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া ঠিক হয়নি।

সবকিছু বলে দেওয়ার পর তিনি আবার সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। আমি সাংবাদিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, প্লিজ আপনারা এই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসে সময় নষ্ট করবেন না। শেয়ার বাজার, ব্যাংকিং খাত ধ্বংস করে তিনি এখন সাংবাদিকদের জ্ঞান দিতে এসেছেন। কিন্তু আমরা তার কথা শুনবো কেন? তিনি যে বলেন, আমি ওয়েজ বোর্ড করবো না, এটা বলার তিনি কে? তার গলা ফোলানো রাগ দেখে মনে হচ্ছে, সাংবাদিকদের বেতন তার পকেট থেকে দিতে হয়। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মালিকদের স্বার্থ থাকতে পারে, সাংবাদিকদের নেই। মালিকরা অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়ে কমদামে কাগজ চাইবেন, বেশি দামে বিজ্ঞাপন চাইবেন। তাই সাংবাদিক নেতাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, অর্থমন্ত্রী ডাকলে আপনারা মুখের ওপর বলে দেবেন, অল রাবিশ। একটা কথা খালি বলি, মন্ত্রীদের রাগ-অনুরাগ-বিরাগের ঊর্ধ্বে থেকে সবার প্রতি সমান আচরণ করার শপথ নিতে হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী প্রায়শই তার রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। এর মাধ্যমে বারবার তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং করছেন।

ওবায়দুল কাদের যেন অর্থমন্ত্রীর ড্যামেজ রিপেয়ারের দায়িত্ব নিয়েছেন। দুদিন আগে সিলেটে অর্থমন্ত্রী যখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করলেন, তখনও ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মত, দলীয় অবস্থান নয়। আর অর্থমন্ত্রী ওয়েজ বোর্ড করবেন না, এটা বলার পরদিনই ওবায়দুল কাদের জানিয়ে দিলেন, নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের ব্যাপারে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। ওয়েজ বোর্ড গঠনের ৮০ ভাগ কাজ শেষ। এমনকি চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি নিজামুল হকের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এখন শুধু মালিকপক্ষের প্রতিনিধির নাম পেলেই ওয়েজবোর্ড গঠন করা হবে। এখন আমরা কার কথা বিশ্বাস করবো, অর্থমন্ত্রী না সড়ক পরিবহন মন্ত্রী?  

অর্থমন্ত্রী বৈঠক করেছেন নোয়াব-এর তিন নেতার সঙ্গে- মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম ও এ কে আজাদ। এই তিনজনই তিনটি অভিজাত পত্রিকা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও সমকালের মালিকপক্ষ। সরকারি কর্মকর্তাদের চেয়ে বেশি না হলেও এই তিনটি পত্রিকা সাংবাদিকদের ভালো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা দেয়, অনেকক্ষেত্রে তা ওয়েজবোর্ডের চেয়েও বেশি। কিন্তু এই তিনটি পত্রিকাই তো বাংলাদেশের গণমাধ্যমের মানদণ্ড নয়। বাংলাদেশের আরো শত শত পত্রিকা আছে। এর বাইরেও আরো হাজার হাজার সাংবাদিক আছে। অর্থমন্ত্রী কি জানেন তাদের কী অবস্থা? 

প্রথম কথা হলো, অর্থমন্ত্রীর দাবি ঠিক নয়। বর্তমান ওয়েজ বোর্ডের সর্বোচ্চ ধাপ, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন স্কেলের ষষ্ঠ ধাপের সমান। তারচেয়ে বড় কথা হলো, অর্থমন্ত্রী কি জানেন বাংলাদেশে কয়টি পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড মেনে বেতন দেয়? অর্থমন্ত্রীর ধারণা ১৫ থেকে ২০টি। আমার ধারণা আরো কম। অর্থমন্ত্রী কি জানেন ঢাকায় কত সাংবাদিকের সংসারের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা? অর্থমন্ত্রী কি জানেন কোথায় কয় মাসের বেতন বাকি? অর্থমন্ত্রী কি জানেন সাংবাদিকদের চাকরি কতটা ঝুকিপূর্ণ? কয়েকদিন আগে ফেসবুকে সিনিয়র সাংবাদিক সুভাষ চন্দ্র বাদলের একটি স্ট্যাটাস দেখার পর থেকে মনটা খারাপ হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী আমার সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছেন। সুভাষ চন্দ্র বাদল লিখেছেন, সৎ সাংবাদিক ভদ্রলোক প্রদীপ সিংহ রায় গ্রামের বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হলেন। প্রদীপ সিংহ রায় একজন দক্ষ সাংবাদিক, ভালো ইংরেজি জানেন। দীর্ঘদিন ইংরেজি পত্রিকায় কাজ করেছেন। সর্বশেষ কাজ করেছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায়। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ছিল বলে বাসসের চাকরি যাওয়ার পর তিনি কোনও আর্থিক বেনিফিট পাননি। তাই বাধ্য হয়ে তাকে গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছে। আমার নিজেরও শেষ জীবনটা গ্রামে কাটানোর ইচ্ছা। কিন্তু শখ করে গ্রামে ফিরে যাওয়া আর ফিরে যেতে বাধ্য হওয়া এক কথা নয়। শুধু প্রদীপদা নয়, বাংলাদেশে এমন শত শত সাংবাদিক আছেন, যারা চাকরি হারানোর সাথে সাথে পথে নেমে যান। সাংবাদিকরা অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার জন্য সবার কাছে হাত পাততে হয়। প্রদীপদার মতো ইংরেজি জানা, দক্ষ, নিষ্ঠাবান সাংবাদিকের যদি এই পরিণতি হয়, তাহলে আমাদের মতো মূর্খদের কী হবে? প্রদীপদার গ্রামে ফিরে যাওয়ার কথা শোনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতার একটা শঙ্কা আমাকে গ্রাস করে রেখেছে। আর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার পর সেই শঙ্কা আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। আমার মতো শত শত সাংবাদিকের শেষ জীবনটা কী হবে? কোথায় কাটবে?

তবে এর উল্টোচিত্রও আছে, দুই বছর সাংবাদিকতা করে ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি করে ফেলেছেন, এমন উদাহরণও অনেক। বেতন নয়, সাংবাদিকতার সাইনবোর্ডটাই অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অনেকে আখের গুছিয়ে নেন। কিন্তু তেমন অসৎ সাংবাদিকদের দিয়ে নিশ্চয়ই আপনি সব সাংবাদিকদের মাপবেন না। আমরা তো কথা বলছি ঢাকার সাংবাদিকদের নিয়ে। ঢাকার বাইরের অবস্থা তো আরো করুণ। ঢাকার বাইরের বেশির ভাগ প্রতিনিধি নিয়মিত বেতন পান না। পেলেও নামকাওয়াস্তে। অনেক প্রতিনিধিকে শুধু কার্ড দিয়েই দায়িত্ব সারে কর্তৃপক্ষ। অনেক প্রতিনিধিকে উল্টো ঢাকার বসদের নানান উপঢৌকন দিতে হয়।

অর্থমন্ত্রী অনেকগুলো নিষ্ঠুর প্রশ্নও তুলেছেন। বাংলাদেশে সররকারের মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকার সংখ্যা ৬ শরও বেশি। অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন, বাংলাদেশে এতগুলো পত্রিকা দরকার আছে কিনা? অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ১৫/২০ পত্রিকা ছাড়া বাকি সবগুলো ‘অল বোগাস’। ধরে নিচ্ছি অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যই সঠিক। আসলেই এতগুলো পত্রিকার দরকার নেই। বাজারের নিয়ম হলো, চাহিদা থাকলে সরবরাহ থাকবে। তাহলে চাহিদা না থাকার পরও এতগুলো পত্রিকা টিকে আছে কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রীই, কাগজ, এটা, সেটা করে টিকে আছে। অর্থমন্ত্রী ঠিক বলেছেন, ভর্তুকি মূল্যে কাগজ আর সরকারি বিজ্ঞাপনই টিকিয়ে রেখেছে দেশজুড়ে শত শত পত্রিকাকে, যার আদৌ কোনও দরকার নেই, পাঠক নেই, প্রচার সংখ্যা নেই। বাংলাদেশে বলা হয়, মেয়েদের বয়স, ছেলেদের বেতন আর পত্রিকার সার্কুলেশন জানতে চাইতে নেই। সত্যিই পত্রিকার প্রচারসংখ্যা এতই স্পর্শকাতর! হয়তো সরকারি অফিসে সরবরাহ করার জন্য ছাপা হয় ১০০ কপি, কিন্তু সরকারি তালিকায় তাদের প্রচার সংখ্যা থাকে এক লাখ। বিজ্ঞাপনের রেটও নির্ধারিত হয় সেই ভৌতিক সার্কুলেশন ধরে। সকল অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে যাদের সত্য প্রকাশ করার কথা, সেই গণমাধ্যমের পেছনেই লুকিয়ে থাকে দুর্নীতির বিশাল অন্ধকার। শুধু সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার আশায় ফকিরাপুলে একই ট্রেসিং ওলটপালট করে একাধিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এগুলোকে বলে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা। সরকারি সংশ্লিষ্ট অফিস ছাড়া অন্য কোথাও এই পত্রিকা দেখা যায় না। এই গণমাধ্যম জনগণ কখনও চোখেই দেখে না। আমি বলছি না, ১৫/২০টি রেখে বাকি পত্রিকা বন্ধ করে দিতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানে স্বীকৃত। মুক্ত গণমাধ্যম চর্চায় নিয়ম মেনে চাইলে যে কেউ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারবেন। সরকার সব পত্রিকার সত্যিকার প্রচার সংখ্যার ভিত্তিতেই কাগজ আর বিজ্ঞাপন দিক। তাহলেই যাদের পোষাবে না, তাদের পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাবে। এই কাজটা চাইলে অর্থমন্ত্রী করতে পারেন। তাহলে আর তাকে এত রাগ করে বক্তৃতা দিতে হয় না। গণমাধ্যমের বিকাশে সরকার পাশে থাকবে। কিন্তু সেটা সত্যের ভিত্তিতে। মিথ্যা প্রচার সংখ্যার ভিত্তিতে ফাঁপা বিকাশ গণমাধ্যমের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। বরং সময় এসেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের বিকাশের স্বার্থে মানসম্পন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের পাশে দাঁড়ানোর।

অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কোন দেশে এতগুলো টেলিভিশন আছে? এই প্রশ্ন তিনি সাংবাদিকদের করছেন কেন? পাশে দাঁড়ানো তথ্যমন্ত্রীকে করলেই ভালো করতেন। অনুমতি ছাড়া তো কোনও পত্রিকা প্রকাশিত হয় না, কোনও টিভি সম্প্রচার করতে পারে না। অর্থমন্ত্রী বলছেন, অটোমেটিক্যালি এইসব টিভি বন্ধ হয়ে যাবে। অনুমতি দেওয়ার পর এখন বন্ধ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা কেন? অর্থমন্ত্রী কেন গোড়ায় সমস্যা না মিটিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ঝাল ঝাড়ছেন?

তবে অর্থমন্ত্রী অসত্য কথা বলেছেন, এমন দাবি আমি করছি না। উনি বয়স্ক মানুষ, উনি যেহেতু মুখ দিয়ে একটা কথা বলে ফেলেছেন। আমরা তাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা চাই তার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। এখন তার দায়িত্ব হলো, তিনি যা বলেছেন, তা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের সকল গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে যাতে সরকারি কর্মকর্তাদের চেয়ে বেশি বেতন দেয় তা মনিটর করা ও নিশ্চিত করা। আমরা অর্থমন্ত্রীর পাশেই থাকবো।

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

[email protected]

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
উপজেলা নির্বাচন: ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচন: ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ