X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ষোড়শ সংশোধনীর রায়: একটি ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি

আমীন আল রশীদ
১১ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৩৯আপডেট : ১২ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৫২

আমীন আল রশীদ বিচারকদের অপসারণ সম্পর্কিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ২০১১ সালে প্রকাশিত আমার একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী: আলোচনা-তর্ক-বিতর্ক’ নামে বইয়ের ৮৫ ও ৮৬ পৃষ্ঠায় উল্লিখিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিচারকদের অপসারণ ইস্যুতে ক্ষমতাসীন দলের অবস্থান নিয়ে সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটি যে বক্তব্য দিয়েছিল, সেটি উল্লেখ করেছেন আপিল বিভাগ। একজন সাংবাদিকের জন্য এটি অনেক বড় অর্জন এবং দেশের সাংবিধানিক ইতিহাসের ক্ষুদ্র একটি অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।
৭৯৯ পৃষ্ঠার দীর্ঘ এই রায়ের ৪৪৮ ও ৪৪৯ পৃষ্ঠায় আপিল বিভাগ উল্লেখ করেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির বৈঠকে বিচারকদের অপসারণ সম্পর্কিত ৯৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে ওই বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আদালত বলেছেন, বিশেষ কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে যে শুধু আলোচনা হয়েছে তাই নয়, বরং খোদ প্রধানমন্ত্রীও বিশেষ কমিটির সাথে বৈঠকে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন।
আমরা একটু পেছনে ফিরে তাকাতে পারি। সংবিধানের সবচেয়ে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চদশ সংশোধনীর জন্য ২০১০ সালের ২১ জুলাই সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে প্রধান করে যে বিশেষ কমিটি করা হয়––তারা ২০১১ সালের ৫ জুন পর্যন্ত মোট ২৭টি বৈঠক করে। সেসব বৈঠকে বিভিন্ন সময়ে সাবেক বিচারপতি, আইনজ্ঞ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ দেশের বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেন এবং স্বভাবতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকা না থাকা নিয়ে তারা তাদের মতামত দেন। সেই আলোচনায় আর যে ‍গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উঠে এসেছিল, তা এই বিচারকদের অপসারণ সম্পর্কিত সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ।

পঞ্চদশ সংশোধনীর ওই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকেই বইটি লিখেছিলাম। যেখানে বিশেষ কমিটির প্রতিটি বৈঠকে বিস্তারিত এবং কমিটির তরফে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের বাইরেও অনানুষ্ঠানিক এমনকি অব দ্য রেকর্ডে শোনা অনেক কিছুই উল্লেখ করি। বিশেষ করে করে ওই কমিটির কো-চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন আড্ডায় আমরা সংবিধানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কমিটির এবং ক্ষমতাসীন দলের অবস্থান জানতে পারি।

সাংবাদিক হিসেবে আমাদেরও একটা বড় আগ্রহের জায়গা ছিল, ৯৬ অনুচ্ছেদের ব্যাপারে বিশেষ কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেয়। কেননা, শুরু থেকেই একটা কথা বলা হচ্ছিলো যে, বাহাত্তরের সংবিধান ফিরিয়ে আনা হবে। সুতরাং বাহাত্তরের মূল সংবিধানে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল, সেই বিধান ফিরিয়ে আনা হবে––এরকম একটা ধারণা আমাদের মধ্যে ছিল। যদিও কিছু বিষয়ে আমাদের সংশয় ছিল এবং পরে সেটি সত্যিও প্রমাণিত হয়েছে।

ওই সময়ে যে সাংবাদিকরা পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রক্রিয়াটি খুব কাছ থেকে দেখেছেন, তারা সবাই এ বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে, যেকোনও ফরম্যাটেই হোক, নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয় সরকারের বিধান হয়তো সংবিধানে রাখা হবে। কিন্তু আমাদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। আবার বাহাত্তরের আলোকে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হতে পারে বলে আমরা ইঙ্গিত পেলেও শেষমেষ বিশেষ কমিটি এরকম কোনও সুপারিশ করেনি। তবে আমাদের সেই ধারণা সঠিক প্রমাণিত হতে সময় লেগেছে আরও তিন বছর। অর্থাৎ ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনী এনে ঠিকই বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই ন্যস্ত করা হয়।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১১ সালের ৩০ মে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশেষ কমিটি যে দীর্ঘ বৈঠক করে, সেখানেও বিচারকদের অপসারণ সম্পর্কিত ৯৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা হয়। অব দ্য রেকর্ডে ওই সময়ে আমরা জানতে পারি, বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বদলে সরাসরি এই ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছিল বিশেষ কমিটি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সেটি বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না। যদিও এর আগে ২৭ এপ্রিল বিশেষ কমিটির সাথে বৈঠক শেষে গণভবনে তিনি যে সংবাদ সম্মেলন করেন, সেখানে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের ওপর ন্যস্ত থাকা উচিৎ বলে মত দিয়েছিলেন।

বিভিন্ন সময়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ বিশেষ কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত এবং সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে আলাপকালে তারা সংসদের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেও বলেছেন, সংসদই রাষ্ট্রপতিকে নিয়োগ দেয় এবং রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন প্রধান বিচারপতিকে। সুতরাং সংসদের কাছে বিচার বিভাগ জবাবদিহি করবে, এটিই স্বাভাবিক।

২০১১ সালের ৬ এপ্রিলের বৈঠক শেষেও তিনি জানান, বিচারপতিরা সংসদের কাছেই দায়বদ্ধ থাকবেন। তাদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের কাছে থাকবে, এরকমটাই মনে করেন কমিটির সদস্যরা। তিনি এও বলেন যে, পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে আদালত রায় দিলেও ৯৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনীকে অবৈধ বলেননি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

২.
তবে ২০১৪ সালে সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনী আনার পরে সেই আলোকে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে সরকার। যেখানে বিচারকের অপসারণের একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী কোনও বিচারপতিকে অপসারণ করার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল ও দীর্ঘ। এমনকি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের চেয়েও। বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হলেও এই আইনে সংসদের একচ্ছত্র ক্ষমতা রাখা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, কোনও বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সংসদ সদস্যরা প্রাথমিক তদন্ত করবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেটি যাবে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটিতে। সেই কমিটি যদি অভিযোগের সত্যতা পায় তখন সেটি সংসদে উঠবে ভোটের জন্য। আবার দুই তৃতীয়াংশ সদস্য ভোট দিলেই কেবল সেটি অনুমোদিত হবে।

দেখা যাচ্ছে, সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সম্মতি দিলেই একটি বিল পাস হয়। কিন্তু সংবিধান সংশোধনের জন্য কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটই যথেষ্ট নয়; বরং সেখানে সংসদের মোট সদস্যের ‍দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগে। একইভাবে কোনও বিচারককে অপসারণ করতে চাইলেও সংবিধান সংশোধনের মতো দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতি লাগবে––এমন বিধান রাখা হয়েছিল ওই আইনের খসড়ায়। এটি আরও জটিল এ কারণে যে, যদি কোনও সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকে, তখন একজন বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের যথেষ্ট তথ্য -প্রমাণ থাকার পরও কেবল দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের অভাবে তাকে অপসারণ করা যাবে না। আইনের খসড়াটি যেদিন মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়, সেদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিচারপতিদের কোনও রকম যেন অসম্মান না হয়––সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে এই আইনে।

আবার দুই তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পেয়ে কোনও দল সরকার গঠন করলে তারা এই গরিষ্ঠতার জোরে যেকোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে––এমন আশঙ্কাও থাকে। বর্তমান সরকারেরও দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এখন যদি কোনও বিচারকের বিরুদ্ধে অসদারচণের অভিযোগ ওঠে এবং তদন্তের পরে যদি স্পিকার সেটি ভোটে দেন, তাহলে ৭০ অনুচ্ছেদের বাধ্যবাধকতার জন্য সরকারি দলের সব সদস্যই ‘হ্যাঁ’ ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হয়। যদিও কেবল পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোট না দিলে কারো সংসদ সদস্য বাতিল হবে না। অর্থাৎ যেকোনও বিলে এমপিরা বিপক্ষে ভোট দিতেও পারেন। তারপরও অনেকের আশঙ্কা যে, ৭০ ‘অনুচ্ছেদের ভয়ে’ সরকারি দলের আনীত কোনও বিলে বা সিদ্ধান্তের বিপক্ষে হয়তো অনেকেই বিপরীতে অবস্থান নেবেন না। ফলে কোনও অভিযুক্ত বিচারক সংসদে ন্যায়বিচার নাও পেতে পারেন।

আবার যদি কোনও কোনও দল দুই তৃতীয়াংশ আসন না পেয়ে সরকার গঠন করে এবং যদি বিরোধী দল বেশ শক্তিশালী হয়––তখনই এই একই জটিলতার সৃষ্টি হবে। কেননা সরকারি অথবা বিরোধী, যেকোনও দলের তরফে কোনও বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং অপসারণের প্রস্তাব উঠলে সেটিও ‍দুই তৃতীয়াংশের ভোট পাবে না। ফলে যদি সত্যিই ওই বিচারক অপরাধী হয়ে থাকেন, তাহলে তার পার পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আদালত ৯৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছেন। অর্থাৎ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকলে যেকোনও বিচারকের অপসারণ বিচার বিভাগই করতে পারবেন এবং সেখান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনও বাধা হবে না। এতে বরং সংসদ সদস্যরাও একধরনের চাপমুক্ত এবং বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারবেন বলে মনে করা হয়।

বাস্তবতা হলো, এখনও যেকোনও জটিল পরিস্থিতিতে মানুষ শেষমেষ ওই বিচার বিভাগের ওপরেই ভরসা করে। রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক অগণিত অসঙ্গতি যে বিচার বিভাগের হস্তেক্ষেপে সুরাহা হয়েছে, অনেক বড় ঘটনার বিচার যে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপেই হয়েছে, সে বিষয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। সুতরাং কোনও বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা অপরাধের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল অর্থাৎ বিচারকরা সেটি নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারবেন না, এটি ভাবার কোনও কারণ নেই। বরং তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখাই সঙ্গত।

দেশের মানুষ এটিও বোঝে যে, কেন সংসদ সদস্যরা বিচারক অপসারণের ক্ষমতা তাদের হাতে রাখতে চান? সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির একটি মন্তব্যের জেরে সংসদে যে ধরনের আলোচনা হয়েছে, প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে যে ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তা খুবই বিপজ্জনক। সুতরাং ‘সংসদ সার্বভৌম’––এই যুক্তিতে যা খুশি তাই বলা যেমন যায় না, তেমনি সংসদ দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যে আইন পাস করে বা সংবিধানে যে সংশোধনী আনে, সেটিও চাইলেই বিচার বিভাগ বাতিল করে দিতে পারে কি না, তা নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীও প্রশ্ন তুলেছেন। গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর কাকরাইলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন একটি আইন প্রণয়ন করি, তখন এই আইনটা দীর্ঘ পথ পরিক্রম করে আসে। আমরা হঠাৎ করে পার্লামেন্টে আইন কিন্তু পাস করি না। কোনও আইন করাই হয় কোনও না কোনও জনগণের স্বার্থে। সেই আইন যদি দেখি দুজন বসে নাকচ করে দিলেন, তারপর আর কিছুই করার থাকল না। এতদিন ধরে খাটাখাটুনি সব ব্যর্থ হয়ে যায়। ’

তবে এসব বিতর্ক ক্ষতিকর নয়। বরং সাংবিধানিক বিভিন্ন জটিল প্রশ্ন উত্থাপতি হওয়া উচিত এবং এরকম বাহাসের মধ্য দিয়েই এ দুই বিভাগের মধ্যে একটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্স বা ভারসাম্য যদি রক্ষা করা যায়, সেটি বরং রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথকেই সুগম করবে।

লেখক: সাংবাদিক ও লেখক।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ