X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতার ষড়যন্ত্রই এখনও গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিপদ

মাসুদা ভাট্টি
২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৪৪আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৩০

মাসুদা ভাট্টি আগস্ট বাঙালির জন্য খুব একটা সুখের মাস নয়। বার বার এই মাসেই এদেশে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। মূলত ক্ষমতা দখলের জন্য রক্তপাত, হত্যা এমনকি গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতেও ষড়যন্ত্রকারীরা পিছপা হয়নি। ১৯৭৫ সালের পর থেকে এই মাসটাকেই কেন বিশেষভাবে বেছে নেওয়া হয় ষড়যন্ত্রের জন্য, সে প্রশ্ন বিস্ময়কর তো বটেই, এর কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা কিছু সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। কিন্তু তারচেয়ে বেশি করে আলোচিত হওয়া উচিত যে বিষয়টি, তা হলো, এদেশে কি আসলেই আর অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখলের সুযোগ রয়েছে? কিংবা বহুল আলোচিত সেই প্রশ্নটি অর্থাৎ আইন করে কি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে বন্ধ করা যায় বা গেছে? এসব প্রশ্ন এখন আবার কেন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কিছু আছে বলে মনে করি না। কারণ এদেশের একেবারে শিশুটিও এখন জানে যে, বাংলাদেশে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে লালায়িত, তারা আবার একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে। তাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বিবেক ও বিশ্বখ্যাতি—সব কিছুই তারা বন্ধক রেখে দিয়েছেন ক্ষমতা-ব্যাংকে (পাওয়ার ভল্ট)।

১৯৯০ সালের আগে এদেশে ক্ষমতা দখলের অনন্য উপায় হিসেবে বন্দুক, ক্ষমতা, সুসংগঠিত সেনা বাহিনী এবং অর্থের বিনিময়ে কিনে নেওয়া রাজনৈতিক নেতাদের একটি বিশাল পক্ষ ছিল এদেশে। তারা মূলত সুযোগ ও ফাঁক-ফোঁকর খুঁজে বেড়াতেন কখন তারা একত্রিত হবেন এবং রাতের অন্ধকারে বঙ্গভবনে গিয়ে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতিকে বন্দুকের নলের মুখে সরিয়ে দিতে সমর্থ হবেন। একথা কখনই সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাবে না যে, জিয়া ও এরশাদের দুই আমলে এবং মাঝখানে বিচারপতি সাত্তারের অল্প সময়ের শাসনামলে কতবার এ রকম ক্যু পাল্টা ক্যু ঘটেছে। কিন্তু এ নিয়ে এখন বিস্তর লেখালেখি পাওয়া যায়, যেখানে আমরা দেখতে পাই, প্রথমে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখল করে তারপর রাজনীতিবিদদের জড়ো করে তাদের লোভ দেখিয়ে, পদ দিয়ে তুষ্ট করা শেষে প্রধান বিচারপতিকে ডেকে এনে ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের এটাই ছিল বহুল ব্যবহৃত সূত্র, এই সূত্র জিয়া, এরশাদ ও তারপরে জেনারেল নাসিম, যিনি চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ক্ষমতা দখলে। সবাই এই পথেই ক্ষমতা অবধি পৌঁছেছিলেন বা পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর জিয়ার হত্যাকারীরা তো জিয়াকে হত্যা করেও ক্ষমতার স্বাদ পাননি, তারা খুনি হিসেবে খুন হয়েছেন বা ফাঁসিতে চড়েছেন কিন্তু ক্ষমতা ভোগ করেছেন আরেকজন। সে এক বিরাট কিচ্ছা, এ নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করা যাবে।


কিন্তু ১৯৯০ সালের পর গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর আমলেও যে ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করা যায়, তার প্রমাণও কিন্তু আমরা জানি। বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ম্যানুপুলেট বা নিজের অনুকূলে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে যে ক্ষমতায় যাওয়া যায় তাও আমরা জেনেছি এদেশেই। একে আমরা সরাসরি ক্যু বা সামরিক কায়দায় ক্ষমতা দখল না বলে ‘ইলেক্টোরাল ক্যু’ বলতে পারি। কোটি কোটি ভূয়া ভোটার দিয়ে জাল ভোট দেওয়া, ভোট গণনাকারীদের দিয়ে ভোটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, ব্যালট বাক্স চুরি, নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে হত্যা করা (কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুড়িয়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে এদেশে) এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে নির্বাচনি মাঠকে সম্পূর্ণভাবে দখলে রাখার পরও সবচেয়ে বড় কথা হলো সেনা বাহিনীকে নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য যে উদাহরণ এদেশে সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে একটি সুস্থ, সবল, নিরপেক্ষ অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘকাল লাগবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি ‘শিখণ্ডি’ ব্যবস্থাও নির্বাচনি ব্যবস্থাকে পুরোপুরি কলুষমুক্ততো করতেই পারেনি, উল্টো এই ব্যবস্থাকেই খালেদা জিয়ার ২০০১-২০০৬ সালের সরকার পুরোপুরি পচিয়ে দিয়েছে। ইয়াজউদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে শুধু নষ্ট করেছেন বললে ভুল হবে বরং বলা উচিত যে, দেশের মানুষের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই শিখণ্ডি ব্যবস্থাকে ধ্বংসের জন্য তাকে আসলে আইনের মুখোমুখি করা উচিত বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি। সাংবিধানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেবল শপথ ভঙ্গ করেছেন তাই-ই নয়, রাজনৈতিকভাবে তিনি দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়ে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন কিনা, তা এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখা উচিত।
কিন্তু এসব রাজনৈতিক অব্যবস্থা বা অচলাবস্থার ভেতরে এদেশে যে নতুন শ্রেণিটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে গাল দিয়েও এক পাল্লায় ওজন করে নিজেদের ও পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এতদিন বিদেশি অর্থে এদেশে এনজিও কার্যালয় খুলে বসেছিলেন, তারা দেখতে পেলেন যে, বিদেশিদের তো এদেশের রাজনীতিতে একটা ‘স্টেক’ রয়েছে এবং বিদেশিদের এই স্টেকের রক্ষণাবেক্ষণের দায়-দায়িত্ব তারা নিয়ে নিয়ে নিতেই পারেন অনায়াসে। এতে বহুভাবে লাভবান হওয়া যেতে পারে। এক. বিদেশিরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় তাদের কাউকে বসাতে পারে, দুই. এদেশের রাজনীতিকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তিন. দেশের আমলা ও সেনা বাহিনীকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাহলে ক্ষমতায় টিকে থাকা কোনও ব্যাপারই নয় এবং সর্বশেষ চার. এদেশের জাতীয় সম্পদকে বিদেশিদের হাতে দিয়ে বিপুল সম্পদ অর্জনও সম্ভব। এই ভাবনা থেকেই মূলত ১/১১-র সরকার গঠিত হয়েছিল। সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে, আমলাদের সহযোগিতায়, এনজিও-ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে এবং বিদেশিদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। শোনা যায় সে সময়কার দু’টি মোড়ল দেশের রাষ্ট্রদূত প্রায় অর্ধশতবার সেনা সদরে দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন, এমনকি সম্মিলিত রাষ্ট্রশক্তির যিনি এখানে মিশন-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তিনিও গাড়ির পেছনে অর্থের বোঝা নিয়ে ঘুরতেন, কখন কাজে লেগে যায় সে উদ্দেশ্যে। মোটকথা দুই প্রধান রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতার বাইরে রেখে একটি দীর্ঘকালীন অ-নির্বাচিত সরকারকে এদেশে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টায় উল্লিখিত পক্ষগুলোর চেষ্টার কোনও কমতি ছিল না। শেষ পর্যন্ত কেন তারা সফল হননি, সে গল্পও সবার কমবেশি জানা। তবে এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার নামটি বোধ করি বাঙালি জাতিকে আজীবন মনে রাখতে হবে, এই অ-নির্বাচিত, অ-রাজনৈতিক শক্তির হাত থেকে দেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করে বাঙালির কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, তাও আবার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে তিনি সে কাজটিই করেছিলেন।
কিন্তু ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর একটি তত্ত্ব এদেশে বহুদিন ধরে প্রচলিত, আওয়ামী লীগ একে গণ-আন্দোলন বলে আর বিএনপি-জামায়াতসহ অন্য সহযোগী দলগুলো যেহেতু এই গণ-আন্দোলন বিষয়টিই ঠিক বুঝতে পারে না, সেহেতু তারা অন্য পথ বেছে নেয়। উদাহরণ হিসেবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আগে ও পরে দেশব্যাপী যে ভয়ঙ্কর সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোকে টেনে আনা যায়। বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল যে, শ’খানেক লাশ ফেলে দিলে, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিলে এবং ঢাকাকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারলে ঢাকায় সরকার পতনকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমরা এও জানি যে, আরবের দেশেদেশে যখন তথাকথিত ‘আরব বসন্ত’ হচ্ছিল, তখন এদেশেও একজন চিহ্নিত এনজিও-ব্যবসায়ী তার ৮০ হাজার ঋণী-নারীকে ঢাকায় এনে রাজপথ দখল করে সরকার পতন ঘটাতে চেয়েছিলেন। তিনি একটি আবেগময় চিঠি লিখেছিলেন সেই নারীদের কাছে ঢাকায় এসে তার পক্ষে রাজপথ দখলের জন্য। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের লাশের পাহাড়, রক্তাক্ত রাজপথ, দেশকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা যেমন সফল হয়নি তেমনই এই এনজিও-ব্যবসায়ীর ঋণগ্রস্ত নারীদের ঢাকায় এনে ‘বাংলা বসন্তের’ খোয়াবও পূরণ হয়নি। সভ্য দেশে সরকার পরিবর্তনের মূলত একটিই স্বীকৃত পথ, সেটি আর কিছুই নয় নির্বাচন। কিন্তু এদেশে নির্বাচনকে মূলত ‘সেকেন্ডারি’ পথ হিসেবে রেখে ষড়যন্ত্র এবং অ-রাজনৈতিক পথকেই ক্ষমতা পরিবর্তনের স্বীকৃত পথ হিসেবে প্রায় প্রতিষ্ঠিত করে ফেলা হয়েছে। ফলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে যে আস্থায় এনে তাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব, সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকারও ঠিক ‘ভরসামান্দ’ হয়ে উঠতে পারছে না। না পারার পেছনের কারণগুলো হয়তো এই যে, যাদের দিয়ে এই গোটা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে, তারা সাংবিধানিকভাবে শপথ নিয়ে ক্ষমতা, অর্থ ও লোভের কাছে নিজেদের বিকিয়ে ফেলতে মুহূর্তমাত্র সময় নেবেন না, অতীতে বার বার তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর বিএনপি-জামায়াত সরকার তো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থাকেই তুলে দিতে পারলে খুশি হয়। ক্ষমতার বাইরে থাকলেই কেবল তারা এই সব প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার জন্য রাজপথ গরম করেন কিন্তু যে মুহূর্তে তারা ক্ষমতা হাতে পান সে মুহূর্ত থেকেই নির্বাচন কমিশন বা বিচার ব্যবস্থাকে মনে করেন নিজেদের মৌরসী পাট্টা এবং এতে তাদেরই কেবল একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থাকবে, আর কারও কোনও বক্তব্য বা অধিকার এতে থাকবে না।

বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে রাজনৈতিকভাবে তাকে ব্যবহার এবং অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার কাজে বিচার বিভাগকে ব্যবহারের নজির এদেশে রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর নির্দেশে বিচার বিভাগকে দিয়ে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার নজির তৈরি হওয়ার পর বাংলাদেশেও যে এই পথে কেউ কেউ বা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এগুনোর চেষ্টা করছেন, তা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রকাশকে কেন্দ্র করে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের প্রতিক্রিয়া এবং রায়কে কেন্দ্র করে অ-রাজনৈতিক কুশীলবদের ক্ষমতাকাতর হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, এই রায় কেবল ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের উদ্দেশ্যে নয়, এর পেছনে রয়েছে একদল মানুষের ক্ষমতালোভ এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে মেয়াদপূরণে বাধার সৃষ্টি করা। যে প্রশ্ন শুরুতেই শুরু করেছিলাম যে, আইন করে কি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল বন্ধ করা যায় কিনা? সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আইন দিয়েই অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ তৈরির চেষ্টা চলছে। স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এবং কখনও কখনও এই প্রতিক্রিয়া সভ্য-ভব্যতার সীমা অতিক্রম করছে কিন্তু তা যে সৃষ্ট উত্তেজনাকে কোনোভাবেই প্রশমিত করতে পারছে না, তা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট। তবে এ কথাও দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার নতুন পন্থা হিসেবে বিচার ব্যবস্থাকে সেই পুরনো পথেই ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে। জনগণ দেখছে একদল বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অপকৌশল করছে আর আরেকদল অর্থাৎ ক্ষমতাসীনরা চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে, যা তারা ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই করে আসছে। এবারও জনগণ বিস্ফারিত চোখে অপেক্ষা করছে এই ন্যায়-অন্যায়ের যুদ্ধে কে বিজয়লাভ করে, তা দেখার জন্য। যে-ই জিতুক না কেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে এখনও বহুবিধ ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রকারীদের হাত তোলা হয়ে আছে বিচার বিভাগ, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে চলমান রাজনীতি আমাদের সে প্রমাণটিই আবারও দিচ্ছে। এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা থেকে মুক্ত হওয়ার মতো স্বাবলম্বী এদেশের মানুষ এখনও হয়নি, যদিও আমরা নোবেল পুরস্কারজয়ী জাতি হিসেবে গর্ববোধ করে থাকি।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির

/এসএএস/ এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
উপজেলা নির্বাচনে পলকের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট
উপজেলা নির্বাচনে পলকের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ