X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের উত্তাপ ও উত্তেজনা

বিভুরঞ্জন সরকার
২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৬:০৯আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৬:২৫

বিভুরঞ্জন সরকার ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে যে বাদানুবাদ শুরু হয়েছে, কারও কারও পক্ষ থেকে যে রকম অসহিষ্ণু মনোভাব দেখানো হচ্ছে তাকে কোনোভাবেই সুস্থ চিন্তার প্রকাশ বলে মেনে নেওয়া যায় না। প্রধান বিচারপতি নিজেও রায় প্রকাশের পর রায় নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু রায় নিয়ে সরকারের কোনও কোনও মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ কেউ যেভাবে ও ভাষায় এর বিরোধিতায় নেমেছেন সেটা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। কারো কারো বক্তব্য রীতিমতো অরুচিকর ও অসৌজন্যমূলক। একজন মন্ত্রী বলেছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নাকি প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ কথা যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে ব্যাপারটি কী দাঁড়ায়? কেউ যদি এখন বলে আওয়ামী লীগ ‘রাজনৈতিক’ বিবেচনা থেকে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে বিচার বিভাগকেও দলীয়করণ করেছে – তাহলে তাকে বিরত করা হবে কোন যুক্তিতে? যোগ্যতা ছিল না, রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছিলেন– এমন কথা বলে মন্ত্রী যে সরকার ও আওয়ামী লীগের কত বড় ক্ষতি করলেন, সেটা বোঝার ক্ষমতা কি তার নেই?
রায়ের মাধ্যমে সরকারকে ‘হেস্তনেস্ত’ করা হয়েছে বলে প্রধান বিচারপতিকে যা নয় তা বলা মোটেও শোভন নয়। বলা হচ্ছে, প্রধান বিচাপতি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলেন। এটাতো মারাত্মক অভিযোগ। একজন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ দেশের প্রধান বিচারপতি করলো কিভাবে? আওয়ামী লীগও তাহলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়? ঢিল ছোঁড়ার আগে লক্ষ করা উচিৎ সেটা কোথায় ছোঁড়া হচ্ছে। ঢিল একবার নিক্ষেপ করা হলে সেটা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করতে গিয়ে সরকার ও সরকারি দলের কেউ কেউ এমনসব কথা বলছেন যেগুলো সরকারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে, কাবু করছে। ‘দরজায় লাথি মারার আগে’ প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের হুমকি যিনি দিলেন তিনি কী প্রমাণ করলেন? প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারার অভিজ্ঞতা আওয়ামী লীগের আছে? এসব কথায় আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কী ধারণা তৈরি হচ্ছে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলিয়ে নিলে ভালো করবেন ওইসব আওয়ামী লীগ নেতা, যারা ওপরের দিকে মুখ নিয়ে থুথু ফেলার চেষ্টা করছেন।

প্রধান বিচারপতি যদি এখন আওয়ামী লীগের কারো কারো চাওয়া অনুযায়ী পদত্যাগ করেন তাহলে সেটা কি সরকারের জন্য খুব ভালো হবে? প্রধান বিচারপতিকে চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করা হলে তাতে কি দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে? ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলেছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজতে হবে সংবিধান ও আইনের পথ অনুসরণ করেই। গায়ের জোরে এটা করা যাবে না। আইনমন্ত্রী যখন বলেন, প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করার কোনও অভিপ্রায় সরকারের নেই, তখন যে পরিপক্কতা লক্ষ করা যায়, সেটা আর থাকে না তার পদত্যাগ দাবি করে সরকার সমর্থকদের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করার পর। আলাপ-আলোচনা ও আইনের পথে থেকে প্রতিকার চাওয়ার পাশাপাশি মাঠ গরম করার কৌশল সরকারের জন্যই বুমেরাং হতে পারে।

রায়ের সমালোচনা করতে গিয়ে সরকার সমর্থকদের কেউ কেউ যখন প্রধান বিচারপতির ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলেন, তিনি কোন সম্প্রদায় কিংবা গোষ্ঠীর লোক তা উল্লেখ করে কটাক্ষ করেন, তখন সত্যি দুঃখিত না হয়ে পারা যায় না। এ ধরনের বক্তব্য চরম সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগের মতো দলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর মুখ থেকে এরকম কথা বের হওয়াটা বেমানান। আওয়ামী লীগ যে আর অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে আস্থাবান নেই, সেটা প্রমাণ করার জন্যই কি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেউ কেউ? এমন একজনের মুখ থেকে প্রধান বিচারপতির ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কদর্য মন্তব্য করা হয়েছে যিনি নিজে একজন আইনজীবী, বিদেশে শিক্ষালাভ করা এবং নতুন প্রজন্মের আধুনিক মানুষ বলে যাকে মনে করা হয়। রাগলে নাকি মানুষের মনের কথা বের হয়। রায়ে আওয়ামী লীগ রেগে আছে বলেই কি তাদের নেতাদের মুখ থেকে মনের কথা বেরিয়ে আসছে?

রায়ের পর্যবেক্ষণে অপ্রাসঙ্গিক কী কী বিষয় আছে, কোনোগুলো না থাকলে রায়টি নিয়ে বিতর্ক উঠতো না’- সেসব তুলে না ধরে যারা বাতাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন, তারা কি সরকার এবং আওয়ামী লীগেরই ক্ষতি করছেন না? 

দুই. 

রায় নিয়ে নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মুখোমুখি অবস্থান একটি সংকটের আশঙ্কা তৈরি করেছে। প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল রায় নিয়ে বিতর্ক আইনি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এটা নিয়ে যে রাজনীতি শুরু করেছে তা থেকে তাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কোনও পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। এই রায়টি আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য একটি বড় আঘাত। তাদের বড় পরাজয়। এ রায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে যুগ যুগ ধরে। সরকার রিভিউ অথবা এক্সপাঞ্জ চেয়ে আবেদন করার পর এখন যদি রায়ের পর্যবেক্ষণ থেকে কিছু অংশ বাদও দেওয়া হয় তাহলেও সেটা সরকারের ভাবমূর্তি মেরামত না করে তা আরো ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেই আমার ধারণা। তখন বলা হবে সরকার চাপ দিয়ে এই পরিবর্তন করিয়েছে। ষোড়শ সংশোধনী মামলা বাতিলের রায় আওয়ামী লীগের জন্য যত বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে আর কিছুতে তা হয়নি। বিচারক অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে রায় তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হয়তো এনিয়ে এত হৈচৈ হতো না। কিন্তু রায়ের পর্যবেক্ষণে আইনি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক এত কথা বলা হয়েছে যা বিদ্যমান রাজনীতির ভিত্তিকেই নাড়া দিয়েছে, নড়বড়ে করে দিয়েছে। এ রায় যেন সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটি জনপ্রিয় ছড়ার মতো। ঘরে ভাত রান্না করার মতো চাল না থাকায় প্রতিবেশীর কাছে কিছু চাল চাইতে গেলে দয়ালু প্রতিবেশী চালপ্রার্থীকে একটি চালকুমড়া দিয়ে বললেন, চালও পেলে কুমড়াও পেলে, কেমন মজা হলো।

এই রায়েও চাল চাইতে গিয়ে চালকুমড়া পাওয়ার মতো ব্যাপার ঘটেছে। চাওয়া হয়েছিল ষোড়শ সংশোধনী বাতিল। পাওয়া গেলো বাড়তি কত কথা ও কাহিনি। রায় দিয়ে প্রধান বিচারপতি এখন অনেকের কাছে ‘হিরো’ বনে গেছেন। তাকে বলা হচ্ছে বিবেকের কণ্ঠস্বর। সামরিক শাসনের কঠোর সমালোচনা পর্যবেক্ষণে থাকলেও বিএনপি কেন এত উল্লসিত- এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতারা কী বলবেন সেটা আমি জানি না। তবে এ প্রসঙ্গে একটি গল্পের কথা মনে করেছেন একজন। গল্পটি এ রকম: বাজারে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় ক্ষীপ্ত জনতা এক ব্যক্তিকে প্রচণ্ড মারধোর করছিল। চোরের ছেলে দূর থেকে এটা দেখে এক দৌঁড়ে বাড়ি ফিরে হাঁপাতে হাঁপাতে তার মাকে বলে, মানির মান আল্লাহ বাঁচিয়েছে। বাবাকে ধরে পাবলিক রামধোলাই দিলেও আমাকে ধরতে পারেনি। পালিয়ে এসেছি। 

প্রধান বিচারপতি সমালোচনা বা নিন্দা করেছেন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের। জিয়া বিএনপির জনক হলেও এখনকার বিএনপিতো ‘গণতান্ত্রিক’। রায় শাসকদের আঘাত করেছে। বিএনপিতো আর এখন শাসক নয়। তাছাড়া আওয়ামী লীগের ক্ষতি মানেইতো বিএনপির লাভ। আওয়ামী লীগ কোণঠাসা মানেই বিএনপির উচ্চাশা- এই সহজ হিসেব থেকেই রায় নিয়ে ফুরফুরা মেজাজে আছে বিএনপি। 

রায়ের পর্যবেক্ষণে মাননীয় প্রধান বিচারপতি যেসব কথা বলেছেন তার প্রশংসা করতে শোনা যাচ্ছে কিছু ‘জ্ঞানীগুণী’ ব্যক্তিদেরও। কোনও এক ব্যক্তি দ্বারা কোনও দেশ বা জাতি তৈরি হয় না- এমন একটি আপাত সত্য, কিন্তু মারাত্মক ভ্রমাত্মক বক্তব্যেও কেউ কেউ দোষ খুঁজে পাচ্ছেন না। রায়ে কতবার জাতির পিতা বলা হয়েছে, কতবার বঙ্গবন্ধু শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, শেখ মুজিব উল্লেখ হয়েছে কতবার এসব তথ্য উদ্ধৃত করে কোনও কোনও ‘বিচক্ষণ’ ব্যক্তি আওয়ামী লীগের রোষের সমালোচনা করছেন। এই পণ্ডিতদের একটি গ্রাম্য প্রবাদ স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ‘বুঝলি নারে ফেলি, বুঝবি দিন গেলি’। 

আমাদের দেশের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক শক্তির কত বড় ক্ষতি এ রায়ের মাধ্যমে করা হয়েছে তা টের পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে। বসবাসের বিকল্প ব্যবস্থা না করে পুরনো জীর্ণ ঘর ভাঙতে নেই। যদি কেউ মনে করেন মাথার ওপর যেনতেন ছাউনি থাকার চেয়ে পথে বা খোলা আকাশের নিচে থাকা ভালো, তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা। আমাদের দেশে এমন অনেক সুশীল-সুজন আছেন যারা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে স্বস্তি বোধ করেন না। বঙ্গবন্ধুর প্রতিও তাদের একধরনের রাগ আছে, প্রকাশ করতে পারেন না। তাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছেন মাননীয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং তার সহবিচারকরা। এখন যদি এই আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে এই দাবি ওঠে যে, যেহেতু ‘এক ব্যক্তি দ্বারা দেশ-জাতি তৈরি হয়নি’ তাই সংবিধান থেকে জাতির পিতা বাদ দেওয়া হোক- তখন কী বলা হবে। জাতির পিতা ধারণা তো আমরাত্ব নয়, আমিত্বেরই প্রকাশ।

রাজনৈতিক নেতারা, সংবাদপত্রের কলাম লেখকরা জনপ্রিয় হওয়ার জন্য চালু চটুল কথাবার্তা বলেন, লেখেন। সাধারণ মানুষের কিছু ধারণা বা পারসেপশনকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার মধ্য দিয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় মানুষের মনোজগতে যে বৈকল্য তৈরি করলো তার খেসারত আমাদের দিতে হবে। অনেক দুর্বলতা, দোদুল্যমানতা, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের চাইতে ভালো রাজনৈতিক বিকল্প যেহেতু আমাদের সামনে নেই, সেহেতু আওয়ামী লীগকে বেকাদায় ফেলার কোনও উদ্যোগে পুলক অনুভব করার কোনও যুক্তি আমি অন্তত খুঁজে পাই না। হতে পারে এটা আমার বুঝের বা জ্ঞানের ঘাটতি। আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগ কী আচরণ করলো অথবা আওয়ামী লীগ আমাকে পাত্তা দিল কিনা, সেটা দিয়ে আমি রাজনীতি বিবেচনা করি না। রাজনীতি দিয়েই রাজনীতি বিবেচনা করতে হবে। 

তিন.

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা কি নমনীয়তা দেখিয়ে আদালতের বাইরের উত্তেজনা প্রশমিত করতে চাইছেন? গত ২৪ আগস্ট একটি গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা নিতে গিয়ে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, তার বক্তব্য যেন মিসকোট বা ভুলভাবে উপস্থাপন করা না হয়। তিনি সংবাদ কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমাকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আমি কোর্টে যা বলি, কিছু বিকৃত করা হয়। এতে গিয়ে একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এট যাতে আমাকে না পড়তে হয়। কারণ আমার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়। বিচারক হিসেবে মামলা শোনার সময় আমি কোনও আইনজীবীকে একটা প্রশ্ন করতেই পারি- এটা আমার স্বাধীনতা। প্রশ্নটা কী কারণে কোন উদ্দেশ্য, না বুঝে এটা করাটা অনেক সময় ভুলভ্রান্তি হতে পারে। এটা একটু খেয়াল করবেন আপনারা।

প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যা মামলা নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু লেখার চিন্তাভাবনা করছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে অনেক ত্রুটি ও গাফেলতি ছিল। প্রভাবশালী আরো অনেককে বিচারের আওতায় আনা যেত। 

এসব বলে প্রধান বিচারপতি বিশেষ কোনো বার্তা কারো উদ্দেশ্যে দিলেন কি? 

লেখক: কলামিস্ট

এসএএস

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ড্রিমলাইনারের কারিগরি বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে মন্ত্রীর নির্দেশ
ড্রিমলাইনারের কারিগরি বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে মন্ত্রীর নির্দেশ
চাঁদপুরে লঞ্চে আগুন, হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত ১০
চাঁদপুরে লঞ্চে আগুন, হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত ১০
ঈদযাত্রার সময় দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত: জরিপ
ঈদযাত্রার সময় দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত: জরিপ
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তির মৃত্যু
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তির মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ