X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

পদত্যাগই তার উত্তম ছিল

আনিস আলমগীর
১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:০৪আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:০৪

আনিস আলমগীর বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ‘শহীদের মর্যাদা’দিতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। আবার ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’এর সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত আড়ালে-আবডালে তাকে সাম্প্রদায়িকতার বলি বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতের জি নিউজ বলেছে, ভারতীয় হাইকমিশনার তার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। একমাস ধরে নাকি প্রধান বিচারপতি গৃহবন্দি এবং তিনি হিন্দু হওয়ার কারণেই এই অবস্থা। আমাদের মিডিয়া রোহিঙ্গা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই দিকে নজর দিচ্ছে না।
ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ইন্টারভিউ দিয়েছেন। ছুটিতে যাওয়া নিয়ে বিতর্কে দেশের মিডিয়া যখন উত্তাল, তখন তিনি কাউকে চোখে দেখেননি। ইন্টারভিউয়ের জন্য পেয়েছেন ভারতীয় একটি মিডিয়া, তাও অখ্যাত WION (World Is One News) টিভি। জি নিউজ ওই টিভির ভয়েস ক্লিপ ব্যবহার করে আবিষ্কার করেছে, সিনহা যখন ওই টিভির সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তিনি ভয়ে আটকে যাচ্ছিলেন।
আসলে যে যার সুবিধা আদায়ের জন্য সিনহাকে ব্যবহার করছে, শখ মেটাচ্ছে। আওয়ামী লীগ বাইরের বিশ্ব আর সংখ্যালঘুদের দেখানোর জন্য সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করেছে তার গুণ না থাকলেও। হিন্দু বলেই ভাবতে পারেনি তিনি শান্তি কমিটিতে থাকতে পারেন। যখন জানলো, করার কিছু নেই।

আবার মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিয়ে সিনহা হলেন জামায়াত-বিএনপির চক্ষুশূল। কিন্তু ১৬তম সংবিধান সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বে সিনহাকে তারা পেলেন বীরপুরুষ হিসেবে, যদিও সে রায়ের অবজারভেশনে জিয়াউর রহমানকে বলা হয়েছে অবৈধ, বিএনপি অবৈধ সন্তান।
আসলে কোনও দেশেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সুখে থাকে না। সেটা বাস্তব সত্য। কিন্তু রানা দাশগুপ্ত বাংলাদেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে যে অভিযোগ উত্থাপন করলেন, তাতে তিনি বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রয়াসকে কোনও বিবেচনাতেই আনলেন না। গত ৯ বছর বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক বিবেচনায় সরকারি পদ-পদবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন করেছে।
সে কারণে দেখা যায় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মকর্তা থানার ওসি, জেলার এসপি, জেলার ডিসি ইত্যাদি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিকহারে নিয়োগ পেয়েছেন, যা আগে কখনও ছিল না। বর্তমান সরকারের অনুরূপ অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের জন্য সাম্প্রদায়িক মহলের কাছে তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
সরকারের দুর্ভাগ্য যে সমালোচিত হওয়ার পরও সরকার রানা দাশগুপ্তদের সন্তুষ্ট করতে পারলেন না। এসকে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করেও বর্তমান সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল। রানা দাশগুপ্তরা হয়ত বলতে পারেন সিনহা সিনিয়র তাকে না দিয়ে উপায় কী? সিনিয়রকে ডিঙিয়ে জুনিয়রকে প্রধান বিচারপতি করার বহু নজির দেশে দেশে রয়েছে। ১৯৭৬ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার ৫ জন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিল।

সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করার জন্য সরকারকে তিনি প্রথম প্রতিদান হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের সামনে গ্রিকমূর্তি স্থাপন করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলেন। শুধু কি তাই, সিনহার চালে সরকারের সাপোর্টার অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীও বিভক্ত হয়ে গেলো মূর্তি থাকা না থাকার প্রশ্নে। কেউ এটিকে দেখলো নান্দনিকতার দিক থেকে কেউ দেখলো ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। আলোচনায় উঠে এলো মৃতপ্রায় হেফাজত।

সিনহার বিরুদ্ধে সরকারের অভিযোগ হচ্ছে, সিনহার ষোড়শ সংশোধনীর রায়টা একটা ষড়যন্ত্র। কারণ তিনি রায়ে যে অবজারভেশন দিয়েছেন, সুস্থ মস্তিষ্কে অবজারভেশনগুলো পড়লে মনে হবে যে, এই প্রজাতন্ত্রটি অকার্যকর হয়ে গেছে। ষড়যন্ত্র না হলে তিনি এমন নির্মম হতে গেলেন কেন? এই রায়ের ওপর ভিত্তি করে কোনও বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও চুক্তি সম্পাদনে অনাগ্রহও প্রকাশ করতে পারে। কারণ রায় অনুসারে তো প্রজাতন্ত্রটি অকার্যকর হয়ে গেছে।

বিচারপতি সিনহা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য যত্রতত্র বলা শুরু করলেন, বিচার বিভাগের কোনও স্বাধীনতা নেই। তিনি যেকোনও রাজনীতির নেতার চেয়েও প্রকাশ্যে বেশি বক্তব্য প্রদান শুরু করলেন। বাংলাদেশে সিনহা তো প্রথম প্রধান বিচারপতিও নন, শেষ প্রধান বিচারপতিও নন। আমরা তো আরও বহু প্রধান বিচারপতি দেখেছি। তার মতো তো কেউ এত প্রকাশ্য বক্তৃতাবাজি করে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করেননি।

সিনহা এক সিনিয়র কলামিস্টকে বলেছেন, জীবন দিয়েও হলেও তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করবেন। ব্রিটেনে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সফলতার মূল কারণ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ, আইনসভা আর বিচার বিভাগের মাঝে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। পার্লামেন্ট বললে ব্রিটেনের রানি যেকোনও বিচারপতিকে চাকরিচ্যুত করতে পারেন।

আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ যদি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা অযোগ্যতার কোনও অভিযোগ আনে এবং সিনেট যদি দুই তৃতীয়াংশ ভোটের মাধ্যমে এ অভিযোগকে সমর্থন করে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই বিচারপতিকে চলে যেতে হয়।

আপনারা উন্নত দেশের উদাহরণ দেবেন আর নিজেদের বিচার নিজেরা করবেন, মাননীয় বিচারপতিগণ! এ তো অতিরিক্ত আবদার। অশোভন আবদারও। কখনও কি কেউ নিজের বিচার নিজে করে? কোনও সভ্যতার উন্মেষকালেও তো এ ব্যবস্থা ছিল না।

আসলে প্রধান বিচারপতি সিনহা যে স্বাধীনতা চেয়েছেন, তা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির স্বাধীনতা। সিনহা যে স্বাধীনতা চাইলেন, তা যদি মেনে নেওয়া হতো, তবে দেশে বিচার বিভাগের স্বৈরাচার কায়েম হতো। এ কথাটা বিএনপির আইনজীবীরাও বোঝেন। সিনহা যেভাবে ছুটিতে গেলেন, তা নিয়ে বিএনপির আইনজীবীরা বহু নাটক করলেন। ফায়দা লোটার জন্য সিনহাকে ‘শহীদ’ করতে চাইলেন। তার সই জালের কথা বললেন। এখন দেখা যাচ্ছে, তার নিজ হাতে বিলিকৃত কাগজের সই আর ছুটির দরখাস্তের সই একই আছে। তিনি দরখাস্তে বলেছেন অসুস্থ আর দেশ থেকে যাওয়ার কালে মিডিয়াকে বলেন, সুস্থ। অসংলগ্ন কথাবার্তা আসলে কে বলছে! মিডিয়াকে সঠিক তথ্য না দিয়ে ধুম্রজাল কে তৈরি করেছে! সব তো বলতে পারলেন যাওয়ার কালে, থাকাকালে কে বাধা দিয়েছিল কথা বলতে!

বিএনপি সিনহাকে নিয়ে যা করছে তা আসলে জ্ঞানপাপীদের কর্মকাণ্ড। রাষ্ট্র হচ্ছে ব্যক্তির চেয়ে বড়। রাষ্ট্র হচ্ছে ব্যক্তিরই বৃহদাকার সংগঠন। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আইনশৃঙ্খলা, শ্রদ্ধা, সম্মান, রাষ্ট্রীয় ভয়, দায়িত্ববোধ ইত্যাদির ব্যাপক ভাঙন দেখা দিলে রাষ্ট্র ভেঙে যাবে। পরস্পরের মাঝে সমন্বয়, সহযোগিতার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ঐক্য নিশ্চিত করতে হয়।

১৯৯৯ সালে যখন সিনহাকে বিচারপতি নিয়োগ করা হয় সে থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়া পর্যন্ত তার তেমন সুখ্যাতি ছিল না। এরপরও তিনি প্রধান বিচারপতি হওয়াটাই আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে এখন প্রমাণিত হলো। সিনহাকে কেউ কেউ রাজাকার বলায় রানা দাশগুপ্তের খারাপ লেগেছে। তিনি শান্তি কমিটির মেম্বার ছিলেন। রাজাকার আর শান্তি কমিটির মেম্বারের মাঝে পার্থক্য কী?

একজন প্রধান বিচারপতি বিচারাধীন মামলার আসামি যার ট্রায়াল কোর্টে মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, তার পরিবারের সঙ্গে মিটিং করেন কিভাবে? এটা কি মিথ্যা? কথাটা তো তিনি নিজে স্বীকারও করেছেন। এখানে একজন বিচারকের নীতি নৈতিকতা কোথায়!

সিনহাকে নিয়ে হঠাৎ ভারতীয় মিডিয়া সক্রিয় হলো কেন বুঝলাম না। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। জি নিউজের আহাজারি ধরে বললে প্রশ্ন করা যায়, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার সিনহার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন কেন? এটা কি তার কূটনৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে নাকি সিনহা ভারতীয় নাগরিক?

২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গার সময় একজন লোকসভার মুসলিম সদস্যকে গান্ধীনগরে তার বাসায় দাঙ্গাকারীরা ঘেরাও করে রেখেছিল। যেহেতু ওই সদস্য কংগ্রেস দলীয় ছিলেন তাকে রক্ষা করার জন্য কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। বাজপেয়ীও হস্তক্ষেপ করেননি, লোকসভার ওই মুসলিম এমপিরও প্রাণ রক্ষা হয়নি। সিনহা তো সে মতো ঘেরাওয়ের মাঝে ছিলেন না। তার প্রাণ রক্ষারও কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।

তবে জিও নিউজ কেন বললো যে সিনহার মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিল না। আমরাতো দেখলাম মুখ হাত দু’টি দিয়েই তার কথা বেরিয়েছে। তবে সরকারকে বিব্রত করে, অনেক পানি ঘোলা করে।

আমি আগে লিখেছি কোনও দেশেই সংখ্যালঘুর অবস্থা ভালো নয়। বাংলাদেশেও নয়। তবে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কোনও ব্যতিক্রম হলেই রানা দাশগুপ্তরা দিল্লির দরবারে অভিযোগ নিয়ে দৌড় দেন। যেন বাংলাদেশ দিল্লির করদরাজ্য। ঢাকায় একটি হাসপাতালের ডাক্তারের বাসা দখল করে আছেন একজন হিন্দু নার্স। ছাড়তে বললে বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনে বিচার দেব। কে চায় কোন ফাঁদে পড়ে চাকরি হারাতে! ক্ষমতা বদল হলে ওই নার্স সাজা পেলে তখন এটি হবে হিন্দু বঞ্চনা! অথচ সত্যিকার অর্থেই অনেক সংখ্যালঘু বঞ্চনার শিকার আছে। এই বঞ্চনা তখন তলিয়ে যায় এমন কিছু লোকের কর্মকাণ্ডে। রানা দাশগুপ্তদের ভারতীয় জুজুর ভয় দেখানোর চোটে।

প্রসঙ্গত, এখানে একটা কথা উল্লেখ করতে হয়, মনমোহন সিং যখন দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন, তখন মুসলমানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বিচারপতি রাজিন্দর সাচারের নেতৃত্ব একটা কমিশন গঠন করেছিলেন। বিচারপতি সাচার কমিশন একটা রিপোর্টও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে দিয়েছিলেন। বিচারপতি রাজিন্দর সাচার তার প্রতিবেদনে বলেছেন, দলিতদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয় তার চেয়েও খারাপ আচরণ করা হয় মুসলমানদের সঙ্গে। জি নিউজকে বলব, নিজের চরকায় তেল দিতে।

বাংলাদেশে যেমন হোক ভারত থেকে উত্তম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে। সবচেয়ে বড় কথা সিনহা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এক বিষয় নয়। সিনহা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্ক শুধু রায় নিয়ে নয়; বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার সততা নিয়েও। তার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগ রয়েছে। তার সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট ব্রাঞ্চের একাউন্টে দুই কোটি টাকা করে দু’টি পে-অর্ডার জমা হয়েছে। এসব বহু আগে মিডিয়ায় এসেছে। দুদক তার বিষয়ে তদন্ত করছে। হয়তো দুর্নীতির জন্য সিনহাকে গ্রেফতারও করতে পারে দুদক।

সিনহার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মানে বিচার বিক্রি করে অবাধে টাকা উপার্জন, সম্ভবতো সিনহার বাড়ম্বর তার দুর্নীতি ঢাকার অপ-কৌশল।

লেখক: সাংবাদিক ও শিক্ষক

[email protected]

 

/এসএএস/এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ