X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিরপেক্ষতা মাপার নতুন নিক্তি

প্রভাষ আমিন
২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:১৪আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৩৮

প্রভাষ আমিন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই বিতর্কের লাইম লাইট নিজের দিকে টেনে নিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ধারাবাহিকতায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গেও সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষতার এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। খুব ভালো উদ্যোগ। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষ থাকাটা জরুরি। নির্বাচনকে যদি আমরা একটা খেলা ধরি, তাহলে সে খেলার জন্য সমতল মাঠ এবং দরকার নিরপেক্ষ রেফারি দরকার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন সেই নির্বাচনি খেলার প্রধান রেফারি। তার দায়িত্ব হলো সব দলের জন্য সমতল মাঠ নিশ্চিত করা। নিজেকে নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে গিয়ে কে এম নুরুল হুদা নতুন যে মানদণ্ড স্থাপন করলেন বিতর্ক তা নিয়েই। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।
সার্চ কমিটির মাধ্যমেই বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এমনকি বিএনপির দেওয়া তালিকা থেকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন নির্বাচন কমিশনার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কে এম নুরুল হুদার নাম ছিল তরিকত ফেডারেশনের তালিকায়। দারুণ নিরপেক্ষ কমিশন বটে। তবে সবাই জানেন সার্চ কমিটির নামে ‘নাটক’ যাই হোক, এটা আসলে আওয়ামী লীগেরই কমিশন। কারণ তরিকত ফেডারেশন আওয়ামী লীগের ‘ধামাধরা’। তাই তাদের তালিকা আসলে আওয়ামী লীগেরই তালিকা। বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি তাতে এই কমিশন বিএনপি মেনে নেয়নি। তবে সুখের কথা হলো, তারা একেবারে নাকচও করেননি। সেইটুকু সুযোগ দিয়েই এখন বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করছে। এটা খুব সুখের কথা যে বিএনপি নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে। আমরা আশা করছি, শুধু প্রক্রিয়া নয়, বিএনপি আগামী নির্বাচনেও অংশ নেবে। অবশ্য এটা শুধু আমার আশা নয়, এক ধরনের বাস্তবতাও। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন, প্রার্থীবিহীন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি কিছুই অর্জন করতে পারেনি; নির্বাচন ঠেকাতেও পারেনি। সেই নির্বাচন নৈতিকভাবে শক্তিশালী না হলেও আইনগতভাবে বৈধ। সেই দুর্বল নির্বাচনে জিতেই আওয়ামী লীগ গত চারবছর দেশ চালাচ্ছে। সেই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি এখন না ঘরকা না ঘাটকা; সংসদেও নেই, রাজপথেও নেই। আর বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী জনপ্রিয় দল। তাদের পক্ষে পরপর দুটি নির্বাচন বর্জনের বিলাসিতা করার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে না গেলে বিএনপির সংগঠন ধরে রাখা কঠিন হবে। তাছাড়া পরপর দুটি নির্বাচন বর্জন করলে নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে বিএনপি। তবে বিএনপির যেমন নির্বাচনে যাওয়ার তাড়া, আওয়ামী লীগেরও তেমনি বিএনপিকে আনার তাড়া আছে। কারণ বিএনপির মতো বড় দলকে ছাড়া পরপর দুটি নির্বাচন হজম করার সাধ্য হয়তো আওয়ামী লীগেরও নেই। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী যে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি অংশ না নিলেও তাঁর দলের অন্যরা অংশ নেবেন। মনে হয় না তাঁর দলের অন্যরা অংশ না নেওয়ার মতো অত বোকার কাজ করবেন। অংশ নেওয়াটাই ভালো হবে। তখন একটা প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিযোগিতা হলেই আমাদের অনেক এমপিকে পাস করতে বেগ পেতে হবে। কারণ, আমাদের অনেক এমপি অত্যাচারী, অসৎ। তাঁরা মানুষের কাছ থেকে নানা ধরনের টাকাপয়সা আদায় করেন।’ প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই ঝুঁকি সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ চাইছে বিএনপি ক্ষমতায় আসুক।

দুই দলই যখন নির্বাচনের জন্য প্রায় তৈরি, তখন নির্বাচন কমিশনকে খালি সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে। কিন্তু সমতল মাঠ মানে কিন্তু সবার জন্য সমান সুযোগ নয়। সমতল মাঠ মানে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমতা, আইনের ভিত্তিতে সমতা, প্রয়োজনের নিরিখে সমতা। এখন আপনি একটি দেশপ্রেমিক দল আর একটি যুদ্ধাপরাধীদের দলের জন্য সমান সুযোগের আবদার করতে পারেন না। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দল বিএনপি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে। এই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে অনেক সত্য মামলা যেমন হয়েছে, তেমনি হয়েছে অনেক রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাও। শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের দায়ের করা মামলা নয়; এক-এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা মামলার বোঝাও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আর বিএনপি যখনই মাথা উঁচু করতে চায় বা রাজপথে নামতে চায়; তখনই এই সব মামলার অজুহাতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়, বিএনপি আবার গর্তে ঢুকে যায়, রাজনীতি মানে হয়ে যায় দৈনিক নয়াপল্টন ব্রিফিং।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অধিকাংশ মামলা ‘রাজনৈতিক বিবেচনা’য় দায়ের করা বলে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি এই ‘রাজনৈতিক বিবেচনা’র সুযোগ পায়নি। এখন সমতল মাঠ মানে যদি হয় আওয়ামী লীগের ১০টি মামলা প্রত্যাহার, বিএনপির ১০টি মামলা প্রত্যাহার; তাহলে তো হবে না। আওয়ামী লীগের কারো বিরুদ্ধে তো হয়রানিমূলক মামলা নেই। তাই সত্যিকারের সমতল মাঠ করতে হলে আগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এই কাজটি খুব জটিল। কারণ অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটি করলে সেই কমিটির চোখে বিএনপির কোনও মামলাই হয়রানিমূলক মনে হবে না। তাই একজন দলীয় বিবেচনার বাইরে থাকা একজন বিবেকবান মানুষের নেতৃত্বে একটি কমিটি করতে হবে, যারা সত্যি সত্যি কোনটা সত্যি মামলা, কোনটা হয়রানিমূলক মামলা তা নির্ধারণ করবেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রচার-প্রচারণার ব্যাপারেও নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে আওয়ামী লীগ সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যম ব্যবহার করে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সুযোগ পায়। কিন্তু বিএনপি সমাবেশ করারই অনুমতি পায় না। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর এ ক্ষেত্রে সমতা আনলেওতো বিএনপি পিছিয়ে থাকবে। তাই এখন থেকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। তাই সত্যিকারের সমতল মাঠ মানে, আইনি প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা বিবেচনায় যার যতটুকু দরকার, তা করা। সাধারণ বিবেচনায় মাঠ সমতল করতে রোলার চালিয়ে দিলে তাতে চাপা পড়ে যাবে গুম, খুন, মামলা, হামলা, ধরপাকড়ের অনেক অন্যায়।

তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বৈঠকের পর, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিরপেক্ষতা মাপতে নিক্তি নিয়ে বসেছেন। তিনি হয়তো রোলার দিয়েই মাঠ সমতল করতে চাইছেন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে যুগ্ম-সচিব থাকা অবস্থায় বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হয়েছিল নুরুল হুদাকে। পরে অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আদালতের নির্দেশে সচিব মর্যাদার সব সুবিধা নিয়ে অবসরে যান নুরুল হুদা। বিএনপি কর্তৃক এই বঞ্চনার কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি নুরুল হুদা। তাই বিএনপির মন গলাতে তাদের সামনে পেয়ে প্রশংসার বাঁধ খুলে দেন তিনি। বিএনপির প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৯১ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ২০০১ সালে তাঁর নেতৃত্বে আবারও সরকার গঠিত হয়। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে প্রকৃত নতুন ধারার প্রবর্তন করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় করেছে, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ দিয়েছে। র‌্যাব, দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আইন কমিশন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩০ বছর করেছে। এইসবই তথ্য। পরে সিইসি বলেছেন, তিনি ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে বিএনপি সম্পর্কে বলেছেন। যিনি নিজে সরকারের যুগ্ম সচিব ছিলেন, তাকে ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিতে হবে কেন? এসব তথ্য তো তার নখদর্পণে থাকার কথা।

দুদিন পর আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলকে সামনে পেয়ে আবার প্রগলভ হয়ে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছে। উন্নয়নের প্রতিটি খাতে শিক্ষা, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার, পরিবেশ সংরক্ষণে আজ বিশ্ব ধরিত্রীর মুকুট প্রধানমন্ত্রীর মাথায়’। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ মধ্যম আয়ে পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কূটনৈতিক সমাধান অর্জন করায় বিশ্ব মাতৃকার আসনে সমাসীন প্রধানমন্ত্রী।’ নির্বাচনি আইন কানুন সংস্কারে আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসির আইন-বিধি বিধানের প্রায় সবগুলোই আওয়ামী লীগের আমলে তৈরি করা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আজ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। যা আওয়ামী লীগ সরকারই প্রদান করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে সিইসি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ছয় বছরের মাথায় ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনা মুসলিম বিশ্বের প্রথম মহিলা বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায় কার্যকর হয়। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক দল আওয়ামী লীগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নিবেদিত নেতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক সব সফল আন্দোলন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে।

একদম নিক্তি মাপা নিরপেক্ষতা। একজনকে বললেন, দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। আরেকজনকে বললেন, মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী বিরোধী দলীয় নেত্রী। তবে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বলতে গিয়েও তিনি ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছিলেন কিনা, তা জানা যায়নি।

বিএনপির মন পেতে তাদের একটু প্রশংসা করতেই পারেন সিইসি। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। একটু বেশি করলেও ক্ষতি নেই। আসলেই মাঠ সমান করতে হলে বিএনপিকে একটু বেশিই দিতে হবে। কারণ, নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই হোক আর যেভাবেই হোক বিএনপি ১০ বছর ধরে নিপীড়িত। তবে আপনি যা বলবেন, তা তথ্যভিত্তিক হতে হবে। বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জিয়াউর রহমানকে এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হিসেবে দাবি করেছেন। মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইন্টারনেটের সব তথ্য কিন্তু পরীক্ষিত নয়। ইন্টারনেটে সার্চ দিলে আপনি জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক হিসেবে পাবেন। কিন্তু ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে আপনাকে বিচার-বিবেচনা, ইতিহাস, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রয়োগ করতে হবে। আপনাকে জানতে হবে, জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আপনি যেমন জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক দাবি করেছেন, অনেকে কিন্তু তাকে স্বাধীন বাংলাদেশে সামরিক শাসনের প্রবর্তক মনে করে। আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কোন অবস্থানে থাকবেন। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে হলে অবশ্যই তাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক দাবি মানতে হবে। কিন্তু ইন্টারনেট থেকে নেওয়া তথ্য দিয়ে কি আপনি বিএনপির মন পাবেন?

সিইসির বক্তব্যের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সংযমের বিরল উদাহরণ দেখিয়েছে। অনেকেই সিইসির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। প্রধান বিচারপতির মতো তাকেও ‘অসুস্থতার’ জন্য ছুটি নিতে হয় কিনা, তা নিয়েও আলোচনা ছিল। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিইসির বক্তব্যকে কৌশল হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। তবে সংযম পুরোটা দেখাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সিইসিকে কম কথা বলার পরামর্শ দিয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘আপনারা রেফারি, আপনাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। আপনারা সেটাই করুন। আর কথা কম বলেন। একজন কথা বেশি বলেছেন, দেখেছেন না কী হয়েছে? কথা বলার জন্য আমরা পলিটিশিয়ানরা আছি।’

যাক, একটা বিষয় পরিষ্কার হলো, পলিটিশিয়ানদের যা ইচ্ছা তাই বলার লাইসেন্স আছে। আর বাকি সবাইকে কথা বলতে হবে সাবধানে।

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

[email protected]

 

এসএএস

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ