X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘জীবনমুখী অর্থনীতি’র তত্ত্ব ও মরিচের দাম

চিররঞ্জন সরকার
০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৩আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৭

চিররঞ্জন সরকার ‘অর্থনীতিতে ভালো কাজ করতে হলে প্রথমেই মনে রাখতে হবে, মানুষ আসলে মানুষই।’ এই বক্তব্য যুক্তিবাদী অর্থনীতি থেকে জীবনমুখী অর্থনীতিতে উত্তরণের অন্যতম পথপ্রদর্শক ২০১৭ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ রিচার্ড থেলারের। থেলার দেখিয়েছেন, ঠিক কোন কোন জায়গায় মানুষের সিদ্ধান্ত যুক্তিহীন হয়ে যায়। এবং কিভাবে তাদের ফিরিয়ে আনা যায় যুক্তির পথে— তার গবেষণা মূলত সে বিষয়ে। কিভাবে ব্যবস্থায় সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমেই মানুষকে তার নিজের ভালোর পথে ফিরিয়ে আনা যায়, থেলারের গবেষণার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সেই তত্ত্ব। ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের। থেলারসহ তার সঙ্গীরা যার নাম দিয়েছেন ‘লিবার্টারিয়ান প্যাটার্নালিজম’ বা ‘উদারপন্থী নিয়ন্ত্রণবাদ’।
থেলার তার বিখ্যাত ‘Misbehaving: The making of behavioral economics’ (‘অশোভন আচরণ: আচরণগত অর্থনীতির উদ্ভাবন’) গ্রন্থে বলেছিলেন, ‘অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে গেলে দুটি উপাদান আবশ্যকীয়: বারবার অভ্যাস বা চর্চা করা এবং অবিলম্বে তাদের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করা’ (‘... to learn from experience two ingredients are necessary: frequent practice and immediate feedback’)।

আর এভাবেই থেলার মানুষের আচরণগত অর্থনীতির (Behavioural Economics) বা জীবনমুখী অর্থনীতির মূলে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এটা অনস্বীকার্য যে, দু’শো বছরেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন, ভোগ, চাহিদা-জোগান, শ্রম, পুঁজি, বাজার প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের আচরণ বিশ্লেষণের সব থেকে উল্লেখযোগ্য মৌলিক উপাদান ছিল যুক্তিবাদী অর্থনীতি। বেশ কিছুকাল আগেও আচরণবাদী অর্থনীতির বাস্তবতা নিয়ে অনেকে সংশয়ে ছিলেন। কিন্তু রিচার্ড থেলার ‘অশোভন আচরণ’ (misbehaving) ও ‘কনুই দিয়ে মৃদু ধাক্কা’ (Nudge) উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের আচরণগত অর্থনীতিকে মূলাধার অর্থনীতির আবশ্যকীয় অঙ্গ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

আচরণবাদী অর্থনীতি নামক ধারাটির অন্যতম জনক থেলার। মানুষের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মধ্যে যে অসংখ্য ‘বায়াস’ বা যুক্তিহীন পক্ষপাত থাকে, সেগুলোকে যে আসলে গোটাকয়েক খুব সহজ ধারণার মাধ্যমেই ব্যাখ্যা করা যায়, এই কথাটা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে থেলারই বলেছেন। র‌্যাশনালিটি। যুক্তিগ্রাহ্যতা। অর্থনীতির যে কোনও কলেজপাঠ্য বই খুললেই খোঁজ মিলবে ‘র‌্যাশনাল ম্যান’-এর— যে সব সময় নিজের ভালোর কথা মাথায় রেখে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ শতকের মাঝখান থেকে অর্থনীতির দুনিয়ায় প্রশ্ন উঠতে থাকে এই র‌্যাশনালিটি নিয়ে। রিচার্ড থেলারও সেই প্রশ্নই তুলেছেন। তার প্রশ্নটি এসেছে মনস্তত্ত্বের দুনিয়া থেকে— মনস্তত্ত্ব আর অর্থনীতির মিশেলেই তৈরি হয়েছে ‘আচরণবাদী অর্থনীতি’র ধারা। থেলারের মতে, হরেক কারণে মানুষ এমন সিদ্ধান্ত করে, যা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই আপাত-যুক্তিহীনতাকে ধরেই তৈরি করতে হবে অর্থনীতির তত্ত্ব।

ধ্রুপদী অর্থনীতির মূল স্তম্ভ—মানুষ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত যুক্তিসম্মত ভাবে নেয়, এই বিশ্বাস। এর অর্থ, নিজের ভালো বুঝতে পারার ও নিজের সাধ্য অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। চাহিদা, জোগান, আয়, ব্যয়, সঞ্চয়, পেশা নির্বাচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বীমা, পেনশন সমস্ত ক্ষেত্রেই এই বিশ্লেষণী কাঠামো ব্যবহার করা হয়। এবং এই কাঠামোর অবধারিত যুক্তি হলো, অন্যের ওপর প্রতিক্রিয়া (যেমন, পরিবেশ দূষণ), কিছু সমষ্টিগত পরিষেবা (যেমন আইনশৃঙ্খলা, অবকাঠামো), এবং সামাজিক কিছু লক্ষ্য (যেমন দারিদ্র্য দূরীকরণ, সর্বজনীন শিক্ষা) বাদ দিলে ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে যত দূর সম্ভব হস্তক্ষেপ না করাই ভালো।

আচরণবাদী অর্থনীতির ধারার পথিকৃৎ হলেন, মনস্তত্ত্ববিদ ড্যানিয়েল কানেমান আর আমোস টভেরস্কি। মনস্তত্ত্ববিদ হওয়া সত্ত্বেও ২০০২ সালে অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার পান কানেমান (যাতে টভেরস্কির ভাগিদার হওয়া অনিবার্য ছিল, কিন্তু তিনি তার ছয় বছর আগে মারা যান)। রিচার্ড থেলার এদেরই উত্তরসূরি। তিনি এদের দ্বারা অনুপ্রাণিত (তার কিছু কিছু গবেষণা এদের সঙ্গে যৌথ) হলেও, বিগত কয়েক দশকে আচরণবাদী অর্থনীতিকে হালকা কৌতূহল উদ্রেককারী নতুন ঝোঁক (যাকে বলা হচ্ছে ‘জীবনমুখী অর্থনীতি’) থেকে মূলধারার অর্থনীতির আবশ্যক অংশ হয়ে ওঠাতে থেলারের ভূমিকা অবিসংবাদিত। 

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেলার কর্নেল ছেড়ে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। যাকে ধ্রুপদী ও রক্ষণশীল অর্থনীতির পীঠস্থান গণ্য করা হতো। এখানে তিনি যোগ দিয়েছেন বিজনেস স্কুলে, অর্থনীতি বিভাগে না। সেটা কাকতালীয় ছিল না, কারণ আচরণবাদী অর্থনীতি নিয়ে তখনও অনেকেই যথেষ্ট সংশয়বাদী। বিজ্ঞানে যেমন অণু-পরমাণু বা কোষ হলো বিশ্লেষণের এক মৌলিক উপাদান, অর্থনীতির তত্ত্বের ক্ষেত্রে তা হলো মানুষের যুক্তিবাদী আচরণ। স্নাতক স্তরে মাইক্রো-ইকনমিকসের যে পাঠ্যবই ছিল, তাতে ধ্রুপদী অর্থনীতির উৎপাদন, ভোগ, চাহিদা-জোগান, শ্রম, পুঁজি, বাজারে প্রতিযোগিতা এবং একচেটিয়া শক্তির প্রভাব এই ধরনের ধ্রুপদী বিষয়, যা প্রায় একশো বছর ধরে পড়ানো হচ্ছে (যদিও তাতে গণিতের প্রয়োগ আরও সাম্প্রতিক প্রবণতা, কয়েক দশক হলো শুরু হয়েছে), তা বাদ দিয়ে সবে স্থান পেয়েছে গেম থিউরি, নিলামের তত্ত্ব, বাজারে তথ্যের অপ্রতুলতা এবং অসাম্যজনিত সমস্যার বিশ্লেষণ নিয়ে গুটিকয় অধ্যায়। এখন অবশ্য পাঠ্যবইয়েই ঢুকে পড়েছে আচরণবাদী অর্থনীতি নিয়ে এক পূর্ণাঙ্গ অধ্যায়।

যে কোনও পরিবর্তনেরই প্রথম প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক। যা আছে দিব্যি তো আছে, এই ধরনের রক্ষণশীল মানসিকতা আমাদের সবার মধ্যেই বিরাজমান। যুক্তিসম্মত নির্বাচন বা চয়নের তত্ত্বের ওপর অর্থনীতিবিদদের নির্ভরতার কারণ এই নয় যে তারা মনে করেন, সবাই সব সময় সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে, এবং তার সম্ভাব্য সব প্রতিক্রিয়া ভেবে নিয়ে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্লেষণী দিক থেকে দেখলে এর মূল আকর্ষণ হলো, এতে মানুষের ব্যক্তিগত এবং সামগ্রিক আচরণবিধি নিয়ে নির্দিষ্ট একটা ধারণা পাওয়া যায়। যেমন: দাম বাড়লে চাহিদা কমবে এবং জোগান বাড়বে, একই জিনিসের দু’জায়গায় দুই দাম হলে, কম দামের বাজার থেকে বেশি দামের বাজারে জিনিস চলে যাবে। থেলার ও তার সহ-গবেষকরা বেশ কয়েক দশক ধরে নানা ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে দেখালেন, কিছু খুব নির্দিষ্ট রূপে মানুষ যে যুক্তির পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তার সমর্থনে প্রমাণের ভার অনস্বীকার্য। পাশাপাশি তিনি এবং অন্যান্য গবেষকরা দেখালেন, অর্থনীতির মূলধারার তত্ত্বের কাঠামোকে খানিকটা অদল-বদল করে নিলে, এই ধরনের আচরণকে ব্যাখ্যা করা মোটেই কঠিন নয়।

সাময়িক প্রলোভনের ফাঁদে পা দেওয়ার প্রবণতা, যা মানুষকে তার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের পক্ষে অনুকূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে। এই প্রবণতার প্রয়োগের ব্যপ্তি কিন্তু বিশাল। সঞ্চয় করা, স্বাস্থ্য নিয়ে যত্নশীল হওয়া, নেশামুক্ত হওয়া, অঘটন, ব্যাধি এবং বার্ধক্যের কথা ভেবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, সমস্ত ক্ষেত্রেই আমাদের মধ্যে দুটি সত্তা কাজ করে। ‘দুষ্ট’ সত্তাটি আমাদের প্রলোভন দেখায়, আর ‘ইতিবাচক’ সত্তা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের জন্যে অনুকূল সিদ্ধান্তের পথ নিতে পরামর্শ দেয়। থেলারের কাজ শুধু তত্ত্ব এবং প্রমাণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে আমাদের আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা যায়, আক্ষরিক অর্থে ঠেলা (Nudge) দেওয়া যায়। যেমন, একজন কর্মীর আয়ের একটা অংশ আপনা থেকেই জমতে থাকবে যদি না তিনি সঞ্চয় না করার সিদ্ধান্ত নেন। সে ক্ষেত্রে কিছু অর্থদণ্ড থাকবে, এ হলো আমাদের প্রলুব্ধ সত্তার হাত থেকে আমাদের বাঁচানোর এক উপায় মাত্র। বাজারের কোনও দায় নেই এই কাজ করার, বরং আমাদের প্রলুব্ধ সত্তাকে ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারে। এর থেকেই এসেছে থেলারের সরকারি নীতির ক্ষেত্রে উদারপন্থী নিয়ন্ত্রণবাদের তত্ত্ব, যা এখন একাধিক দেশে সরকারি নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ার এক আবশ্যক অঙ্গ।

অর্থনীতির তত্ত্বে তো বটেই, সরকারি নীতি প্রণয়নেও থেলারের গুরুত্ব অপরিসীম। আমেরিকায় পেনশন প্রকল্প থেকে বাচ্চাদের স্কুলের ক্যান্টিনে হাতের নাগালে ফাস্ট ফুড না রাখার সিদ্ধান্ত, থেলারের কাজ প্রভাব ফেলেছে বহু ভাবে। মানুষের অর্থনৈতিক আচরণের যুক্তিহীনতাকে বেসরকারি ক্ষেত্র নিজেদের লাভের জন্য বহু দিন ধরেই ব্যবহার করে এসেছে। থেলার দেখিয়েছেন, কিভাবে মানব উন্নয়নের কাজে তার ব্যবহার সম্ভব।

কিন্তু আজকের দুনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প, পুতিন থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদি, এমনকি আমাদের সরকারও যেখানে নাগরিকদের জীবনযাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, সেখানেই থেলারের তত্ত্বের অভিনবত্ব। থেলারকে আলাদা করে দেখতে হবে। ফ্যাসিবাদী নিয়ন্ত্রণ হয় গায়ের জোরে। আর থেলার যে নিয়ন্ত্রণের কথা বলেন, সেটা দূর থেকে, ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে, জোর না খাটিয়ে।

থেলারের তত্ত্বের সবচেয়ে বড় তাৎপর্য হলো, ক্রেতার ইচ্ছেই শেষ কথা এবং সেটাই ভালো, ভোগবাদের বাজার অর্থনীতির এই চালু কথাটা যে আসলে অচল, সেটা মনে করিয়ে দেওয়া। হাজার কুর্নিশ রিচার্ড এইচ থেলারকে। যুক্তিহীন অর্থের অপচয় এখন সারা পৃথিবীতে সংক্রামক রোগের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের মতো অধ্যাত্মবাদের দেশেও ভোগবাদের রমরমা ব্যবসা। আয় বুঝে ব্যয় করার দর্শন এখন ক’জন মেনে চলেন? এই অপচয়ের নেশা কিন্তু ব্যবসাভিত্তিক বিজ্ঞাপনের ফসল। ইচ্ছাকে দমন করতে হবে। অবশ্য অনাবশ্যক ইচ্ছা। এই নীতি শুধু অর্থনীতির ক্ষেত্রেই নয়, সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আগ্রাসন, অন্যের ক্ষতিসাধন, আকাশছোঁয়া আকাঙ্ক্ষা, কোনও ক্ষেত্রেই অহেতুক ইচ্ছাকে ডানা মেলতে দেওয়া যাবে না। এই অহেতুক ইচ্ছার দাস হয়ে মানুষ তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। ‘উদারপন্থী নিয়ন্ত্রণবাদ’-এ সংযমের বাণী শুনিয়েছেন থেলার। অর্থনীতির সঙ্গে মনস্তত্ত্বের মিশেলে তৈরি হয়েছে এই নীতি। দেখা যাক, কতটা ফলপ্রসূ হয়।

তবে সাধারণ মানুষ এসব তত্ত্ব বড় বেশি বোঝে না। বুঝতে চায়ও না। সে চায় চাল-ডাল-তেল-লবণ-মরিচের দাম নাগালের মধ্যে থাকুক। যে কাঁচা মরিচ গরিবের খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান, সেই মরিচ দাম কেন দেড়শ’ দুশো টাকা কেজি দরে বিকোবে? এর দাম অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে, থাকতে হবে। তবেই না ‘জীবনমুখী অর্থনীতি’ সার্থক হবে!

তবুও জয় হোক থেলারের, জয় হোক তাঁর জীবনমুখী অর্থনৈতিক তত্ত্বের!

লেখক: কলামিস্ট

 

এসএএস

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রুবেলকে শোকজ দিলো উপজেলা আ’লীগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ পলকের
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনরুবেলকে শোকজ দিলো উপজেলা আ’লীগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ পলকের
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ