X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাজুও ইশিগুরো কী বলবেন এখন?

দাউদ হায়দার
০৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:১২আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:১৪

দাউদ হায়দার মাতাল-গেঁজুরে আড্ডাবাজদের নিয়ে বিস্তর রঙ্গকথা, সব দেশে। বাংলায় বোধ হয় বেশি। পাবনার এক আড্ডাপাগল সব বয়ানে ‘প্রায়’ যোগ করতেন।
সকালে বেরিয়ে অনেক রাতে ঘরে ফিরেছেন, বউ আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবেন? দরোজায় খিল দিয়ে ঘুমোচ্ছেন। স্বামীর কড়া নাড়ায় ঘুম ভাঙে, জিজ্ঞেস করেন, ‘এতক্ষণ কোথায় ছিলে?’
—  প্রায় রাস্তায়
কোথায় খেয়েছ?
—প্রায় শ্বশুর বাড়িতে।

 প্রায়-শ্বশুর মানে?

—তোমার চাচা, তোমার বাপের ভাই, আমার শ্বশুর-প্রায়।

 কী খেতে দিলে?

—মুরগি-প্রায়

 সেটা কী জিনিস?

—ডিম ভাঁজি। ডিম থেকেই মোরগ-মুরগি।

তোমার আড্ডাবাজি কবে শেষ হবে?

—প্রায়- তালাকের আগে।

আড্ডার মেজাজ ও রকমফেরের ইয়ত্তা নেই। ‘বোবারাও আড্ডা’দেন, হাঙ্গেরিয়ান ঔপন্যাসিক আট্টিলা বারটিমের লেখায় উল্লিখিত। অন্ধের হস্তিদর্শনের প্রবাদ পুরনো, ইউরোপ-আমেরিকায় ইদানীং অন্ধরা প্রেমপত্র লেখে কম্পিউটারে, এমনকী ‘ফেসবুক’ও ব্যবহার করে।

—এই নিয়ে আড্ডায় ইশিগুরোর কথা, ‘পাঠায় চক্ষুষ্মানদের। অন্ধরাই বেশি দ্যাখে, চক্ষুষ্মানরা কম।’

কথায় শ্লেষ আছে, রাজনীতি আছে, বিশ্বনেতা, তথা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী নিয়ে ব্যঙ্গ, অবজ্ঞা আছে। ঘেন্নাও আছে।

‘জাপানি আড্ডা’র সঙ্গে যে টুকু পরিচয়, সাপ্তাহিক দিনে কিছুতেই জমবে না। গল্প শুরু করে শেষ করে না, বার বার ঘড়ি দেখবে। যেন পেছন থেকে কেউ তাড়া দিচ্ছে। এক্ষুনি ছুটতে হবে। সারাক্ষণ ছুটছে। কাজ পাগল। রাতে নাকি ঘুমোয় না!

কে বলে, জাপানিরা  আড্ডাপ্রিয় নয়? একবার যদি মশগুল হয় আড্ডায়, রাত কাবার। শেষ রাতে ‘সেকো’ কম পড়লে হাতাহাতি মারামারি। গা-গতরে ধর্মের ষাঁড় না হলেও গুতোগুতি।

‘আমরা গুঁতিয়েই চীনাদের শায়েস্তা করেছিলাম।’ আড্ডায়, ইশিগুরোর এই রসিকতায় দুই চীনা লেখক চোখ পাকান। ইশিগুরো। ‘পাস্ট টেন্সে কথা বলেছি। তোমরা এখন আমাদের গুতোচ্ছো। তোমরা হলে কমিউনিস্ট-পুঁজিবাদ। কিংবা পুজিবাদী কমিউনিস্ট।’

কেউ দেখলে বলবে না ইশিগুরোর বয়স বাষট্টি, ঝকঝকে যুবকত্বের ঝাঁঝ, মুখখানি তারুণ্যে ভরপূর। সপ্রতিভ। শারীরিক দোলদুলুনি খেলোয়াড়ের। হাতপায়ের নাচানাচি জুডোর।

একে তুমুল আড্ডাবাজ, তার ওপর চরম রসিকও।

রসিকতার উদাহরণ,

১. জাপানিদের চোখ ছোট, কিন্তু দেখে বেশি।

২. কিমোনো পরে মেয়েরা কবুতরের মতো হাঁটে।

ইশিগুরোর সঙ্গে যদি আড্ডায় শামিল হন, মৌন হলেও চলবে। আপনারা, সমবেত প্রত্যেকে শ্রোতা। বিরতিহীন কথা বলেন, হঠাৎ-ই থেমে, ‘আপনি কিছু বলছেন না?’

শুরু করলেন, বাক্য যদি এই হয়, ‘আপনার লেখায়‘; তক্ষুনি থামিয়ে দিয়ে, ‘এটা সাহিত্যের সমাবেশ; সমালোচকদের কচকচানি বা সাহিত্য-শিক্ষকের পাকামোর ক্লাস নয়। মুসলিম ধর্মের প্রবর্তক মোহাম্মদের একটি বাণী যথার্থ, ‘‘যে ব্যক্তির সম্মুখে যে লোকটি তাহার প্রশংসা করতেছে, ওই কথকের চোখেমুখে তপ্ত বালু ছড়িয়ে দাও। প্রশংসা করবে দূরে আবডালে। সমালোচনা করবে একাসনে, সম্মুখে।’ কেউ যদি যেচে, সামনাসামনি প্রশংসা করে, লোকটি নিশ্চয় মতলববাজ কিংবা অভদ্র। অশিক্ষিত। গেঁয়ো। অল্পবিদ্যার ‘পণ্ডিত’।’’

বার্লিন ফ্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্যামুয়েল ফিশার’ গেস্ট-অধ্যাপক ইশিগুরো—তিন মাসের জন্য। সামার সেমিস্টারে। তিনটি বক্তৃতা দেবেন। প্রথম বক্তৃতা শুরুর আগে, ‘‘আমি অধ্যাপক নই, সাহিত্যের সমালোচক নই, গুরুগম্ভীর-পাণ্ডিত্যমাখা ‘আবোল তাবোল’ মুখে আসবে না, নিজের লেখাও কিচ্ছু না, আপনারাই বলুন কী বলব?’’ এক জাপানি ছাত্রী প্রশ্ন করেন, ‘ইউরোপে যতটা পরিচিত আপনি, বিশেষত ইংরেজিভাষী মহলে, জাপানে ততটা নন। আপনার বই ইংরেজি থেকে জাপানি ভাষায় অনূদিত। নিজেকে জাপানি, না ইংরেজ লেখক হিসেবে ভেবেছেন?’

সরল উত্তর–‘আমার নামে জাপানি গ্রন্থ, আমি জন্মগত জাপানি, লোকে বলে ব্রিটিশ-জাপানি লেখক। ব্রিটিশ নাগরিক আমি। তো বিলেতের লেখক।’

আরেক ছাত্রী (তিনিও জাপানি)। আপনার লেখায় জাপানই আগে, নানা স্মৃতিসূত্রে ফিরে যান জাপানে, ফেলে আসা দেশে, ফেলে আসা ঘটনা ইতিহাসের নানা পরিপ্রেক্ষিতে, সঙ্গী করেন বর্তমানকে দেশি-বিদেশি কালচার-ইতিহাস-রাজনীতিকে। আপনার কথকতায় স্মৃতিমেদুরতা, পরিবার-সমাজ-দেশ-বিশ্ব একাকার। এটাই কি বৈশ্বিকতা?

ইশিগুরো: ‘এতকিছু আবিষ্কার করেছেন? আমি গল্প বলি। স্মৃতির নানা টানাহেঁচড়ায় অতীত-বর্তমানও। মনে রাখবেন, ইতিহাস কেবল অতীত নয়, ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিত বর্তমানে, ভবিষ্যতেও। স্মৃতি পরম্পরা। স্মৃতি ইতিহাস।  স্মৃতির পরম্পরা ইতিহাসে আজকের দেশসমাজ, রাজনীতিও।

–এখানে পাদটীকা।

বার্লিন ফ্রি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্যামুয়েল ফিশার গেস্ট প্রফেসর’ বহুমান্য। এর আগে ছয়জন ‘নোবেল লোরিয়েট’ যোগ দিয়েছেন।

ইশিগুরোকে যদি কখনও সান্নিধ্যে পান, ভারতীয় খাবার কেন তোমার ভালো লাগে? জিজ্ঞেস করলে উত্তর শুনবেন, ‘জাপানি খাবারে কি খুব বৈচিত্র্য? ঠিক যে, ‘সুসি’র রকমফের অনেক, কিন্তু হেরফের নেই খুব। স্বাদে যে টুকু তফাত, বার বার খাওয়া যায় না। ভারতীয় খাবার নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর। তেল আর মসল্লা একটু বেশি, এই যা। কাঁচা মরিচের ঝাল মন্দ নয়, আলাদা গন্ধও পাই। তন্দুরি চিকেনের ঠ্যাং চিবুতে ভালো লাগে। কারণ কী, জানেন? একজন যোগগুরুর কাছে শুনেছি, মাংসের হাড় চিবুলে দাঁত শক্ত হয়, ভালো থাকে।’

এক ভারতীয় রেস্তোরাঁয় প্রবেশ। রেস্তোরাঁর মালিক বাংলাদেশের। খাবারের অর্ডার দিয়ে মালিকের সঙ্গে গালগল্প জুড়ে দেন। মালিক জানেন না খাদকের পরিচয়। অবশ্য, জিজ্ঞেসও করেননি। নিত্যদিন বিদেশি খাদক আসেন। কতজনের সঙ্গে পরিচিত হবেন। হয়ে লাভ কী? খাদক খেয়ে, দাম দিয়ে চলে যাবেন, ব্যস, ল্যাঠা চুকে গেলো। আমাদের খাদকও নিজের সম্পর্কে কিচ্ছু বলেন না। কী-ই বা বলবেন। যেন সাধারণ ট্যুরিস্ট। সাধারণ খাদক। কিন্তু এই খাদক কৌতূহলী।

মালিক-খাদকের কথা কানে আসে। খাদক বোধ হয় জানতে চেয়েছিলেন (কী জানতে চেয়েছিলেন বলতে অপারগ। তখন সিগ্রেট টানতে বাইরে গিয়েছিলুম।) পাচক-পরিবেশক বাংলাদেশ বা ভারতের কিনা!

মালিক বললেন, কর্মচারী এখানে আট জন। দুই জন ভারতীয়, একজন পাকিস্তানি, তিন জন বাংলাদেশের। একজন নেপালি। একজন জার্মান (মেয়ে)। পাচক ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। ভারত আর পাকিস্তানের পাচক জিগরি দোস্ত। হিন্দু-মুসলিম ঝামেলা নেই। দু’জন একই ঘরে থাকে। খাট আলাদা। খায় আমার এখানেই (রেস্তোরাঁয়), রান্নার বালাই নেই ঘরে। কী করে দু’জনের এতটা দোস্তি, মহব্বত আশ্চর্য বৈকি!

খাদকের প্রশ্ন, কেন?

দুই জনই লাহোরের। তথা পাঞ্জাবের। দেশভাগের পরে দুই পাঞ্জাবের বাসিন্দা ওরা। ঘটনা এখানে নয়। ওদের কাছেই শুনেছি, দু’জনের দাদাই (পিতামহ) ৪৭-এর দেশভাগের সময় হিন্দু-মুসলিম কাটাকুটি করেছেন দাঙ্গায়।

শুনে, ইশিগুরো কয়েক সেকেন্ড চুপ।

মালিক বললেন, অতীত-ইতিহাস ভুলে গেছে ওরা, না ভুলে উপায় কী এখানে?  শ্রমিকের কোনও জাতপাত নেই। সব এক। ওদের দু’জনার বন্ধুতার বড় কারণ, মাতৃভাষা। একই মাতৃভাষা। মাতৃভাষার মতো আপন কিছু হয় না। ধর্ম-রাজনীতি তুচ্ছ।

ইশিগুরোর বোধ হয় ইচ্ছা ছিল আরও গল্পগুজবের, দুই পাচকের সঙ্গেও কথা বলা। সন্ধ্যায়, রেস্তোরাঁয় ভিড় বাড়তে থাকে ক্রমশ, খাওয়া শেষ, টেবিল আগলে রাখা বেমানান, মালিক খাদ্যের বিল ধরিয়ে দেন, উঠতেই হয়।

আমাদের জানা, ইশিগুরো লোকের অতীতকথা (স্মৃতি), ইতিহাস সংগ্রহ করেন, নিজের সমাজ-দেশকালের এবং আজকের বিশ্বের প্রাসঙ্গিকতা টেনে কাহিনির সূত্র গাঁথেন। গাঁথুনিতে মুন্সিয়ানা, নিজস্ব ঢঙ। স্বপ্নচারী নন, অতীতচারী, স্মৃতির পরম্পরা নানা বয়ানে গ্রন্থিত।

ওর মেজাজের সঙ্গের স্মৃতিপ্রেম, টানাপড়েন, সৃজনবেগ কায়াহীন নয়। সবই রক্তমাংসের।ওর কথনে মনন-অভিজ্ঞতাও যেন প্রত্যক্ষ। বহিরঙ্গের খোলসে অন্তরঙ্গের আপনতা, বিভাব।

গতবছর (২০১৬), সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বার্লিন আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে, পাঠশেষে, রাত ন’টার পরে, ইশিগুরোকে নিয়ে আড্ডা, সঙ্গে কয়েকজন, এবার ‘খাঁটি জার্মান রেস্তোরাঁয়।’ শুনলুম, ‘জার্মান বিয়ার আমার প্রিয়।’

পানীয়ের আড্ডায় যা হয়, হয়ে থাকে, কথায়-কথায় নানা প্রসঙ্গ। কাতর স্বরে, যেন অপরাধী, মহাঅপরাধ করেছেন, বললেন, ‘বয়স বাষট্টি, ছিঃ, ছিঃ, বাষট্টি বছর বয়সে ৮টি উপন্যাস লিখেছি। লজ্জিত।’

ফিক-ফিক নয়, ফ্যাঁচ-ফ্যাঁচ শব্দে হাসি।

ইশিগুরো ভাবলেন, দুয়ো দিচ্ছি।

–সত্যিই, এত লেখা উচিত হয়নি।

বলো কী? মাত্র ৮ টি। তোমার বয়সে, ৬২ বছর বয়সে, আমাদের দেশে বাংলা ভাষায়, কলকাতায়-ঢাকায়, অন্তত ৬০ টি উপন্যাস লেখে।

অ্যাঁ? বলো কী? মায়ের পেট থেকে পড়ে, নাড়ি কাটার আগেই লিখতে শুরু করে? ১ না ৫ পৃষ্ঠার উপন্যাস? বেঙ্গলে যাব, একবছরে তিনটি উপন্যাস লিখব।

এই ক্ষমতা একমাত্র বাঙালি ঔপন্যাসিকের, বিশ্বের আর কোনও লেখকের নেই। বাঙালি লেখক ক্ষণজন্মা। বাংলায় এক কবি লিখেছেন, ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি।’

—মিথ্যে বলছ। অমিতাভ ঘোষ, অমিত চৌধুরী, কুনাল বসু, সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়ান-বেঙ্গলি’ লেখকও কি দশটি উপন্যাস লিখেছেন? কই। আমি তো পড়িনি।

ওঁরা বাংলায় লেখেন না, ইংরেজি-লেখক। বাংলায় লিখলে ষাটের বেশি লিখতেন। ইংরেজি পাঠক-প্রকাশক নিশ্চয় বছরে বছরে এত বিয়ানো (প্রসব) পছন্দ করেন না।

—আমি বেঙ্গলে যাব, বছরে তিনটি উপন্যাস লিখব।

তা হলে ‘ইশিগুরো’ নও ‘গুরু’ হয়ে যাবে।

—হ্যাঁ, হ্যাঁ, গুরু কাকে বলে জানি। গুরুর অনেক নারী থাকে। আমার নেই।

গুরু হলে পাবে।

—ইন্ডিয়ায় গিয়ে গুরু হতেই হবে।

হননি। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই বছরে বার্লিনে, ফোন করলেন। বার্লিনে থাকবেন দু’দিন। যাবেন ড্রেসজেনে।

সন্ধ্যায় আড্ডা। ওঁরই হোটেল ঘরে। আড্ডায় বললুম, ‘স্থিরবিশ্বাস, অচিরেই নোবেল পুরস্কার পাবে।’

ইশিগুরোর আর্তনাদমাখা চীৎকার, ‘না, না নোবেল পুরস্কার চাই না।’

কেন চাও না?

—নোবেল পুরস্কার পেলে পুরস্কারপ্রাপক লেখক আর ভালো লেখেন না, লিখতে পারেন না। নানা চাপে। পুরস্কার পাওয়ার জন্যই ভালো লেখা, শ্রেষ্ঠ লেখা লিখতে চাই। এখনও লেখা হয়নি।

বললুম, নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির পরেই রবীন্দনাথের অধিকাংশ শ্রেষ্ঠ লেখা।

ইশিগুরো: নাম শুনেছি রবীন্দ্রনাথের, কোনও লেখা পড়িনি।

—না পড়ুন, ওঁর নিজেরই ‘প্রায়-সাহিত্য’ নিয়ে কী বলবেন এখন?

লেখক: জার্মান প্রবাসী কবি ও সাংবাদিক

/এসএএস/এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ