X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাওলানা ভাসানী: যেমন মানুষ, যেমন দেখেছি

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী
১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৩৬আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:২৮

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী ১৭ নভেম্বর মাওলানার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি মারা যান। তার সঠিক জন্ম তারিখ জানা নেই। তবে তার পাসপোর্টে ১২ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে তার জন্ম বলে একটা তারিখ পাওয়া যায়। এ তারিখের সত্যতা সম্পর্কে মাওলানা নিজেই সন্দিহান ছিলেন।
সিরাজগঞ্জের নিতান্ত গরিবের ঘরে মাওলানার জন্ম। মা-বাবা ‘চ্যাগা মিঞা’ বলে ডাকতেন। ওই নামের কিশোরেরা যেভাবে সেকালে জীবন-যাপন করতেন, মাওলানাও সেভাবে তার জীবন আরম্ভ করেছিলেন। মাওলানার মুখে শুনেছি, তার বাবা নাকি ছোট এক মুদির দোকানি ছিলেন। মাওলানাও দোকানে ও ক্ষেতখামারে কাজ করে কিশোর জীবন আরম্ভ করেছিলেন। পরে ঘটনাক্রমে শিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন উত্তর ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসায়।
দেওবন্দের সঙ্গে রয়েছে অনেক ইতিহাস। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শুরুতে মুসলমান আলেম ফকিররা ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে লড়েছেন। তাদের সঙ্গে জড়িত আছে দেওবন্দের নাম। ভারতীয় আলেমরা স্বদেশী যুগের ক্ষুদিরাম, বাঘা যতিন, প্রীতিলতা, মাস্টারদা সূর্যসেনদের মতো তখন ব্রিটিশদের ক্লাব আক্রমণ, ব্রিটিশের পুলিশ অফিসার হত্যা, কিংবা কোনও বিক্ষিপ্ত হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেননি। তারা করেছিলেন রণাঙ্গনে সম্মুখ সমর। প্রকৃতই যুদ্ধ। তাই তারা মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সৈনিক সৃষ্টির জন্য। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হজরত মাওলানা কাসেম নানুতুবী। তিনি ছিলেন থানাবন বিদ্রোহের অন্যতম মহানায়ক। মাওলানা আব্দুল বারী ফিরিঙ্গিমহল্লী, মাওলানা রশিদ আহাম্মদ গঙ্গুহী, মাওলানা হাফেজ জামাল ছিলেন তার সহযোদ্ধা।

হাফেজ জামাল থানাবন বিদ্রোহে ব্রিটিশদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন। আন্দামানে বড়লাট লডমেয়োকে হত্যা করেছিল দীপান্তরিত এক বিদ্রোহী। থানাবন বিদ্রোহের সময় বিপ্লবী সরকারও গঠন করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ছিলেন দীনেশ বাবু, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এমদাদুল্ল্যাহ্ মহাজেরে মক্কী, মাওলানা কাসেম নানুতুবী আর রশিদ আহাম্মদ গঙ্গুহী ছিলেন মন্ত্রী।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্নে মুসলমানদের এসব বিদ্রোহ সফল না হওয়ার অন্যতম কারণ ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল হিন্দু। তারা মুসলমানদের এসব বিদ্রোহকে সমর্থন না করে ব্রিটিশদের সহযোগিতা করেছিল। তারা ভয় করতো মুসলমানদের এ তৎপরতা সফল হলে পুনরায় ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। তখন কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী সমাজও আত্মপ্রকাশ করেছিল। তারাও এসব সাম্রাজ্যবাদবিরোধী তৎপরতার স্বপক্ষে ছিলেন না।

ব্রিটিশরা সুকৌশলে দু’টি রাজনৈতিক দলের জন্ম দিতে পেরেছিল- একটি কংগ্রেস আর অন্যটি মুসলিম লীগ। এ দু’দলকে দিয়ে ব্রিটিশেরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা করতেও সমর্থ হয়েছিল। সুতরাং কলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাজ, মুসলিম লীগ আর কংগ্রেসের মতো প্রতিষ্ঠানের কারণে মুসলমানদের বিপ্লবী তৎপরতায় ভাটা আসে।

মাওলানা যখন দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন তখন মাওলানা কাসেম নানুতুবী, মাওলানা রসিদ আহাম্মদ গংগুহী, মাওলানা মাহামুদুল হাসান দেওবন্দী জীবিত ছিলেন। মাওলানা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি, মাওলানা এয়াকুব নানুতবী ও মাওলানা হোসেন আহাম্মদ মাদানীরা তখন দেওবন্দ মাদ্রাসার শিক্ষক। সুতরাং এমন একটি পরিবেশে মাওলানার গড়ে ওঠাই ছিল তার চূড়ান্ত সৌভাগ্য।

মাওলানা দেওবন্দে দু’টি মহা-শিক্ষা লাভ করেছিলেন (১) সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা (২) শিক্ষা প্রসারের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। দেওবন্দী ওস্তাদদের থেকে পাওয়া এ দুই শিক্ষা থেকে মাওলানা জীবনে কখনও বিচ্যুৎ হননি।

মাওলানাও আসামের ভাসান চরে, পাঁচ বিবিতে, কাগমারীতে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। কাগমারীতে রাবেয়া বছরী বালিকা বিদ্যালয় দেখেছি-পাটি তৈরির বেতের গাছ দিয়ে ঘেরাও করা। এত সুন্দরভাবে গাছগুলো লাগানো যে, স্কুলটা পর্যন্ত দেখা যায় না।মেয়েদের পর্দা রক্ষার এক সুব্যবস্থা রচনা করেছিলেন। আবার তা ছিল খুবই দৃষ্টি নন্দন। এখন স্কুলটি আছে কিনা তা জানি না। থাকলেও বেত গাছ দিয়ে তৈরি প্রাচীরের অস্তিত্বটা রক্ষা করেছে কিনা কে জানে।

মাওলানাকে সবাই জানেন একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে। তার যে আরও বহু গুণাবলী ছিল সে সম্পর্কে লিখলেও একটা মহাগ্রন্থ রচনা করা যায়। আমি একবার চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের দফতরে মরহুম এমএ আজিজকে লেখা মাওলানার একখানা পোস্ট কার্ড দেখেছিলাম। তাতে মাওলানা লিখেছেন, ‘আব্দুল আজিজ, আমি পাঁচবিবিতে হক্কুলেবাদ মিশনের কাজ আরম্ভ করেছি। তুমি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের থেকে সংগ্রহ করে আমার জন্য ২৫ বান ঢেউটিন পাঠানোর চেষ্টা করিও।’

আমি আজিজদাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, মাওলানার টিন পাঠিয়েছেন কিনা। আজিজদা ২৫ বান টিন পাঠানোর কথাই বলেছিলেন। ১৯৫৭ সালে ভাগাভাগির সময় আজিজদা কিন্তু মাওলানার গঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগেই ছিলেন। মাওলানা তার পার্টি না করলেও আজিজদাকে খুবই স্নেহ করতেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নমিনেশন অমান্য করে মাওলানা চট্টগ্রামের ডবলমুরিং কেন্দ্রে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী মাহমুদুন নবী চৌধুরীর বিরুদ্ধে এম.এ. আজিজকে মনোনয়ন প্রদান করেছিলেন।

মাওলানাকে আসামের ভাসান চরের মানুষ, টাঙ্গাইলের মানুষ পীর হিসেবে মানতেন। আসামে, বৃহত্তম ময়মনসিংহে তার হাজার হাজার মুরিদ ছিল। তিনি ছিলেন হজরত নাছির উদ্দীন বোগদাদীর খলিফা। হজরত নাছির উদ্দীন বোগদাদী ছিলেন তার বাতেনি পীর। আর তার জাহেরি ওস্তাদ ছিলেন মাওলানা আজাদ সোবহানী। তিনি কথায় কথায় মাওলানা আজাদ সোবহানীর কথা বলতেন। মাওলানার মুখে শুনেছি- একদিন নাকি মাওলানা আজাদ সোবহানী মাওলানাকে বলেছিলেন, ‘মাওলানা তুমি আমার হাতকে কাবা মনে করো, আর আমার হাতে হাত রেখে ওয়াদা করো সারাজীবন তুমি রবুবিয়াতের সংগ্রাম করে যাবে।’ মাওলানা আসলে সারাজীবনই রবুবিয়াতের সংগ্রামই করেছেন। মাওলানা কখনও কোনও দালানে বসবাস করেননি। সারাজীবন জুবরিতে কাটিয়ে পরলোকে গমন করেছেন।

পাক-ভারত উপমহাদেশে দুই মাওলানাকে কমিউনিস্টরা এনসার্কেল করে থাকতেন। একজন মাওলানা হাসরাৎ মোহানী আর অন্যজন ছিলেন মাওলানা ভাসানী। এ দুই মাওলানা কমিউনিস্টদের পাশে থাকতে সম্ভবতো আনন্দ অনুভব করতেন। উভয় মাওলানা কিন্তু কমিউনিস্ট ছিলেন না।

হজরত মাওলানা হাসরাৎ মোহানী ১৯৫০ সালে ভারতের গণ-পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং ভারতের শাসনতন্ত্র রচনার সময় যথেষ্ট অবদান রেখেছিলেন। তার মৃত্যু হয় ১৯৫১ সালে। ভাসানী কিন্তু আরও দীর্ঘ সময় বেঁচে ছিলেন। অভাবের তাড়নায়, নদীর ভাঙনে উৎপীড়িত হয়ে বাংলাদেশ থেকে বহু কৃষক আসাম অঞ্চলে গিয়ে বসতি করেছিলেন। তখন মাওলানাও আসামের ভাসানচরে নিজের আবাস গড়ে তুলেছিলেন। তিনি ভাসানচরের পীর। পীরালি নিয়ে কখনও তিনি ভণ্ডামি করেননি।

মাওলানা আসাম পরিষদের সদস্য ছিলেন। এবং আসাম মুসলিম লীগের সভাপতিও ছিলেন। আসামে বাংলাদেশ থেকে আগত কৃষকদের নিয়ে বহু ঝামেলা পোহাতে হয়। তিনি আসামের মুসলিম লীগ দলীয় মুখ্যমন্ত্রী স্যার সৈয়দ মুহাম্মদ সাদুল্লাহ এবং কংগ্রেস দলের মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈর বিরুদ্ধে তীব্র লাইন প্রথা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। সে সময়ের কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তিনি বড়পেঠায় ঐতিহাসিক কৃষক সম্মেলনও করেছিলেন।

মাওলানার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন ও সাম্যবাদী আন্দোলন তার মূল শিক্ষারই ফসল। বহু তাত্ত্বিক কমিউনিস্ট তার সঙ্গে থাকলেও তিনি তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ আন্দোলন করেননি। ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের গুরু ঠাকুর ছিলেন এমএন রায়। এমএন রায় জেলে থাকাকালীন সময় ইসলামের ওপর লেখাপড়া করেছিলেন এবং ইসলামও যে সাম্যবাদের কথা বলেছে, তার ওপর তিনি মুগ্ধ হয়ে ইসলামের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ (স.) এর ওপর একখানা পুস্তকও রচনা করেছিলেন।

আমি বইখানা পড়ে দেখেছি। তিনি খুবই সতর্ক ও যত্নসহকারে বইখানা লিখেছিলেন। এজন্য মাওলানা কমিউনিস্টদের সঙ্গে সুর না মিলিয়ে ইসলামি সমাজবাদের কথা বলতেন। সম্ভবতো তিনি ইসলামের সাম্যবাদী দর্শনের সঙ্গে মাক্সীয় সাম্যবাদী দর্শনের অনেক ক্ষেত্রে মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। সম্ভবতো সে কারণে তিনি সাম্যবাদীদের তার দল থেকে কখনও বের করে দেননি। সাম্যবাদীরা নিজেরাই ১৯৬৯ সাল থেকে তাকে ধীরে ধীরে পরিত্যাগ করে চলে যেতে শুরু করেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কমিউনিস্ট পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে কমিউনিস্টরা তাকে পরিপূর্ণভাবে ত্যাগ করে চলে যান। এত বড় একটা বটবৃক্ষের ছায়াতলে থেকেও কমিউনিস্টরা আসলে কোনও ফায়দা হাসিল করতে পারেননি। এখন তো তারা টুকরো টুকরো হয়ে বিলুপ্তির পথে।

মাওলানা প্রথম জীবনে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতি করেন এবং আসাম মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকায় আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রথম সেক্রেটারি ছিলেন শামসুল হক। ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সেক্রেটারি হয়েছিলেন। মাওলানা বলতেন ‘আমি ১২/১৩ টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলাম, তার মাঝে মুজিবর ছিল সর্বোত্তম সাধারণ সম্পাদক।’ শেখ মুজিবের সঙ্গে মাওলানার খুব গভীর সম্পর্ক ছিল। অনেকে বলেন- ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে মাওলানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ওয়াক ওভার দিয়েছিলেন।

১৯৫৬ সালে মাওলানা কাগমারীতে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেছিলেন। মূলত এটাই ছিল সাংস্কৃতিক সম্মেলন। এখানেই আওয়ামী লীগে দ্বিধা বিভক্তি আসে। ১৯৫৭ সালে মাওলানা আওয়ামী লীগ ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির জন্ম দেন।

মাওলানা ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের পর টাঙ্গাইলেই ছিলেন। রাশেদ খান মেনন ও হায়দার আকবর খান রনো গিয়েছিলেন মাওলানাকে দেখতে। রনো ভাই লিখেছেন- তারা গিয়ে ভাসানীকে পেয়েছিলেন বিন্নাফৈর গ্রামে। মাওলানা যখন শুনলেন তার কাগমারীর বাড়িতে পাক সেনারা আগুন দিয়েছে, তখন মাওলানা একা একা গেঞ্জি গায়ে বিন্নাফৈর গ্রাম ছেড়ে চলে যান। তখন তার মাথায় নাকি টুপিও ছিল না। পরে গিয়ে মাওলানা আসাম পৌঁছেন। মাওলানা পুরো ৯ মাস স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে দেশ স্বাধীন করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরে দেশে ফিরে আসেন। এ বিপ্লবী মহান ত্যাগী পুরুষটির মৃত্যু হয় ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর।

জয়তু মাওলানা!

 

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক

[email protected]

 

এপিএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
দুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টিদুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ