X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীতে রাজনীতি কতটুকু উত্তাপ ছড়াবে?

বিভুরঞ্জন সরকার
০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:৪৩আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৯

বিভুরঞ্জন সরকার ঢাকায় সেভাবে না হলেও উত্তরাঞ্চলে শীত মোটামুটি জেঁকে বসতে শুরু করেছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে হয়তো সারাদেশেই শীতের তীব্রতা অনুভূত হবে। শীতে একদিকে যেমন গরিব মানুষের কষ্ট বাড়ে, শীতবস্ত্রের অভাবে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, অন্যদিকে যারা সচ্ছল, যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের কাছে শীত হয় উপভোগ্য, আনন্দময়। শীতে নানা ধরনের সবজি পাওয়া যায়। যদিও এ বছর সবজির দাম ভরা মৌসুমেও যথেষ্ট চড়া। এ সময় পিঠা-পুলির আকর্ষণ বাঙালির ঐতিহ্যের মধ্যেই পড়ে। শীতে জনজীবন কিছুটা জড়তাপূর্ণ হয় বলেই সম্ভবত আমাদের দেশে রাজনীতি উত্তাপ ছড়ায় এসময়েই বেশি। এবার কি শীতে দেশের রাজনীতি প্রয়োজনের বেশি উত্তাপ ছড়াবে, নাকি বাকযুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। কয়েকটি ছোট পৌরসভার নির্বাচনও ডিসেম্বরের শেষে। এরপর জানুয়ারির ৫ তারিখ দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি। এসব কি বিএনপিকে মাঠ গরম করার কোনও উপকরণ জোগাবে?
অনেকেই মনে করেন, মুখে যত বড় কথাই বলুক না কেন, সরকারবিরোধী বড় কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষমতা বিএনপির নেই। বিএনপি আসলে আন্দোলনের দল নয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, জনপ্রিয় কোনও ইস্যু নিয়ে মাঠে নামলে এবার বিএনপিকে হয়তো খালি হাতে ঘরে ফিরতে হবে না। মানুষের মধ্যে সরকারবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। ভোটের বাক্সে প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ না পেলে মানুষ নীরবতা ভাঙতে পারে। তবে এ সবই আগাম অনুমান, কল্পনা। কী হলে কী হবে, তা কেবল সময়ই বলে দেবে। আওয়ামী লীগ আরেক দফা ক্ষমতায় থাকতে চায়। বিএনপি আর ক্ষমতার বাইরে থাকতে চায় না। এখন কোন দল কিভাবে মানুষের সমর্থন নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আশা পূরণে সক্ষম হবে, সে সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া সহজ নয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ২৬ নভেম্বর রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। বোঁ বোঁ করে ঘুরে লাভ নেই। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এদেশে শান্তির রাজনীতি করতে চাই। আসুন, সমঝোতা করুন। একটি সুষ্ঠু, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে যান।’ সরকারের সময় ‘শেষ’ বলতে বিএনপি মহাসচিব কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। তিনি যদি সরকারের মেয়াদকালের দিকে ইঙ্গিত করে থাকেন তাহলে ঠিক আছে। সাংবিধানিক নিয়মে এই সরকারের মেয়াদ আছে আর বছর খানেক। এক বছর খুব বেশি সময় নয়। কাজেই বলাই যেতে পারে যে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু ‘সময় শেষ’ বলতে যদি তিনি অন্য কিছু বুঝিয়ে থাকেন, যেমন এই সরকার আর পুনর্নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবে না, তাহলে বলতেই হবে যে এখনই এমন ভবিষ্যদ্বাণী না করাই ভালো। বিএনপি সেই ২০০৯ সাল থেকেই বলে আসছে যে, বর্তমান সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। পায়ের নিচে মাটি না থাকলে আট বছরের বেশি সময় ধরে প্রবল দাপটের সঙ্গে দেশ শাসন কি সম্ভব হতো?

বিএনপি মহাসচিব সরকারকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা যদি সরকারকে দুর্বলই ভাবেন তাহলে তার সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্ন আসে কেন? সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা মির্জা আলমগীর বলেছেন। সরকার প্রধানও এবার সুষ্ঠু নির্বাচনের কথাই বলছেন। তবে বিএনপির শর্তে নির্বাচন হবে কিনা, সেটা একটা বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ বলছে, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই হবে। বিএনপি যদি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, তাহলে তাদের সেই দাবি আদায়ের সক্ষমতা থাকতে হবে। বর্তমান বাস্তবতায় এটা বলা যা না যে, বিএনপি আন্দোলন করে এই দাবি আদায় করতে পারবে।

নিজেদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ না দিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগকে হুমকি ধমকি দিতে শুরু করেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। কোথায়, কিভাবে টাকা পাচার করা হচ্ছে, বিভিন্ন পল্লী গড়ে তোলা হচ্ছে, সে সব দেশের মানুষ জানে। সময়মতো তার সবই প্রকাশিত হবে।’ যদি ধরে নেই, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা বিদেশে প্রচুর পরিমাণ টাকা পাচার করেছে, তার সব তথ্য-প্রমাণ বিএনপির হাতে আছে। সময়মতো তা প্রকাশ করা হবে। তাহলে প্রশ্ন আসে, এই হুমকির ফলে কি অর্থ পাচার বন্ধ হবে? পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আসবে? নাকি পাচারকারীরা আরও সতর্ক হবে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে প্রতিহত করার কৌশল নেবে? 

এনপির অনেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে। সেটা অস্বীকার করে অথবা তার কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনা কি মানুষের কাছে পাল্টাপাল্টি বলে মনে হবে না? পাল্টাপাল্টি কোনও কিছু কি খুব বিশ্বাসযোগ্যতা পায়? কাঁচের ঘরে বাস করে অন্যের দিকে ঢিল মারার ক্ষতিকর প্রবণতা ত্যাগ করতে পারছেন না আমাদের দেশের বড়  রাজনীতিবিদরা।

দুই.

আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের এক বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটুকু প্রস্তুত, সেটাই এখন দেখার বিষয়। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। কিন্তু মানুষের আস্থা বাড়লেই বিএনপির আস্থাও কমিশনের প্রতি বাড়বে মনে করার কোনও কারণ নেই। বিএনপি চাইবে রংপুরের নির্বাচনকে যেকোনও উপায়ে বিতর্কিত করতে। নির্বাচন শতভাগ ‘ফেয়ার’ হলেও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাওসার জামানের জয়লাভের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে। ভোটের লড়াই মোটামুটি সীমাবদ্ধ থাকবে আওয়ামী লীগ মনোনীত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে। জয়লাভের সম্ভাবনা বেশি মোস্তাফিজুর রহমানের।

ঝন্টু গত নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে তিনি না দল গুছিয়েছেন, না সাধারণ মানুষের আস্থা-ভালোবাসা পেয়েছেন। বরং বিতর্কিত কিছু কাজের জন্য দল এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার দূরত্ব বেড়েছে। রংপুরে আওয়ামী লীগ বহুধা বিভক্ত। ঝন্টুর পক্ষে এই দলকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনের মাঠে নামানো কতটুকু সম্ভব, সে প্রশ্ন অনেকের মধ্যই দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে দলের সব গ্রুপকে কাজে নামাতে পারলে কিছুটা সুফল দল পেতে পারে। গত নির্বাচনে ঝন্টু আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন। নাগরিক কমিটির ব্যানারে তাকে জয়ী করার জন্য যারা তখন কাজ করেছিলেন, এবার তাদের কেউ তার সঙ্গে নেই। ভোটে জিতে তিনি কারও সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেননি বলেই অভিযোগ। 

গত নির্বাচনে তার জয়লাভের বড় কারণ ছিল জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী থাকা। রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। জাতীয় পার্টির ভোটার বা সমর্থক সংখ্যাই বেশি বলে ধারণা করা হয়। গত নির্বাচনে ঝন্টু লক্ষাধিক ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থীর সম্মিলিত ভোট ঝন্টুর চেয়ে বেশি ছিল। নির্বাচনে জেতার পর তিনি দলের জন্য কাজ করেননি, ভোট বাড়ানোর কাজ করেছেন বলেও শোনা যায় না। এবার তাকে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের রয়েছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক, তার সঙ্গে প্রার্থীর নিজস্ব জনপ্রিয়তা–দুইয়ে মিলে রংপুরে এবার এরশাদ তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে পারেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

তবে এ সবই প্রাথমিক ধারণা বা অনুমান। নির্বাচনি প্রচারণা জমে উঠলে আরও স্পষ্ট হবে সব কিছু। রংপুরের রাজনীতির খবরা-খবর যারা রাখেন তারা মনে করছেন, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠ গরমের খুব একটা সুযোগ হয়তো বিএনপি পাবে না। নির্বাচনে যদি সত্যি অনিয়ম বা কারচুপি হয়, তাহলেও তা থেকে বিএনপির ফায়দা হাসিলের সুযোগ থাকবে না। কারণ বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা এখনও কেউ দেখছেন বলে মনে হয় না। জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে জোর করে হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে এবং সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে যেতে রাজি হলেই কেবল পরিস্থিতি কিছুটা তাপ ছড়াতে পারে। অবশ্য একটি সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আন্দোলন দানা বাঁধার বাস্তবসম্মত কোনও কারণও দেখা যায় না।

তিন.

ডিসেম্বরেই ৬টি পৌরসভা এবং ৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে। ২৮ ডিসেম্বর পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বোদা পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০০১ সালে। এতদিন নানা আইনি ও অন্যান্য জটিলতায় নির্বাচন হয়নি। এই ছোট পৌরসভার প্রথম নির্বাচন উপলক্ষে এলাকাবাসীর মধ্যে বিশেষ আগ্রহ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম পৌর মেয়র নির্বাচিত করার জন্য সবাই কৌতূহল নিয়েই অপেক্ষা করছেন। 

বোদা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সুজাকে। দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মোট ৯ জন। যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, তিনি সর্বোত্তম ব্যক্তি কিনা, সে প্রশ্ন দল ও দলের বাইরেও উঠেছে। একই অবস্থা বিএনপিতেও। দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে হকিকুল ইসলামকে। তিনি বিএনপির উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে নির্বাচনে জিতে আসার মতো প্রার্থী তিনি নন বলেই অনেকে মনে করছেন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-দুই দলেই দুই জন বিদ্রোহী প্রার্থী লড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন  না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বণিক সমিতির সভাপতি আজাহার আলী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি জনপ্রিয়তায় এগিয়ে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার বিএনপির উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন হাসানও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আবার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। কেউ কেউ মনে করছেন, নির্বাচনি লড়াই শেষ পর্যন্ত বণিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। এটাও একেবারেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। যেহেতু নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে, সেহেতু দল সমর্থক ভোটাররা মার্কা দেখে ভোট দিলে হিসাব-নিকাশ বদলে যেতে পারে। যদি দুই দল দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে বাগে আনতে পারে, বসিয়ে দিতে পারে, তাহলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বোদা একটি ছোট পৌরসভা। প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার ভোটার। প্রার্থীরাও সবাই সবার পরিচিত, ঘনিষ্ঠ। কোন বিবেচনা ভোটারদের কাছে গুরুত্ব পাবে, তা এখনও অস্পষ্ট। তবে মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রথম পৌরপিতা নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

লেখক: কলামিস্ট 

/এসএএস/এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ