X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৭, ২০১৮

আনিস আলমগীর
০২ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:০৬আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০১৮, ১৭:২৫

আনিস আলমগীর ২০১৭ সাল চলে গেলো। আজ ২০১৮ সালের দ্বিতীয় দিন পার হচ্ছে। নববর্ষে আমার পাঠকবন্ধুদের শুভেচ্ছা। ব্যক্তি হিসেবে আমরা জীবনের একটি বছর শেষ করলাম। আবার  জাতীয় জীবনেরও একটি বছর শেষ হলো। বেহিসাবি জীবন, জীবন নয়। সুতরাং ব্যক্তি হোক, জাতি হোক, গত বছরের ব্যর্থতা-সফলতা নির্ণয় করা প্রত্যেকের উচিত।
সফলতায় আনন্দিত হওয়া যায়। আবার ব্যর্থতার জন্য আত্মগ্লানি থাকাও উচিত। আত্মবিস্মৃত ব্যক্তি বা জাতি ওপরে উঠতে পারে না। আমার ব্যক্তি জীবনের সফলতা ব্যর্থতার কথা বলে লাভ নেই। জাতীয় জীবনের গত বছরের কিছু কথা আর আগামী বছরে যে সব দুর্যোগ-দুর্ভোগ জাতির সামনে আসতে পারে তা নিয়েই বলি।
ছোট দেশ, মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইল এরিয়া। ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। গত এক দশকব্যাপী বিশ্বমন্দার কবলে বিশ্ব অর্থনীতি। গত এক দশকব্যাপী সম্পদহীন এদেশের ১৬ কোটি মানুষ বিশ্বমন্দার মাঝে থেকেও না খেয়ে না পরে থাকেনি, কোনও মহা-মন্বন্তর মোকাবিলা করেনি- এটি স্রষ্টার এক অপার মহিমা। স্রষ্টার দরবারে শুকরিয়া জানাই। গত এক দশকব্যাপী আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। তার সুযোগ্য নেতৃত্বেরও প্রশংসা করি। তিনি তার দলের চেয়েও বহু বেশি জনপ্রিয়। তার দেশপ্রেম আর ব্যক্তি সততার জন্য তিনি সর্বত্র প্রশংসিত।

কিন্তু দেশে সৎ মানুষের অভাব এত প্রকট যে, দেশ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ডান হাত বাম হাতকে বিশ্বাস করতে পারছে না। মানুষের মাঝে বিশেষ করে শিক্ষিত মানুষের মাঝে আর ব্যবসায়ীদের মাঝে টাকা রোজগারের এমন এক খেয়াল চেপে বসে যে, হিতাহিত জ্ঞান রহিত হয়ে গেছে। সমাজের সর্বত্র অসততাই সততার রূপ নিয়েছে। প্রকৃত সততা কী, তা মানুষ ভুলে যেতে বসেছে। প্রধানমন্ত্রীর স্মরণ রাখা উচিত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর মতো সৎ লোক বিরল আবার তিনি অর্থনীতিতে বিরল প্রতিভার অধিকারীও ছিলেন। কিন্তু তার কিছু অসৎ মন্ত্রী তাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

২০১৭ সালে দেশে কোনও রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল না সত্য, তবে খুন, গুম, দুর্নীতির হার ব্যাপক ছিল। উদ্যোক্তাদের অনিয়মের কারণে ফারমার্স ব্যাংক এবং এনআরবিসি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের অর্থমন্ত্রী সিলেটে এক অনুষ্ঠানে তৃপ্তির সঙ্গে বলেছেন বাংলাদেশে কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয় না। মূলধন খেয়ে ফেললে সরকার তা পুনরায় সরবরাহ করে। এ জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে কোনও জবাবদিহি করতে হয় না। এ তরিকায় চলছে অর্থ দফতর। এ তরিকায় সরকারি ব্যাংকগুলো না হয় চলছে সরকারের মূলধন সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকগুলোও অনুরূপ পরিস্থিতিতে অবস্থা কী হবে?

সরকারি ব্যাংকগুলো সেক্টর করপোরেশনগুলোকে অর্থের জোগান দিতে হয়। প্রতিটি সেক্টর করপোরেশনে ব্যাংকগুলোর কোটি কোটি টাকা আটকে আছে। সুতরাং সরকারি ব্যাংকগুলোকে মূলধন সরবরাহ করা একেবারে নাজায়েজ বলা যায় না। কিন্তু প্রশ্ন হলো বেসরকারি ব্যাংক নিয়ে। এখন এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকরা অতিরিক্ত মূলধন সরবরাহ করার কথা উঠেছে। তারা কি সে মূলধন সরবরাহ করবে, নাকি নিরুৎসাহিত হয়ে ছল-চাতুরির আশ্রয় নেবে। তখন তো ব্যাংক রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তো তফসিলি ব্যাংকগুলোর অভিভাবক। বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দিয়ে দায়িত্ব নিয়েছে বলেই তো সাধারণ মানুষ ব্যাংকগুলোতে একাউন্ট খুলে টাকা জমা রাখে।

ব্যাংকগুলোর অবস্থা সম্পর্কে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত বলেছেন, সত্যি সত্যি অডিট হলে অর্ধেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে। অর্থ দফতর এ কথাটার তো কোনও প্রতিবাদ করছে না। কথাটা আংশিকভাবে সত্যি হলেও তো বলতে হয়, বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণহারা গাড়ির মতো হয়ে গেছে। আবুল মাল আবদুল মুহিত  গত দশ বছরব্যাপী অর্থমন্ত্রী। তিনি বছর বছর বাজেটের অঙ্ক স্ফীত করেছেন। কিন্তু আর্থিক ব্যবস্থাপনায় কোনও শৃঙ্খলা স্থাপন করতে পারেননি। তিনি বলেছেন আরও নাকি দুটি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিচ্ছেন। দেশের কোনও অর্থনীতিবিদ তার প্রয়োজনের কথা স্বীকার করেননি। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো অর্থখাতের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জন্য। অর্থখাত ফুটো হলে সব কিছুই পণ্ডশ্রম হয়ে যাবে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়ন শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পূর্বের আসা রোহিঙ্গাসহ এখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গার উপস্থিতি দশ লাখের ওপরে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ বিব্রতকর অবস্থায় আছে। বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী দুই দেশ ভারত ও চীন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করেছে। মহামানব কনফুসিয়াসের দেশ চীন। কিছুদিন অফিমের নেশায় বুঁদ হয়েছিলো এখন অফিম ছেড়ে টাকার নেশায় বুঁদ। টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। মহাত্মা গান্ধীর ভারতেরও একই অবস্থা। আকিয়াব উপকূলের সম্পদের লোভে চীন-ভারত কেউই সত্য কথাটুকু পর্যন্ত মুখে আনছেন না। নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিচ্ছে রাশিয়া। ভারত, চীন, রাশিয়া এ তিন শক্তিকে উপেক্ষা করা তো বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।

জুলফিকার আলী ভুট্টো একটা বই লিখেছেন ‘মিথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্স’। তিনি বলেছেন, ছোট দেশগুলোর স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, প্রয়োজনে বড় দেশগুলোর কাছে উপহাসের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। চীন, রাশিয়া, ভারত ছাড়া সারা বিশ্ব রোহিঙ্গাদের পক্ষে। অং সান সু চি আনান কমিশন করেছিলেন। আনান কমিশন সুপারিশ করেছে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য। আনান কমিশন সু চি’র হাতে রিপোর্ট  দেয়  ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট আর মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ফাঁড়ি আক্রমণের মিথ্যা অজুহাত তুলে রোহিঙ্গা বিতাড়ন শুরু করেন ২৫ আগস্ট ২০১৭ থেকে।

জাতিসংঘ বলেছে আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করার জন্য। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন ‘গণহত্যা’। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট মিয়ানমারের ওপর অবরোধ স্থাপনের জন্য বলেছে। ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সু চিকে প্রদত্ত সব সম্মাননা সূচক উপাধি কেড়ে নিয়েছে। আমেরিকা মিয়ানমারের কয়জন সেনাবাহিনীর জেনারেলের আমেরিকায় প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। এরা সবাই সোচ্চার ছিল রোহিঙ্গাদের পক্ষে। কিন্তু এরা তো অনেক দূরে আর চীন ভারত তো বাংলাদেশের ঘাড়ের ওপর। তাদের সঙ্গে রাশিয়াও আছে। এখন বলছে, এ বছরের জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি থেকে রোহিঙ্গারা চলে যাবে।

কোন শর্তে, কিভাবে যাচ্ছে কিছু এখনও পরিষ্কার নয়। তবে শুনেছি রোহিঙ্গা হিন্দুরা নাকি আগে যাবে। এতদিন শুনেছি হিন্দুর সংখ্যা হাজারের মতো হবে, এখন শুনছি হিন্দু নাকি ৭০ হাজার। হিন্দু যাওয়ার পর মুসলমান রোহিঙ্গাদের যাওয়া ছল-চাতুরি করে মিয়ানমার আটকিয়ে দেয় কিনা, কী জানি! মালয়েশিয়ায় এক লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করলে আরও কিছু রোহিঙ্গা হয়তো বা নিতে সম্মত হতো। প্রায় এক লাখ মা-বাবাহীন অনাথ শিশু রয়েছে। তাদের মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এ শিশুগুলোর কী হবে! মাঠপর্যায়ে দেখলে এ সংখ্যা হয়তো আরও কমতে পারে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, এই এতিম শিশুগুলোকে রেখে দিতে।

২০১৭ সালের আরেকটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল প্রধান বিচারপতি সিনহাকে নিয়ে। সম্ভবত তিনি আমেরিকার বিখ্যাত প্রধান বিচারপতি জন মার্শাল হতে চেয়েছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের মাঝে ওয়াশিংটন এখনপর্যন্ত গুণেমানে বিজ্ঞতায় শীর্ষ স্থানীয় প্রেসিডেন্ট আর দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন জেফারসন। জেফারসনের সময়ে প্রধান বিচারপতি ছিলেন জন মার্শাল। মার্শাল মানুষের চেয়ে আইনকে বেশি ভালোবাসতেন। কাজেই তিনি আশা করতেন যে, আইনের শক্তি সম্ভব হলে গণতন্ত্রের আবেগপ্রবণতাকে সমর্থন করবে, প্রয়োজন হলে নিয়ন্ত্রণ করবে।

জন মার্শালের এরূপ সিদ্ধান্তের কারণে মাঝে মাঝে প্রেসিডেন্ট জেফারসনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হতো সত্য কিন্তু সব ঐতিহাসিক এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, জন মার্শালের অনুরূপ বিজ্ঞ সিদ্ধান্তের কারণে শিশুকালীন আমেরিকার শাসনতন্ত্র, আইনের শাসন, পালামেন্টের দক্ষতা সব কিছুই স্থাপিত হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি সিনহা তার রায়ের বয়ান দিয়েছেন ৭৯৯ পৃষ্ঠাব্যাপী আর এর মাঝে ৪৮৩ পৃষ্ঠা তার একক অবজারভেশন। তিনি অবজারভেশন দিতে গিয়ে সমগ্র প্রজাতন্ত্রটাকে অকার্যকর বলে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন। এতে শাসন বিভাগের সঙ্গে তার বিরোধ লেগে যায়।

এ মামলাটা ছিল বিচারপতিদের ইমপিচমেন্ট নিয়ে। আমার বিচার আমি করবো, এ ছিল রায়ের প্রতিপাদ্য বিষয়। আর সংশোধনীটা ছিল সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের সমর্থনে বিচারপতিকে ইমপিচ করা হবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আমেরিকার বিচারপতিদের ইমপিচ করতে পারেন, পার্লামেন্টের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্রিটিশ বিচারপতিদের প্রয়োজনে রানি ইমপিচ করেন। বাংলাদেশের বিচারপতিদের ইমপিচ করতে হলে তারাই তাদের ইমপিচ করবেন। আমার বিচার আমি করলে ন্যায় প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তো খুবই ক্ষীণ হয়ে যায়। যাক। শেষপর্যন্ত সিনহা পদত্যাগ করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এ পরিস্থিতি থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।

২০১৮ সালে দেশে একাদশ সংসদ নির্বাচন। সুতরাং দেশে যে গণ্ডগোল কিছু হবে না, তা নয়। খালেদা জিয়ার দুটি দুর্নীতি মামলার রায় হবে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে রায়টা তাড়াতাড়ি হোক তা খালেদা জিয়া ও তার উকিলরাও চাচ্ছেন। সাফাই সাক্ষীর রেওয়াজ নাকি তারা অনুসরণ করবেন না। আবার এ রায়ের পর পরই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলার রায়ও হবে। গ্রেনেড হত্যা মামলায় তারেক জিয়া, প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, বিখ্যাত পরিবহন ব্যবসায়ী মো. হানিফ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কায়কোবাদসহ বহু ঊর্ধ্বতন অফিসার আসামি হিসাবে রয়েছেন।

গ্রেনেড হামলা করেছিলো শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করার জন্য। সে হামলায় গ্রেনেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় শেখ হাসিনা বেঁচে যান। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন কর্মী নিহত হয়েছিলেন। মামলার গতি প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে বহু আসামির হয়তো ফাঁসির আদেশ হতে পারে। গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয়েছে তারেক জিয়ার অফিস ও পিন্টুর ঘরে। প্রধান আসামি মুফতি আব্দুল হান্নান যার অন্য মামলায় ফাঁসি হয়েছে, সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তা স্বীকার করেছিল। সুতরাং লঘুশাস্তি কারও হবে বলে মনে হয় না।

খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলায় ও গ্রেনেড হত্যা মামলায় তারেক জিয়ার শাস্তি হলে বিএনপি কি মেদিনী কাঁপানো আন্দোলনের চেষ্টা করবে না? জামায়াত তো মানবতাবিরোধীদের মামলায় তাদের বহু নেতার ফাঁসির দৃশ্য হজম করেছে। বিএনপি মাঠে নামলে জামায়াত তো দ্বিগুণ উৎসাহে যোগ দেবে। তারা চেষ্টা করবে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করতে। আর সরকার চাইবে অরাজকতা মোকাবিলা করতে। বিএনপি মনে করবে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারলে বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পড়বে।

মনে হয় আগামী দিনগুলোতে বিএনপিকে কঠিন সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। অনুরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে যেকোনও দলীয় প্রধান বা দলীয় নেতাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়াই কঠিন হবে। তবে বিএনপির উচিত হবে, সব কিছুকে মেনে নিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে যোগ দেওয়া। তা হলে তার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে না। অন্যথায় কঠিন পরিস্থিতিতে দল ছত্রভঙ্গ হয়ে যাবে। বিএনপির গণঅভ্যুত্থান করে সরকারকে ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা আছে বলে মনে হয় না।

লেখক: সাংবাদিক ও শিক্ষক

[email protected]

 

/এসএএস/এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মিয়ানমার-থাই সীমান্তে আবারও বিদ্রোহীদের হামলা, থ্যাইল্যান্ডে পালাচ্ছে মানুষ
মিয়ানমার-থাই সীমান্তে আবারও বিদ্রোহীদের হামলা, থ্যাইল্যান্ডে পালাচ্ছে মানুষ
দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, পারদ উঠতে পারে আরও
দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, পারদ উঠতে পারে আরও
ভুয়া অবিবাহিত সনদের মেয়াদ বাড়াতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি
ভুয়া অবিবাহিত সনদের মেয়াদ বাড়াতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি
ঢাকায় ‘র‌্যাম্পে হাঁটলো’ উট, ঘোড়া, কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণী
ঢাকায় ‘র‌্যাম্পে হাঁটলো’ উট, ঘোড়া, কুকুরসহ বিভিন্ন পোষা প্রাণী
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ