X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক কী?

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী
১৫ মার্চ ২০১৮, ১৪:৪২আপডেট : ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৪:৪৬

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী ভারতের ২৯টি রাজ্যের মধ্যে বিজেপি ২১টিতে হয়তো সম্পূর্ণভাবে সরকার গঠন করেছে, না হয় সরকার গঠনে অংশীদার হয়েছে। বিজেপির এমন জয়জয়কার অবস্থা হলো কেন? আমার তো মনে হয় আগামীতে হয়তোবা ২৯টি রাজ্যেই বিজেপি সরকার গঠন করবে। আর ২০১৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় নরেন্দ্র মোদি বিপুল বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসবে। নরেন্দ্র মোদি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তার যে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পেরেছেন তাও নয়। তবে লোক এককভাবে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে কেন? বিজেপির হাতে ম্যাজিক কী?
আগে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র ছিল পাকিস্তান। এখন আর পাকিস্তান ভারতীয়দের কাছে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র নয়। এখন ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র হচ্ছে চীন। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চীনের সঙ্গে শামিল রাষ্ট্র হচ্ছে পাকিস্তান। হিমালয়ের উত্তরে আর দক্ষিণে উভয় রাষ্ট্রের অবস্থান, মধ্যখানে বিশ্বের বৃহত্তম পর্বতমালা হিমালয়।
ভারতের লোকসংখ্যা ১২৫ কোটি আর চীনের লোকসংখ্যা ১৪০ কোটি। আকারে লোক-সংখ্যায় উভয় রাষ্ট্র কাছাকাছি। উভয়ে আণবিক অস্ত্রের অধিকারী দেশ। চীন আণবিক অস্ত্র বানিয়েছে ১৯৬৪ সালে আর ভারত আণবিক বোমার অধিকারী হয়েছে ১৯৭৪ সালে। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী।

কংগ্রেস যেমন প্রাচীন প্রতিষ্ঠান, আরএসএস-ও কম প্রাচীন নয়। কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা চেয়েছিল বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে সবাইকে নিয়ে। মহাত্মা গান্ধী তো ভারতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব পর্যন্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু আরএসএস বলতে থাকে, ভারতীয় সংস্কৃতি ও হিন্দু সংস্কৃতি সমার্থক। ভারতীয় জাতীয়তাকে হিন্দু জাতীয়তা হতে হবে। ভারতীয় মুসলমান সব ধর্মান্তরিত মুসলমান, তাদের শুদ্ধ করে নিতে হবে অর্থাৎ হিন্দু করে ঘরে ফিরিয়ে আনতে হবে।

নাৎসিদের রেইস স্পিরিট অর্থাৎ ইহুদি ও স্লাভ জাতের ওপর আর্যভাষী জাতিদের তর্কাতীত শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার পেছনে কাজ করেছে। আর্য দম্ভের অপর পৃষ্ঠে রয়েছে সেমেটিক বিদ্বেষ। হিটলার যেমন সেমিটিক জাতের ষড়যন্ত্রের ‘আর্য জার্মানি বিপন্ন’ জিগির তুলেছিলেন, আরএসএস--এর মুখে তারই প্রতিধ্বনি—সাতশ’ বছর মুসলমান অন্যায়ভাবে ভারত শাসন করেছে, তার নিশানা মুছে ফেলতে হবে। তাই তাজমহলকে বলছে মন্দির। আরএসএস--এর রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম হচ্ছে বিজেপি। বিজেপির আরএসএস--এর কথার বাইরে পা বাড়াবার ক্ষমতা নেই।

সাপ্তাহিক বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকেও বসতে হয়। আর্যবর্তে আরএসএস শক্তিশালী, ২৫ লাখ ক্যাডার আছে তাদের। তাই ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একচেটিয়া জয় পেয়েছিলো তারা। দক্ষিণ ভারত আর পূর্ব ভারতে তারা দুর্বল ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে সেখানেও তাদের বিজয় নিশান। নরেন্দ্র মোদি বাকবিভূতিতে দক্ষ লোক। তিনি চীনের মোকাবিলার জিগির তুলেছেন।

১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধে ভারতের শোচনীয় পরাজয়ের পর সমগ্র ভারতে চীনের প্রতি ঘৃণাভাব রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি এ ঘৃণাভাব উসকে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তাই দেখা যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ সমস্যার কোনও সমাধান দিতে না পারার পরও তাকে সাধারণ ভোটার একচেটিয়া সমর্থন দিচ্ছেন। দৈনিক ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করতে হয়, সেখানে মোদির সরকার কর্মসংস্থান করতে পারছেন মাত্র ৯৫০ জন লোকের। তাই ত্রিপুরায় ২০ বছরের মানিক সরকার বাবুর সরকারের পতন। মানিক বাবু দেবতুল্য চরিত্রের লোক। যার কোনও ঘরবাড়ি কিছুই নেই। মুখ্যমন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর পার্টি অফিসের একটা কক্ষকে নিজে থাকার জন্য বরাদ্দ নিয়েছেন।

বিজেপি ত্রিপুরায় লেলিনের মূর্তি ফেলে দিয়েছে। ঘরে ঘরে গিয়ে সিপিএম কর্মীদের পিটিয়েছে। জেলায় জেলায় অফিস দখল নিচ্ছে। বিজেপির সন্ত্রাস এখনও বন্ধ হয়নি। আবার সিপিএম পশ্চিম বাংলায় এবং কেরালায় পাল্টা আক্রমণ করছে। কলকাতায় শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর মূর্তিতে কালি লাগিয়ে দিয়েছে, ভেঙে ফেলে দিয়েছে। শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী বিজেপির আদি প্রতিষ্ঠান হিন্দু মহাসভা এবং জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা। বিজেপির পূর্ব জন্মের নাম ছিল হিন্দু মহাসভা, পরে জনসংঘ, এখন হয়েছে বিজেপি।

আরএসএস নাথুরামকে দিয়ে গান্ধীকে হত্যা করিয়ে পথের কাঁটা সরিয়েছিল। তারপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে নিজেদের সংগঠিত করেছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে স্লোগান তোলা হলো ভারতের ভূমি থেকে কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে সর্বভারতীয় পর্যায়ে তাদের আর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে না। তখন হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে সে পথে অগ্রসর হচ্ছে।

ধর্মকে রাজনীতির কাজে লাগাতে গিয়ে বিফল হয়েছিলেন আওরঙ্গজেব, বিফল হয়েছিল মারাঠিরা। নরেন্দ্র মোদি এই সর্বাধুনিক যুগে ধর্মের রাজনীতিতে কতটুকু সফল হয় জানি না। নিন্দুকেরা বলছেন, এটা বাতি নেভার আগে দপ করে জ্বলে ওঠার মতো দিশা। আমি জানি ভারতে মুসলমানের সংখ্যা ২২ কোটি। কিছুদিন আগে কুলদ্বীপ নায়ার তার এক লেখায় লিখেছেন ২৬ কোটি। এত লোককে হিন্দু বানানো কি সহজ? ভারতের সংহতি কি ঝুঁকির মুখে পড়বে না? বিশ্বের মানুষ কী ভারতের এ অনাচারে চোখ বন্ধ করে রাখবে। ভারত কী এত বিক্রমশালী যে দুনিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া তাদের স্তব্ধ করতে পারবে না।

কলকাতার আনন্দবাজার গোষ্ঠীর ‘দেশ’ পত্রিকার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য খ্যাতি আছে। তারাই লিখেছে ‘সরকারি হিসাবেই বলছে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির বেহাল দশা। চীনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে ১০ দিনের বেশি তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের সামরিক পরিকাঠামোর।’ অথচ দোকলামে চীনকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েই ভারতীয় সৈন্যরা দাঁড়িয়ে রইল দীর্ঘ সময়ব্যাপী। নরেন্দ্র মোদির এ দৃঢ়তাকেই সমর্থন জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর কিছু মানুষ রয়েছে যারা ধর্মরাষ্ট্র বানানোর উদ্যোগকে সমর্থন করছেন।

ইসরায়েলের নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে শত দুর্নীতির অভিযোগের পরও যেমন তার জনপ্রিয়তা কমছে না, তেমনি হয়েছে নরেন্দ্র মোদির অবস্থা। ইহুদিরাও নেতানিয়াহুর দৃঢ়তাকে সমর্থন দিচ্ছে। ভারতীয়রা বলছেন, ভারত বিশ্বের তৃতীয় শক্তি। ভারত কেমন করে তৃতীয় শক্তি হয়! ভারতের আর্থিক অবস্থা আমেরিকার অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার সমপর্যায়েরও নয়। ক্যালিফোর্নিয়ার আর্থিক সঙ্গতি ফ্রান্সের দ্বিগুণ। দৃঢ়তা দেশের মানুষের সাহস বাড়াবে সত্য, তবে দৃঢ়তা ‘সিসিম ফাঁক’ নয় যে রাতকে দিন করে ফেলবে।

নরেন্দ্র মোদি এখানে দৃঢ়তার সিসিম ফাঁক দিয়ে ভারতীয় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন মাত্র। তাতে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। বরং ব্রিকস ব্যাংক গঠনের সময় চীনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি যে সহযোগিতা করেছিলেন তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয়। ব্রিকস ব্যাংক গঠনের সময় চীন ভারতের উত্থাপিত সব দাবিই মেনেছিল। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্পে যোগ দেয়নি। বরং পাল্টা ইনেশিয়েটিভ নিয়েছে চীনের বিকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প গ্রহণের। ভারতের কাছে এত অর্থ কোথায় যে তারা এত বড় প্রজেক্ট নিতে সাহস করে! চীন ঘোষণা দিয়ে রেখেছে তারা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডে এক ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। চীনের রিজার্ভ হচ্ছে ৩১৮১ বিলিয়ন ডলার। চীনের কথার ওপর আস্থা রাখা যায়। আর ভারতের রিজার্ভ হচ্ছে ৪১৭ বিলিয়ন ডলার।

চীন ভারতের রেষারেষিতে পার্শ্ববর্তী ছোট দেশগুলো দুর্ভোগে পড়েছে। অনুন্নত দেশ হওয়ায় উন্নয়নের জন্য দেশগুলোর পুঁজির প্রয়োজন। চীন যদি বলে ভারত থেকে আর ভারত যদি বলে চীন থেকে প্রকল্প ঋণ নেওয়া যাবে না তাহলে পরিবেশ তো দূষিত হয়ে যায়। অনুরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা কারও জন্য সুখকর হবে না। বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে গত কিছু দিন ধরে অনুরূপ এক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে হয়তো, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।’

অথচ ভারতে চীনের বিরাট বিনিয়োগ রয়েছে। ভারতের ব্যাপারে চীনের বিনিয়োগ জায়েজ হলে বাংলাদেশের ব্যাপারে নাজায়েজ হবে কেন? সম্ভবত এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দৃঢ় মনোভাব ও মনোবল নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। ভারত বিভিন্ন নদীর পানি বন্ধ করে বাংলাদেশকে পানিতে মারছে, এখন বিদেশি বিনিয়োগ, বিশেষ করে চীনা বিনিয়োগ বন্ধ করে ভাতে মারার সিদ্ধান্ত নিতে চায় হয়তো। কিউবা দীর্ঘ ৬০ বছর আমেরিকার বিরোধিতার মুখে টিকে আছে শুধু নিজেদের কঠোর মনোবল দিয়ে। বাংলাদেশ ভারতের কঠোরতার মুখে সিদ্ধান্ত পাল্টালে দুদিন পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কিছুই আর টিকানো সম্ভব হবে না। সরকারকে এ কথাটা উপলব্ধি করে তার অবস্থান ঠিক করতে হবে।

এ বছরের শেষদিকে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। সম্ভবত স্কুলের মাস্টারদের মতো পায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে ভারত। এ ব্যাপারে বিএনপি নেত্রীও যেন দেশপ্রেমের পরিচয় দেন। যদি উভয় নেত্রী ভারতের ব্যাপারে দৃঢ় ঐক্যমত্য পোষণ করেন তবে বাংলাদেশের স্বার্থকে বিপর্যস্ত করা নরেন্দ্র মোদির পক্ষে সম্ভব হবে না। মালদ্বীপের মতো ছোট রাষ্ট্রও ভারতকে তোয়াক্কা করে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদির পর রাষ্ট্রনীতিতে আমরা কোনও স্টেটসম্যানশিপ দেখছি না। স্টেটসম্যানশিপ থাকলে নিজের চতুর্দিকের ছোট রাষ্ট্রগুলো ভারতকে নিয়ে এত অস্বস্তিবোধ করতো না।

বলতে গেলে পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল কেউই তার বন্ধু নয়। সর্বত্র এ কারণে চীন খুবই স্বস্তিকর অবস্থানে রয়েছে। এখন দেখি বাংলাদেশকেও হাতছাড়া করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। অথচ বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধ মিটানোর জন্য বাসের যাত্রী হয়ে লাহোর পর্যন্ত গিয়েছিলেন। বেইজিং সফরে গিয়ে সীমান্ত বিরোধ মিটানোর উদ্যোগও নিয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর পররাষ্ট্রনীতিতে স্টেটসম্যানশিপ ছিল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হবে আত্মরক্ষার পররাষ্ট্রনীতি। এতে কোনও আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত থাকলে বাংলাদেশের সমূহ বিপদ হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে একথা মনে রেখে সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

যাহোক, আলোচনা ছিল নরেন্দ্র মোদির দৃঢ়তা ও জনপ্রিয়তা সম্পর্কে। মনে হয় যে দৃঢ়তা নরেন্দ্র মোদিকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে সে দৃঢ়তাই তার বিপর্যয়ের কারণ হবে। কারণ, ভারতের মতো বিচিত্র দেশ চালাতে স্টেটসম্যানশিপ প্রয়োজন। আপাতত দেখা যাচ্ছে সেই স্টেটসম্যানসশিপ নরেন্দ্র মোদির নেই।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ