X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

একটি পোস্টার এবং উন্নয়নশীল বাংলাদেশ!

রেজানুর রহমান
২৭ মার্চ ২০১৮, ১৭:৩১আপডেট : ২৭ মার্চ ২০১৮, ১৭:৩৮

রেজানুর রহমান আজকাল কিছুই মনে রাখতে পারছেন না সোবহান সাহেব। হঠাৎ হয়তো মনে হলো ছোট মেয়েকে ফোন করবেন। তার সাথে জরুরি কথা আছে। এ সময় পরিবারেরই কেউ হয়তো কিছু একটা জিজ্ঞেস করলো। তার প্রতি মনোযোগ দিতে গিয়েই মেয়েকে ফোন করার কথা ভুলে গেলেন। আগে মাঝে মাঝেই এমন হতো। এখন প্রতিদিনই হচ্ছে। এই যেমন,একটু আগে প্রিয় ছাত্র নজরুল কোরেশীকে ফোন করবেন বলে ভেবেছেন। তাকে একটা জরুরি কথা জিজ্ঞেস করা দরকার। সবাই বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে গেছে। এর মানে কি? উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড়ানো মানেই তো স্বাবলম্বী হওয়া। অন্যের মুখাপেক্ষি নয়। নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করা। বাংলাদেশ কী আদৌ সেই জায়গায় উঠে গেছে? কথাগুলো ভাবতে গিয়ে দেশের অনেক সাফল্যের চিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠলো। বাংলাদেশ আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। জীবন-মানের উন্নতি হয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। বাংলাদেশ তার নিজের টাকায় পদ্মা সেতুর মতো একটা বড় সেতু নির্মাণ করছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে একাধিক ফ্লাইওভার হয়েছে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরে মাথার উপর দিয়ে রেল চলাচলের অবকাঠামো নির্মাণযজ্ঞ চলছে বেশ জোরেশোরে। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অর্জন অনেক। কিন্তু এতেই কি বলা যায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে গেছে? অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার নিয়েই তো মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখে। তার সাথে যুক্ত হয় নিরাপত্তা। প্রথম ৪টি অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যতটা এগিয়ে আছে ততটাই পিছিয়ে আছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে। চিকিৎসার্থে বিদেশযাত্রা এরকম হেডলাইন প্রায় প্রতিদিনই প্রচার মাধ্যমে দেখা যায়। যে দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়, সেই দেশকে কি উন্নয়নশীল দেশ বলা যায়?

সোবহান সাহেবের বয়স হয়েছে। সামনের এপ্রিলে ৭৫ বছরে পা দিবেন। মরে যাওয়ার আগে দেশটাকে আরও উন্নত দেখতে চান। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধা। দেশটাকে তিনি অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছেন। সামনের বছরগুলোতে আরও বহু সাফল্যে দেশকে গর্বিত করতে চান। সোবহান সাহেব মনে মনে সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা করলেন—ইয়া মাবুদ তুমি আমাদের দেশটাকে আরও উন্নত করে দাও...। এই কথা ভাবতে গিয়ে সোবহান সাহেবের মনে হলো তিনি কাউকে ফোন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তার নাম মনে করতে পারছেন না। তাহলে কি স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে? কয়েকদিন আগে একটি দৈনিক পত্রিকায় পড়েছেন হতাশায় নাকি স্মৃতিশক্তি কমে? এতদসংক্রান্ত একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরে পত্রিকাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে “হতাশা মানুষের মন ও শরীরে নেতিবাচকক প্রভাব ফেলে। হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি লোপ পায়।”

গত কয়েকদিন ধরে সোবহান সাহেব সত্যি সত্যি হতাশ বোধ করছেন। ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে গেছে’ এই সংবাদ জানার পর থেকে যেমন আনন্দ পাচ্ছেন, তেমনই হতাশাও বোধ করছেন। হাতাশ হবার কারণ, এ নিয়ে নানাজনে নানা কথা বলছে। পাশের বাসায় খলিল সাহেব ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন—‘ভাই খুব তো উন্নয়নশীল দেশের কথা বলতেছেন। এবার কিন্তু ভাই আর ভিক্ষা পাবেন না। চলবেন কি করে?’ খলিল সাহেবের কথা শুনে মনে মনে রেগে উঠেছিলেন সোবহান সাহেব। এই লোক বলে কি? সারা জীবন কি আমরা ভিক্ষা করতেই থাকবো! এটা কোন ধরনের মানসিকতা? খলিল সাহেবের সাথে কথা শেষ করার পরপরই কেন যেন এক ধরনের হতাশা জেঁকে ধরে সোবহান সাহেবকে। আবারও মনে একই প্রশ্নের উদয় হয়, উন্নয়শীল দেশ মানে তো নিজের পায়ে দাঁড়ানো। অন্যের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য না নেওয়া। তার মানে বাংলাদেশকে নিজের টাকায় চলতে হবে। পারবে বাংলাদেশ?

একথা ভাবতে গিয়ে হঠাৎ নজরুল কোরেশীর কথা মনে পড়ে গেল! তাকেই ফোন দিবেন বলে ভেবেছিলেন। প্রিয় ছাত্রকে ফোন করলেন সোবহান সাহেব। সাথে সাথেই ফোন ধরলো নজরুল। সোবহান সাহেবকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো স্যার কেমন আছেন?

হাতাশা প্রকাশ করলেন সোবহান সাহেব, আছি এক রকম। শোনো তোমাকে যে জন্য ফোন করেছি...

বলেন স্যার...

সোবহান সাহেব একটু ভেবে নিয়ে বললেন, আচ্ছা, তুমি আমাকে একটা বিষয়ে ক্লিয়ার করো তো...

কি বিষয়ে স্যার? বলেন...

সোবহান সাহেব জানতে চাইলেন বাংলাদেশ কি এখন থেকে উন্নয়নশীল দেশ?

নজরুল কোরেশী বলল, না না, এখনই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ বলা যাবে না।

তাহলে যে আমরা খবরটা সেলিব্রেট করলাম? আসল ঘটনা আমাকে বুঝিয়ে বলোতো...

নজরুল কোরেশী ভেবে নিয়ে বলল, স্যার, ব্যাপারটা আপনাকে সহজ করে বলি... বাংলাদেশ এতদিন ছিল স্বল্পোন্নোত দেশ?

সোবহান সাহেব বললেন, রাইট।

নজরুল বলল, কোনো দেশ যদি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যেতে চায় তখন সেই দেশকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। বাংলাদেশ সেই শর্তগুলো পূরণ করতে পেরেছে বলেই জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি এ ঘোষণা সংক্রান্ত একটা চিঠি বাংলাদেশকে দিয়েছে। চূড়ান্তভাবে এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে আরও ছয় বছর দেশের বর্তমান উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এরপর ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে  আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিলবে।

নজরুল কোরেশীর কথা শুনে সোবহান সাহেব আগ্রহভরে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি মনে হয়? বাংলাদেশ কি সত্যি সত্যি উন্নয়নশীল দেশ হতে পারবে?

নজরুল কোরেশী মৃদু হেসে বলল, আমি তো এমনটাই স্বপ্ন দেখি স্যার। বাংলাদেশকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।

তুমি সত্যি বলতেছ?

জি স্যার... আপনি কি ফেসবুকে অ্যাকটিভ?

কেন বলো তো...?

আমি একটা ভিডিও পাঠাচ্ছি। ভিডিওটা দেখেন, তাহলে আপনিও সাহস পাবেন!

নজরুল কোরেশী ফোন কেটে দিল। সোবহান সাহেব তার আদরের নাতিকে ডাক দিলেন। ওর নাম বিপ্লব। কলেজে পড়ে। পাশের ঘরে টিভিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাই পর্বের খেলা দেখছিল। সোবহান সাহেব ডাক দিতেই দৌড়ে এলো। নাতির হাতে মোবাইল তুলে দিয়ে সোবহান সাহেব বললেন, ফেসবুকে নজরুল কোরেশী নামে আমার এক ছাত্র একটা ভিডিও পাঠাবে। ভিডিওটা বের কর।

ফেসবুকে ঢুকতেই নজরুল কোরেশীর টাইম লাইনে ভিডিওটা পাওয়া গেল। স্বাধীনতার ৪৭ বছর উপলক্ষে জনসচেতনতামূলক একটি ভিডিওচিত্র পাঠিয়েছে নজরুল। মোবাইলে ভিডিওটা অন করেই অবাক হয়ে গেলেন সোবহান সাহেব। ভিডিওতে কিছু মানুষকে দেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে। সকলেই নেতিবাচক কথা বলছেন! ব্যস্ত রাস্তার ওপর দাঁড়ানো এক বৃদ্ধ শ্রমিক বললেন, দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি। ব্যবসায় আয় নাই... কয়েকদিন পর পর সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ায়। এইটা তো ঠিক না। একটি মেয়ে বলল, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় পাখির মতো মানুষ মারা যাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। ইভটিজিং তো আছেই...। একজন তরুণ বলল, রাস্তায় দীর্ঘ যানজট জীবনযাত্রা স্থবির করে দিয়েছে। একজন নারী বললেন, এই দেশে মেয়েরা এখনও স্বাধীনতা পায়নি। একজন পুরুষ বললেন, যানজটের উন্নতি নাই। লেখাপড়ার উন্নতি হচ্ছে না! অন্য একজন নারী বললেন, নারী নির্যাতন, বেকার সমস্যা বেড়েই চলছে। একজন পুরুষ বললেন, চাকরি নিতে গেলে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়...। একজন তরুণ বলল, সন্ধ্যার পর বাসে মেয়েরা উঠলে অনেক সময় বিড়ম্বনার শিকার হয়। আরেকজন তরুণ বলল, ইদানীং স্কুলের পরীক্ষায়ও প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে...। অন্য একজন তরুণ বলল, এই দেশে গরিবের কোনো মূল্য নাই...।

এই পর্যন্ত দেখে ভিডিওটা বন্ধ করে দিলেন সোবহান সাহেব। তার মেজাজ বিগড়ে গেছে। নজরুল কোরেশী তার কাছে কেন এই ভিডিওচিত্র পাঠালো বুঝতে পারছেন না। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সাথে এই ভিডিওর সম্পর্ক কি? সবই তো নেতিবাচক কথাবার্তা। নজরুল কোরেশীকে ফোন দিলেন। নজরুল কোরেশী ফোন ধরতেই মৃদু ধমক দিলেন সোবহান সাহেব—নজরুল তুমি আমার কাছে এইটা কি পাঠাইছ? এই ভিডিওর সাথে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সম্পর্ক কি?

নজরুল মৃদু হেসে জানতে চাইল, স্যার আপনি কি পুরো ভিডিওটা দেখেছেন?

সোবহান সাহেব বললেন—না, পুরো ভিডিও তো দেখার প্রয়োজন মনে করতেছি না। সবই তো নেতিবাচক কথা!

নজরুল আগের মতোই মৃদু হেসে বলল, স্যার আপনি কষ্ট করে পুরো ভিডিওটা আগে দেখেন, তারপর না হয় আমরা কথা বলি...।

অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হয়ে গেলেন সোবহান সাহেব। বিপ্লব আবার ভিডিওটা চালু করে দিল। ভিডিওতে দেখা গেল জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের পতাকা আঁকা একটি পোস্টার হাতে নিয়ে একটি মেয়ে ইতিপূর্বে দেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ হওয়া লোকদের সাথে আবার কথা বলছে।

মেয়ে (সবার উদ্দেশে) এতক্ষণ তো দেশের ওপর অনেক ক্ষোভ ঝারলেন। এই যে আপনাকে ৫০০ টাকা দিচ্ছি। এই পোস্টারটা ছিঁড়ে ফেলুন। নিশ্চয়ই আপনার রাগ কমবে!

পোস্টারটি দেখে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আগের ক্ষুব্ধ তরুণদের একজন বলল, এটা আমি পারব না। কারণ, আমি আমার দেশকে অনেক ভালোবাসি...।

অন্য একজন তরুণ গভীর মমতায় পোস্টারটির দিকে তাকিয়ে বলল, এখানে আছে আমার দেশের মানচিত্র। স্মৃতিসৌধ। এটা আমি ছিঁড়তে পারি না। একজন বৃদ্ধ বললেন, এই পোস্টারে তো আমার কলিজার টুকরা আছে। কি করে ছিঁড়বো! অন্য একজন তরুণ বলল, এই পোস্টারে কি আছে জানেন? আমার দেশ আছে। কাজেই এই পোস্টার আমি ছিঁড়তে পারি না। কখনও না। বলেই সে পোস্টারটিতে চুমু খেলো। অন্য একজন তরুণী পোস্টারটা বুকের মাঝে জড়িয়ে নিয়ে বলল, এটা আমার দেশ। ৫ হাজার কোটি টাকা দিলেও আমি এটা ছিঁড়তে পারব না। একজন পুরুষ পোস্টারটা হাতে নিয়ে বললেন, এটার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। মা-বোনেরা ইজ্জত দিয়েছে। এটা আমি ছিঁড়তে পারব না। আরেকটি মেয়ে বলল, আমার সোনার বাংলাকে আমি অনেক ভালোবাসি... আমি ছিঁড়বো কেন আপু! আরেকজন তরুণ বলল, টাকার বিনিময়ে দেশ পাওয়া যায় না। রক্ত দিয়েই তবে দেশ  পেতে হয়। এই পোস্টারই তো আমার দেশ। আমি ছিঁড়বো কেন? আরেকজন তরুণ বলল, আপা এইটা কি বলতেছেন আপনি! এই পোস্টারে তো আমার দেশের ছবি আঁকা। দেশকে কি কেউ ছিঁড়ে ফেলে! একথা বলেই পোস্টারটি পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে নিলো সেই তরুণ।

আনন্দে সোবহান সাহেবের চোখে পানি এসে গেছে। ডান হাত দিয়ে চোখে মুছতে মুছতে কান্না থামিয়ে নজরুলকে আবার ফোন দিলেন। সাথে সাথে ফোন ধরল নজরুল, স্যার বলেন...

সোবহান সাহেব এবার কান্না সামালাতে পারলেন না। আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, নজরুল তুমি একটা ভালো জিনিস দেখাইছ আমাকে! যে দেশের মানুষ দেশকে এত ভালোবাসে সেই দেশ শুধু উন্নয়নশীল নয়, একদিন উন্নত দেশ হবেই হবে...। দেখে নিও তুমি...।

লেখক:  নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক, সম্পাদক আনন্দ আলো

/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ