X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের রাজনীতি কোন পথে

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী
০৩ মে ২০১৮, ১৫:০৮আপডেট : ০৩ মে ২০১৮, ১৫:০৯

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী অনেকে একাদশ নির্বাচন হবে কী হবে না তা নিয়ে সংশয়ে আছে। কিন্তু আমার মনে হয় নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে কোনও সংশয় নেই। বিএনপি আসুক বা না আসুক নির্বাচন হবেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো ২ মে সংবাদ সম্মেলনে বলেই দিয়েছেন, কোনও দল নির্বাচনে আসবে কী আসবে না, এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তারা কোনও দলের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারেন না।
কথা তো সত্য। বিএনপি নির্বাচনে যাবে কী যাবে না সিদ্ধান্ত তাদের। সে ‘দলীয় অধিকার’ নিয়েই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের নেতা আমরা নির্বাচিত করেছি। তাকে যোগ্য নেতা বলেই আমরা তাকে নির্বাচিত করেছি। এটাতে আপনাদের বলার কিছু নেই, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ দণ্ডিত ব্যক্তি তারেক জিয়াকে ভারপ্রাপ্ত দলীয় প্রধান করার প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করেছিলেন।
সাধারণ নির্বাচনের আর মাত্র ৮ মাস বাকি। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগ গত দশ বছর দেশ খারাপ চালায়নি। বাঘা বাঘা উন্নয়নের কাজে তারা হাত দিয়েছে এবং কিছু এমন সমস্যা সমাধান করেছে যা অতীব প্রয়োজনীয় ছিল অথচ সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল, কোনও সরকারই তা সমাধানের কোনও উদ্যোগ নেননি।

ছিটমহল বিনিময় ও সীমান্ত চিহ্নিতকরণ সমস্যাটা ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির পরও ৪২ বছর ঝুলে ছিল। শেখ হাসিনার সরকার ও নরেন্দ্র মোদি বিষয়টা চূড়ান্ত করেছেন। সীমান্ত সব সময় অবিতর্কিত থাকা ভালো। বিতর্কিত সীমানা নিয়ে উভয় রাষ্ট্রের মাঝে সংঘাত-সংঘর্ষ হয়। চীন আর ভারত তাদের সীমান্ত নিয়ে গত ৭০ বছরের কোনও সর্বসম্মত মীমাংসায় পৌঁছতে পারেনি। বারে বারে তারা উভয় রাষ্ট্র যুদ্ধের সম্মুখীন হয়।

শেখ হাসিনার সরকারের বড় কৃতিত্ব হলো বঙ্গোপসাগরের সীমানা নির্ধারণ। এ সাগরের জলসীমার দাবিদার বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার। শেখ হাসিনার সরকার সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের ব্যাপারে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার ভাগ্য ভালো ভারত দ্বিপক্ষীয় বিষয় বলে আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশের ওপর কোনও চাপ প্রয়োগ করেনি, অথচ জিয়াউর রহমান ফারাক্কা ইস্যু নিয়ে যখন জাতিসংঘের গিয়েছিলেন তখন চাপ খেয়ে দু-মাসের মাথায় জাতিসংঘ থেকে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নিয়ে এসেছিলেন। সেই ফারাক্কার ত্রিশ বছরের পানি চুক্তিও করেছে শেখ হাসিনার সরকার।

শেখ হাসিনার সরকার শেষ পর্যন্ত আদালতের ফায়সালা নির্বিঘ্নে নিয়েছেন। ভারত আর মিয়ানমার সরকার আদালতের সিদ্ধান্তও মেনে নিয়েছে। এখন বাংলাদেশ সমুদ্রে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত একটা এলাকার মালিক, আর এই এলাকাটার পানির নিচে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ মজুত রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

নীরবে একটা বিপ্লব ঘটে গেছে বাংলাদেশে। এ বিপ্লব তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব। সহসা স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছে স্পেস এক্স-এর রকেট ফ্যালকন-৯। এর সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ। যাক, আরও বহু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে যেগুলো সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বাংলাদেশের ললাট হয়ত ফিরে যাবে। ক্রমান্বয়ে একটার পর একটা কাজ সরকার করে যাচ্ছে, পরিপূর্ণভাবে একটা জাতির বিকাশের জন্য যা যা প্রয়োজন।

২.

একটা সফল সরকার নির্বাচন মোকাবিলা করতে কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগার কথা নয়। কিন্তু সবাই নিঃসন্দেহে বলতে পারছে না যে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসবে কী আসবে না। তার কারণ দুইটা। প্রথম কারণ হচ্ছে একটা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা আর দ্বিতীয় কারণটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের বাড়াবাড়ি, যার কারণে জনগণ যথেষ্ট পরিমাণে বিরক্ত হয়েছে। তাদের বাড়াবাড়িতে দেশে সুশাসনও বিঘ্নিত হয়েছে।

তৃতীয় কারণ হচ্ছে সমগ্র জাতি ধীরে ধীরে নৈতিক চরিত্র হারিয়ে ফেলছে। যাকে যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সে সেখানে লুটতরাজের বাজার বসাচ্ছে। আবার কেন যেন সমগ্র জাতির মাঝে একটা অস্থিরতার ভাব বিরাজ করছে। ছেলে মাকে হত্যা করছে, বাবা ছেলেকে হত্যা করছে, যুবতী মেয়েকে কয়েকজন মিলে শ্লীলতাহানির পর হত্যা করে ফেলে দিচ্ছে, পরকীয়া প্রেমে জড়িত হয়ে গৃহবধূ নিজ সন্তানকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছে। এ এক অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা চলছে দেশব্যাপী।

অনুরূপ উন্মাদনার কারণে সাধারণ নিরীহ মানুষ অসহায়ত্ব অনুভব করছে। আবার এ জন্যও সরকার অজনপ্রিয় হচ্ছে। সাধারণ অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ যেকোনও সরকারের পক্ষে এসব ধরনের উন্মাদনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। কারণ, সরকার ঘরে ঘরে পাহারা বসাতে পারে না। অথচ সরকার পথভ্রষ্ট ইসলামপন্থীদের দুর্বৃত্তায়নের  হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সফলকাম হয়েছে। উন্নয়নের অগ্রগতিতে দেশ পিছিয়ে নেই। মানুষের সার্বিক আর্থিক অবস্থাও খারাপ নয়। না খেয়ে থাকার কোনও হাহাকার নেই কোনোখানে।

ভারতের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন, এ বছর প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ নাকি ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। অবশ্য অনেকের অভিযোগ প্রবৃদ্ধি যেভাবে বাড়ছে সে হারে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। সেটা প্রবৃদ্ধির দোষ নয়। গ্যাস-বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করতে না পারলে শিল্প গড়ে উঠবে কীভাবে? রূপপুর আণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাদারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে বিদ্যুতের অভাব আর থাকবে না। তরল গ্যাস সরবরাহের চুক্তি হয়েছে কাতারের সঙ্গে। প্রথম চালান নিয়ে এ সপ্তাহে জাহাজ এসেছে। সুতরাং গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাব মিটে গেলে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা শিল্প গড়ে তোলার কাজে এগিয়ে আসবেন।

১০০ ইপিজেড প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ভূমি অধিগ্রহণ করে উন্নয়নের কাজ করছে। সুতরাং আগামী কিছু দিনের মাঝে চাকরি সৃষ্টি হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এ জন্যই আগামী নির্বাচন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলে হয়তো উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হবে।

৩.

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের অধীনেই নির্বাচন হবে। জাতীয় পার্টি ঘোষণা দিয়েছে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু বিএনপি এখনও কোনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কী করবে না। গত ফেব্রুয়ারিতে এক দুর্নীতি মামলায় বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলে আছেন এবং অসুস্থ। বিএনপি এমন কোনও জোরদার আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারেনি তার মুক্তির জন্য। সুতরাং কোর্টের ওপরই নির্ভর করছে তার জামিনে মুক্তির বিষয়টি।

সম্ভবত ভারত নির্বাচনের ব্যাপারে উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করছে। ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটা প্রতিনিধিদল ভারত সফর করেছে। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পররাষ্ট্র সচিব উপস্থিত ছিলেন। শুনছি এখন নাকি বিএনপির প্রতিনিধি দল যাবে।

সম্ভবত এই কারণে সদা বক্তব্য দিতে প্রস্তুত রিজভী ওবায়দুল কাদেরের সফরকে কটাক্ষ করে কিছু বলেননি। আমাদের রাজনীতিবিদেরা একটা খারাপ সংস্কৃতি চালু করেছে। আওয়ামী লীগ বিএনপির মাঝে কোনও বিষয়ে মতানৈক্য হলে তা মেটানোর জন্য বিদেশিদের দ্বারস্থ হতে হয়। একবার তো অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন গভর্নর জেনারেল ন্যানিয়ান এসেছিলেন। তিনিও বিরোধ মীমাংসায় ব্যর্থ হয়েছিলেন।

বিএনপির জনসমর্থন রয়েছে। তারা সব সময় আওয়ামী লীগের ভালো প্রতিপক্ষ। এবার কিন্তু নেতৃত্বের প্রশ্নে বিএনপির হতাশা রয়েছে। কারণ, বেগম জিয়ার জেল হয়েছে একটা দুর্নীতি মামলায়। এখন তিনি জেলে আছেন, তার মুক্তির বিষয়ে দল আইনি লড়াই চালাচ্ছে। কিন্তু সহজে জামিনে মুক্ত হবে বলে মনে হয় না। হয়ত তার অসুস্থতা আরও বেড়ে গেলে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারে।

অবশ্য সে ব্যাপারে সরকারের সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন তার অবস্থা গুরুতর। তিনি যেকোনও সময় প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারেন। আর চোখও নাকি নষ্ট হয়ে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। দলের চেয়ারম্যানের এ অবস্থা আবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ারও এ পর্যন্ত দুটি মামলায় ১৭ বছরের জেল হয়েছে।

গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হবে আগামী জুন মাসের মাঝে। রাষ্ট্রপক্ষ সকল আসামির চূড়ান্ত দণ্ড প্রার্থনা করেছেন। মামলাটাতে বিএনপি সরকারের বিশেষ করে তারেক জিয়া, যিনি হাওয়া ভবন থেকে বকলমে রাষ্ট্র চালাতেন, তার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে হয়। সুতরাং তার মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া বিচিত্র নয়।

এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দলের ভিত্তিও দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। সবকিছুই হবে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে। সুতরাং বলা যায় আগামীতে বিএনপির জন্য মহাসংকট অপেক্ষা করছে। এ সংকটে দল হয়তো নির্বাচন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তও নিতে পারে। অবশ্য অনুরূপ সিদ্ধান্ত হবে বিএনপির জন্য আত্মঘাতী। এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে দলটাকে টিকে থাকতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই হবে উত্তম সিদ্ধান্ত।

আপাতত বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়ার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বে দেউলিয়াত্ব দেখা দিলেও বর্তমান নেতৃত্ব ধীরে ধীরে অগ্রসর হলে সে দেউলিয়াত্বের অবসান হবে। এবং টিকে থাকার প্রচেষ্টা তারা অব্যাহত রাখলে বিএনপি মর্যাদাপূর্ণ অস্তিত্বের অধিকারী হবে।

এরশাদ অশীতিপর বৃদ্ধ, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ, মুক্ত হয়ে এলেও নির্বাচনে মাঠ চষে বেড়ানোর মতো তার শারীরিক যোগ্যতা আর নেই। শেখ হাসিনাই এখন সুস্থ-সবল নেত্রী। তিনি অদম্য সাহসীও। জাতিকে একটা কথা স্মরণে রাখতে হবে, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে না এলে বাংলাদেশ হতো ভারতের আশ্রিত সোভিয়েতপন্থী কমিউনিস্টদের শাসিত একটা দেশ। বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে তার সাহসী পদক্ষেপের কারণে তা হতে পারেনি। বর্তমান নেতাদের মাঝে শেখ হাসিনার সে শৌর্যবীর্য রয়েছে। দেখা যাক একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ কাকে বেছে নেয়।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক

[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
আশরাফুলের হ্যাটট্রিকে আবাহনীর টানা ৮ জয়
আশরাফুলের হ্যাটট্রিকে আবাহনীর টানা ৮ জয়
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ