X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইমরান খান এবং বাংলাদেশ

আনিস আলমগীর
৩১ জুলাই ২০১৮, ১৭:০৩আপডেট : ৩১ জুলাই ২০১৮, ১৮:২৮

আনিস আলমগীর ইমরান খান আমাকে সন্ধ্যায় সাক্ষাৎকার দিবেন। সবকিছু চূড়ান্ত। কিন্তু সময়মত তার তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি অফিসে গিয়ে জানতে পারি সাক্ষাৎ বাতিল। ঘটনা ২০০২ সালের অক্টোবরে। জেনারেল পারভেজ মোশাররফ রক্তপাতহীন ক্যু’র মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে ক্ষমতা দখল করার পর প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচন দিলে সেটি কাভার করার জন্য দৈনিক আজকের কাগজ-এর হয়ে আমি তখন ইসলামাবাদে।
নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এরমধ্যে পিপিপি নেতা মাখদুম আমিন ফাহিম (শিল্পী রুনা লায়লার বড় বোন দীনা লায়লার স্বামী, বর্তমানে প্রয়াত), নির্বাচনের পর যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সেই জেনারেল মোশাররফের সমর্থপুষ্ট মুসলিম লীগ (কিউ) নেতা জাফরউল্লাহ জামালির সাক্ষাৎকার নিয়েছি। ইমরান খানের দল পিটিআই তখন হাঁকডাক অনেক করলেও দল থেকে একমাত্র এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তিনি বড়মাপের রাজনীতিবিদ না তখনও, কিন্তু বড়মাপের তারকা, তাই আগ্রহ ছিল তার সাক্ষাৎকারটি নেওয়ার।
আমার পাকিস্তানি সাংবাদিক বন্ধু, যে সাক্ষাৎকারটি নির্ধারণ করেছিল, সেও হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। বললো, ইমরান খান এমনই। তুমি যদি সাদা চামড়ার হতে (পশ্চিমা সাংবাদিক) সে দুপুর থেকে বসে থাকতো। ইমরান ১৯৯৬ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করলে দ্বিদলীয় রাজনীতির চাপে পড়া পাকিস্তানিরা তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল তখন থেকেই। কিন্তু স্থানীয় প্রেসের সঙ্গে তার আচরণ মধুর ছিল না, প্রেসফ্রেন্ডলি ছিলেন না তিনি। আমি হতাশ হলেও খুব রাগ করিনি। আমাকে বাংলাদেশী হিসেবেও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছিল হয়তো তার। বাংলাদেশী সাংবাদিকরা পাকিস্তানের রাজনীতিকদের জন্য একটু বিব্রতকরই।

একটা ঘটনা বলি, এর আগে ২০০১ সালের জুলাই মাসে বাজপেয়ী-মোশাররফের আগ্রা বৈঠক শেষে পাকিস্তানি সাংবাদিক দলের সঙ্গে ভারত থেকে আমিও ইসলামাবাদে যাই। আগ্রার ব্যর্থ বৈঠক থেকে ফিরে পরদিন ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল মোশাররফ যখন কাশ্মিরের স্বাধীনতা স্বাধীনতা করছিলেন এবং পাক-ভারতের মধ্যে কাশ্মিরকে ‘কোর ইস্যু’ বানিয়ে শীর্ষ সম্মেলন পণ্ড করেছিলেন, তখন তাকে প্রশ্ন করেছিলাম-১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামটা কী স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল না, যেখানে আপনারা নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর সেনা লেলিয়ে অত্যাচার করেছিলেন? বলার অপেক্ষা রাখে না, মোশাররফ চরম বিব্রত হয়েছিলেন এই প্রশ্নে। সেটাই ভারতীয় মিডিয়ায় অন্যরকম খবর হয়েছিল।

প্রেস কনফারেন্সটি লাইভ চলছিল পাকিস্তানের সরকারি টিভিতে আর আর ভারতের স্টার নিউজে। দিল্লি থেকে ভারতীয় মিডিয়ার সে খবর বাসস পরিবেশন করলে ঢাকায় ডেইলি স্টারও প্রকাশ হয়েছিল। ওই ঘটনা আবার ঢাকা-ইসলামাবাদের তৎকালীন ‘মধুর সম্পর্কে’ বিরাট আলোচনার বিষয় ছিল। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইসলামাবাদ মিশন আমাকে সেখানে হালকা-পাতলা পাকড়াও করেছিল সব ঘটনা জেনে রিপোর্ট করতে। আর পাকিস্তানি আমলারা আমাকে এমনই চিহ্নিত করেছিল, এরপর নানা সময়ে কয়েক দফা পারভেজ মোশাররফের সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হলেও প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়নি। মোশাররফ অবশ্য ঢাকা সফরকালে আমাকে দৈনিক আজকের কাগজের জন্য একবার সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। স্বীকার করছি মোশাররফ প্রেসের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেতেন না।

যাক, বলতে চাচ্ছি পাকিস্তানি নেতারা ১৯৭১ সালের বাঙালি নিধনের জন্য অনুতপ্ত, আবার প্রকাশ্যে সেটা বলতেও পারেন না অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে। পারভেজ মোশাররফ এবং নওয়াজ শরীফও সে রকম অনুতপ্ত ছিলেন, ঢাকায় এসে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কিন্তু প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সাহস দেখাতে পারেননি। কারণ, তাদের সেনাবাহিনীর ভয়। বেনজীর ভুট্টো এ বিষয়ে মুখই খোলেননি। কারণ, ১৯৭১ সালের জন্য তার বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টোর দায় এড়ানো সম্ভব না। বরং সেনাবাহিনী তার বাবার ক্ষমতা লিপ্সাকেও ’৭১-এর পরিণতির জন্য দায়ী করে।

অবশ্য কিতাবি কথা ধরলে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে পাকিস্তান একাত্তর প্রশ্নে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে অনেক আগেই। ২০০৮ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার আলমগীর বাবর আমাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ১৯৭৪ সালে ৯ এপ্রিল নতুন দিল্লিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে এটা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে লেখা আছে, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সহায়তা করতে অতীতের ভুলগুলো ক্ষমা করার এবং ভুলে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। একইভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও ১৯৭১ সালে  বাংলাদেশে যে হত্যাযজ্ঞ ও লুণ্ঠন হয়েছে তা ভুলে জনগণকে নতুন করে যাত্র শুরু করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেখাতে হবে বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমা করতে জানে।”

যাক, পাকিস্তানি শাসকদের একাত্তর নিয়ে মনোভাব আমরা অনেকে জানি। এই ইস্যুতে ইমরান খানের মনোভাব বলার আগে তাকে নিয়ে একটা প্রচলিত ভুল পাঠকদের কাছে ক্লিয়ার করা দরকার মনে করছি। বলা হয় তিনি ’৭১ সালের বাঙালি হত্যার বর্বরতার সেনানায়ক জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর ভাইপো। কথাটা একেবারেই সত্য নয়। পাকিস্তানেও ইমরানকে ঘায়েল করার জন্য তার প্রতিপক্ষ এটা বলে থাকে এবং তার নামকে ইমরান খান নিয়াজী বলে লিখে, যদিও ইমরান তার বাল্যনাম ইমরান আহমেদ খান নিয়াজী হলেও শুধু ইমরান খান লিখেন এবং বলেন। তার উপজাতি পদবি ‘নিয়াজী’ ব্যবহার করেন না। প্রকৃতপক্ষে তারা দুজনই পশতুন উপজাতির লোক, যারা প্রধানত পাঞ্জাবের মিয়াওয়ালি জেলার বাসিন্দা। তারা পশতুন-পাঠান হলেও পশতু ভাষায় কথা বলেন না। তাদের ভাষা সেরাইকি। ইমরান এবং জেনারেল নিয়াজী একই ট্রাইবের অংশ হলেও তাদের মধ্যে কোনও রক্তের সম্পর্ক নেই।

ইমরান খান সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ব্যাড ইমেজের লোক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে তার বিরূপ মন্তব্যের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকেও একাত্তরের ভিলেন হিসেবে দেখা হয়। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী জামাতি আর পাকিস্তানি জামাতিরা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে যেভাবে মিথ্যাচার করেছিল, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও বিপুল টাকা ব্যয়ে দেশি বিদেশি মিডিয়ার মাধ্যমে তেমন মিথ্যাচার করেছে। আর দুনিয়াজুড়ে এই বিচারকে বিতর্কিত করার ক্ষেত্রে অনেকটা সফল হয়েছে। পাকিস্তানি অনেক রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার পাকিস্তানপ্রেমী ইসলামিমনা বাংলাদেশীদের ধরে ধরে বিচার ছাড়া ফাঁসি দিয়ে দিচ্ছেন। এই ভাবনা থেকে ইমরান খানও ব্যতিক্রম নন।

কিন্তু ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা ইমরানের ভিডিও ক্লিপসগুলো শুনলে বুঝতে পারবেন ১৯৭১ সালের সেনা নির্যাতনের জন্য ইমরান খান কতটা অনুতপ্ত। দুটি ঘটনা তিনি প্রায় উল্লেখ করেন। একাত্তরে তিনি লন্ডনে পড়াশোনা করছিলেন। যুদ্ধের সময় তার বিশ্বাস ছিল সেনাবাহিনী ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, দেশের জন্য কাজ করছে পূর্ব পাকিস্তানে। কিন্তু যুদ্ধের দুই বছর পর তার এক বাঙালি বন্ধু তাকে নানা প্রমাণ দিয়ে যখন দেখিয়েছেন সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে কী নারকীয় কাণ্ড করেছে- তখন তিনি বুঝতে পেরে দুঃখিত হয়েছেন। অনুতপ্ত হয়েছেন।

আরেকবার আশির দশকে ইমরান খান ভারতের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে এসেছিলেন ঢাকায়। তার ভাষায়, খেলার পুরো সময় মাঠে দর্শক সমর্থনে তার মনে হয়েছে তারা লাহোরের মাঠে খেলছেন। বিজয়ের পর ৫ কিলোমিটার পথে বাঙালিরা তাদের ফুল ছিটিয়েছে এবং পাকিস্তান জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে। ইমরান সেদিনই মনে কষ্ট পেয়ে ভেবেছেন, এই লোকগুলো আমাদের ভাই, আমাদের নাগরিক, আমাদের এতো ভালোবাসে, আর আমরা কিনা ’৭১ সালে তাদের হত্যা নির্যাতন দমন করেছি। যেমনটা আমরা এখন বেলুচিস্তানে করছি, কলোনির মতো আচরণ করছি তাদের সঙ্গেও। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যেকোনও গোলযোগ থামাতে এখনও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সেনা অভিযান পরিচালনা করে, যেটি অত্যন্ত ভুল পলিসি। বারবার সেটা প্রমাণিত। আমি সব সময় এর বিরুদ্ধে।

যাক, ইমরান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে। তার ইচ্ছে ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তিনি শপথ নেবেন, যদিও কোয়ালিশনের রূপ কি হবে তা এখনও পরিষ্কার না। তার দল সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৭ আসন পায়নি, ১১৭ আসন পেয়েছে। ক্ষমতা পেয়ে ইমরান খান বিদেশ নীতি নিয়ে কী করবেন এখনও বলা মুশকিল। কারণ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী পররাষ্ট্র ও দেশরক্ষা বিষয়ে তাদের কথার বাইরে সরকারকে চলতে দেয় না। আফগানিস্তানে আমেরিকা এখনও উপস্থিত। চিরশত্রু ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখনও বৈরী। ভারত বলছে, সন্ত্রাসে মদতদান থামাও।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে এখন তাদের সম্পর্ক চরম শীতল। তিনি কী পারবেন ৭১ সালে পাকিস্তানিদের হত্যা-লুণ্ঠনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা করে দু'দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিতে, যেটি এতদিন পরেও পাকিস্তানি শাসকরা নিতে পারেননি। সার্ক সম্মেলন করতে পারছে না তারা বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ নেতারা পাকিস্তান সফরে অনাগ্রহী বলে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ইমরানের সময় কেমন হতে পারে এই নিয়ে তাই নানা আলোচনা। আশঙ্কা, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশে পুনরায় তাদের তৎপরতা জোরদার করা শুরু করে কিনা। যদিও সেটা সম্ভব না। কারণ, বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সমাসীন রয়েছে।

লেখা শেষ করবো একটা কথা বলে, ইমরান খান সেনা শাসকদের হাত ধরে হয়তো ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু তার এই আসা একদিনে হয়নি। পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং পিপলস পার্টির মতো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক রাজবংশের বাইরে নিজেকে তৃতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তার ২২ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। ইমরান খান তার রাজনৈতিক কর্মজীবনের ভিত্তি তৈরি করেছেন- বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে। পাকিস্তানে নিজের মায়ের নামে প্রথম ক্যানসার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার খ্যাতিও রয়েছে তার, তাও রাজনীতিতে প্রবেশের আগে। তার নিজের শহর লাহোরের পর পেশোয়ারে খুলেছেন দ্বিতীয় শাখা এবং করাচিতে সেই হাসপাতাল ও রিচার্স সেন্টারের তৃতীয় শাখা খুলতে যাচ্ছেন সহসা। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী তাকে সমর্থন করেছে তখনই যখন দেখেছে তিনি প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হতে পেরেছেন।

লেখক: সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক

[email protected]

/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বিজেএমসির চেয়ারম্যানসহ তিনজনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক
রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির অভিযোগবিজেএমসির চেয়ারম্যানসহ তিনজনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক
একনেকে ১১পি প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ১১পি প্রকল্প অনুমোদন
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ বিষয়ে যা বলছে ইউনূস সেন্টার
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ বিষয়ে যা বলছে ইউনূস সেন্টার
বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ