X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

২১ আগস্ট: আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাতেই জোট সরকারের ঘৃণ্য রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড

আশরাফ সিদ্দিকী বিটু
২১ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৫৩আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৮, ২২:২৮

আশরাফ সিদ্দিকী বিটু আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস। বাংলার আকাশ যেন এই মাসে কালো মেঘে ঢেকে থাকে। আগস্ট মাস জুড়ে বাঙালির মনকে চিরবেদনা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোররাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একইসঙ্গে হত্যা করা হয় তাঁর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের। ১৫ আগস্টের সেই কালরাতে ছোট্ট রাসেলকেও খুনিরা রেহাই দেয়নি, মানবতা সেদিন থমকে গিয়েছিল। ঠিক ২৯ বছর পর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যেশে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ষড়যন্ত্র ও নীল নকশার আয়োজন যা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পরিচালনা করা হয়।
২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনের পরপরই বিএনপি-জামাত সারাদেশে হত্যাকাণ্ড শুরু করে। আর নীলনকশার বাস্তবায়ন শুরু করেছিল মায়ের কোলের শিশু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, পঙ্গু নারী, বৃদ্ধা এবং সংখ্যালঘুদের হত্যার মধ্য দিয়ে। জোট আমলের ৫ বছরে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ এসব হত্যা, সন্ত্রাস, নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছে। সারাদেশে জঙ্গিবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটে। কিন্তু বিএনপি জামাত জোট সরকার নিশ্চুপ থেকে জঙ্গিদের মদদ দেয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মতিউর রহমান নিজামী তখন মন্ত্রী, সে জঙ্গিদের পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করেছিল, ‘এসব মিডিয়ার সৃষ্টি!’ চারদলীয় জোট সরকারের সন্ত্রাস, বোমা হামলা, জঙ্গি অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করে আসছিল।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারিখে সারাদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিল আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভায় অংশ নিতে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে খোলা ট্রাকই ছিল সেদিনের প্রতিবাদ সভার মঞ্চ। ট্রাকে দাঁড়িয়ে সেদিন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রায় ২ ঘণ্টার মতো বক্তৃতা দিয়েছেন। পরে সভার প্রধান অতিথি, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বক্তৃতা করেছিলেন প্রায় ২০ মিনিট। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্য শেষ করে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই যে ট্রাকটিতে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সেটি লক্ষ্য করে শুরু হয় একের পর এক গ্রেনেড নিক্ষেপ। ট্রাক থেকে কেউ আর নামতে পারেননি। বক্তৃতা শেষে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল আর হলো না। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সমস্ত এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। শান্ত শরতের বিকেল গ্রেনেডে প্রকম্পিত হয়, রক্তস্রোতে ভেসে গিয়েছিল সেদিনের রাজপথ। সে এক ভয়াল অবস্থা! মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১২টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা আইভী রহমানসহ আরও ১১ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেদিন শুধু গ্রেনেড হামলাই করা হয়নি, নেতাদের মানববর্ম শেখ হাসিনাকে বাঁচালেও তাঁকে বহনকারী গাড়িতেও কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়, গুলিতে নিহত হন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সহকারী মাহবুব আলম। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুলেট প্রুফ গাড়িটি। এই বর্বরোচিত হামলায় প্রাণে রক্ষা পেলেও আহত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। শুধু ২৪ জন মানুষকে হত্যা করাই হয়নি, পাশাপাশি গ্রেনেডের স্প্রিন্টারের আঘাতে আহত হন আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী। দলীয় কার্যালয়ের সামনের সভাস্থল ও এর আশপাশে সমগ্র এলাকা রক্তে লাল হয়ে যায়। এলোমেলো হয়ে পড়েছিল লাশ ও চারিদিকে ছিল আহতদের আত্মচিৎকার। প্রাণভয়ে মানুষজন দৌড়াচ্ছিল। গ্রেনেডের বিকট আওয়াজ আর বিস্ফোরণের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল আকাশ, প্রাণভয়ে দিকশূন্য হয়ে ছুটেছিল মানুষ। রক্ত আর এবড়োথেবড়ো গ্রেনেডবিদ্ধ শরীর আর চিৎকারে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ।  রক্ত আর লাশে যেন বীভৎসতার করুণ চিত্র।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ভয়াবহ, নৃশংস সেই গ্রেনেড হামলার সময় থেকেই সরকার, প্রশাসন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। সবাই ছিল নির্লিপ্ত, কেউ কোনও সহযোগিতা করেনি, কারণ সবই হচ্ছিল পূর্বপরিকল্পনা মাফিক। সমাবেশের আশপাশের উঁচু ভবনগুলোতে কোনও পুলিশ পাহারা ছিল না। আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবকদেরকেও সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিলো। হামলাকারীরা যাতে সহজে পালিয়ে যেতে পারে সে ব্যবস্থাই করা হয়েছিল পাকাপোক্তভাবে; তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা অবিস্ফোরিত দুটি গ্রেনেড আলামত হিসাবে রক্ষা না করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এতে ঘাতকদের হাতের ছাপ নষ্ট হয়ে যায়। হামলার আলামত নষ্টের জন্য ফায়ার বিগ্রেডের হোস পাইপ দিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদে মিছিল বের করলে পুলিশ কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ ও আহতদের লাঠিচার্জ করে খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

বিএনপি জামাত জোট সরকার গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে নানা অপকর্ম করে। জোট সরকার সরাসরি আওয়ামী লীগকেই উল্টো দোষারোপ করেছিল।  হামলার ব্যাপারে সেসময় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি, বিএনপির এমপিরা সরাসরি আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ করে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। জোট সরকারের মন্ত্রী এমপিরা এও বলেছিল, শেখ হাসিনাই নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়ে হামলা করেছিল। খালেদা জিয়া নিজে সংসদে বলেছিলেন, ‘উনাকে (শেখ হাসিনাকে) মারবে কে’।

জোট সরকার সেসময় গ্রামের নিরীহ জজ মিয়াকে ধরে এনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে হামলার স্বীকারোক্তি নিয়েছিল। পরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে ঠিকই প্রমাণ হয় জজ মিয়া নাটক জোট সরকার ইচ্ছা করে সাজিয়ে ছিল। জোট সরকার বিচারপতি জয়নুল আবেদিনকে নিয়ে এক সদস্যের এক তদন্ত কমিটি করেছিল, এই ‘লোক দেখানো’ তদন্ত কমিটিও কোন সঠিক প্রতিবেদন দিতে পারেনি বরং বলেছিল পাশ্ববর্তী একটি দেশ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। পুলিশের চারজন আইজি পর্যায়ক্রমে শুরু থেকে মামলার তদন্ত কাজে থাকলেও কেউ ঘটনাস্থলে যাননি। সেই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের ধরতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অধিকতর তদন্তে সব সত্য বেরিয়ে আসে, প্রকাশ পায় হাওয়া ভবনে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছিল, মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও জঙ্গি নেতারা উপস্থিত থেকে এই রক্তবন্যা বইয়ে দেওয়ার কুপরিকল্পনা করেছিল। জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসা থেকে নেওয়া ১৫টি গ্রেনেড দিয়ে জনসভায় হামলা চালানো হয়। হাওয়া ভবনে তারেক রহমান, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর নূর, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, আবদুস সালামসহ বিএনপি-জামাতের শীর্ষ নেতা এবং মুফতি হান্নানসহ শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের বৈঠকে গ্রেনেড হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেছিলেন। হাওয়া ভবনেই হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বৈঠকও হয়। পরবর্তীতে যা মুফতি হান্নানসহ আটজন আসামির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সত্য বেরিয়ে আসে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ছবি ২০১৭ সালে ২১ আগস্ট তারিখে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এ হামলার সঙ্গে জড়িত। আমাকেসহ পুরো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতেই যুদ্ধক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীরা যে গ্রেনেড ব্যবহার করে, তা আমাদের সমাবেশে ব্যবহার করা হলো। হামলার পর পিন্টুর ভাই ও কারারক্ষীকে বিমানে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়।' তিনি বলেন, 'ধানমন্ডি ৫ নম্বর রোডে তারেক রহমানের শ্বশুরবাড়ি। ওই বাড়িতে সে দীর্ঘদিন থেকে কী করছিল? ১ আগস্ট ওই বাড়ি ছেড়ে তারেক রহমান ক্যান্টনমেন্টের বাসায় যায়। হামলার আগের দিন ২০ আগস্ট রাতে তারেক রহমানের শ্বশুরবাড়িতে কয়েকটি বড় বাক্স-পেঁটরা নামানো হয়। কিছু সময় পর সেগুলো সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।  কী ছিল তাতে? সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। ট্রাকের গায়ে না লেগে গ্রেনেডটি যদি ভেতরে পড়তো তবে আমরা কেউ-ই বাঁচতে পারতাম না। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন, মোহাম্মদ হানিফসহ নেতারা মানববর্ম রচনা করে আমাকে রক্ষা করেছেন।' (দৈনিক জনকন্ঠ, ২২ আগস্ট ২০১৭)

গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দু'টি মামলারই বিচার কাজ চলছে। যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবির সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় আসামির তালিকা থেকে এদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন আসামির সংখ্যা ৪৯, যাদের মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। এ পলাতক আসামিদের অধিকাংশই বিদেশে অবস্থান করছে। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায়, গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৫২১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জন তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। ২৭-২৯ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। শুনানি শেষে উভয় পক্ষের সমাপনী বক্তব্য শেষে রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করবেন বিচারক। পুরান ঢাকায় ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ এজলাসে চলছে এ মামলার বিচারকাজ। সপ্তাহে তিন দিন শুনানি হচ্ছে।

এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় প্রদান প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায় দেওয়া সম্ভব হবে। বিচার কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। সাধারণ প্রক্রিয়ায় মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আসামিরা বিচার প্রক্রিয়ায় কালক্ষেপণের চেষ্টাও করছেন। তাদের অপচেষ্টা অতিক্রম করে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশ-জাতি আরও একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারীসহ প্রকৃত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন যাতে এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে আর কেউ কোনোদিন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এমন ঘৃণ্য অপকর্ম করার সাহস না পায়। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

সমগ্র জাতির প্রত্যাশা এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক। পাশাপাশি যারা এর পরিকল্পনাকারী তাদেরও যেন বিচার হয় যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন অপরাধ করার ধৃষ্টতা না দেখায়।

এটা নিশ্চিত যে ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতাতেই এই ভয়াল ২১ আগস্টের হামলা এবং এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রধান টার্গেট ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে ধ্বংস করে দেওয়া।

আমাদের মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনও দেশে ঘৃণ্য অপকর্ম করতে তৎপর রয়েছে নানাভাবে। আর এই স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ পরাজিত শক্তির দোসর হলো বিএনপি জামাত। জঙ্গিবাদের বিষবৃক্ষ বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অপশক্তিকে নির্মূল করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পুর্নবার ১৫ আগস্ট বা ২১ আগস্টের মতো কোনও ঘটনা যাতে ঘটে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ঘৃণ্য বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৪ বছর পূর্তিতে গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

 

লেখক: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেস সচিব

/এসএএস/এসএসএ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা
নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ