X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

আল্লামা শফীও কি আওয়ামী লীগ হয়ে গেলেন?

আনিস আলমগীর
০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:২৯আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৫৩

আনিস আলমগীর ক’দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর একটি ভিডিও ঘুরছে। যারা এটা প্রচার করছেন তারা বেশিরভাগ আহমদ শফীর গুণগান নয়, তিরস্কার আর অবজ্ঞা করেই এটা প্রচার করছেন। ‘তেঁতুল হুজুর’-এর বিবর্তন নিয়ে ঠাট্টা করছেন। আল্লামা শফী কেন এখন আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলছেন– তাদের কারও কারও যেমন রয়েছে বিস্ময়, কারও রয়েছে জ্বালা। এই জ্বালায় অনেক আগে থেকে জ্বলে আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে লিখেছেন ফরহাদ মজহার। সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন আল্লামা শফীকে মাঠে নামানোর নষ্ট কারিগর জামায়াতের ‘মজলিসে শূরার অঘোষিত সদস্য’ মাহমুদুর রহমান।
আল্লামা শফীর বক্তৃতা দেখে মাহমুদুর রহমান লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনার মহব্বতে এবং ‘মোটা অংকের’ অনুদানে যিনি আদর্শচ্যুত হন, প্রবীণ বয়সের কারণে তাকে কেবল করুণা করা চলে’। মাহমুদুর রহমান এখনও মিথ্যাচার করে বলে বেড়াচ্ছেন, ৫ মে’র ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে’ অসংখ্য আলেমকে হত্যা করা হয়েছিল।’ তার জিজ্ঞাসা, ‘সেই শহীদদের রক্তের চেয়েও কি আজ  শিক্ষার সনদের মূল্য বেশি হয়ে গেলো?

শফী হুজুর আসলে কী বলেছেন? ভিডিওতে দেখলাম ১ অক্টোবর কওমি মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রদের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘কেউ কেউ বলেন আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি। তারা কমবখত (নির্বোধ), তারা মিথ্যা কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এমনি মহব্বত করে কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগ হই নাই। সেটা আপনাদের ভুল।’

যারা এ ধরনের কথা বলেন তাদের কথা বলার সময় সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়ে আল্লামা শফী প্রশ্ন রেখেছেন, ‘কী করে বলতেছেন আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি? আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেলেও কোনও আপত্তি নাই। কারণ, আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন এমন মানুষ আছে, যারা দীনকে ভালোবাসে। তারা আমাদের মোটা অংকে টাকা দিয়ে মাদ্রাসায় সাহায্য করেন। যারা বলেন আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বা আমি এই-ওই, তারা এসব কথা বললে আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবেন।’ আহমদ শফী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুকরিয়া আদায় করে উপস্থিত ছাত্রদের বলেন, ‘ভালো করে লেখাপড়া করেন, শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন।’

কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে আল্লামা শফী বলেন, এটা কওমি মাদ্রাসার জন্য বড় নেয়ামত। অথচ এটার জন্য আমাদের কওমি মাদ্রাসার মুরুব্বিরা বহু আগে থেকে চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারেননি। এমনকি কোনও সরকারও দেইনি। এখন আল্লার রহমতে শেখ হাসিনা একমাত্র আমাকে ডেকে এই সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি আমাদের সবার মুরুব্বি। আল্লাহ তা’আলা তাকে দীর্ঘায়ু করুন।’

ফরহাদ মজহার-মাহমুদুর রহমান গংদের গা-জ্বালা এখানেই। আওয়ামী লীগকে ইসলামবিরোধী বলে তাদের বিরুদ্ধে যাদের রাস্তায় নামিয়েছিলেন সেই হেফাজতই এখন আওয়ামী লীগকে ইসলামের খেদমতদার বলে সার্টিফিকেট দিচ্ছে। হয়তো ভোটও দেবে। অবশ্য আওয়ামী লীগকে হেফাজত ভোট দেবে এটা অনেকে বিশ্বাস করেন না। তাদের সার্টিফিকেটকে মূল্য দিলেও তারা কোনও দিনই আওয়ামী লীগকে মূল্য দেবে না–এটাও রাজনৈতিক মহলে প্রচলিত আছে।

ধরে নিলাম দেবে না। কিন্তু লাভ তো আছেই। দলের লাভ আছে, দেশের লাভ আছে। হেফাজত গত ৫ বছর টুঁ-শব্দটি করেনি। উদ্ভট ১৩ দফা নিয়ে রাস্তায় নামেনি এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলেছে– এটাইবা কম কীসে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য। দেশের লাভের মধ্যে আছে– আপনি একটা বৃহত্তর গোষ্ঠীকে মূল স্রোতের বাইরে রাখতে পারেন না। সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজার কওমি মাদ্রাসায় ১৫ লক্ষ ছাত্র পড়ছে। তাদের প্রকৃত শিক্ষা দেওয়া, মূলস্রোতে আনা সরকারের দায়িত্ব।

কওমিরা স্বাধীনতার আগে থেকেই তাদের সনদের সরকারি স্বীকৃতি, তাদের শিক্ষায় সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাশা করেনি। বরং বিরোধিতা করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা সনদের স্বীকৃতি চেয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার সে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে তাদের স্বীকৃতি দিয়ে ধীরে ধীরে কাছে টানার চেষ্টা করছেন, তাদের রাষ্ট্রের মূলস্রোতে আনার চেষ্টা করছেন তা তো উত্তম সিদ্ধান্ত। এর জন্য শুধু শফী হুজুর কেন, রাষ্ট্রের বিবেকবান নাগরিক হলে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়া দরকার সবার। এখন কওমিদের উচিত মূলস্রোতে আসার জন্য কওমি মাদ্রাসাগুলোতে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার ঘটানো। সরকারের উচিত তাদের শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রমের ওপর সরকারি তদারকি নিশ্চিত করা।

কওমি শিক্ষার ইতিহাসও আমাদের জানা দরকার। এটি হুট করে আসেনি। শফী হুজুরের সৃষ্টিও না। ব্রিটিশরা ভারতের শাসনভার কেড়ে নিয়েছিল মুসলমানদের কাছ থেকে। তাই ব্রিটিশরা বারবার বিদ্রোহ মোকাবিলা করেছে মুসলমানদের পক্ষ থেকে এবং বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেমরা। ইংরেজরা কলকাতায় ১৮১৭ সালে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর আগে আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল ‘দরবারি আলেম’ সৃষ্টি করা। ব্রিটিশদের এই উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেই হযরত কাসেম নানুতুবী আলেমদের ব্রিটিশবিরোধী ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ১৮৬৬ সালে দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে দীনি শিক্ষা কওমি ও আলিয়া- দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে যায়। গত দীর্ঘ ২০০ বছরব্যাপী কওমি মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হয়েছে মানুষের সাহায্যের ওপর ভিত্তি করে। তারা কখনও সরকারি কোনও সাহায্য গ্রহণ করেনি।

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কওমিদের মাখামাখি না থাকলেও কখনও দূরত্ব ছিল না। কওমি সনদ পাওয়ার জন্য যখন তারা নানামুখী দাবি জানাচ্ছিল তখন গণজাগরণ আর ব্লগারদের ইসলামবিরোধী, নাস্তিক হিসেবে চিহ্নিত করে হেফাজতে ইসলামকে মাঠে নামিয়ে সরকারের মুখোমুখি করেছে মাহমুদুর রহমান গংরা। হেফাজত ব্লগার হত্যায় অংশ না নিলেও ব্লগার সম্পর্কে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করেছে। ‘নাস্তিক’ নিধনের জন্য তারা ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল এবং ৫ মে দুই দফা তারা ঢাকা এসেছিল। শেষবার গণজাগরণ মঞ্চে আক্রমণ করেছিল। সারা শহরে চরম ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।

৫ মে হেফাজতের মতিঝিল সমাবেশকে বেগম খালেদা জিয়া, এইচ এম এরশাদ, কাজী জাফর সবাই সমর্থন দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া তো তার ঢাকা শহরের কর্মীদের হেফাজতের কর্মীদের সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করার জন্য বলেছিলেন। তারা সেদিনই সরকার পতনের একটা স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই বেগম জিয়া সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। কওমিদের চিরশত্রু জামায়াতও যোগ দিয়েছিল এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে। ফলে হেফাজত মতিঝিল ও তার আশপাশে পঙ্গপালের আক্রমণ শুরু করেছিল। নগরীর গাছ, এমনকি বায়তুল মোকাররম মসজিদও রেহাই পায়নি এই আক্রমণ থেকে। সে আক্রমণের পেছনে কারা ছিল, শুধু হেফাজত নাকি এর ইন্ধনদাতারা– সে প্রশ্ন এখনও অমীমাংসিত।

আল্লামা শফী শেষ পর্যন্ত সমাবেশে যাননি। হেফাজত রাতে শাপলা চত্বরে অবস্থান করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের ঢাকাছাড়া করেছিল। যে ১৩ দফা দাবি তারা পেশ করেছিলেন তা ছিল অনগ্রসর এবং ক্ষেত্রবিশেষে মধ্যযুগীয়। যারা আল্লামা শফীর সমাবেশকে সমর্থন দিয়েছে সেই বিএনপি-জামায়াত-এরশাদ তার সেই ১৩ দফাকে কেউই সমর্থন দেয়নি। শুধু পরিশ্রান্ত কর্মীদের বিরিয়ানি, পানি পান করানোর কষ্ট স্বীকারে সম্মত ছিলেন।

অন্যদিকে রাতের অপারেশনের পর সবাই গুজব ছড়ালেন গত শত শত কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপিপন্থী আইনজীবী আদিলুর রহমান শুভ্রর এনজিও ‘অধিকার’ তাদের প্রতিবেদনে ৬১ জন নিহত হওয়ার ‘মিথ্যা ও  কাল্পনিক’ যে তথ্য প্রকাশ করে, যা আজও তারা প্রমাণ দিতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও দেশের ‘ভাবমূর্তি নষ্ট করা’র অভিযোগে আদিলকে গ্রেফতার করেছিল সরকার। আদিলের লিস্টে থাকা অনেকে জীবিত ছিল, তাদের অনেক মাদ্রাসা জানায় এমনকি সমাবেশেও যোগ দেয়নি তারা। বাংলাদেশে অনেক এনজিও এবং অ্যাকটিভিস্টরা যে রাজনৈতিক দলের কর্মীর ভূমিকায় নামে, অধিকার সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।

এই এনজিওগুলোর সঙ্গে কিছু বুদ্ধিজীবীও থাকেন। তাদের সার্বক্ষণিক কাজ হলো বিভেদ সৃষ্টিতে ইন্ধন জোগানো। এখন রাজনৈতিক নেতা বলুন, বুদ্ধিজীবী বলুন আর এনজিও কর্মকর্তা বলুন– সবাই মিলে জাতীয় জীবনকে পর্যুদস্ত করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। অথচ আমরা দেখেছি একসময়ে বিবাদ মেটানোর জন্য প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রাখি’ নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কলকাতার প্রধান মসজিদ নাখোদা মসজিদে। ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট মহাত্মা গান্ধী দিল্লির সব অনুষ্ঠানের কথা বিস্মৃত হয়ে মুসলমানদের অনুরোধে কলকাতায় অবস্থান করে পাহারা বসিয়েছিলেন বলে বড় এক ধ্বংসলীলা থেকে মুসলমানেরা রক্ষা পেয়েছিল। এদের চিন্তনে, মননে মানুষের কল্যাণ কামনা হয়তো নিজস্ব সৃষ্টির চেয়েও মহৎ ছিল।

শুনেছি হেফাজত এখন প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার চিন্তা করছে। এ কথা শুনে নাকি বাবুনগরী গোসসা করেছেন। তার সঙ্গে ক্ষমতার বিরোধ চলছে আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীর। এটাকে কাজে লাগিয়ে বাবুনগরীকে দিয়ে হেফাজতের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির ঘুঁটি চালছেন মাহমুদুর রহমান। বাবুনগরীর সঙ্গে মাহমুদুর রহমান জেলে ছিলেন একসময়।

অবশ্য ওলামাদের ঐক্য খুবই ঠুনকো ব্যাপার। ভাঙতে সময় লাগে না। হেফাজতে ইসলাম বলে তারা রাজনৈতিক দল নয়। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, মরহুম ফজলুল হক আমিনীর ইসলামী ঐক্য জোট, এরা সবাই রাজনীতি করে এবং এক একটা রাজনৈতিক দল। মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর নির্ভর করে তারা দল চালায়। এরা সবাই দেওবন্দের অনুসারী আলেম। তবলীগও কওমিদের একটা শাখা।

সবাই মিলে একটা দল করলে বিরাট দল হয় এবং রাজনীতিতেও অংশীদার হতে পারে। কিন্তু এদের একত্রিত করা এক কঠিন ব্যাপার। চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন ছাড়া কোনও দলেরই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। চরমোনাইর পীরের দলের অগ্রগতি আছে এবং তারা ধীরে ধীরে সুসংগঠিত হচ্ছে। গত সবক’টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চোখে পড়েছে এবং প্রত্যেক সিটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পেয়ে তারা তৃতীয় স্থানে ছিল।

আমি ব্যক্তিগতভাবে আলেমদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিরোধী নই। কারণ, ব্রিটিশ থেকে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে মাওলানাদের অবদান ছিল অগ্রগণ্য। তাদের অপরাজনীতি, কূপমণ্ডূকতা থেকে বের করে মূলস্রোতের শাসনতান্ত্রিক রাজনীতিতে পরিচালিত করলে জঙ্গিবাদ উত্থান, কথায় কথায় কতল জেহাদের ডাক দেওয়া আর মানুষকে নাস্তিক-মুরতাদ আখ্যা দেওয়ার অন্ধত্ব কমবে। আলেমের মাঝে ঘুষ নেওয়া, চুরি করা, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার লোকের সংখ্যা কম আছে বলেও বিশ্বাস করি। সুতরাং তারাও তাদের আদর্শ নিয়ে রাজনীতির সুস্থধারায় আসুক তা কামনা করি।

দীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরম আনুগত্য রয়েছে। কওমি সনদের স্বীকৃতির জন্য ওলামায়ে কেরামরা যশোর থেকে পথযাত্রা করে সুনামগঞ্জে যাওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এবং ৬ অক্টোবর থেকে পথযাত্রা শুরু হয়েছে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব তার বহু বয়ানে প্রধানমন্ত্রীর তারিফ করেছেন। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা সংবর্ধনার আয়োজন করেন উত্তম হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী হেফাজত হয়ে যান না আর শফী সাহেবও আওয়ামী লীগ হয়ে যান না। রাষ্ট্রে, সমাজে বীর সমাদৃত না হলে বীরের জন্ম হয় না।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-রামাফোসার ফোনালাপ
ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-রামাফোসার ফোনালাপ
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ