X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্যোগ মোকাবিলায় শেখ হাসিনার সরকার প্রয়োজন

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী
২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:১৯আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৩১

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী একাদশ সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। ৩০ ডিসেম্বর রবিবার ভোটগ্রহণ করা হবে। এবারের সংসদ নির্বাচনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ আগামী ২০২১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। আওয়ামী লীগ দেশবাসীর কাছে এই সুযোগ চায়। অন্যদিকে ক্ষমতা থেকে ১০ বছর বিচ্ছিন্ন আছে বিরোধী বিএনপি, তাদেরও চাওয়া ক্ষমতায় ফিরে আসা।
বিংশ শতাব্দীতে একই বঙ্গভূমির পরিচয় তিন তিনবার বদল হয়েছে। ১৯০৫ সালে প্রথম পরিবর্তনে একটা সীমারেখা টেনে বঙ্গ দ্বিধাবিভক্ত হয়। পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ববঙ্গ। পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে পৃথক একটা প্রদেশ গঠন করা হয়। এ প্রদেশের রাজধানী করা হয় ঢাকাকে। প্রথম গভর্নর ছিলেন লর্ড পুলার। পূর্ববঙ্গ ও আসামের হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণের জন্য বড় লাট লর্ড কার্জন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। লর্ড কার্জন ছিলেন খুবই দূরদর্শী লোক। তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করেছেন। সর্বত্র তার দক্ষতা ও গঠনমূলক দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।

লর্ড কার্জন মনে করেছিলেন বঙ্গকে দ্বিধাবিভক্ত করা ছাড়া পূর্ববঙ্গের হতদরিদ্র মানুষগুলোর উন্নয়ন সম্ভব নয়। এটাই ছিল পূর্ববঙ্গের মানুষের জন্য হীতকর সিদ্ধান্ত। কিন্তু এ হীতকর সিদ্ধান্ত বানচাল করার জন্য কলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাজ ওঠেপড়ে লেগে যান। বঙ্গভঙ্গ রহিত করার জন্য তারা দীর্ঘ ছয় বছর সংগ্রাম করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের মতো একজন ব্যক্তিও এ আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৯১১ সালে দিল্লির দরবারে সম্রাট ষষ্ঠ জর্জ বঙ্গভঙ্গ রহিত করতে বাধ্য হন। অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে কলকাতাও কেন্দ্রীয় রাজধানীর মর্যাদা হারায়। ব্রিটিশরা দিল্লিতে কেন্দ্রীয় রাজধানী স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত দিল্লির দরবারেই ঘোষণা করেছিলেন।

কলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাজ বলতেন, তারা বঙ্গভঙ্গকে বঙ্গমাতার দেহ বিচ্ছেদ বলে মনে করেন। অথচ এ ভ্রষ্ট বুদ্ধিজীবী সমাজের অনেকে ১৯৪৭ সালের বঙ্গ বিভক্তির সময় জীবিত ছিলেন এবং তারাই এ বিভক্তিতে পৌরহিত্য করেছিলেন। বাংলার শেষ প্রিমিয়ার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শরৎ চন্দ্র বসু, আবুল হাসেম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বাংলাকে একত্রিত রেখে বাংলার স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, কলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাজ সেদিন তারও বিরোধিতা করেছিলেন। শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বলেছিলেন, ভারত বিভক্ত না হলেও আমি বঙ্গ বিভক্তির প্রস্তাব দেবো।

আজকের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পূর্বসূরী সংগঠন ভারতীয় জনতা সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির এ কথার কারণ ছিল, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুসারে বাংলায় সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনজন বেঙ্গলের প্রিমিয়ার হয়েছিলেন আর তিনজন প্রিমিয়ার ছিলেন শেরেবাংলা ফজলুল হক, খাজা নাজিম উদ্দীন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনজনই ছিলেন মুসলমান, পূর্ববঙ্গ মুসলিম সমৃদ্ধ এলাকা আর পূর্ববঙ্গে যেহেতু লোকসংখ্যা বেশি, এখান থেকেই বেশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতেন আর তারা ছিলেন মুসলমান।

শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বুঝেছিলেন বঙ্গ একত্রিত থাকলে প্রিমিয়ার কখনও হিন্দুদের থেকে হতে পারবেন না। সুতরাং তিনি বলতে বাধ্য হয়েছিলেন  ভারত বিভক্ত না হলেও তিনি বঙ্গ বিভক্তির প্রস্তাব দেবেন। শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি ছিলেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি, সাম্প্রদায়িক লোক। ব্রিটিশরা যখন ভারতের স্বাধীনতা প্রদান করে ভারত ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৯৪৭ সালে তারা ভারত বিভক্ত করে স্বাধীনতা প্রদান করেন, উত্তর-পশ্চিমের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল আর পূর্ব ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান গঠিত হয়। তখন পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান। এটা ছিল দ্বিতীয়বার বঙ্গের রূপ বদল।

রেড ক্লিফ ভারত ভাগাভাগিতে সীমানা নির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন। তাড়াহুড়ার মাঝে সীমানা নির্ধারণের কারণে ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা- (১) বর্ধমান, (২) মুর্শীদাবাদ, (৩) জলপাইগুড়ি, (৪) পশ্চিম দিনাজপুর, (৫) গোয়ালপাড়া, (৬) কাচাড় ও (৭) করিমগঞ্জ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। জিন্নাহ খুবই অসুস্থ ছিলেন। তিনি কখনও কাউকে না বললেও দুরারোগ্য ক্যানসার রোগে ভুগছিলেন। তিনি মনে করতেন তার নিকটবর্তী মৃত্যুর কথা কংগ্রেস নেতারা জানতে পারলে পাকিস্তান সৃষ্টির বিষয়টা তারা স্বাধীনতার বিষয়টার মতো বিলম্বিত করে বানচাল করে দেবেন। এটা অবশ্য সত্য কথা যে গান্ধী না হলেও ভারত স্বাধীন হতো কিন্তু জিন্নাহ না হলে পাকিস্তান হতো না। জিন্নাহ তার মৃত্যুর বিষয়টা নিকটবর্তী জেনে কোনও বাড়াবাড়িতে জড়িত না হয়ে এই পোকায় খাওয়া পাকিস্তান মেনে নিয়েছিলেন। বেঙ্গলের শেষ ব্রিটিশ গভর্নর বরোজ বলতেন, পূর্ববঙ্গ হচ্ছে হতদরিদ্র কৃষকের বস্তি।

১৯৪৭ সালে বিভক্তির পর পূর্ববঙ্গ থেকে শিক্ষিত ও উচ্চবিত্তের হিন্দুরা পশ্চিম বাংলায় চলে যায়। তাতে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে স্কুলে মাস্টার, কলেজে অধ্যাপক, চিকিৎসায় ডাক্তারের অভাব দেখা দেয়। কারণ, এসব কাজে হিন্দুরাই ছিল বেশি কিন্তু বাংলার মানুষ মাত্র ১৫/১৬ বছরের মাঝে এসব অভাব পূরণ করে ফেলে এবং ২০ বছরের মাঝে বিরাট এক মধ্যবিত্ত শ্রেণি গড়ে ওঠে। এ মধ্যবিত্ত থেকে বের হয়ে আসা নেতা শেখ মুজিবই বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হন এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন করে ফেলেন।

এটা বাংলার তৃতীয় রূপ বদল। এখন বাংলাদেশের কোনও প্রভু নেই। বাঙালিরাই বাঙালিদের প্রভু। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে নানা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বেনিফিসিয়ারিরাই দীর্ঘ ২১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন।

২০০৮ সালে এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এখন একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩০  ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে বিএনপিও অংশগ্রহণ করছে। গত ১৮ ডিসেম্বর দুই দলই নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছে। ইশতেহারে কোনও খারাপ কথা থাকে না। সুন্দর কথা আর মনমাতানোর প্রতিশ্রুতির সমাহার হচ্ছে ইশতেহার। উভয় ইশতেহারে তা-ই রয়েছে। ইশতেহার বড় কথা নয়, এ ইশতেহারের পেছনে নেতৃত্ব কারা দেবেন তা-ই দেখার বিষয়। কারণ, নেতৃত্ব দক্ষ আর দূরদর্শী না হলে কর্মসূচি বাস্তবায়ন খুবই কঠিন।

আমরা আওয়ামী লীগকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ বছর ক্ষমতায় দেখেছি আর বিএনপিকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দশ বছর ক্ষমতায় দেখেছি। এখন তারাই নির্বাচনি মাঠে আছে। উভয় দল পরীক্ষিত। যে দল রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা দেখাতে পেরেছে তারাই ভোট পাবে। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু এবারের নির্বাচনে ড. কামাল, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ খ্যাতিমান ষড়যন্ত্রকারী ষড়যন্ত্রের সলতে পাকিয়েছে বলে অনেকের ধারণা। যেন নির্বাচনের স্বাভাবিক ফলাফল বানচাল করে দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্রের অনুকূলে ফলাফল নিতে পারে, আবার তা না হলে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনটাই যেন বানচাল করতে পারে, অনুরূপ একটা কৌশল নিয়ে তারা অগ্রসর হচ্ছে।

ভোটার, সরকার, নির্বাচন কমিশন সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের দেশপ্রেম, মানবপ্রেম কিছুই থাকে না। তারা নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে তখন বড় একটা বন্যা হয়েছিল, উত্তরবঙ্গ ৪৩ দিন পানিতে ডুবেছিল। আর সে সময় ড. কামাল আর ডা. বি. চৌধুরী বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে পরামর্শ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনার সরকারকে সাহায্য না দেওয়ার জন্য। কত নির্মম হলে তারা অনুরূপ পরামর্শ দিতে পারেন। আসলে আমাদের দেশে 'ডাক্তার' আর 'উকিল' আত্মকেন্দ্রিক সম্প্রদায়। মনের প্রসারতা তাদের খুবই কম। অবশ্য সে বন্যার দুর্যোগ শেখ হাসিনার সরকার খুবই সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিল। বিদেশিদের কাছে সরকার তখন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রত্যক্ষ কোনও সাহায্যের আবেদনও করেননি।

খুব দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ওপর এক ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে আসছে। দ্রুত বরফ গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রে তিন মিটার পানি উপর দিকে উঠে যাবে। ৩ মিটার পানি যদি বেড়ে যায়, জোয়ারের সময় তা আরও উঁচু হবে। অনুরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। সমুদ্রের পানি নদ-নদীগুলো দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে। বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ জায়গা পানিতে ডুবে যাবে, তখন পাঁচ কোটি মানুষ বাস্তু ত্যাগ করতে বাধ্য হবে। এখনই সেই প্রতিক্রিয়া ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা এখন জোয়ারের সময় পানি উঠে ডুবে যায়। সমুদ্র থেকে কাট্টলি খাল দিয়ে পানি আসে। আমি সিডিএ’তে ৩৫ বছরব্যাপী বসবাস করি। চাক্তাইর নিম্নভাগও ডোবে। আগামী ২০/২৫ বছরের মাঝে ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বাকলিয়া, কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলসহ বহু এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। নদী দিয়ে পানি ঢুকে দেশের অভ্যন্তরেও বহু এলাকা ডুববে।

সুতরাং ভয়াবহ এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি প্রয়োজন। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে সরকার আসবে সে সরকারকে দুর্যোগ মোকাবিলার কাজ আরম্ভ করতে হবে। তাই আগামী নির্বাচনে পরীক্ষিত, দক্ষ নেতাকে নির্বাচিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ ডেল্টা উন্নয়নের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আর ভূমি রক্ষার প্রয়োজনে এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। সুতরাং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় আর একটা সরকার প্রয়োজন। দেশের মানুষ সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আশা করি দেশের বৃহত্তম স্বার্থে শেখ হাসিনাকে এবং তার দলকে পুনরায় নির্বাচিত করবে। দেশের মানুষ ভুল করলে চতুর্থ পরিবর্তনে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যাবে। অ্যারিস্টটল বলেছেন, অযোগ্য শাসনকর্তার মতো দেশ ও জাতির বড় ক্ষতি আর কেউ করতে পারে না।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক

[email protected]

 

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে প্রাণ গেলো একজনের, আহত ১০
এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে প্রাণ গেলো একজনের, আহত ১০
বেসিস নির্বাচনের ৩৩ প্রার্থী
বেসিস নির্বাচনের ৩৩ প্রার্থী
সিঙ্গাপুরে রডচাপায় বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু
সিঙ্গাপুরে রডচাপায় বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ