X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

কে হবে আসল বিরোধী দল?

আনিস আলমগীর
১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৫আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৪

আনিস আলমগীর কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজির হয়েছিলেন। আদালতে মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শুনানির একপর্যায়ে বলেন তারা তো এখন আর বিরোধী দলে নেই। ওই সময় হুইল চেয়ারে বসে থাকা খালেদা জিয়া বলে ওঠেন, ‘বিরোধী দল শুধু পার্লামেন্টের ভেতরে থাকলেই হয় না, বাইরে থাকলেও হয়। আবার এখন দেখি বিরোধী দল সরকারের সঙ্গে থেকেও হয়। যারা জনগণের জন্য কথা বলেন, তারাই বিরোধী দল। যে অবস্থাতেই থাকুক, বিএনপি সবচাইতে জনপ্রিয় দল।’ তখন দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘ঘরেও নেই, বাইরেও নেই, বিএনপি এমন দল।’ এই বক্তব্যের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘অফকোর্স বিএনপি জনপ্রিয় দল।’
বিএনপি যে এখনও একটি জনপ্রিয় দল, আমার মনে হয় এটা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। সমস্যা হচ্ছে দলটি একের পর এক যে ভুল রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছে আর যাদের বুদ্ধিতে চলছে– সেক্ষেত্রে এই জনপ্রিয়তা ক’দিন থাকবে তা নিয়ে অনেকে সন্দিহান। বিএনপিকে পরামর্শ দিয়ে কিছু লিখলেই তার নিজস্ব পণ্ডিতরা রাগ করে বলেন, তাদের কারও পরামর্শের দরকার নেই। কিন্তু আখেরে প্রমাণ হয় যে তাদের যেসব পরামর্শ দেওয়া হয় তার কিছুটাও বিবেচনা করলে তাদের পরিণতি আজ  এমন হতো না, কল্যাণই হতো। যেমন, বিএনপি এখন গো ধরেছে সংসদে যাবে না। অথচ তাদের সংসদে যাওয়া দরকার দলের স্বার্থেই।

বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট নেতারা ভাবছেন, তারা সংসদে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকার বৈধতা পেয়ে যাবে এবং সদ্য সমাপ্ত ভোট নিয়ে বিএনপির অভিযোগের ভিত্তি থাকবে না। এটা তাদের ভাবনা মাত্র। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপির বৈধতাদান ছাড়া গত পাঁচ বছরও সরকার চলেছে এবং বর্তমানেও ঠেকে নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-আশুগঞ্জ আসনে স্থগিত তিন কেন্দ্রের ভোটের পর বিজয়ী বিএনপির উকিল আব্দুস ছাত্তারকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সদস্য সংখ্যা এখন আট। বিএনপির ছয়জন আর গণফোরামের দুই জন। তারা কেউ এখনও শপথ নেননি। ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা অনুসারে সংসদেও যাবেন না। অবশ্য জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হয়ে যাবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারির পরও শপথ গ্রহণের জন্য ৯০ দিনের সুযোগ রয়েছে তাদের হাতে।

১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মাত্র ৩৯ আসন দেওয়া হয়েছিল। মালেক উকিলের মতো অপরাজেয় প্রার্থীকে পর্যন্ত পরাজিত করে দেওয়া দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সে সংসদেও যোগদান করেছিল। কারণ, সংসদে থাকলে একটা ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে। সে সুযোগকে অবহেলা করা বিজ্ঞজনোচিত সিদ্ধান্ত নয়। ঐক্যফ্রন্ট সংসদে না গিয়ে কী করবে? সম্ভবত মাঠে ময়দানে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। আদালতে যাবে। তাদের সে প্রচেষ্টা সংসদের ভেতরে-বাইরে হলে সমস্যা কোথায়?

বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট অস্তিত্ব রক্ষার সংকটে আছে। সরকার বা আওয়ামী লীগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনও সংকটে নেই। সংসদে বিরোধী দলের নেতার আসন নিচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার পরিচিতিও কম নয়। সরকারে যোগ না দিয়ে তারা বিরোধী দল হিসেবে তাদের নিয়ে হাসাহাসির সুযোগও দিচ্ছেন না। ১৪ দলীয় জোটের জাসদ (ইনু), জাসদ (আম্বিয়া) আর ওয়ার্কার্স পার্টিরও ৬ জন এমপি আছেন। আছেন জেপি এবং তরিকতের ২ জন এমপি। তারাও বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছেন হয়তো। বিকল্পধারারও দুইজন সাংসদ রয়েছেন এবং তারাও সম্ভবত বিরোধীদলীয় আসনে বসবেন। এমন পরিস্থিতিতে সংসদেও একটা শক্তিশালী বিরোধী দল থাকবে। যারা ইচ্ছে করলে সংসদটাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারেন।

বিএনপি সংকটমুক্ত হতে দীর্ঘ সময় লাগবে। এই সংকটাপন্ন অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের আট সংসদ সদস্য সংসদে অনুপস্থিত থাকা বা শপথ না নিয়ে সদস্য পদ হারানো মোটেই বুদ্ধিমান রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে না। বরং মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটা পার্লামেন্টারি গ্রুপ গঠন করে তারা মহাজোট থেকে আসা বিরোধী দলের থেকে স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রেখে সংসদের ভেতরেও সরব থাকা উত্তম হবে বলে মনে করি। যোগ্যতা থাকলে এবং সংসদে শুধু নিজেদের দণ্ডিত দুই শীর্ষ নেতার কথা না বলে জনগণের কথা বললে ঐক্যফ্রন্টের ক্ষুদ্র এই গ্রুপটিই সংসদে নিজেদের আসল বিরোধী দল এবং এরশাদের বিরোধী দলকে জাতির সামনে একটি ‘প্রক্সি বিরোধী দল’ হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে।

বিএনপি যে শুধু সংকটে পড়েছে তা-ই নয়, তারা ক্রেডিবিলিটি ক্রাইসিসেও পড়েছে। গত ১২ বছর তাদের রাজনৈতিক সফলতা শূন্যের কোঠায়। সুতরাং ইচ্ছে করলেই তারা রাতারাতি কোনও পরিবর্তন প্রত্যাশা করতে পারবে না। তাদের মাঝে নেতৃত্ব সংকট রয়েছে। তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, যারা দলের চূড়ান্ত নেতৃত্বে সমাসীন আছেন, তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া অবশিষ্ট নেতাদের ভাবমূর্তি মনোনয়ন বাণিজ্য, ইত্যাদি কারণে বিনষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং এই রুগ্ন নেতৃত্ব দিয়ে দল চালানোও কঠিন হবে।

সর্বোপরি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। ড. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা রয়েছে। মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী মহিলা দল নেত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধেও মামলা আছে। অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রয়েছে। আর এসব মামলা প্রায় প্রমাণিত সত্য, যার কারণে তারা জেল এড়াতে পারবেন না। দলের এমন এক কঠিন অবস্থার মধ্যে ছয়জন নির্বাচিত সদস্য যদি শপথ না নেন তবে শূন্যতা বাড়া ছাড়া কমবে না। এই ৬ জন সদস্য শপথ নিয়ে সংসদের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করলে তাদের ভাবমূর্তিও প্রতিষ্ঠিত হবে আর দলের নেতৃত্ব শূন্যতায় তারা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবেন। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান নির্বাচনের আগে সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টকে পরামর্শ দিয়েছিলেন– ফলাফল যাই হোক না কেন আপনারা সংসদে অংশগ্রহণ করবেন।

আরও একটা সমস্যার কথা বিবেচনা করতে হবে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টকে। সেটি হচ্ছে, একটি নির্বাচন হওয়ার পর নতুন প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে অন্তত দুই বছর সময় প্রদান করাকে দেশের মানুষ দায়িত্ব মনে করে। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে কারচুপির যতই অভিযোগ তুলুক না কেন, দেশের মানুষ নির্বাচন মেনে নিয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সাধারণ মানুষের মাথা ব্যথা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। সরকারে যেই থাকুক তারা দেখতে চায়– তাদের দিনকাল কতটা ভালো যাবে সামনের দিনগুলোতে, সেটি।

ভোটের ফলাফল মেনে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও দ্বিধা করেননি। এখন নির্বাচনের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি কোনও আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। কারণ, সে আন্দোলনে দেশের মানুষ যোগদান করবে না। দেশের মানুষের মাঝে যতক্ষণ এ বিশ্বাস গড়ে না ওঠে যে আওয়ামী লীগের চেয়ে অন্য দল দেশ উত্তমভাবে চালাতে পারবে– ততক্ষণ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে চাইবে কোন কারণে? বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের আগেও শেখ হাসিনার বিকল্প তাদের নেতা কে– জাতির সামনে তুলে ধরতে পেরেছে?

সুতরাং দেশের মানুষ অজ্ঞ, অনবিহিত- এমন চিন্তা করলে ভুল করা হবে। শেখ হাসিনার সরকারের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নের ব্যাপারে যে প্রশংসা পাচ্ছে তার একটা প্রতিক্রিয়া দেশের মানুষের মাঝে নিশ্চয়ই রয়েছে এবং তা সরকারের পক্ষে পজিটিভ প্রতিক্রিয়া। কারচুপির বিতর্ককে আমলে নিলেও একথা শতভাগ সত্য যে কারচুপি না হলেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিতে যেত। কারণ, দৃশ্যত আওয়ামী লীগ ছাড়া কারও সত্যিকার অর্থে নির্বাচনের প্রস্তুতিই ছিল না।

আর নির্বাচনের পূর্বে দলবদ্ধ হয়ে শত শত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলাদের সমর্থন, সমগ্র ব্যবসায়ী মহলের প্রকাশ্যে সমর্থন ইত্যাদি আর শেখ হাসিনার সফর, জনসভায় বক্তৃতা, টেলি কনফারেন্স, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার আওয়ামী লীগের পক্ষে একটা জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাচনে জিতে আসার জন্য কাজকর্ম কিছু না করে ভোটে কারচুপি, প্রচারে বাধা দেওয়া, কর্মীদের গ্রেফতার-হুমকি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কথা বলে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ‘শহীদের মর্যাদা’ পাওয়ার যে চেষ্টা করেছে তা কিন্তু কার্যকর করতে পারবে না।

সর্বোপরি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শেখ হাসিনার সরকার পুনরায় ক্ষমতাসীন হোক তা-ই প্রত্যাশা করেছিল। বিশেষ করে ভারত-চীন স্থিতিশীলতার কারণে চেয়েছিল যে শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আসুক। উভয় রাষ্ট্রের বহু চলমান প্রকল্প রয়েছে বাংলাদেশে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ প্রথম যে বিদেশি কূটনৈতিক গণভবনে গিয়ে অভিনন্দন জানান তিনি হচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝু। চীনের পর পরই ভারত ক্রিস্টালের নৌকা ও অভিনন্দন বার্তা নিয়ে উপস্থিত। প্রতিবেশী দুই বৃহৎ রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর তো সব রাষ্ট্রই দ্রুত এগিয়ে এলো, এমনকি পাকিস্তানও।

বিএনপির চলার পথে আরও একটি বাধা আছে, তা হলো তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নেগেটিভ ইমেজ। তার গ্রহণযোগ্যতা দেশে যেমন সংকটে পড়েছে, তেমনি তার গ্রহণযোগ্যতা নেই ভারত এবং চীনসহ অনেক রাষ্ট্রের কাছেও। ভারত মনে করে তারেকের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-এর গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভারতের পূর্ব-প্রান্তের সেভেন সিস্টারে পুনরায় গোলযোগ আরম্ভ হবে। আর চীন তারেক ও আমির খসরু মাহমুদের তাইওয়ানকে স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগের কথা এখনও বিস্মৃত হতে পারেনি।

বিএনপির জামায়াত প্রীতি তাদের আরেকটি গলারকাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। না পারছে জামায়াত-শিবিরকে ছাড়তে, না পারছে তাদের নিয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে। সর্বশেষ জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করা ঠিক হয়নি বলে ড. কামাল হোসেনের যে বোধোদয় হয়েছে তার ধাক্কা লেগেছে ঐক্যফ্রন্টের ঐক্যের বন্ধনেও।

পরিশেষে আবারও বলবো, শপথ নেওয়া ও সংসদ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ছাড়া ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির আটজন সংসদ সদস্যের ভিন্ন পথে অগ্রসর হওয়া সঠিক হবে না। নির্বাচন বাতিল করা নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট যদি আন্দোলন গড়ে তোলার এখনই চেষ্টা করে তা হবে পণ্ডশ্রম। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে সম্পর্কই থাকুক না কেন, ড. কামাল সেই সম্পর্ক দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত ভাবমূর্তিসম্পন্ন সরকারকে ঘায়েল করতে পারবেন না। এমনকি তার উদ্যোগে ড. ইউনূসের প্রচেষ্টা যোগ হলেও তা সম্ভব হবে না।

লেখক: কলামিস্ট, ইরাক ও আফগান যুদ্ধ সংবাদদাতা

[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ