X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ দামামা

আনিস আলমগীর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:২৩আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৩৫

আনিস আলমগীর পুলওয়ামায় আক্রমণের জের ধরে যে উত্তেজনা চলমান ছিল, ভারতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘটনার ১২ দিন পর নরেন্দ্র মোদি সরকার তার জবাব দিলো পাকিস্তানকে। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব গোখলে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে তারা পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা করেছে জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে। স্বতঃপ্রণোদিত এই নন-মিলিটারি হামলায় বিপুল সংখ্যক জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। বালাকোট পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এলাকা। জইশ-ই-মোহাম্মদ সেই সংগঠন, যারা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। ভারত এই সংগঠনটি সম্পর্কে বারবার পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে, যারা এর আগে পাঠানকোটের হামলা এবং ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলাসহ ভারতের অভ্যন্তরে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত।
অন্যদিকে, পাকিস্তান এ ধরনের দাবি অস্বীকার করছে। তারা বলছে, ভারতীয় বিমানবাহিনী এলওসি লঙ্ঘন করেছে এবং পাকিস্তানি বিমানবাহিনী সময় মতো সাড়া দেওয়ার পর তারা পালিয়েছে। তবে তারা এও বলেছে, পাকিস্তান এর জবাব দেবে এবং দেওয়ার অধিকার রাখে। হামলার ঘটনার পরপর শুধু সরকার নয়, দুই দেশের মিডিয়ার মধ্যে শুরু হয়েছে আরেক যুদ্ধ।

২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের উরি এলাকায় এবং ওই বছরের শুরুতে ২ জানুয়ারি পাঞ্জাবের পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি আক্রমণের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমেনি সত্য, তবে ভারতে বেশ কিছু দিন জঙ্গি আক্রমণ বন্ধ ছিল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পুনরায় কাশ্মিরগামী ৭২টি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ-ভর্তি ট্রাকে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আক্রমণ করে ৪৯ জন সিআরপিএফ সদস্যকে হত্যা এবং বহুজনকে আহত করা হয়েছে। মনমোহন সিংয়ের সময় বোম্বে হামলা, নরেন্দ্র মোদির সময়ে উরি হামলা, পাঠানকোটে হামলা এবং গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলায় শুধু বহু মানুষ হতাহত হয়নি, বহু সম্পদও বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বোম্বে হামলায় সবচেয়ে বেশি ছিল।

এবারের হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। পাকিস্তানে এ জাতীয় ননস্টেট অ্যাক্টর প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩০টি। এসব প্রতিষ্ঠানকে পাকিস্তান সরকার বেআইনি ঘোষণা করেছে। কিন্তু বেআইনি হলেও তলে তলে এরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জইশ-ই-মোহাম্মদ আর লস্করে তৈয়বার জঙ্গি তৎপরতা বেশি। জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর প্রধান মাসুদ আজহার। তাকে জাতিসংঘের মাধ্যমে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করেছিল আমেরিকা। কিন্তু চীনের ভেটোর কারণে তা সম্ভব হয়নি। এদের গায়ে হাত দিতে পাকিস্তানও ভয় পায়।

শুধু ২০১৬ সালে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাঠানকোটের হামলার পর তারা এক তীব্র সরকারি প্রতিরোধের মুখে পড়েছিলো এবং প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছিলো। পাকিস্তানের গত নির্বাচনে তারা নেওয়াজের মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে খুব জোরে প্রচারণা চালিয়েছিলো। আবার ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষে কাজও করেছে। পাঞ্জাবের বাওয়ালপুর জেলায় তাদের একটা ছোট দালানে সদর দফতর ছিল। এখন সেখানে ১৫ একর জমি কিনে প্রকাণ্ড সদর দফতর স্থাপনের নির্মাণকাজ চলছে।

পাকিস্তান সরকার এসব সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠানের প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশ এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে দেখেও না দেখার ভান করলে পাকিস্তানের অবস্থা আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ হবে। তার দেশ থেকে সন্ত্রাস পরিচালিত হবে, সন্ত্রাসীরা স্বীকার করবে, তারপরও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দায় এড়িয়ে বলবেন, ভারত প্রমাণ দিলে ব্যবস্থা নেবো– এটা হাস্যকর। পাকিস্তান নিজে শুধু এসব সন্ত্রাসীর জন্য শেষ হবে না, সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারত যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা শতাংশে নিশ্চিত। কারণ, কাশ্মিরের মুসলমানরা তাদের মুক্তির সংগ্রামে ব্যস্ত। আর জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্করে তৈয়বার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মান্ধ। তারা মুসলমানের দুঃখে এগিয়ে আসাকে তাদের বিশ্বাসের অংশ মনে করে।

কাশ্মির নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মাঝে তো বিরোধ আছেই। ১৯৪৭ সালে হায়দারাবাদের নিজাম যখন পাকিস্তানে যোগদানের কথা ঘোষণা করলেন তখন কাশ্মিরের মহারাজ হরি সিং ভারতের সঙ্গে যোগদানের কথা বলেছিলেন। সর্দার বল্লভ ভাই পেটেল তখন লিয়াকত আলী খানকে বলেছিলেন আমরা হায়দারাবাদ আর কাশ্মির বিনিময় করবো। কাশ্মির তার পিতৃভূমি হওয়ায় সম্ভবত জওহরলাল নেহরু এটা হতে দেননি। অবশ্য নেহরু শাসনতন্ত্র রচনা করার সময় কাশ্মির সম্পর্কে ৩৭০ ধারা সংযোজন করে কাশ্মিরকে স্বতন্ত্র মর্যাদা দিয়েছিলেন। কাশ্মিরে ভারতের অন্য রাজ্যের মানুষ গিয়ে জমি কিনতে পারে না। স্থায়ীভাবে বসতি করতে পারে না। হিন্দু মহাসভার সভাপতি শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি এক দেশ এক নিশানের স্লোগান তুলে এই ধারা সংযোজনের বিরোধিতাও করেছিলেন।

ভারত পাকিস্তানকে একঘরে করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে কারও আপত্তি নেই, কিন্তু কাশ্মিরে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে সে ব্যবস্থা অব্যাহত রাখলে পাকিস্তানের নন-স্টেট অ্যাক্টর প্রতিষ্ঠানগুলো কাশ্মিরিদের সাহায্যে আরও এগিয়ে আসবে। তখন সমগ্র উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকা সন্ত্রাসায়িত হয়ে যাবে। হালের জঙ্গি আক্রমণ নিয়ে ভারতজুড়ে শুধু কাশ্মিরিরা নয়, মুসলমানরা আরেক দফা হুমকির মধ্যে পড়েছে। দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে সানিয়া মির্জা, শাবানা আজমির মতো তারকাদের। যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চায় না, তাদের দেশদ্রোহী বলা হচ্ছে। এমনকি হিন্দু সম্প্রদায়ের যেসব নামিদামি লোক এসবের বিরোধিতা করছেন তারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মিডিয়ায় আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।

কাশ্মির নিয়ে ভারতে এখন কী হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। বরং পরিস্থিতি বোঝার জন্য পাঠকদের ভারতীয় আনন্দবাজার পত্রিকার ২২ ফেব্রুয়ারির সম্পাদকীয় পাতায় ‘কাশ্মিরের মানুষকে মারতে মারতে আর কত দূরে সরাব আমরা’ শিরোনামে সেমন্তী ঘোষের লেখার প্রথম দুটি প্যারা শেয়ার করছি। তিনি লিখেছেন–

‘ভারতের নানা জায়গায় কাশ্মিরের ছাত্রছাত্রীরা, শালওয়ালারা সন্ত্রস্ত ও নির্যাতিত হচ্ছেন, শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ উপত্যকায় ফিরে গিয়েছেন, কেউ ফিরছেন। আর মন্ত্রী বলছেন, কই, কিছু শুনিনি তো? সব মিলিয়ে যা চলছে—তাতে আমরা নিশ্চিত হতে পারি তো যে, কাশ্মিরিরা ফিরে গিয়ে নিজেদের আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের বলবেন, ‘এই যে দেখে এলাম, ভারতই কিন্তু আমার-তোমার দেশ, তোমরা যেন কেউ অন্যরকম ভেবো না?’ ভারতের এক প্রদেশের রাজ্যপাল থেকে সব প্রদেশের জ্ঞানগর্ভ ফেসবুকোদ্দীপ্ত দেশপ্রেমিকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, কাশ্মির ও কাশ্মিরিদের বয়কট করা হোক। আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারি তো যে, কাশ্মিরিরা এতেই বুঝবেন দেশপ্রেমিকরা আসলে বলতে চাইছেন, কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ?  

গত কয়েক বছর ধরে বহু আলোচনা হয়েছে, কাশ্মিরিদের মন কীভাবে ভারতের প্রতি আরও বিষিয়ে উঠছে দিন দিন। পুলওয়ামা-কাণ্ডেও আত্মঘাতী জঙ্গিটি কিন্তু পাকিস্তানে ট্রেনিং নেওয়া জঙ্গি নয়, নেহাত উপত্যকার লেঠিপোড়া গ্রামের স্কুলে পড়া কাশ্মিরি, যে কয়েক বছর আগে স্কুল থেকে ফেরার সময়ে (তার আত্মীয়দের ভাষায়, অকারণেই) বেধড়ক মার খেয়েছিল ভারতীয় সেনার হাতে। আত্মীয়দের বয়ান অবিশ্বাস করা মুশকিল। এই কয়েক বছরে যত কাশ্মিরি বালক-বালিকা যুবক-যুবতীর ছবি আমরা দেখেছি, পথে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দিকে পাথর ছুড়ছে, আর উল্টো সেনার হাতে প্রাণ কিংবা শরীরের কোনও না কোনও অংশ খুইয়ে আসছে—তারা কেউ জন্ম থেকেই পাকিস্তানি সরকার বা জঙ্গিবাহিনীর খপ্পরে পড়েছিল, এতটা নরেন্দ্র মোদিও দাবি করবেন না। তাহলে কেন তারা আক্রমণের জন্য এতটা মরিয়া? কেননা, ইতিমধ্যে কয়েক প্রজন্মের কাশ্মিরিরা দেখে এসেছে সেনার বাড়াবাড়ি, ‘সেনাবাহিনী ভারতীয় রাষ্ট্র’ এই সমীকরণকে জান দিয়ে ঘৃণা করতে শিখেছে। হাঁটতে শিখেই দেখেছে বাড়ির গলির মুখে দাঁড়িয়ে আছে বন্দুক উঁচিয়ে সেনা। প্রতি পদে দেখাতে হয়েছে আই-কার্ড। (মনে আছে ‘হায়দর’ সিনেমা?) চারপাশে দেখেছে সেই মানুষগুলোকে, এই উপমহাদেশে যাদের তুলনা কাশ্মিরের বাইরে খুঁজে পাওয়া ভার- ‘হাফ-উইডো’। এই মহিলারা বৈধব্য যাপন করেন, কিন্তু জানেন না সত্যিই তাঁরা বিধবা কিনা। স্বামীর জীবন-সংবাদের আশা ছেড়ে দিয়ে শুধু মৃত্যু-সংবাদটুকু পাওয়ার জন্যই তাঁরা অশ্রুভরা চোখে চেয়ে থাকেন সেনা ছাউনির দিকে।’

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এরই মাঝে কাশ্মিরে নৃশংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। আবার জাতিসংঘ মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে বলেছে, ভারতের উচিত হবে ৭২ বছরের পুরনো সমস্যাটা একটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা। এখনও চীন এ বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দেয়নি। তারা যদি কোনও পরিস্থিতিতে কোনও কারণে মনোযোগ দেয় তাহলে আগুনে ঘি ঢালার অবস্থা হবে। আমার মনে হয় ভারত সরকারের কাশ্মিরিদের সঙ্গে একটা সম্মানজনক সমাধানে পৌঁছানো উচিত। কাশ্মিরের সমস্যা এমনই এক সমস্যা, হাজার বছর পর হলেও ভারতকেই তার সমাধান করতে হবে। পাকিস্তান এতে নাক না গলালেও সমাধান লাগবে। ‘কাশ্মির চাই কিন্তু কাশ্মিরিদের অপছন্দ’ হলে সমাধান কখনও হবে না।

মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের নন-স্টেট অ্যাক্টর প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চীনের যোগাযোগ নেই তা নয়। আমেরিকা জইশ-ই-মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘকে দিয়ে বিশ্ব সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম তুলতে চেয়ে তো চীনের ভেটোর কারণেই পারেনি। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নন-স্টেট অ্যাক্টরের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, তারা আত্মহননে পরোয়া করে না। যে কারণে অল্প সংখ্যক লোক ব্যাপক সামরিক বাহিনীর লোককেও পর্যুদস্ত করে ফেলে। বোম্বে হামলায় লোক ছিল ১০ জন, উরিতে লোক ছিল ৪ জন আর পাঠানকোটে লোক ছিল ৫ জন। কাশ্মিরের পুলওয়ামায় কয়জন লোক ছিল তা এখনও জানা যায়নি, তবে তাও ৬/৭ জনের ওপরে হবে বলে মনে হয় না। ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জেলার এক বাড়িতে জঙ্গিরা আত্মগোপন করে আছে শুনে ভারতীয় বাহিনী বাড়িটি ঘেরাও করতে গেলে জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে এক মেজরসহ পাঁচজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। যারা জীবন দেওয়ার পথে নেমেছে তারা তো বেপরোয়া হবেই।

নরেন্দ্র মোদি নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকে সেনাবাহিনীকে তাদের ইচ্ছেমতো প্রতিশোধ গ্রহণের দিন তারিখ ও উপায় নির্ধারণের অধিকার দিয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনের আগে এরকম কিছু তো দেখাতে হয়। সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতা ঢাকার আর উপায় কি? মোদি সব বিরোধী দলের মিটিং ডেকে ছিলেন, সবাই তাকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছেন। ভারত কাশ্মিরে ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসমিন মালিকসহ অনেককে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ২৬ ফেব্রুয়ারির বিমান হামলা তারই নামান্তর।

ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আকারে ছোট। ভারতের পক্ষ থেকে কোনও বড় আকারের আক্রমণ হলে তা প্রতিহত করতে পাকিস্তান ছোট ছোট আণবিক বোমা ব্যবহার করতে পারে। পাকিস্তানের আণবিক বোমার জনক ড. আবদুল কাদের ছোট ছোট বোমা বানানোর কারণ বলতে গিয়ে এ ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছেন। পাকিস্তানি বাহিনী নাকি সীমান্তে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আছে। ইমরান খান ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে তারা বসে থাকবেন না। বিরোধী দলগুলোর তরফ থেকেও চাপ আছে। উত্তেজনা কমবে কিনা বোঝা মুশকিল। তবে উভয় পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রকে বড় রাষ্ট্রগুলো সহজে যুদ্ধে যেতে দেবে বলে মনে হচ্ছে না। ভারতের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির ভোটের খেলায় এ ধরনের উত্তেজনা চলবে, তাতে সন্দেহ নেই।

লেখক: সাংবাদিক কলামিস্টইরাক আফগান যুদ্ধ সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত

[email protected]

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বাড়তি ফসল মিষ্টিকুমড়ায় কৃষকের মুখে হাসি
বাড়তি ফসল মিষ্টিকুমড়ায় কৃষকের মুখে হাসি
ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিলো কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলচালক নিহত
ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিলো কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলচালক নিহত
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ