X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে থেকেও দেশে নেই ওরা

রেজানুর রহমান
২৬ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৫২আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৫৫

রেজানুর রহমান মাথার চুল সজারুর কাঁটার মতো ঊর্ধ্বমুখী। চোখে গোল চশমা। ইংরেজিতে ‘ব্যাড বয়’ লেখা কালো টি-শার্ট। কালোর মধ্যে ‘ব্যাড বয়’ শব্দ দুটো সাদা। ফলে কালোর মাঝে সাদা শব্দ দুটোই নজর কাড়ছে সবার। আরও বেশি নজর কাড়ছে ছেলেটির পরনের প্যান্ট। সামনে পেছনে একাধিক জায়গায় ছেঁড়া। আজকাল এটাই নাকি ফ্যাশন। ছেঁড়া প্যান্ট, ছেঁড়া শার্ট, ছেঁড়া চুল। সঙ্গে দামি মোবাইল না থাকলে নাকি ফ্যাশন জমেই না। এতদিন ঢাকা শহরে দেখেছি এ ধরনের উদ্ভট ফ্যাশন। এবার দেখলাম ঢাকা থেকে বহুদূরে রংপুর শহর ছেড়ে কাউনিয়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। ২০-৩০ বছর আগে এই জনপদে ভালো রাস্তাঘাট ছিল না। বর্ষাকালে ডুবে থাকতো গোটা এলাকা। গরুর গাড়িই ছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন। আর এখন ঝকঝকে তকতকে একটি জনপদ। পাকা রাস্তায় সাঁই সাঁই করে বাস, টেম্পো, অটোরিকশা চলাচল করে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান। প্রতিটি দোকানেই আছে রঙিন টেলিভিশন সেট। বলা বাহুল্য, টেলিভিশনে দেশের টিভি চ্যানেল প্রায় অনুপস্থিত। সবার আগ্রহ বিদেশি টিভি চ্যানেলের প্রতি।

কাউনিয়ায় গিয়েছিলাম একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। শুক্রবার ছুটির দিন। পাশাপাশি দুই বাড়িতে দুটি বিয়ের অনুষ্ঠান। রাস্তার ধার ঘেঁষে বাড়ি দুটির অবস্থান। দুই বাড়ির মাঝখানে দুই বাড়ির তরুণেরা যৌথ প্রক্রিয়ায় বিয়ের গেট সাজিয়েছে। ভাড়ায় শব্দযন্ত্র এনে বসিয়েছে। তাতে বাজছে পাশের দেশের চটুল হিন্দি গান। গানের তালে তালে ছেলেদের সঙ্গে নাচানাচি করছে কিশোরী মেয়েরাও। অদূরে একটি চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে বসে আড্ডা দিচ্ছে সজারু চুলের ওই তরুণ, সঙ্গে তার বন্ধুরা। আড্ডায় কোনও আওয়াজ নেই। সবার হাতে মোবাইল ফোন। সজারু চুলের ছেলেটির এক হাতে সিগারেট, অন্য হাতে মোবাইল ফোন। চায়ের দোকানটিতেও শব্দযন্ত্রে হিন্দি গানের সুর বাজছে। গানের তালে তালেই মোবাইল চর্চায় ব্যস্ত সজারু চেহারার ওই কিশোর তরুণেরা। কৌতূহলবশত তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ভেবেছিলাম ওরা হয়তো আমাকে সালাম দেবে। সমীহ দেখাবে। ওরা মোটেও তা করলো না। তবে সজারু চুলের ছেলেটি বেঞ্চ  থেকে উঠে অন্যত্র যাওয়ার জন্য উসখুস করছিল। তাকেই প্রশ্ন করলাম, বাবারা তোমাদের সঙ্গে কি একটু কথা বলতে পারি? সজারু চুলের ছেলেটি জবাব দিল না। তার পাশে বসা অন্য একটি ছেলে বলল, কী কথা আংকেল? আপনার পরিচয়। মৃদু হেসে নিজের পরিচয় দিলাম।

বললাম বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছি। এবার সজারু চুলের ছেলেটিই প্রশ্ন করলো, বলেন কী বলবেন? গুনে দেখলাম ওরা সংখ্যায় সাতজন। সবাই সমবয়সী। মাথার চুলের স্টাইল, পরনের পোশাক, ভাবভঙ্গি প্রায় একইরকম।

তোমরা কি এই এলাকায় থাকো? আমার প্রশ্ন শুনে সজারু চুলের ছেলেটি বললো, হ্যাঁ আমরা এই এলাকায় থাকি।

পড়াশোনা করো? আমার প্রশ্ন শুনে এবার ওরা পরস্পরের দিকে চাওয়া-চাওয়ি শুরু করে দিলো। একটু দূরে কোনায় বসে থাকা বেঁটেমতো ছেলেটি বললো, না আমরা সবাই পড়াশোনা করি না।

সাতজনের মধ্যে কয়জন পড়াশোনা করো?

বেঁটে ছেলেটিই জবাব দিলো, আমরা চারজন স্কুলে পড়ি।

অন্যরা?

ওরা পড়াশোনা করে না।

তাহলে কী করে?

কিছু করে না। আমাদের সঙ্গে আড্ডা দেয়। ঘুরে বেড়ায়, এই আর কী।

যে তিনজন স্কুলে যায় না, তাদের সঙ্গে কথা শুরু করলাম। কেন স্কুলে যাও না? তাৎক্ষণিকভাবে কোনও উত্তর এলো না। তিনজনের একজন বোধকরি বিরক্ত হয়ে চলে গেলো। বাকি দু’জন যাওয়ার জন্য উসখুস করছে। তাদের হয়েই স্কুলপড়ুয়া অন্য চারজনের একজন বললো, ওদের নাকি লেখাপড়া ভালো লাগে না। বলেই সকলে হো হো করে হেসে ফেললো। বিব্রত বোধ করছিলাম। ‘লেখাপড়া ভালো লাগে না’—এটা বলার মধ্যে কৌতুক করার কী আছে? ওরা সবাই উঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গভীর আগ্রহ নিয়ে বেঁটেমতো ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলাম, বাবারা তোমরা কি এভাবেই মোবাইল টিপে আড্ডা দাও? প্রশ্নটা কি শক্ত হয়ে গেলো? কেউ কোনও জবাব দিচ্ছে না। হঠাৎ সবার মাঝখানে বসা ফর্সা চেহারার ছেলেটি পাল্টা প্রশ্ন করলো, আংকেল মোবাইল টিপে আড্ডা দেওয়া বলতে আপনি কী বুঝাতে চাচ্ছেন? তাকে বললাম, না মানে...ইয়ে...তোমরা সবাই যেভাবে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছ, তাই প্রশ্নটা করলাম। মোবাইলে সাধারণত কী দেখ তোমরা? বেঁটেমতো ছেলেটি বললো, কত কিছুই তো দেখি। গান দেখি, নাটক দেখি, সিনেমা দেখি, ঝগড়া দেখি... বলেই হেসে উঠলো সবাই। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, গান দেখো বললে, বাংলাদেশের গান দেখো...? প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ছেলেগুলো পরস্পরের দিকে তাকালো। সজারু চুলের ছেলেটি বললো, বাংলাদেশের গান শুনি। তবে হিন্দি গানেই বেশি মজা...

বাংলাদেশের সিনেমা দেখো? সঙ্গে সঙ্গে সবাই বলে উঠলো—না। বাংলাদেশের সিনেমায় কোনও মজা নাই।

তাহলে বাংলাদেশের টিভি নাটক দেখো নিশ্চয়ই? এবার উত্তর দিতে গিয়ে সবাই আবার পরস্পরের দিকে তাকালো। বেঁটে ছেলেটি বললো, দেশের টিভি নাটক দেখি আবার দেখি না। তবে কইলকাতার টিভি নাটক ভালো লাগে। ওদের কথা শুনে ভেতরে ভেতরে আমি অসহায় বোধ করছি। ওরা দেশের গান শোনে না, সিনেমা দেখে না, টিভি নাটকও দেখে না। মঞ্চ নাটকের খবর কী? বিতর্ক প্রতিযোগিতা? এসবের খবর রাখে কি ওরা? সাহস করে প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা তোমরা কি মঞ্চ নাটক দেখো, বিতর্ক প্রতিযোগিতা...

ওরা সবাই যেন আকাশ থেকে পড়ে গেলো? মনে হলো মঞ্চ নাটক, বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ওদের কোনও ধারণাই নেই। আমি যাতে আর কোনও প্রশ্ন না করি, সেই ভয়ে ওরা কোনও প্রকার সৌজন্যতা না দেখিয়েই চলে গেলো। অবাক চোখে ওদের গমন পথের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ একজনের কথায় চমক ভাঙলো।

ভাইয়ের পরিচয়? পরিচয় দিয়ে বললাম, বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছি। আপনার পরিচয়? লোকটি মৃদু হেসে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে আছি। প্রধান শিক্ষক। খুশি হলাম লোকটিকে পেয়ে। এমন একজন শিক্ষককেই বোধকরি মনে মনে খুঁজছিলাম। ওই ছেলেগুলো সম্পর্কে আরও জানতে চাই।  আপনার স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কেমন?

তিনি মৃদু হেসে বললেন, গ্রামের স্কুল তো। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি করি আমরা। খাতা কলমে প্রায় তিনশ’ ছেলেমেয়ে আছে। কিন্তু সবাই নিয়মিত ক্লাসে আসে না।

কেন, কেন নিয়মিত ক্লাসে আসে না? আমার প্রশ্ন শুনে প্রধান শিক্ষক মহোদয় যেন একটু বিব্রত হলেন। বিব্রত কণ্ঠেই বললেন, গ্রামের স্কুল তো...বোঝেন না? মেয়েরা কথা শুনলেও ছেলেরা কথা শুনতে চায় না।

তার মানে ছেলেদের চেয়ে স্কুলে মেয়েদের হাজিরা বেশি?

হ্যাঁ।

ছেলেদের হাজিরা কেন কম বলে মনে হয়?

প্রধান শিক্ষক মহোদয় এবার একটু ভেবে নিয়ে বললেন, সত্যি কথা বলতে কী, সময়টাই এখন অস্থির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে গ্রামের পরিবেশও বদলে গেছে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই দেখবেন ছেলেমেয়েরা রাত জেগে ফেসবুক চর্চা করে। দিনে ঘুমায়। শুধু ছেলেমেয়েদেরই বা দোষ কী? তাদের কারও কারও বাবা-মায়েরাও রাত জেগে ফেসবুক চর্চা করে। ফেসবুক চর্চার কারণে গ্রামে অনেকের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। কোমলমতি ছেলেমেয়েরাও নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে...

প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের কণ্ঠ ভারী হয়ে এসেছে। তবুও তাকে প্রশ্ন করলাম, ফেসবুক তো তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটাকে তো আপনি বাদ দিতে পারবেন না। প্রধান শিক্ষক মহোদয় অসহায়ের মতো আমার চোখের দিকে তাকালেন। বললেন, আমি তো ভালো কোনও কিছুই বাদ দেওয়ার পক্ষে না। কিন্তু কোনটা ভালো কোনটা মন্দ তা বুঝতে হবে আপনাকে। ছাত্রছাত্রীরা যেন স্কুলে মোবাইল নিয়ে না আসে। এই ঘোষণা দেওয়ার পরও আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। ক্লাসের মাঝখানেই ছাত্রছাত্রীদের কাছে অভিভাবকদের ফোন আসে। যখন দেশে মোবাইল ফোন ছিল না, তখন কি আমরা পড়াশোনা করিনি। সকালে স্কুলে এসে বিকালে বাড়িতে ফিরেছি। বাবা-মায়েরা তো তখন এতো অস্থির ছিলেন না। এখন কেন এতো অস্থির? কোমলমতি ছেলেমেয়েদের কাছে মোবাইল ফোনই বা এতো সহজলভ্য হবে কেন? আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন অনেক জরুরি ভূমিকা পালন করছে, একথা ঠিক। তবুও কোনও কোনও ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা জরুরি...কথাগুলো জোর দিয়েই বললেন প্রধান শিক্ষক মহোদয়।

প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। আমি ওই বিতর্কে যেতে চাই না।

একটা বিষয় বোধকরি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাহলো—আমাদের কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কী? আমরা স্বীকার করি বা না করি, বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ‘মোবাইল প্রজন্ম’ হয়ে বেড়ে উঠছে। যার প্রয়োজন নেই তার হাতেও শোভা পায় দামি মোবাইল ফোন। তারা খায় দায়, আড্ডা দেয়, এমনকি ঘুমায়ও মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে। তার মানে মোবাইল ফোনই কি ক্ষতিকর? বোধকরি এই ভাবনাটা ভুল! দেশে এক সময় ভিসিআর নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। কারণ ভিসিআরের মাধ্যমে দেশে নীল ছবি দেখার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভিসিআরে কি শুধুই ‘নীল’ ছবি দেখা যায়? নাকি ভালো ছবি দেখারও সুযোগ আছে? হ্যাঁ, ভিসিআরে ভালো ছবি দেখারও সুযোগ আছে। এখন প্রশ্ন হলো, ভিসিআরকে আপনি কীভাবে ব্যবহার করবেন? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। একথা তো সত্য, তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার দেশের উন্নয়ন ধারায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন যা পারছে না, তাই করে দেখাচ্ছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যম। কিন্তু তলে তলে একটা ক্ষতিও হয়ে যাচ্ছে। যে ক্ষতিটা তুষের আগুনের মতো। এখন হয়তো আগুনটা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এখনই সতর্ক না হলে আগুনটা হঠাৎই হয়তো দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে। তখন শত চেষ্টা করেও হয়তো ফেরার পথ পাওয়া যাবে না।

নিয়ন্ত্রণ বলে একটা শব্দ আছে। খালি চোখে দেখলে শব্দটা নেতিবাচক। কিন্তু শব্দটির গুরুত্ব অনেকখানি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দেখবেন কোথাও কোথাও লেখা থাকে ‘এখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ’। খালি চোখে দেখলে হয়তো মনে হবে বাক্যটি খুবই আপত্তিকর। দেশের মালিক সাধারণ জনগণ। অথচ তাদের ব্যাপারেই কিনা নিষেধাজ্ঞা? কিন্তু এই বাক্যটি লেখা থাকে প্রয়োজনের খাতিরেই। সব জায়গায় তো সবার যাতায়াতের প্রয়োজন নেই। আমাদের ছোট ছোট পরিবারেও তো এমন অনেক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু আছে। বড়দের আড্ডায় ছোটদের থাকতে নেই। বড়দের মতো করে ছোটদের কথা বলতে নেই। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা কি সেই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটা ধরে রাখতে পারছি? নাকি এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের কোনও প্রয়োজন নেই। সমাজ সংস্কৃতি কিন্তু বদলে যাচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েরাও বদলে যাচ্ছে। বদলটা অনেকাংশেই নেগেটিভ। কেউ কাউকে মানছে না। অনেকেই হয়তো ভাবছেন কাউনিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওই সাতজন ছেলের কথা ভেবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটাই দেশের সার্বিক চিত্র নয়। ফুটবল, ক্রিকেট, তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানা মাধ্যমে তরুণদেরই তো তখন জয়জয়কার। কাজেই কাউনিয়ার চিত্রই দেশের আসল চিত্র নয়। বিনীতভাবে বলি, এটা ভুল ভাবনা। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কিশোর, তরুণদের বেলায় কাউনিয়ার চিত্রই সারাদেশে বিরাজমান। আমরা অনেকেই হয়তো তা দেখেও না দেখার ভান করছি।

এখনই সচেতন না হলে একদিন এটাই মহা ভুলে পরিণত হবে। তখন আর সত্যি সত্যি ফেরার পথ থাকবে না।

লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, সম্পাদক আনন্দ আলো।                            

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ