X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

সবাই কি ‘আঙুল চুষছিলেন’?

প্রভাষ আমিন
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:২৫আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:২৫



প্রভাষ আমিন মানুষ মাত্রই ভুল হয়। বলা হয় ফেরেশতা বা শয়তানের ভুল হয় না। মানুষের ভুল হয়। ভুলের জন্য মানুষ অনুশোচনা করে। মানুষ ভুল স্বীকার করে, ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা নেয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যেন ব্যতিক্রম, বিশেষ করে রাজনীতিবিদরা। তারা কখনও ভুল স্বীকার করেন না। ভুল হলেও চট করে অস্বীকার করেন এবং প্রতিপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দেন। আমার খালি আফসোস লাগে, যদি আমাদের রাজনীতিবিদরা নিজেদের ভুল স্বীকার করতেন এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতেন; তাহলে কতই না ভালো হতো। নিজেদের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর প্রবণতা দৃশ্যমান হয়েছে গণতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি একে অপরের ওপর দায় চাপানোর খেলা খেলে আসছে তিন দশক ধরে। কিন্তু বিএনপি এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক। প্রায় ১৩ বছর তারা ক্ষমতার বাইরে, সংসদে আসন মাত্র ৬টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে ১১ বছর ধরে, টানা তৃতীয় দফায়। তাই এখন আর কোনও কারণে বিএনপিকে দোষারোপ করা উচিত নয়। বিএনপি নিজেদের ভুলে নিজেরা রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিদিন তাদের বাঁচিয়ে রাখছেন, প্রাসঙ্গিক করে তুলছেন। কিন্তু কোনও ঘটনা ঘটলেই ১৩ বছর আগে ক্ষমতায় থাকা কোনও দলকে দোষারোপ করাটা কেমন হাস্যকর শোনায়, তা যদি আওয়ামী লীগ নেতারা একটু আমজনতার কাতারে বসে শুনতেন, আমার ধারণা আর কখনোই তারা সেটি করতেন না।


গত সপ্তাহে ক্যাসিনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক অভিযানে ধরা পড়ছেন ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের নেতারাও। প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে শুরু হওয়া এই অভিযান নিয়ে সাধারণ মানুষ খুশি, তারা চান শুধু ক্যাসিনো নয়, সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলুক। অভিযানে সরকারি দলের নেতারাই আটক হচ্ছেন বলেই এই অভিযানের গ্রহণযোগ্যতা আরো বেড়েছে। সবাই বুঝছেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার অভিযান নয়। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এই অর্জনকে বিসর্জন দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন। বিএনপি নেতা মঈন খান অভিযোগ করেছেন, মসজিদের শহর ঢাকাকে আওয়ামী লীগ ক্যাসিনোর শহরে পরিণত করেছে। অভিযোগ কিন্তু মিথ্যা নয়। যে শহরে ৬০টি ক্যাসিনো থাকে, সেটিকে চাইলে আপনি ক্যাসিনোর শহর বলতেই পারেন। কিন্তু ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানানোর দায় যদি আওয়ামী লীগের হয়, তাহলে এই ক্যাসিনো সিন্ডিকেটকে ধ্বসিয়ে দেওয়ার কৃতিত্বও কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারেরই। তারা দলের বিবেচনা না করেই, দলের বদনাম হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলে দিলেন, ‘বিএনপিই ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে। এই ক্যাসিনো বন্ধের জন্য বিএনপি যা পারেনি, আওয়ামী লীগ তা পেরেছে।’ খুব ভালো কথা। ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগ অসত্য, তেমন দাবি আমি করছি না।
সাম্প্রতিক অভিযানের আগ পর্যন্ত আমি ক্যাসিনোর কথা জানতামই না। তাই এটা বিএনপি আমলে শুরু হয়েছে না আওয়ামী লীগ আমলে; সেটাও আমার জানা নেই। এখন পত্র-পত্রিকায় যা পড়ছি, তাতে মনে হয় ঢাকার ক্লাবগুলো মাঠের খেলা ফেলে জুয়া খেলায় মনোনিবেশ করেছে বিএনপি আমলেই। কিন্তু এটাই যদি সত্যি হয়, তাহলে আমার প্রশ্ন, সরকারি দলের নেতারা কি এতদিন আঙুল চুষছিলেন? ক্যাসিনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াটা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার এবং সেটা ভাঙতে একদিনের অভিযানই যথেষ্ট। বিএনপি যদি ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহরে পরিণত করেও থাকে, আপনারা ১১ বছর ধরে সেটা লালন-পালন করলেন কেন? প্রশ্রয় দিলেন কেন? তাহলে কি আপনারাও ‘বখরা’ পেতেন?
যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল গেলো, যখন তিনি যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ আনলেন; তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে গেলো।
প্রধানমন্ত্রীর একার পক্ষে তো সবদিকে নজর রাখা সম্ভব নয়। তিনি তো তার চারপাশের লোকদের কাছ থেকেই দেশের অবস্থা সম্পর্কে জানবেন। কিন্তু চারপাশের লোকজন যদি সারাক্ষণ বলতে থাকেন, ‘আপা সব ঠিক আছে কিংবা নেত্রী চিন্তা করবেন না’—তাহলে তো তিনি আসল খবর কখনোই পাবেন না। বাইরে যত চাপাবাজিই করুন, দলীয় প্রধানের কাছে যদি সত্যিকারের চিত্রটা তুলে না ধরেন; তাহলে তো আপনারাই দেশের, সরকারের এবং শেখ হাসিনার ক্ষতি করছেন। এখানে দুটি ব্যাপারে, হতে পারে আপনারা জানতেন না অথবা জেনেও গোপন করেছেন। যদি সত্যি সত্যি না জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনাদের চরম ব্যর্থতা। ১১ বছর ধরে আপনারা ক্ষমতায়। এই সময়জুড়ে দেশে এতগুলো ক্যাসিনো চলছে, প্রতি রাতে সেখানে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে; আর আপনারা কিছুই জানতেন না; চারপাশে এত অথর্ব নেতৃত্ব নিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সত্যিই কঠিন। আর যদি জেনেও ‘বখরা’ পেয়ে সত্য গোপন করে থাকেন, শেখ হাসিনাকে আড়ালে রেখে থাকেন; তাহলে তো আপনাদের অপরাধ আরো বড়। যারা ধরা পড়েছে, তারা নিশ্চয়ই কাকে কাকে ‘বখরা’ দিতো, তার তালিকা দেবে। সেই তালিকা ধরে ধরে অভিযান চালানোর দাবি জানাচ্ছি।
‘আঙুল চোষা’র প্রসঙ্গটি তুলেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। গত বুধবার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর তিনি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘আপনি বলছেন ৬০টি ক্যাসিনো আছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আপনারা ৬০ জন কি এত দিন আঙুল চুষছিলেন? তাহলে যে ৬০ জায়গায় এই ক্যাসিনো, সেই ৬০ জায়গার থানাকে অ্যারেস্ট করা হোক। সেই ৬০ থানার যে র‌্যাব ছিল, তাদের অ্যারেস্ট করা হোক।’ আমার এখন যুবলীগ চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন, র‌্যাব-পুলিশ না হয় টাকা খেয়ে তাদের ধরেনি, কিন্তু আপনি কেন প্রশ্রয় দিলেন? আপনি কি এতদিন ‘আঙুল চুষছিলেন?’ যুবলীগে একেকজন মনস্টার হয়ে গেছেন, আর চেয়ারম্যান কিছুই জানছেন না, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? আবার আমার সেই প্রশ্ন, যদি আপনি না জানেন, তাহলে আপনি ব্যর্থ। আর যদি জেনেও গোপন করে থাকেন, তাহলে আপনি অপরাধী। যুবলীগ নেতারা অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করেন, তারা ছাদ ভাড়া নিয়ে ক্যাসিনো চালান; এই তথ্য প্রধানমন্ত্রী জানেন; আর যুবলীগ চেয়ারম্যান জানেন না, এটা হতে পারে না।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ক্যাসিনোবিরোধী এই অভিযানকে বিরাজনীতিকরণ, যুবলীগকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। তবে তার এই অভিযোগ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দিকে, কারণ এই অভিযান শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশে। আমি আগেই বলেছি, ঢাকা শহরে ক্যাসিনোর অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কিন্তু আমার না জানা আর যুবলীগ চেয়ারম্যানের না জানা এক নয়। তাকে সারাদেশের যুবলীগের নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডের ওপরই নজর রাখতে হবে। সেখানে খোদ ঢাকা শহরের খবরই জানেন না তিনি। প্রথম দিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও একদিন পর সুর নরম করে যুবলীগ চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বহিষ্কার করেছেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, এই মহাপরাক্রমশালী ক্যাসিনো সম্রাট খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এক সময় ফ্রিডম পার্টি করতেন, পরে যুবদল হয়ে যুবলীগে এসেছেন। একজন ফ্রিডম পার্টি থেকে কীভাবে যুবলীগে এলেন, কীভাবে মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক বনে গেলেন? যুবলীগ চেয়ারম্যান কি এতদিন ‘আঙুল চুষছিলেন’? যুবলীগ চেয়ারম্যান এখন বলছেন, পুলিশ কাউকে ধরলেই তাকে বহিষ্কার করবেন। এটা কেমন কথা। দলের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে তো তারই ভালো জানার কথা। পুলিশ ধরতে হবে কেন। পুলিশের আগে তো যুবলীগই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। অফিস পিয়ন আনিসুর রহমান কীভাবে দলের দফতর সম্পাদক বনে গেলেন, কেন সংগঠনের সবাই তাকে ক্যাশিয়ার ডাকে, ৫ হাজার টাকা বেতনের অফিসে পিয়ন কোন আলাদিনের চেরাগ দিয়ে কোটি টাকার ফ্ল্যাট কেনেন—এসব প্রশ্নের উত্তর কি যুবলীগ নেতারা জানেন না?
জি কে শামীমকে নিয়ে ঘটছে আরো মজার ঘটনা। যুবদলের এই সাবেক নেতা নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে দাবি করতেন। কিন্তু গ্রেফতারের পর যুবলীগ তাকে অস্বীকার করেছে। যুবলীগের দাবি, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, শামীম আওয়ামী লীগেরও কেউ নন। কিন্তু আমার প্রশ্ন শামীম কোন ক্ষমতাবলে ছয় জন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন?
১১ বছর ক্ষমতায় থেকেও এত বড় ঘটনা না জানার ব্যর্থতা বা বখরা পেয়ে শেখ হাসিনার কাছ থেকে সত্য আড়ালে রাখার দায় অবশ্যই আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাদের নিতে হবে। তারপরও ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রশ্নটি অযৌক্তিক নয়। পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে, তাদের নাকের ডগায় বছরের পর বছর ক্যাসিনো ব্যবসা চলে আসছে; এটা যতই বলুন আমি বিশ্বাস করবো না। পুলিশ যেটা দাবি করছে, তারা কিছুই জানতো না। এটা সত্যি হওয়া সম্ভব নয়। সত্যি হলে এটা পুলিশের ঐতিহাসিক ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমি যেটা বুঝি ঢাকা শহরে পুলিশের অজান্তে কিছুই করা সম্ভব নয়। পুলিশকে ‘বখরা’ দিতেই হবে। অথচ পুলিশ চাইলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে। কিন্তু দিনের পর দিন রাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুলিশকে আমরা ‘অথর্ব’ বানিয়ে ফেলেছি। এখন পুলিশ আর নিজে থেকে কিছু করে না বা করার কথা ভাবেই না। অথচ ক্যাসিনো বন্ধ করে দিলে নিশ্চয়ই তাদের কারও পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি হতে হতো না। বরং এমন কিছু করলে তারা পুরস্কৃতই হতেন। কিন্তু এত বড় একটা বেআইনি কর্মকাণ্ড বছরের পর বছর চলে আসছে, আর পুলিশ বসে বসে ‘আঙুল চুষেছে’। ক্যাসিনো বন্ধ করতেও তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী বলার পরই সবাই এখন মাঠে নেমেছে।
বছরের পর বছর ঢাকায় ক্যাসিনোর খবর না জানাটা একজন সাংবাদিক হিসেবে অবশ্যই আমার ব্যর্থতা। কিন্তু এখন শুনছি, ব্যক্তিগতভাবে আমি না জানলেও সাংবাদিকদের অনেকেই নাকি জানতেন, কেউ কেউ নাকি নিয়মিত ‘বখরা’ও পেতেন। এক সাংবাদিক নিজে ক্যাসিনা চালাতেন বলেও পত্রিকায় খবর এসেছে। বছরের পর বছর ক্যাসিনোর খবর জেনেও চুপ করে থাকা, বসে বসে ‘আঙুল চোষা’র দায় আমাদের সবার। যুবলীগ নেতারা ক্যাসিনো চালান, শেখ হাসিনা এ অভিযোগ করার পর এখন সবার ঘুম ভেঙেছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বলছি, সব কাজ প্রধানমন্ত্রীকেই করতে হবে, এমন আশায় বসে থাকবেন না। নিজেরাও চোখ কান খোলা রাখুন। অন্যায় বা বেআইনি কিছু হতে দেখলে ঠেকানোর চেষ্টা করুন। না পারলে অন্তত প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
তবে তার আগে বিএনপির ভূতটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। ১৩ বছর আগে ক্ষমতায় থাকা কোনও দলের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার দিন অনেক আগেই ফুরিয়েছে।
ভালো-মন্দ যাই হোক, টানা ১১ বছর ক্ষমতায় থাকা দলকেই তা নিতে হবে। ভালো কিছু হলে প্রশংসা আপনার। মন্দ কিছু হলে তা স্বীকার করুন, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান।

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘আশ্রয়ণ’: গ্রামীণ বসতি রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়
‘আশ্রয়ণ’: গ্রামীণ বসতি রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়
ছক্কা মেরেও আউট হলেন মুশফিক !
ছক্কা মেরেও আউট হলেন মুশফিক !
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
রামরুর কর্মশালায় বক্তারাঅভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ