X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্যারিসকাণ্ড: আপনার বিবেক কী বলে?

মাসুদা ভাট্টি
১৬ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:০৭আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০১৫, ২১:৫৯

Masuda-Vatti-C প্যারিস কাঁদছে। প্যারিসের সঙ্গে কাঁদছে মানবিক বিশ্ব। প্যারিসে যারা গিয়েছেন, তারাতো জানেনই কিন্তু যারা কোনওদিন প্যারিসে যাননি, তাদেরও প্যারিস সম্পর্কে রয়েছে অদ্ভূত এক আবেগ। সেখানের  মানুষগুলোর চেয়েও এই শহরকে নিয়ে বিশ্বের নানা দেশের মানুষের ভালোবাসা অনেক সময়ই আদিখ্যেতার পর্যায়ে পড়ে। আজ সেই প্যারিস এবং এই শহরের মানুষ আক্রান্ত, তাও কোনও জন্তু কিংবা জানোয়ার নয়, মানুষেরই হাতে। এই আঘাত কেবল প্যারিসকেই নয়, এই আঘাত আসলে ইউরোপকে যারপরনাই বিমর্ষ করে তুলেছে। ভীত-সন্ত্রস্ত্র করে তুলেছে সাধারণ জীবনকে। মানুষ আসলে বুঝতে পারছে না, এর শেষ আসলে কোথায়? শান্তি আসবে কোন পথে? দানবের হাতে আজকে বিপর্যস্ত মানবতা-প্যারিস এই সত্যকে আমাদের ভয়ঙ্করভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। অবশ্য, বিগত দশককাল ধরেই আমরা বার বার এ রকম কথা বলে আসছি, বলতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। একেকবার একেকটি শহর আক্রান্ত হয় আর আমরা কলম ধরি, সেই শহর ও তার মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে কথা বলি। এভাবে বলতে বলতে প্রতিটি শহর এবং তার আক্রান্ত হয়ে ওঠা কেবল মৃতের সংখ্যা বাড়ায়, নতুন একটি ঘটনা হিসেবে যুক্ত হয় এবং এখন আমরা এমন একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি যেখান থেকে সত্যি-সত্যিই বলতে পারি যে, আমরা কেউই আর ভয়মুক্ত নই, আমরা সবাই আক্রান্ত, কি বাংলাদেশে, কি ফ্রান্সে কিংবা যুক্তরাজ্যে। মৃতের যেমন জাত থাকে না, তেমনই আক্রান্তেরও নেই কোনও রঙ, জাত-পাত, জাতীয়তা।

মজার ব্যাপার হলো, প্রতিটি শহর যখন আক্রান্ত হয় তখন একদল মানুষ আক্রান্তের (পড়ুন মৃতের) দোষ খুঁজতে উঠেপড়ে লাগেন। যেমন, প্যারিস আক্রান্ত হওয়ার পর ফরাসি সরকার তথা ইউরোপ এবং আমেরিকা কী কী  খারাপ কাজ করেছে, তার ফিরিস্তি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। মাঝে-মাঝে তাদের কথাবার্তা এমন অসহনীয়ভাবে কদর্য হয়ে ওঠে যে, মনে হতে পারে, তারা এই ভয়ঙ্কর দানবদের সমর্থন করছেন, সাহস যোগাচ্ছেন। বাংলাদেশে যেমন, একেকজন ব্লগার-প্রকাশক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, আক্রান্ত হন সঙ্গে-সঙ্গে এই অ্যাপোলজিস্টরা বলতে শুরু করেন যে, ইসলামকে আক্রমণ করে লেখার কারণেই যারা আঘাত পেয়েছেন, তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং এই আঘাত দেওয়ার ব্যাপারটিকে এতটাই বড় করে তোলা হয় যে, শেষ পর্যন্ত মনে হয়, আগামীতে যদি আরও কাউকে খুন করা হয়, তাহলে ব্যাপারটা মন্দ হয় না। প্যারিস আক্রমণের পরও দেখতে পাচ্ছি, বিশ্লেষণের পর বিশ্লেষণ, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় বলার চেষ্টা চলছে যে, ইরাক কিংবা সিরিয়া আক্রমণের পরিণতি এই হামলা এবং এটা হওয়ারই ছিল ও হামলাকারীদের আসলে খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না। আমি এখানে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথাই বলতে চাইছি, বলতে চাইছি কিছু বিশ্লেষকের বিশ্লেষণের কথা। সাধারণের চিন্তাচেতনার কথা না হয় নাই-ই বলি।

স্বীকার করতে অসুবিধে নেই যে, বিশ্বময় একটি মেরুকরণ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে নোংরা পর্যায় পার করছি আমরা। ইরাক কিংবা সিরিয়া আক্রমণের ঘটনা আমাদের জীবদ্দশার সবচেয়ে করুণ ও ভয়াবহতম পরিণতিকেই সামনে নিয়ে আসে। ইতিহাস এই দুই আক্রমণকে এবং এর আক্রমণকারীকে কখনও ক্ষমা করবে না। কিন্তু এই যুক্তিতেই যদি আমরা এগিয়ে যাই তাহলে প্রশ্ন তুলতেই হয়, বাংলাদেশে কেন ব্লগারদের, মুক্ত চিন্তার মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে? তারাতো বুশ-ব্লেয়ারের ইরাক আক্রমণ কিংবা তার পরবর্তী সময়ে সিরিয়া কিংবা লিবিয়া আক্রমণকে সমর্থন দেয়নি কখনও। উল্টো এ পর্যন্ত যাদের ওপর হামলা হয়েছে কিংবা যাদের হত্যা করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই ইঙ্গ-মার্কিন চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। অথচ তাদের হত্যাকারীরা কিংবা হত্যার হুমকি দাতারা এ কাজটি করছে ধর্মের দোহাই দিয়েই।

কিংবা ধরুন পাকিস্তানের কথা। একটি আপাদমস্তক মুসলিম দেশ। সে দেশ থেকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের তাড়ানো হয়েছে সফলভাবে। কিন্তু এখনও কেন সে দেশে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে? কেন হাজার-হাজার মানুষ হত্যা করা হয়? পাকিস্তান নিশ্চয়ই ইরাক কিংবা সিরিয়ায় আক্রমণকারীদের দোসর নয়? অথবা আফগানিস্তান? সেখানেও নিজেদের ওপর হামলাকারীরা আসলে বিদেশি নয়, সে দেশেরই মানুষ। অতএব, কেবল  ইরাক বা সিরিয়ায় আক্রমণের দোহাই দিয়ে যারা প্যারিসে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের সাফাই গাইছেন, তারা আসলে যুক্তির বদলে কুযুক্তিই দিচ্ছেন।

হ্যাঁ, পশ্চিমেও ইরাক এবং সিরিয়ায় আক্রমণ নিয়ে ব্যাপক বিরুদ্ধ-জনমত রয়েছে। এমনকি খোদ ফ্রান্সেও শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ মনে করে, ইরাক ও সিরিয়ায় আক্রমণ ঠিক হয়নি। তারা সে দেশের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এই হামলা থেকে সরে আসার জন্য। শুধু তাই নয়, ইরাক বা সিরিয়ায় আক্রমণের ফলে যে বিশাল উদ্বাস্তুগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, তার বোঝা যে ইউরোপের মাথার ওপর আসবে, সে বিষয়ে বিশ্লেষণ বহু আগেই পশ্চিমের গণমাধ্যমে লক্ষ করা গেছে। প্রায় দশ বছর আগেই এক পরিসংখ্যানে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা জানিয়েছিল, এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হবে আসলে ইউরোপেরই। হয়েছেও তাই। সিরিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চল থেকে শরণার্থীরা আসলে অন্য কোনও মুসলিম দেশে আশ্রয় নিতে যাননি, গিয়েছে ইউরোপেই। জাহাজ বোঝাই করে কিংবা যে যেভাবে পেরেছেন, নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ইউরোপের দিকেই ছুটেছেন। আর ইউরোপের দেশে-দেশে সাধারণ মানুষ এই শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য নিজ নিজ সরকারের ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করেছে। প্যারিস কিংবা লন্ডন, বা বার্লিন, সর্বত্রই একদল মানুষ কী করে এই শরণার্থীদের সফলভাবে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হয় তার জন্য নিরলস কাজ করে চলেছেন। অথচ দেখুন, এই শহরগুলোর সাধারণ মানুষই আজ ভয়ঙ্করভাবে আক্রান্ত।

আলকায়েদা, আইসিস বা আইএস কার সৃষ্টি তা নিয়ে আমরা বিতর্ক করতে পারি। কিন্তু একটি জায়গায় এখন আর বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই যে, এরা আসলে ধর্মের নামেই সৃষ্টি হয়েছে এবং এদের উদ্দেশ্য আসলে ধর্ম দিয়ে আঘাত করা। কিন্তু ধরুন, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান বা ভারতের মতো দেশগুলোয় এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি না হলেও স্থানীয়ভাবে যারা সৃষ্টি হয়েছে তাদের অবস্থান ও উদ্দেশ্য কী? তাদের সৃষ্টি করছে কারা? এবং কিভাবে? বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা ভাবুন, বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংগঠনটি ধর্মের নামে গত বিশ-ত্রিশ বছরে এতোগুলো মানুষের রগ কেটে, দেশের ভেতর চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি (২০১২-১৩-১৪ এবং এখন) সৃষ্টি করেছে তাদের কিন্তু আমরা চিনি এবং জানি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও। কিন্তু এ কথাও আমরা জানি যে, আজকে তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে করে প্রথম যে গালিটি দেয় তাহলো ‘এই সরকার নাস্তিকদের সরকার’। হয়তো পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারলে তারা এই অজুহাতও তুলবে যে, আওয়ামী লীগ সরকার আসলে পশ্চিমা দেশগুলোর তৈরি করে দেওয়া সরকার। অথচ, সত্যটা হচ্ছে পশ্চিমা সরকারগুলো বিশেষ করে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনায় কেবল পঞ্চমুখই নয়, পারলে যেকোনও সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সরানোর জন্য তারা সবচেয়ে বড় ভূমিকাটি পালন করে। মোটকথা, শেখ হাসিনার সরকারকে কোনওভাবেই কেউ ইঙ্গ-মার্কিন অক্ষশক্তির কাছের সরকার হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে না। কিন্তু তাও কি এদেশের উগ্র ধর্মান্ধ শক্তির নগ্ন আক্রমণ থেকে শেখ হাসিনার সরকারকে আমরা রক্ষা করতে পারছি? মোটেও না।

এখানেই আসলে সব যুক্তিতর্ক বেনোজলের মতো ভেসে যায়, তাহলো, ইরাক বা সিরিয়া আক্রমণ আসলে ছুতা মাত্র। মূল প্রশ্নটি আসলে ধর্মবিশ্বাসের শ্রেষ্ঠত্বের ভেতরই নিহিত। পশ্চিমা গণতন্ত্রকে ধর্মের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে দাঁড় করানোর এই প্রক্রিয়াটি পুরনো এবং বহুলভাবে ব্যবহৃত। তাই-ই যদি না হবে তাহলে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে যে হত্যাকাণ্ড ঘটছে তা ঘটার কথা নয় এবং এ কারণেই যারা প্যারিসকাণ্ডকে নানা উছিলায় হালাল করার চেষ্টা করছেন, তারা আসলে প্রকারান্তরে আইএস কিংবা বাংলাদেশে ব্লগারদের  হত্যাকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন। অবশ্য আমরা এদেশের অনেক চিহ্নিত ব্যক্তিত্বকেই দেখেছি, সরাসরি তাদের উৎসাহ দিয়েছেন ব্লগারদের ধর্মবিদ্বেষী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে।

একটি কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে, পশ্চিম ধর্মাচরণ, ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদি গোঁড়ামি থেকে বহু আগেই বেরিয়ে এসেছে অন্ততপক্ষে নিজেদের উদার প্রমাণ করতে তারা প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কথা বলতেও নারাজ। কিন্তু ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িতে এখনও প্রাচ্য কেবল ডুবে আছে তাই-ই নয়, বরং দিনে দিনে তা যেন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে বা যারাই সৃষ্টি করুক না কেন, আল-কায়েদার পরে আইএস, নিজেদের ভেতর দুর্বলতা না থাকলে কোনও বিদেশি শত্রুর পক্ষে এ রকম বিশাল শত্রুপক্ষ তৈরি সম্ভব নয়। কই, ইউরোপে কি শত চেষ্টা করলেও এ রকম একটি খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাসী উগ্রবাদী সংগঠন তৈরি করা সম্ভব? নাকি কোনও ইউরোপীয় দেশ সেটা করার সমর্থন দেবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু সমালোচনা আমরা করতে পারি, কিন্তু সে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে মানবতাবোধের প্রশংসা না করলে সেটা হবে চরম অন্যায়। খুঁজে পেতেও খ্রিস্টীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটিও সৌদি আরবের মতো ধর্মরাষ্ট্র পাওয়া যাবে না। কেউ কেউ হয়তো ভ্যাটিকানের কথা বলবেন কিন্তু ভ্যাটিকানের ক্ষমতা বা প্রভাব নিয়ে যারা জানেন, তারা নিশ্চিতভাবে এ কথাটিও জানেন, এটি আসলে একটি কাগুজে বাঘমাত্র এবং সে বাঘও এখন কেবল মানুষের কল্যাণের কথাই বলে, কোনও যুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণ নেই যুদ্ধের বিপক্ষে নিন্দাজ্ঞাপন ছাড়া।

প্যারিস আক্রান্ত হওয়ার পরও লক্ষ্য করে থাকবেন, ফরাসি সরকার সে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের  নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পাহারা জোরদার করেছে এবং এখন পর্যন্ত এমন কোনও একটি আক্রমণের খবর শোনা যায়নি। অথচ দেখুন, অনেকেই বিশেষ করে প্রাচ্যদেশে বা আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হয়, বাংলাদেশের কথা, এখানে প্যারিস আক্রমণের জন্য ফ্রান্সকেই দায়ী করে কথা বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। রক্তের দাগ এখনও প্যারিসের রাজপথে, প্যারিসবাসীর মনে দগদগ করছে। আর আমরা তাদেরই কিনা দায়ী করে কথা বলছি। বিষয়টি কেবল অমানবিকই নয়, অত্যন্ত নোংরাও বটে। তাহলে এখন নিজেকেই একবার প্রশ্ন করে দেখুন, আপনি আসলে কোন পক্ষে? প্যারিস কিংবা বাংলাদেশের ব্লগার নয়, আজকে বিশ্ব মানবতা আক্রান্ত। আপনার বিবেকের সামান্য সমর্থন এই আক্রমণকারীদের আরও শক্তিশালী করবে এবং তাদের পরবর্তী টার্গেট যে আপনি নন, সে কথা হলফ করে কিন্তু বলা যায় না। আপনার বিবেককে শয়তানের জিম্মায় রাখবেন না মানবতার পক্ষে রাখবেন তা সম্পূর্ণই আপনার সিদ্ধান্ত।

লেখক: কবি ও কলামিস্ট।

ইমেইল: [email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। বাংলা ট্রিবিউন-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য বাংলা ট্রিবিউন কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বিএনপির ‘ইন্ডিয়া-আউট’ ক্যাম্পেইন: বাস্তবতা ও সম্ভাব্য ফলাফল
বিএনপির ‘ইন্ডিয়া-আউট’ ক্যাম্পেইন: বাস্তবতা ও সম্ভাব্য ফলাফল
নায়কের জন্মদিনে নায়িকারা...
নায়কের জন্মদিনে নায়িকারা...
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আধুনিকায়নে কাজ করবে জাইকা ও বিএফডিসি
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আধুনিকায়নে কাজ করবে জাইকা ও বিএফডিসি
ট্রেনের ৪৫ হাজার টিকিট কিনতে দেড় কোটির বেশি হিট
ট্রেনের ৪৫ হাজার টিকিট কিনতে দেড় কোটির বেশি হিট
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ