X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৬: একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

মাসুদা ভাট্টি
২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৩:৫১আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৯:৩০

মাসুদা ভাট্টি ২০১৬ সাল শুরু হয়ে এক মাস কেটে যাচ্ছে। দিনের শুরুটা দেখে যেমন বলে দেওয়া যায় যে দিনটি কেমন যাবে তেমনই পুরোপুরি না হলেও এটুকু বলাই যায় যে, ২০১৬ সাল বাংলাদেশের জন্য খুব একটা সুখকর হবে না। আমাকে অনেকেই হয়তো নিরাশাবাদীদের দলে ফেলবেন এই বক্তব্যের কারণে। আপত্তি নেই। তবে তার আগে কেন এরকম কথা বলছি তার একটু ব্যাখ্যা দিতে চাই।
তবে সে ব্যাখ্যার আগে বলে নিতে চাই যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে আমি একটি বিশেষ ও উল্লেখযোগ্য সরকার বলে মনে করি। কারণ, এই সরকারের সামনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কিছু দায় ও দায়িত্ব। বিশেষ করে, বাংলাদেশকে একটি পুরোনো ও ক্ষয়িষ্ণু অনুন্নত ধারা থেকে আধুনিক ও উন্নয়নমূলক সচলতায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই সরকার কাজ করছে বা করতে চাইছে। এর সঙ্গে যদি যোগ করি ইতিহাসের দায় শুদ্ধিকরণের ব্যাপারটি তাহলে বর্তমান সরকারের অনেক কাজ ও পরিকল্পনাকে ব্যাখ্যা করা সহজ হয়।
যাহোক, ২০১৬ সালে প্রবেশের আগে ২০১৫ সালের শেষ দিকটায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির নিজস্ব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে বিশেষ করে খালেদা জিয়া অনেকটা সময় জুড়ে দেশের বাইরে থাকায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংঘাতমূলক খুব বড় কোনও ঘটনা আমরা দেখিনি। বরং লন্ডনে বসে তিনি কিছু কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করেছিলেন তার দলের ও নিজস্ব রাজনৈতিক উপদেষ্টা সাকা চৌধুরীকে বাঁচানোর জন্য। শুধু তাই নয় তার রাজনৈতিক সহচর মুজাহিদকে বাঁচানোর জন্য জামায়াত ইসলামীর যুগপৎ তৎপরতা তো দেশে-বিদেশে জারি ছিলই। এসব ক্ষেত্রে তাদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রগতির পক্ষে বিপক্ষে গেলো কিনা সে ব্যাপারে তাদের কোনও পরোয়া ছিল না, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা সরকারকে হটানো। মুখে যতোই গণতন্ত্র নেই বা গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের কথা বলা হোক না কেন মূল উদ্দেশ্য যে শেখ হাসিনাকে সরানো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ২০১৬ সালের শুরুতে এই তৎপরতা ভিন্ন মাত্রা নিয়েছে। সেটা কীভাবে তাই-ই আজকের লেখার উপজীব্য।
আমরা যদি বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পাই যে, এই দল দু’টি জনগণকে বাইরে রেখে বহুবিধ ষড়যন্ত্রে পারদর্শী। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে দেশের ভেতর চরম অস্থিরতা সৃষ্টির বড় ধরনের অতীত রয়েছে এই দল দু’টির মিলিত শক্তির।এই মুহূর্তে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তাদের একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল জনসম্মুখে উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে বড় আকারের নাশকতার পরিকল্পনার জন্য তারা যে সব পথ বেছে নিয়েছে সেগুলো কাজে আসছে না। যেমন আমরা সিঙ্গাপুরে ২৬ জঙ্গির তৎপরতা সম্পর্কে জানতে পারলাম সম্প্রতি। আমি বলছি না যে, তারা বিএনপি-জামায়াতের নির্দেশে এই কাজ করছিলো। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা কী বলে?

বাংলা ভাই থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কোন জঙ্গি তৎপরতায় তাদের অংশগ্রহণ ছিল না বলতে পারেন? এক্ষেত্রেও যদি বিদেশে বসে বাংলাদেশে নাশকতা সৃষ্টির জন্য এরকম একটি টিম গঠনের জামায়াতি প্রচেষ্টা এটা হয়ে থাকে তাহলে আশ্চর্য হবো না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এই সিঙ্গাপুর-চিহ্নিত জঙ্গিদের বাংলাদেশের হাতে হস্তান্তরের পর তাদের কয়েকজনকে মুক্ত করে দেওয়ার গণমাধ্যমের খবরানুযায়ী কোনও সুস্থ বিবেক কি উদ্বিগ্ন না হয়ে পারেন? এখানেই মনে হয় যে, এর পেছনে দেশীয় রাজনৈতিক শক্তির হাত রয়েছে। না হলে যারা এদেরকে মুক্ত করে দিলো তারা নিজেরা সাহসী ও উদ্যোগী হয়ে এরকম কাজ করতে পারেন বলে প্রত্যয় হয় না। ফলে ধরে নিচ্ছি যে, বড় কোনও রাজনৈতিক শক্তির মদদেই এই জঙ্গিদের কাউকে কাউকে মুক্ত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের ভেতরকার এই দুর্বলতাই আমার মনে হয় এ বছরজুড়ে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে থাকবে আমাদের সামনে। বিশেষ করে সরকারের ভেতরে থেকে সরকারকে অস্থিতিশীল করার মদদ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই রাজনৈতিক মদদপুষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে সরকারের সঙ্গে সঙ্গে দেশেরও বড় ধরনের ক্ষতি করতে যাচ্ছেন সেকথা নিয়ে এখনই আলোচনা-সমালোচনা হওয়া উচিত যাতে এদের কর্মকাণ্ড কিছুটা হলেও বন্ধ করা যায়।

অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ বানচাল করার তৎপরতা ঠেকাতে বাংলাদেশে যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে তারা হচ্ছে পুলিশ বাহিনী। অনেক অসঙ্গতি, অনেক অপকর্ম থাকা সত্ত্বেও গত পাঁচ-ছয় বছরে এই বাহিনীর ভূমিকাকে মোটাদাগে প্রশংসনীয়ই বলতে হবে। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ দু’একজন অতি-তৎপর পুলিশ কর্মকর্তার কারণে পুরো পুলিশ বাহিনীকে ন্যাংটো করে দেওয়ার যে পরিকল্পিত তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা আসলে কোনও মতেই ভালো লক্ষণ নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই সব চিহ্নিত কর্মকর্তাকে দ্রুত শাস্তি প্রদান না করে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুলিশ কর্মকর্তার উল্টো তার পক্ষে কথা বলাটাও জনগণ আর পুলিশকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে বলে মনে হয়।

খালেদা জিয়া এই সেদিনও দায়িত্বশীল পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তাদের নামোল্লেখ করে বলেছেন যে, তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা (পড়ুন মানুষ পোড়ানোর তৎপরতা) তাদের কারণে সফল হতে পারেনি। একটি বিশাল বাহিনীর ভেতর বহু ধরনের ও বহুমতের লোকজন থাকতে পারে কিন্তু তাদেরকে শৃঙ্খলার ভেতর রাখাটা বাহিনী-প্রধানের দায় ও দায়িত্ব। কিন্তু যে মুহূর্তে তাদের অপকর্মের পক্ষাবলম্বন করা হয় ঠিক সেই মুহূর্তে জনগণের সামনে গোটা বাহিনী একটি দৈত্যের রূপ পায়। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সামনে আরও খারাপ প্রমাণের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করা হবে এবং এ জন্য তালিকা করে কিছু চিহ্নিত পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মকে সামনে নিয়ে আসা হবে। এরপর যথারীতি যা হবার তাই-ই হবে। তবে এরকম কিছু হওয়ার আগে যদি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকেই সেই কাজটি করা শুরু হয় তাহলে হয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলেও হতে পারে।

বাংলাদেশে যে কোনও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই করতে যাওয়া হোক না কেন তাতে কিছু কিছু মানুষের বাসস্থান, কর্ম এবং জীবিকার ক্ষতি হবে। কিন্তু, বিশাল কলেবরে সেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গরিষ্ঠ জনগণের জন্য উপকারী হবে কি না সেটাই বিবেচনাযোগ্য হওয়া উচিত, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এমনটাই ঘটে। কয়েক বছর আগে লন্ডনে যখন ক্রসরেল প্রকল্প (গোটা লন্ডনকে একটি বিশাল রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার প্রকল্প) নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। স্কটল্যান্ড থেকে উড়ে এসে বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস্ এলাকা থেকে কেবলমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে নির্বাচিত এমপি জর্জ গ্যালওয়ে বাঙালি কমিউনিটিকে উস্কে দেয় এই ক্রসরেলের বিপক্ষে এবং তাদেরকে মাঠে নামায় এই অজুহাতে যে, মাটির তলা দিয়ে এই রেল লাইন খননের ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ক্ষতি হবে।‘খুদিলার আন্দোলন’ নাম দিয়ে প্রায় প্রতি উইকএন্ডেই পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় কিছু লোকজন জড়ো করে মিছিল করা হতো।কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার এই আন্দোলনকারীদের দাবিকে প্রশ্রয় না দিয়ে ক্রসরেল প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং এখন তা প্রায় সমাপ্তির মুখে।এই মুহূর্তে পূর্ব লন্ডনের চেহারাতো বদলেছে, এই এলাকায় বাড়ি ঘরের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে তাতে বাঙালিরাই লাভবান হয়েছে বেশি কারণ এখানে বাড়িঘরের মালিক মূলত বাঙালিরাই ছিল। আমার ধারণা বাংলাদেশেও মেট্রোরেল নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রোরেল সংযুক্ত হওয়া বা না-হওয়া নিয়ে তা অনেকটা এই পূর্ব লন্ডনের ‘খুদিলার’ (আঞ্চলিক সিলেটি উচ্চারণে খনন কাজকে বলা হয়ে থাকে) আন্দোলনের মতো অনেকটা। অদৃশ্যে কে বা কাহারা যেনো উস্কে দিচ্ছে এই আন্দোলনকারীদের। মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকায় কোনও সুফলই বয়ে আনবে না জাতীয় জ্ঞানগর্ভ রচনা দেখতে পাই—যাতে মনে হতে পারে যে, আমরা সকলেই বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তিত কেবলমাত্র শেখ হাসিনা আর তার সরকারই বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেন না মোটেও!!

একই কথা প্রযোজ্য হবিগঞ্জে ইপিজেড নির্মাণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হওয়া বিষয়েও। দেখতে পাচ্ছি হবিগঞ্জ থেকে আন্দোলনকারীদের ঢাকায় নিয়ে আসার পাঁয়তারা চলছে। আবার কোনও কোনও সরকার-পক্ষীয় রাজনীতিবিদ বা নির্বাচিত প্রতিনিধি শক্তি প্রয়োগে আন্দোলকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। জানি না, সরকারের পক্ষ থেকে তাকে এমন কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিনা, না দেওয়া হয়ে থাকলে তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত এরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত উনি নিলেন কেন? কারণ, এই সমস্যার সমাধান বলপ্রয়োগে নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে বা হওয়া উচিত। চা-শ্রমিকদের আয় যদি ইপিজেড-এর কারণে দ্বিগুণ হয় এবং তার সুফল চা-শ্রমিকদের পাইয়ে দেওয়ার ব্যপারে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় তাহলে সমস্যা সমাধানে বড় কোনও উদ্বেগের কারণ দেখি না।

সর্বশেষ উল্লেখ করতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়টিও। আমার কেন যেনো মনে হয়, এই আন্দোলনটিও যেনো কোত্থেকে আদ্দিষ্ট হওয়া আন্দোলন, কার সম্মান কতোটা বেশি তা যে পাল্লায় ওজন করে মেপে দেওয়া যায় না তা বোঝার মতো বুদ্ধি শিক্ষকদের নেই সেকথা মানতে চাই না আমি। তাই মান-সম্মানের বিষয়টি শিকেয় তুলে সোজা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিটি নিয়েই এগিয়ে যাওয়া সমিচীন বলে মনে করি। কিন্তু আমার মনে করাতে কী এসে যায়, শিক্ষকরা নিশ্চয়ই আমাদের মতো ছাত্রদের চেয়ে অনেক বেশিই বোঝেন। দুঃখজনক হলো, সব পক্ষের এই বেশি বোঝার ভেতর দিয়ে ২০১৬ সালের রাজনৈতিক শুরুটা যে মোটেও ভালো হচ্ছে না তা বোঝার জন্য শিক্ষক বা পণ্ডিত হওয়ার দরকার নেই, চোখ-কান একটু খোলা থাকলেই সেটা বোঝা যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, এই সালটি ক্রমশঃ তাই অস্থিরতার দিকেই যাচ্ছে এবং বার বার অস্থিরতা কাটিয়ে সরকার থিতু হয়ে দাঁড়াতে পারবে সেরকম অনুকূল পরিবেশ আগামীতে নাও বজায় থাকতে পারে। এরশাদের জাতীয় পার্টির ভেতর হঠাৎ হেলদোল শুরু হওয়াটা অন্ততঃ আমাদের সেরকম অনুকূল পরিবেশের লক্ষণ নির্দেশ করে না। এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইলো আগামীতে। আপাতত এটুকুই। তবে আশা থাকবে যেনো, আমার এই বিশ্লেষণ মিথ্যে প্রমাণিত হয় এবং ২০১৬ কেবলই উন্নয়ন এবং আরও উন্নয়নের বছর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

লেখক: কবি ও কলামিস্ট।

ইমেইল: [email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বর্ষার আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, মোকাবিলায় যা করছে ডিএনসিসি
বর্ষার আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, মোকাবিলায় যা করছে ডিএনসিসি
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ