X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেট্রোরেলের প্রাসঙ্গিকতা

তানভীর আহমেদ
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১২:৫৯আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৩:০১

তানভীর আহমেদমেট্রোরেলের প্রস্তাবিত রুট পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন আর প্রতিবাদের ব্যানারে ব্যবহৃত কিছু দাবি, যতদূর আমি খবরের কাগজ আর টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি, তার কয়েকটা এরকম: ‘মেট্রোরেল চাই, ঢাবিতে নয়!’, ‘ঢাবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাবলিক রুট নয়’, ‘চাই নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ, ঢাবি বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’
প্রতিবাদের মূল সুর যদি আমি সারমর্ম করি তা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে প্রস্তাবিত মেট্রোরেলের রুট থাকলে শিক্ষার পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট হবে। মেট্রোরেল ঢাবির বুক দিয়ে যাবে কি যাবে না, এই তর্কের আগে একটু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করছি। আমি যখন সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলাম, তখন দেখেছি, হলের ব্যালকনিতে মশারি টাঙিয়ে ফার্স্ট ইয়ারে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্ররা রাত কাটাতো। আমাদের রুমের চারপাশে দেয়াল থাকলেও নবাগত শিক্ষার্থীদের কপালে জুটতো শুধুই মেঝে আর ছাদ। প্রত্যেক হলে কিছু গণরুম থাকতো সেখানে এক কক্ষে ঢালাও বিছানায় রাতযাপন করতো শিক্ষার্থীরা। পড়ার টেবিল তো দূরে থাক, রাতে অনেকের বিছানা বালিশও জুটতো না। সেখানেও যাদের স্থান হতো না তারা বারান্দায় একটা কাঁথা গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়তো, আবার সকালে সেই কাঁথা গুটিয়ে রাখতো, কেউ কেউ রাতে মসজিদেও ঘুমাতো। ২০০১/২০০২ সালের কথা বলছি, এখনকার অবস্থা জানি না।
দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমবেশি সবক’টি হলেরই একই দশা। কিন্তু হতাশ হতাম কেউ কোনোদিন ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়াতো না শিক্ষার্থীদের এই সংকট নিরসনে! যে ছেলেটি কিংবা মেয়েটি রাতে গণরুমে ফ্লোরিং করে ঘুমায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যাবার আগে, ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে মিছিল সহকারে মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে কয়েক দফা শ্লোগান দিয়ে, তারপর শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে হতো। মনে মনে আশা,একদিন এভাবেই তাদের একটা ভালো সিট কিংবা থাকার জায়গা করে দিবে মিছিলের নেতৃত্বে থাকা বড় ভাই।
আমি নিশ্চিত,বছরের পর বছর যে শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমে নির্ঘুম থেকেছে কিংবা মসজিদের চাটাইয়ে রাত কাটিয়েছে তাদের অনেকেই এখন কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত। ঢাবি’র প্রেক্ষাপটে এটিই বাস্তবতা। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা এখনও গণরুমে ঘুমায় কিনা জানি না, তবে এতটুকু অনুমান করি সংকট তাদের ছাড়েনি, হয়তো পুরনো সংকটের সঙ্গে ভিন্ন কিছু যুক্ত হয়েছে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে মেট্রোরেলের একটি স্টেশন স্থাপিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে বিষয়টি মানতে পারছি না,কেননা শিক্ষার পরিবেশ বিপর্যয়ের এরচেয়ে জঘন্য আরও উদাহরণ দেওয়া যাবে। একাত্তর টিভির বার্তা পরিচালক ইশতিয়াক রেজা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মিছিল, বোম, গুলির মাঝেই পড়ালেখা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে’। ইশতিয়াক রেজা  ভাইয়ের সাথে যদি একটু যোগ করি তাহলে ঢাবি’র শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে যে যিনি তার শিক্ষা জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর, লাইব্রেরি চত্বর, টিএসসি চত্বর, অপরাজেয় বাংলা কিংবা মধুর ক্যান্টিনের আশেপাশে রাজনৈতিক দলের মিছিল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া কিংবা  ককটেল বোমার মুখে পড়েনি।
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা কোনও পাবলিক রুট নয়!’- এখন প্রশ্ন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী আর কর্মচারি ছাড়া সাধারণ জনগণ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করে না? নাকি এই অঞ্চলে জনগণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে? স্বীকার করছি,শ্রেণি কক্ষ ও প্রসাশনিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনের স্পর্শকাতর স্থানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষণের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করছি। কিন্তু সাধারণ জনগণের প্রবেশ কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো বিশ্বের তাবৎ ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে। রাষ্ট্রের একজন সাধারণ নাগরিক যদি তার শিশু সন্তানটিকে তার বাবা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখাতে নিয়ে যান, কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও একদিন এই শিশুকে ভর্তি করাবেন বলে স্বপ্ন দেখাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যান, কিংবা কোন পিতা-মাতা যদি তাদের সন্তানদের শিশুপার্ক, জাতীয় যাদুঘর কিংবা শহীদ মিনার দেখিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবন কিংবা জাতীর অহংকারের প্রতীক অপরাজেয় বাংলা দেখাতে নিয়ে যান, তাহলে কি রাষ্ট্রের একজন সাধারণ নাগরিক হওয়ার কারণে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত হওয়ার কারণে তার শিশুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখানো থেকে বঞ্চিত হবেন?

আমি যখন প্রথম অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ শহরে গিয়েছিলাম তখন আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। একজন পর্যটক হিসেবে আমার জন্য বাইরে থেকে এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেখার কোনও বাধা ছিলো না। বিশ্বের লাখো পর্যটকদের কোনও বাধা নেই অক্সফোর্ড কিংবা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস পরিদর্শনে, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন দর্শনার্থীদের ব্যাপারে এতটা নির্দয় হবে? আমি স্বীকার করছি, পর্যটক ও সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশও নিয়মনীতির মধ্যেই থাকতে হবে, অসামাজিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অপরাধ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু, কিন্তু এই ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ভবন দর্শন কিংবা এলাকা পরিদর্শন অথবা এই অঞ্চল দিয়ে সাধারণের চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে এমনটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে বৈকি। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করে শুধুমাত্র বহিরাগত হওয়ার কারণে অনেকের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জাতীয় যাদুঘর, চারুকলা ইনস্টিটিউট, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজার, টিএসসি, অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাস্কর্য, ঢাবি’র মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলক, ডাকসু, ফুলার রোড, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সলিমুল্লাহ হল, শহীদুল্লাহ হল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনাপার্ক, দোয়েল চত্বর, কার্জন হল, জাতীয় চার নেতার মাজার, বাংলা একাডেমি, পরমাণু কমিশন, দোয়েল চত্বর, শিশু একাডেমি, শহীদ মিনার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সব এলাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ, দেশের সাধারণ নাগরিকের এই সকল স্থাপনা দেখবার ও এই অঞ্চলের পথ ব্যাবহারের অধিকার রয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট নন কিন্তু কাজের প্রয়োজনে অসংখ্য মানুষকে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাতের প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি রয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট ভবন, রেল ভবন, মৎস্য ভবন ও সচিবালয়। এই স্থানগুলো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সাধারণ মানুষের এই সকল স্থাপনা দেখবার যেমন আকর্ষণ রয়েছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা কাজ করেন তারা ও তাদের পরিবার কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোনও না কোনও কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ব্যবহার করতেই হয়।

এছাড়াও পহেলা বৈশাখ, ফেব্রুয়ারির বইমেলা উদযাপনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকায় যে লাখো মানুষের ঢল নামে তার জন্য যদি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রোরেল সার্ভিস থাকে তাহলে এই বিশাল সংখ্যক সাধারণ মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হওয়ারই কথা। সেই সাথে প্রতিদিন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারিদের যাতায়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যে নিজস্ব বাস সার্ভিস রয়েছে তার ওপরও চাপ কমাবে মেট্রোরেল।

আবারও ফিরে আসি মেট্রোরেলের স্টেশন স্থাপনের যৌক্তিক আলোচনায়। কথা বলছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সৌন্দর্য নিয়ে। এ যাবৎকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মেট্রোরেলের রুট বদলাও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও’ ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে জানতে পারলাম, মোট ১২ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ বর্তমান প্রস্তাবিত রুটে মেট্রোরেল স্টেশন স্থাপনের বিরোধিতা করে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে ঢাবির ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে।

বর্তমানে ঢাবির শিক্ষার্থী প্রায় ৩৬ হাজার। এই তথ্য সত্যি হলে মোট শিক্ষার্থীর ৩৩ শতাংশই মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তন চায়। এছাড়াও মেট্রোরেল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে হিস্টোরিক্যাল ইম্পর্টেন্স ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভেতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকার মোট ২০ টি প্রত্নতাত্বিক নির্দশন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এর মধ্যে ঢাবি এলাকায় রয়েছে ৮ টি প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন। 

কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এবং ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলন করে  যেহেতু নিশ্চিত করেছে রাজু ভাস্কর্য, ঢাকা গেইট ও বিশ্ববিদ্যালয় এলকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সুরক্ষা এবং শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেট্রোরেল হবে, তাহলে শিক্ষার্থীদের আর ভয় কিসে? সকল দাবিই তো পূরণ হলো। দুই হাজার সালে লন্ডনে ‘মিলেনিয়াম ব্রিজ’ ও ২০১১ সালে ইউরোপের সর্বোচ্চ ইমারত ‘দ্যা শার্ড’ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয় তখন সেইন্ট পলস গির্জার মতো লন্ডনের ঐতিহাসিক স্থাপনা তার দৃষ্টিনন্দন চিত্র হারাবে এমন আশঙ্কা করা হয়েছিলো। কিন্তু সেই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে তিনটি স্থাপনার কোনওটাই মানুষের আগ্রহ হারায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সম্পত্তি এমনটা ভাবা ঠিক নয়, ঢাবি বাংলাদেশ নয় বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এই ঐতিহ্যকে আমাদের সকলেরই যেমন রক্ষা করতে হবে অন্যদিকে রাষ্ট্রের সকল নাগরিককে সেটির অংশীদার হওয়ার মানসিকতা ধারণ করতে হবে। কিন্তু যে কোনও ছুঁতোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন সাধারণ জনগণের সঙ্গে তাদের একটা দেয়াল তৈরি না করে ফেলে। শিক্ষার্থীদের তাদের প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ রক্ষার জন্য আবেগ থাকবে এটিই স্বাভাবিক, তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষকদের নয় এটি রাষ্ট্রেরও বটে, কারণ রাষ্ট্রের নাগরিকের করের টাকায় শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।

আশির দশকে তৎকালীন সেনা শাসক এরশাদ বঙ্গপোসাগরের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবল সংযোগের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করেননি, জাতীয় নিরাপত্তার অযুহাতে। মেট্রোরেলের স্টেশন স্থাপনের বিরোধিতা করে ঢাবি শিক্ষার্থীরাও যেন ইতিহাসের কলঙ্কের সাক্ষী না হয়, সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা জরুরি।

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ