X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে এটাই ঘটছে!

নাদীম কাদির
১৭ মার্চ ২০১৬, ০৮:০৩আপডেট : ১৭ মার্চ ২০১৬, ১১:২২

নাদীম কাদির সম্প্রতি আমার অফিসের কাজে ঢাকায় গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছিল দুই বিদেশি বন্ধু। একজন স্পেনের নাগরিক আর অন্যজন ব্রিটেনের। আমি জানি যে, বাংলাদেশ সম্পর্কে সব বিদেশিদের একটা মনস্তত্ত্ব রয়েছে, কারণ হয় তারা লোকমুখে যা জেনেছে অথবা এই দেশ সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব।
এই জনশ্রুতি এসেছে অধিকাংশ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে যাদের নিজ দেশের প্রতি কোনও ভালোবাসা নেই। তারা যে কোনও পশ্চিমা দেশের সঙ্গে তুলনা করে বাংলাদেশের সমালোচনা করাকে একটা ক্রেডিট বা ফ্যাশন মনে করেন। অন্য কারণটি হচ্ছে রাজনৈতিক উপাদান; যারা সরকারের সমালোচনার নামে দেশের বিরুদ্ধে যে কোনও কিছু বলছেন।
এটা লজ্জাজনক যে, কীভাবে আমরা ভুলে গেছি এই দেশ ছাড়া আমাদের কোনও পরিচয় নেই। এটা এমন দেশ যার জন্ম হয়েছে বিশাল আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে; যা আমাদের জন্য গর্বের কারণ।
লন্ডনে আমার এক বছরে আমি বাংলাদেশে বহু মিডিয়া টিম পাঠিয়েছি। আমি জোরালোভাবে এটা বিশ্বাস করি যে, আমাদের গোপন করার কিছু নেই। কিন্তু আমাদের গর্ব করার মতো বহু বিষয় আছে। আমার স্লোগান হচ্ছে- দুনিয়াকে সত্যিকার বাংলাদেশকে জানতে দাও।
আমার সফরকালে আমি বাংলাদেশজুড়ে ঘুরে বেড়িয়েছি। এ সময় নতুন রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও ভবনের মতো বহু কর্মকাণ্ড আমার নজরে এসেছে। লোকজন তাদের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোটা দৃশ্যমান।
ক্যারিয়ার গঠন বা ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনার চেয়ে রাজনৈতিক আলোচনা তুলনামূলক কম ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের কর্মকাণ্ডে  ব্যবসায়ী নেতারা সন্তুষ্টু। একটা শব্দ আমার অভ্যাগতদের কাছ থেকে পরিষ্কার ছিল। বাংলাদেশে এটা ঘটছে এবং তোমাদের সঠিক নেতৃত্ব রয়েছে।
জ্যেষ্ঠ ব্রিটিশ সাংবাদিক পিটার গ্রিমসডিসকে দিয়েই শুরু করি। তিনি জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কে তার ধারণা ছিল এটা একটা বন্যার দেশ এবং এ দেশ থেকে উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিক পাঠানো হয়। সফরের পর এই ইমেজটা দাঁড়ায় এ রকম ‘বিশাল শিল্প এবং লোকজনের কর্মতৎপরতা, অপরিমেয় আকর্ষণ ও বন্ধুপরায়ণতা, বাহ্যিকভাবে যেটা আঁকা হয় তার চেয়ে কম দারিদ্র। শহুরে পরিবহনে বিশৃঙ্খলা এবং ঢাকায় গণপরিবহনে জরুরি অগ্রাধিকার।’
বাংলাদেশে রাজনীতি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রতি আস্থা ও আশাবাদের কথাও বলেন পিটার গ্রিমসডিস। তার ভাষায়,  বাংলাদেশ এখন একটি অর্থনৈতিক সাফল্যের গল্প... স্থায়ী অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা-হতাশার একটি দেশ।’
পিটার গ্রিমসডিস বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত ছয় বছরে ভারসাম্যহীন প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দুই হাতে নানা সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। লোকজনের মধ্যে একটা উদ্বেগ কাজ করেছে। মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, প্রধানমন্ত্রী যদি অবসরে যান অথবা তার প্রতিস্থাপন ঘটে সেক্ষেত্রে একটা সম্ভাব্য দুর্যোগ দেখা দেবে। এমনকি যদি আওয়ামী লীগও ক্ষমতা ধরে রাখে তাহলেও একটা অবধারিত দুর্যোগ দেখা দেবে যদি বর্তমান মেয়াদ উত্তীর্ণের পর তারা গণরায় অর্জনে ব্যর্থ হয়।’

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মোংলায় নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
মোংলায় নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
খারকিভে আবাসিক ভবনে রুশ হামলায় আহত ৬
খারকিভে আবাসিক ভবনে রুশ হামলায় আহত ৬
গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে মানতে হবে এই ৮ টিপস
গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে মানতে হবে এই ৮ টিপস
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ