X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাজিমউদ্দিন হত্যা এবং এরশাদের দাবি

বিভুরঞ্জন সরকার
১১ এপ্রিল ২০১৬, ১২:০৭আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:৫১

বিভুরঞ্জন সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নাজিমউদ্দিন সামাদকে গত ০৬ এপ্রিল ২০১৬ রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের একরামপুরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করে খুনিরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেছে। নাজিমউদ্দিনকে হত্যার জন্য টার্গেট করা হয়েছিল এবং খুনিরা হয়তো আগে থেকেই তাকে অনুসরণ করছিল।
ঘাতকরা তাদের লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছে। আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, যাদের ওপর দায়িত্ব নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার, তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। নাজিমউদ্দিনকে বাঁচানো যায়নি, বাঁচানোর চেষ্টাও কেউ করেনি। তাকে হত্যার ঘটনাটি যারা প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের কেউ ঘাতকদের তাড়া করেনি। হতে পারে ঘটনার আকস্মিকতায়  তারা হতবিহ্বল ছিলেন, অথবা নিজেদের প্রাণ রক্ষায় তারা ছিল সন্ত্রস্ত। একইভাবে, একই কায়দায়,  সমাজে যারা কিছুটা ভিন্ন চিন্তা করেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করেন তারা একের পর এক হত্যার শিকার হচ্ছেন আর খুনিরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬ জন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, লেখক, প্রকাশক একই কায়দায় খুন হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে প্রাণে বেঁচেছেন একজন প্রকাশক ও ২ জন লেখক।
কারা হত্যা করলো নাজিমউদ্দিনকে? কারা নাজিমউদ্দিন-এর বৃদ্ধা ও অসুস্থ মায়ের বুক খালি করলো?  তার অপরাধ কী? পুলিশ খুনিদের সম্পর্কে, হত্যার কারণ সম্পর্কে ৪ দিন পরও কোনও তথ্য দিতে পারেনি, কোনও তথ্য পায়নি । শুধু হত্যার ধরন ও প্রাথমিক আলামত দেখে সন্দেহ করা হয়েছে এটা ধর্মীয় উগ্রবাদীদের কাজ। অন্যদিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসার আল ইসলাম নামের আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠন। পুলিশ যথারীতি বাংলাদেশে আল কায়েদার অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছে।
গণমাধ্যমে নাজিমউদ্দিন সম্পর্কে যতটুকু খবর বের হয়েছে তা থেকে জানা যায় তার কোনও ব্যক্তিগত শত্রু ছিল না। তার আচার-আচারণে কোনও ধরনের উগ্রতা ছিল না। তিনি খুব ধর্মভীরু হয়তো ছিলেন না কিন্তু তার বন্ধু এবং এলাকাবাসীদের কেউ তাকে ধর্মবিরোধী বলেও মনে করেন না। তিনি ছিলেন কুসংস্কারমুক্ত, যুক্তিবাদী।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ করতেন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত-শিবিরের প্রতি ছিল তার চরম ঘৃণাবোধ।  নিজের ফেসবুকে নাজিমউদ্দিন জামায়াত-শিবিরের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লিখেছেন। মাথায় জাতীয় পতাকা বাধা, বুকে রাজাকার নিপাত যাক লেখা ছবিও আছে তার ফেসবুকে। নাজিমউদ্দিন যে অন্ধ আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থক ছিলেন না সেটাও স্পষ্ট, ফেসবুকে তার সরকারের কিছু কাজ-কর্মের সমালোচনামূলক লেখা থেকেও সেটা বোঝা যায়।
সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার টুক ভরাউট গ্রামে নাজিম উদ্দিনের বাড়ি। সিলেটে তিনি গণজাগরণ মঞ্চের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এছাড়া সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবেও তার দায়িত্ব পালনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাকে কোনও-কোনও গণমাধ্যমে ‘ব্লগার’ বলে উল্লেখ করা হলেও তিনি কোন ব্লগে কী লিখেছেন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হাতে কেউ নিহত হলে তাকে ব্লগার পরিচয় দেওয়ার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধর্মান্ধদের অপপ্রচারের কারণে দেশের মানুষের মধ্যে এমন একটা ধারণা জন্মেছে যে, ব্লগার মানেই হলো নাস্তিক, ধর্মবিরোধী। ব্লগে যারা লেখালেখি করেন তারা সবাই বুঝি কেবল ধর্মের বিরুদ্ধেই লিখে থাকেন। এরকম একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচারের পেছনে একশ্রেণির গণমাধ্যমেরও দায় আছে। ব্লগ জিনিসটা কী, ব্লগে কারা লেখেন, কী লেখেন সে সম্পর্কে  বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে ব্লগার শব্দটি এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যাতে মানুষের মনে তাদের সম্পর্কে বিরুপতা তৈরি হয়।
নাজিমউদ্দিন ফেসবুকে লিখতেন। ধর্মান্ধতা ও ধর্মের বেশ কিছু বিষয়ে তার ভিন্ন ব্যাখ্যা ও সমালোচনা তার ফেসবুকের লেখায় আছে বলে শোনা যাচ্ছে। হতে পারে, তার এই লেখা কারও ধর্মীয় বিশ্বাস বা অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। কিন্তু এ জন্য তাকে হত্যা করতে হবে? লেখার জবাব দিতে হবে চাপাতির আঘাতে? নাজিমউদ্দিনের লেখা যদি কাউকে আহত করে থাকে তাহলে লিখেই তার প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল। তাকে এ বিষয়ে সাবধান-সতর্ক করাও যেত। তিনিতো কাউকে খুন করেননি কিংবা খুনের জন্য কাউকে প্ররোচিত করেননি। তিনি শুধু কিছু বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তার ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন মাত্র।

 আরও পড়তে পারেন:

নাজিমউদ্দিন হত্যা এবং এরশাদের দাবি ‘এটা নিয়ে লিখলেন ওটা নিয়ে কেন লিখলেন না’


লেখার মাধ্যমে নাজিমুদ্দিন যদি কারোর ধর্মবিশ্বাস বা অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ ছিল। দেশের প্রচলিত আইনেই নাজিমউদ্দিনের বিচার ও শাস্তি দেওয়া সম্ভব ছিল। তাকে হত্যা করার মতো জঘন্য অপরাধ যারা করলো তারা কি সত্যিকারের ধর্মবিশ্বাসী? ধর্ম কি কাউকে এভাবে খুনি হয়ে ধর্মরক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে? কারও ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে অবশ্যই কটূক্তি করা উচিত নয়। আবার এটাও তো ঠিক যে, ধর্ম কি এত ঠুনকো বিষয়? কেউ একজন কটূক্তি করলেই তা ভেঙে খান খান হয়ে যাবে?  
দুই.
যারা ব্লগে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে সেসব ব্লগারদের শাস্তি দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। গত ৮ এপ্রিল রাজধানীতে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলে এক সমাবেশে এরশাদ বলেছেন, ‘আমি কোনও হত্যার পক্ষে নই। ব্লগারদের হত্যারও বিচার চাই। একই সঙ্গে যারা ব্লগে ধর্ম নিয়ে বিদ্রুপ করে তাদেরও শাস্তি দাবি করি।’
‘বিশ্ব বেহায়া’ বলে পরিচিতি পাওয়া সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ (যার ক্ষমতা দখলকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে বলে রায় দিয়েছেন) এরশাদ আরও বলেছেন, ধর্ম ও নবীজিকে নিয়ে কটাক্ষ করার অধিকার কারও নেই।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, কারও ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা যাবে না। কিন্তু যেসব ব্লগার হত্যার শিকার হয়েছে, তারা কি ইসলামের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেনি? ব্লগার হত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। অথচ আমাদের মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার ছাত্র প্রতিনিয়ত খুন-গুম হলেও এ নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই। কারণ তারা মুসলমান।  

আরও পড়তে পারেন: নাজিমুদ্দিন হত্যা: ৩০ সেকেন্ডের কিলিং মিশনে অংশ নেন ৫ জন

এরশাদের এসব বক্তব্য একপেশে, উস্কানিমূলক এবং তথ্যনির্ভর নয়। এরশাদের মতো একজন বিতর্কিত ও দুশ্চরিত্রের মানুষ যখন ইসলামের পক্ষে কথা বলেন তখন স্বভাবতই তার উদ্দেশ্যের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরশাদই সেই অপশাসক, যিনি নিজের শাসন ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার স্বার্থে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের সংবিধানে পবিত্র ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছিলেন। তিনি ইসলামপ্রীতি থেকে এটা করেননি। দেশের মানুষও সেটা বুঝতে পেরেছিল বলে প্রবল গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছিল। এরশাদ আজকাল অন্যদের ‘নির্লজ্জ’ বলে গালাগাল করছেন। কিন্তু তার নিজের যদি সামান্য লজ্জা থাকতো তাহলে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে রাজনীতি করতেন না । ধর্ম যদি রাজনীতির উপযুক্ত সিঁড়ি হতো তাহলে দেশের রাজনীতিতে এরশাদকে আজ ল্যাংচাতে হতো না।  
এরশাদ বলেছেন, ‘আমাদের মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার ছাত্র প্রতিনিয়ত খুন-গুম হলেও এ নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই’। এরশাদের এই বক্তব্য শুনে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে দেশে বুঝি প্রতিদিন শুধু ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার ছাত্র খুন হচ্ছেন। এরশাদের এই বক্তব্য কি সঠিক? এধরনের প্ররোচনামূলক অসত্য বক্তব্য দেওয়ার জন্য সরকারের তথা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর উচিত এরশাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা দাবি করা।
দেশে পীর থেকে পুরোহিত হত্যার যেসব ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে কারা জড়িত বলে   মনে হচ্ছে? পীর-পুরোহিতদের হত্যার দায় যারা স্বীকার করছে সেই একই গোষ্ঠী তথাকথিত ব্লগার হত্যার দায়ও তো স্বীকার করছে। এরশাদ ‘ব্লগার হত্যার পক্ষে নই’ বলে যা বলেছেন তা কার্যত ওই হত্যাকে সমর্থন করারই নামান্তর। ‘যেসব ব্লগার হত্যার শিকার হয়েছেন, তারা কি ইসলামের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেনি?’- এই প্রশ্ন তুলে এরশাদ প্রকৃতপক্ষে ঘাতকদেরই পক্ষ নিয়েছেন। কোন ব্লগার ইসলামের বিরুদ্ধে কী কটাক্ষ করেছেন এরশাদ কি তা বলতে পারবেন? হত্যার শিকার কোনও ব্লগারের কোনও লেখা কি এরশাদ পড়েছেন? এরশাদ কি জানেন ইসলাম ধর্মের মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব নিয়েও ব্লগে লেখালেখি হয়?
এরশাদের মতো ভণ্ড এবং বিকৃত রুচির একজন মানুষ প্রতিনিয়ত স্ববিরোধী কথাবার্তা বলে দেশের রাজনীতিকে তামাশায় পরিণত করার পরও আমরা তাকে  রাজনীতির মাঠ থেকে বিদায় করতে পারছি না। এর চেয়ে বড় দুঃখ আমাদের আর কী হতে পারে!
তিন.
বাংলাদেশে ব্লগারদের মধ্যে যারা হুমকির মুখে আছেন তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে মার্কিন সরকার। গত ৭ এপ্রিল দেশটির পররাষ্ট্র দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র মার্ক সি টোনার নাজিম উদ্দিন হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশি ব্লগার, যারা হামলার হুমকিতে আছেন, তাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র বিবেচনা করছে।

আরও পড়তে পারেন:   tasleemaরাষ্ট্রধর্ম


এই খবরটি পড়ে আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এক বন্ধু খুব খুশি। আমি লেখালেখি করি বলে আমার বন্ধুর আশঙ্কা, আমার লেখা পছন্দ করে না এমন কেউ যদি আমি ধর্মের অবমাননা করেছি এমন কথা প্রচার করে দেয় তাহলে আমার আর রক্ষা নাই। দেখা যাবে কেউ একদিন আমার কল্লা নামিয়ে দিয়েছে। আমি যাতে প্রাণটা না দেই সে জন্য আমাকে লেখালেখি ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আমার বন্ধুটি। মাস কয়েক আগে খবর বের হয়, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার জানিয়েছেন- বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দু ভারতে চলে যাবে তাদের  নাগরিকত্ব দেবে ভারত। আমার বন্ধুটি তখন খুশি হয়ে আমাকে ভারতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। এবার আমেরিকা ব্লগারদের আশ্রয় দেবে শুনেও তিনি পুলকিত। বললেন, এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। আমার বন্ধুটি খুবই সহজ সরল। আমেরিকার রাজনীতিটা তিনি বুঝতে পারেন না। দেশে দেশে ধর্ম রক্ষার নামে যে জেহাদি গোষ্ঠীগুলো গড়ে উঠেছে তাদের সবারই মদদদাতা আমেরিকা। আমেরিকা চোরের সঙ্গেও আছে, গৃহস্থের সঙ্গেও আছে। সেজন্যই বলা হয়, আমেরিকা যার বন্ধু তার আর শত্রুর দরকার হয় না।
তারপরও আমি ভাবছি, হিন্দুদের ভারতে গিয়ে বাঁচতে হবে, ব্লগারদের আমেরিকায়। যদি তাই একসময় সত্য হয়ে দাঁড়ায়, তাহলেই কি বাংলাদেশটা মুসলমানদের নিরাপদ আবাসভূমি হয়ে উঠবে?
ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়া নাজিমউদ্দিনের লন্ডন প্রবাসী ভাই শামিমউদ্দিনকে বিবিসির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য কাকে দায়ী করেন?  দীর্ঘশ্বাস ফেলে শামিমউদ্দিন বলেছেন, ‘যারা মেরেছে তাদেরই দায়ী করবো... ইসলাম তো নষ্ট হয় না,  নষ্ট হয় মানুষ’।
নষ্ট মানুষরা ইসলামের কত বড় ক্ষতি করছে সেটা উপলব্ধি করার মতো শুভবুদ্ধিরও আজ বড় অভাব দেখা যাচ্ছে ।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম
লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম
কোপেনহেগেনের ঐতিহাসিক স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন
কোপেনহেগেনের ঐতিহাসিক স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন
ঈদের ছুটি শেষে ফিরছিলেন ঢাকায়, পথেই শেষ ৪ সদস্যের পরিবার
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩ঈদের ছুটি শেষে ফিরছিলেন ঢাকায়, পথেই শেষ ৪ সদস্যের পরিবার
কাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
সিনেমা সমালোচনাকাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ