X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

খেলাফতে খোরাসান

আনিস আলমগীর
২৬ এপ্রিল ২০১৬, ১২:০৮আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৬, ১২:২৪

আনিস আলমগীর একের পর এক হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কেউ বলছেন এসব আইএস-এর কাজ। তথাকথিত আইএস নিজেরাও বলছে তারাই ঘটাচ্ছে এসব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, যাহা আইএস, তাহাই জামায়াত-শিবির। যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতে সঙ্গীত-প্রিয় শিক্ষককে চাপাতির কোপে হত্যা করছে তারা, সমকামী পত্রিকার সম্পাদককে খুন করছে তারা। তবে ঘটনা যেই করুক, বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে দেশে যে একটা ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারছি না আমরা।
পত্রিকার খবরে দেখলাম পাকিস্তানের ক্রিকেটার-কাম রাজনীতিবিদ ইমরান খান বলেছেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের খুনাখুনির এসব কর্মকাণ্ড দেখলে বলা যায়- বাংলাদেশ আসলে পাকিস্তানকে অনুসরণ করছে। পাকিস্তান যেমন  রাষ্ট্রীয়ভাবে মৌলবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আজ গর্তের মধ্যে পড়েছে, বাংলাদেশও এখন গর্তের দিকেই যাচ্ছে। এটা যে শুধু রাষ্ট্রের দ্বারা তাই নয়, অসহিষ্ণু সমাজ দ্বারাও বাংলাদেশ এখন গর্তের দিকে প্রভাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশও খেলাফতে খোরাসান-এর অংশ হতেই যেন অপেক্ষা সবার।
কয়েকদিন আগে আইএস-এর পত্রিকায় বাংলাদেশের তথাকথিত আইএস প্রধানের এক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। তার বাংলা অনুবাদ বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণেও প্রকাশিত হয়েছে। এর সূত্র ধরে আরও কয়েকটি অনলাইনে দেখলাম। যতদূর সম্ভব বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর উচিত দেশের নিরাপত্তার প্রয়োজনে এসব সংবাদ এড়িয়ে চলা। পাকিস্তান যে আজ পরিপূর্ণভাবে সন্ত্রাস কবলিত হয়ে গেছে তাতে মিডিয়ার অবদানও কম নয়। সংবাদপত্রের অধিকার আছে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করার কিন্তু যেই সংবাদ দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, দেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী উৎসাহিত হবে- সে সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে মিডিয়ার সংযত হওয়া প্রয়োজন। আমার দেশ নামক পত্রিকাটি যেভাবে আস্তিক আর নাস্তিক সৃষ্টি করে দেশের মধ্য বিষবাষ্পের ভ্রুণ তৈরি করেছে- তা বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর, ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্কে চিড় ধরিয়ে ভিন্ন মতের মানুষকে আমাদের সহ্য করার ক্ষমতাও হ্রাস করে দিয়েছে। সে কারণে মিডিয়ার সতর্কতা আরও বেশি দরকার।

আরও পড়তে পারেন: সরকারের সঙ্গে কওমি আলেমদের সৌহার্দ্য বাড়ছে


পাকিস্তান সতর্ক ছিল না। পুরো আফগান যুদ্ধ সংবাদ সংগ্রহকালে দেখেছি সরকারের নীতি ছিল দ্বিমুখী। সংবাদপত্রের নীতিও ছিল তাই। এরা একদিকে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এ আমেরিকাকে সমর্থন দিয়েছে আবার জনগণের মন পেতে তলে তলে তালেবানদের পক্ষ অবলম্বন করেছে। একদিকে বলেছে সীমান্ত সিল করা অন্যদিকে তালেবানরা অবাধে সীমান্তের এপার-ওপার যাতায়াত করছে। এ প্রসঙ্গে একটি  কথা পাঠকদের জানাতে চাই, অনেকে হয়তো জানেন, যুদ্ধকালে তালেবানদের হাতে আমি নিজে যখন আফগানিস্তানে বন্দি হয়েছিলাম তারাই আমাকে পাকিস্তান সীমান্ত প্রহরীদের সামনে দিয়েই গাড়ি চালিয়ে পাকিস্তানের হোটেলে রেখে গিয়েছিল।
পাকিস্তানে অনেক জনপ্রিয় পত্রিকা খেলাচ্ছলে বহু সংবাদ প্রকাশ করে সন্ত্রাসীদের মূল গভীরে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানের অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে মায়েরা সন্তানকে পোলিও টিকার ড্রপ খাওয়াতে পারেন না। কারণ যে মা তার সন্তানকে পোলিও টিকার ড্রপ খাওয়ায় তাকে তালেবানেরা হত্যা করে। তালেবানেরা বলে পোলিও ড্রপ নাকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নির্বিজ্য করার ওষুধ। এবং পোলিও খাওয়ানোর নামে যারা ঘরে-ঘরে যায় তারা নাকি গোয়েন্দা। তারাই নাকি ওসামা বিন লাদেনের সন্ধান উৎঘাটন করেছিল। সুতরাং বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর সংযতভাবে খবর পরিবেশন করা উচিত।
সরকার জোর গলায় বলে আসছেন বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট নেই। বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট-এর লোকজনের কোনও অস্তিত্ব আছে সেটা বিশ্বাস করারও আবার কারণ নেই। আনসারুল্লাহ বাংলাটিমসহ যে সব সংগঠন স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা গঠিত হয়েছে তারাই ইসলামিক স্টেট-এর লোক বলে পরিচয় দিচ্ছে বলে আমরা ধারণা করি। নাইজেরিয়ার বোকো হারামও এখন ইসলামিক স্টেট-এর পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করছে কারণ তারা ইসলামিক স্টেট-এর খলিফা আবু বক্কর বাগদাদীর হাতে বায়াৎ গ্রহণ করেছে। মধ্যযুগে দুনিয়ার বহু মুসলিম রাষ্ট্র ছিল তারা স্বাধীন সার্বভৌম হলেও ওসমানীয়া খেলাফতের বায়াৎ গ্রহণ করতো। মুগলেরাও ওসমানিয়া খেলাফতের বায়াৎ গ্রহণ করেছিল। এটা ছিলো ঐক্যের প্রতীক। দুনিয়াব্যাপী যে সব সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে উঠেছে তারাও ঐক্যের প্রতীক হিসাবে আবু বক্কর বাগদাদীকে বেছে নিয়েছে।

আরও পড়তে পারেন: জেএমবিকে মাথায় রেখে এগুচ্ছে তদন্ত


তথাকথিত বাংলাদেশের আইএস প্রধান ঘোষণা দিয়েছেন তারা বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে তাদের তৎপরতা জোরদার করবেন এবং বাংলাদেশের পশ্চিমের হিন্দু রাষ্ট্র ভারত এবং পূর্বের বৌদ্ধ রাষ্ট্র মিয়ানমারে তারা বাংলাদেশ থেকে অভিযান চালাবে অর্থাৎ বাংলাদেশকে তারা বাফার স্টেট বানাতে চায়। বাস্তবে এটাতো ভয়াবহ অবস্থা যদি বাফার স্টেট বানাতে পারে।
আবার বলেছেন জামায়াতের তরুণ ক্যাডার অর্থাৎ ছাত্র শিবির নাকি ধীরে ধীরে ইসলামিক স্টেট এর মাঝে বিলীন হচ্ছে। ১৯৭১ সালে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন এখনকার চেয়ে কম শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু তাদের প্রতি জনসমর্থন ছিল না বলে তারা সুবিধা করতে পারেনি। ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে যদি বিচক্ষণ কেউ থাকে তারা এমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। পাকিস্তানের সময়ের ইতিহাস তারা বিস্মৃত হয় কিভাবে! ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলাম ভুল পথে চলে চলে বার বার তারা বিপর্যস্ত হয়েছে। আবারও তারা ভুল পথে অগ্রসর হলে আগের পরিণতিই বহন করতে হবে তাদের।
পাকিস্তানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মাঝে সারা পাকিস্তানব্যাপী তালেবানে পাকিস্তানের অস্তিত্বই জোরদার। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর বা তার ছাত্র সংগঠনের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। অবশ্য তালেবানে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীকে পাকিস্তানে কোণ্ঠাসা করে ফেলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামিক স্টেট, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত বরাবর একটা ইসলামিক স্টেটে প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রের নাম দিয়েছে খেলাফতে খোরাসান। একজন আমিরের নামও ঘোষণা করেছে। যে অবস্থানে রাষ্ট্রটির অস্তিত্বের কথা বলেছে সে অবস্থানে ইসলামিক স্টেট তেমন শক্তিশালী নয়। উভয় অংশে তালেবানে পাকিস্তান ও তালেবানে আফগানই শক্তিশালী। তৃতীয় শক্তি হচ্ছে আল-কায়েদা। এ অঞ্চলটি উপজাতি অধ্যুষিত। উপজাতিদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট কোনও সমঝোতার পৌঁছাতে পেরেছে কীনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইসলামিক স্টেট- এর খলিফা আবু বক্কর বাগদাদী এক সময়ে আল-কায়দার লোক ছিলেন। ইসলামিক স্টেট ঘোষণা করার পর তার সঙ্গে আল-কায়েদার সর্ম্পক ছিন্ন হয়েছে কারণ তিনি আল-কায়দার পরামর্শ গ্রহণ করেননি। খেলাফতে খোরাসান যদি তালেবানে পাকিস্তান, তালাবানে আফগানিস্তান, আল কায়দা এবং ইসলামিক স্টেটের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় তবে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারবে। আর সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে যদি না হয় তবে এলাকাটাতে পরস্পরের মাঝে হত্যাকাণ্ডের এক মহাউৎসব-এর উদ্বোধন হবে।

খেলাফতে খোরাসানের যে কোনও তৎপরতা আমেরিকার বৈরিতারও সম্মুখীন হবে। আসিফ আলী জারদারি যখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট তখন উপ-জাতীয় এলাকাটাকে শরিয়া আইনের ভিত্তিতে পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিলেন কিন্তু আমেরিকার বিরোধিতার কারণে পরে সময়ে আসিফ আলী জারদারি তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে তালেবানেরা  ওহাবি মতালম্বী নন, তাদের নেতাদের মাঝে অধিকাংশ দেওবন্দের ছাত্র ছিলেন। ওহাবি ডকট্রিন এবং দেওবন্দ ডকট্রিন-এর মাঝে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। দেওবন্দীরা জন্মলগ্ন থেকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তি। তারা কখনও সাম্রাজ্যবাদকে সহ্য করেননি।
১৮৫৭ সালে থানাবনে যখন হযরত এমদাদুল্লাহ মহাজেরে মক্কী বিদ্রোহী সরকার গঠন করেন তখন হিন্দু সম্প্রদায় থেকে রাষ্ট্রপতি করেছিলেন। হযরত এমদাদুল্লাহ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সৈয়দ আহাম্মদ বেরলভীর নেতৃত্বে বালাকোটে ওহাবীরা যে যুদ্ধ করেছিলেন তার উদ্দেশ্য ছিল রাজ্য হারা মুসলমানদের পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরে পাওয়া আর দেওবন্দীরা সংগ্রাম করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। সে কারণে তারা বিদ্রোহী সরকারের রাষ্ট্রপতি করেছিলেন হিন্দু সম্প্রদায় থেকে।

আরও পড়তে পারেন: তিনি তো ‘নাস্তিক’ ছিলেন না!

এ কাহিনি হয়তো অনেকের জানা আছে--পেন্টাগন ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট মাঝে মাঝে আমেরিকার সুদূর প্রসারী নীতিগ্রহণের জন্য বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে লিখিত পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন। আজ থেকে ২৫/৩০ বছর আগে হানটিংটন নামের একবুদ্ধিজীবী ৩৪ পৃষ্ঠা  ‘সভ্যতার সংঘাত’ নামে একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি এই ৩৪ পৃষ্ঠাকে বর্ধিত করে একটা পূর্ণাঙ্গ বই লিখেছিলেন। হানটিংটন বলেছেন যে ভবিষ্যতে দুনিয়ায় পশ্চিমা সভ্যতা (আমেরিকা) ইসলামিক সভ্যতা এবং কনফুসিয়াস সভ্যতার মধ্যে সংঘাত হবে। আচরণে মনে হচ্ছে, আমেরিকার লোকেরা এ পরামর্শটাকে দ্রুত সত্যের মতো করে গ্রহণ করেছেন এবং মুসলিম দুনিয়াটাকে তারা তাদের শত্রু হিসেবে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য প্রায় বিধ্বস্ত। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াকে বিপদগ্রস্ত করার জন্য আমেরিকা আইএস নামে এক অস্ত্র তৈরি করেছে। আইএস যেখানে থাকবে আমেরিকা সেখানে যাবে। কারণ দুনিয়াকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখা আমেরিকার নাকি নৈতিক দায়িত্ব। আমেরিকা আইএস-এর অস্তিত্ব বাংলাদেশে আছে এটা প্রমাণ করার জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। আইএস দমনের অজুহাতে আমেরিকা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারলে বাংলাদেশকেও মধ্যপ্রাচ্যের মতো বিধ্বস্ত করে ফেলবে। যারা মত পথের উর্ধ্বে উঠে আগামীর সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন তাদের সবার উচিত আইএস এবং আইএস-এর নামে আমেরিকার আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করা। যারা সরকার পরিবর্তনের স্বপ্নে এখন আইএস-এর খেলাফতে খোরাসানের স্বপ্নের মাঝে নিজের স্বপ্ন খুঁজছেন- তারা বোকার স্বর্গে আছেন।

আল্লাহ সবাইকে সুমতি দিন!

লেখক: সাংবাদিক ও শিক্ষক

[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ভুয়া পরিচয়ে ভারতে বসবাস বাংলাদেশির, ৪ বছরের কারাদণ্ড
ভুয়া পরিচয়ে ভারতে বসবাস বাংলাদেশির, ৪ বছরের কারাদণ্ড
৫ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবস্থাপক নিখোঁজ, পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তাকে বদলি
৫ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবস্থাপক নিখোঁজ, পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তাকে বদলি
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ