X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘উন্নয়নের গুণগত মান নিশ্চিতে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ’

খুলনা প্রতিনিধি
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশে উন্নয়নের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে না পারলে নাগরিক ও সমাজের জন্য উন্নয়ন ভালো ফল বয়ে আনতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে শুধু শিক্ষাগত উদ্ভাবনই পারে পরিবেশের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে। তাই যেকোনও উন্নয়নের জন্য পরিবেশগত সমস্যা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রধান দিক হওয়া উচিত।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন আয়োজিত পরিবেশের ওপর ‘টাইম ফর ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এক অডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। ৩ মার্চ (রবিবার) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার মান সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে উচ্চশিক্ষায় মানসম্পন্ন গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগ গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন ধারণা, উদ্ভাবন এবং মূল গবেষণার ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে গবেষণার মান বাড়ানোর জন্য এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তরুণ গবেষকরা অন্যান্য গবেষকদের সঙ্গে, বিশেষ করে, একই ক্ষেত্রে কাজ করা সিনিয়রদের সঙ্গে মত বিনিময় করার সুযোগ পান। এটি গবেষণার মান উন্নত করতে সহায়তা করে।’ তাই এ ধরনের সম্মেলন পরপর দু’বার আয়োজনের জন্য তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে চিফ প্যাট্রন হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে আমাদের জীববৈচিত্র্যের একীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশমনের জন্য বিভিন্ন নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি রয়েছে। এই ধরনের সম্মেলন গবেষক-বিজ্ঞানীদের একত্র করার পাশাপাশি নতুন নতুন ধারণা ও পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন থেকে সাত দফা সুপারিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ইকোসিস্টেম পরিষেবা, সামাজিক সুবিধা এবং জৈবিক সম্পদ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন আয়োজিত এই সম্মেলন নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানী তথা নবীন শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের নানামুখী উপকারে আসবে এবং তারা গবেষণায় অনুপ্রাণিত হবেন।’

প্যাট্রন হিসেবে বক্তৃতা করেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বায়োডাইভারসিটি-সেক্টর ডয়েচে গেসেলশ্যাফ্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল জুসামেনারবিট (জিআইজেড) জিএমবিএইচের কো-অর্ডিনেটর এবং এসওএনজির চিফ অ্যাডভাইজার ড. স্টেফান আলফ্রেড গ্রোইনওল্ড। সম্মেলনে গৃহীত সাত দফা সুপারিশ তুলে ধরেন সম্মেলনের অরগানাইজিং সেক্রেটারি এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ডেলিগেটদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. মো. খায়রুল আলম, দ্য স্পেস রিসার্চ সেন্টার অব দ্য পোলিশের একাডেমি অব সায়েন্স ড. ম্যালগোরজাটা জেনরোভিচ-সানিকোস্ক, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ বিভাগের ড. শ্রীনিবাসন বালাচন্দ্রন, কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জগৎপতি তাহ, নেপালের ত্রিভূবন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ডিপার্টমেনট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ড. গোবিন্দ প্রসাদ শর্মা। বিদেশি অতিথিরা সম্মেলন সফল ও আতিথেয়তা চমৎকার বলে আখ্যায়িত করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক রাবেয়া সুলতানা।

এই সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পোল্যান্ড, ইতালি ও জার্মানি থেকে থেকে ২৪৫ জন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী সশরীরে এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ১২৮টি ওরাল প্রেজেন্টেশন, ৪৮টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন, ৬টি কি-নোট পেপারসহ ১৮৩টি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে টেকনিক্যাল সেশনের বেস্ট স্পিকার অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট পোস্টার অ্যাওয়ার্ড এবং আউটস্ট্যান্ডানিং রেজাল্টসের পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অংশগ্রহণকারী গবেষক-বিজ্ঞানীরা দুপুরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেন।

/এমএএ/
সম্পর্কিত
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
সর্বশেষ খবর
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
অপেক্ষা আরও বাড়লো পিএসজির  
অপেক্ষা আরও বাড়লো পিএসজির  
মেসির জোড়া গোলে মায়ামির আরেকটি জয় 
মেসির জোড়া গোলে মায়ামির আরেকটি জয় 
সর্বাধিক পঠিত
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে