দীর্ঘদিন সারা দেশে তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি ভিজিয়ে দিলো সমুদ্রশহর কক্সবাজারকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এখানে থেমে থেমে বৃষ্টি নেমে আসে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরে আসে স্বস্তি। পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় ছিল। অবশেষে লোনা জলের এই সমুদ্রশহরকে গা ভিজিয়ে দিয়েছে বৃষ্টি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি থাকবে আরও কয়েকদিন। তাপমাত্রা কমে আসছে। সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ। আর বৃষ্টি চলাকালে দুপুর ১২টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
এদিকে বৃষ্টির দেখা পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা। তাদের টাইমলাইন ভরে গেছে বৃষ্টির গান ও কবিতার স্ট্যাটাসে। অনেকে গায়ে বৃষ্টি মেখে বাড়ির ছাদ ও রাস্তার ধারে দু হাত উঁচিয়ে শীতল হচ্ছেন। অনেকে এদিক-ওদিক ছুটে চলেছেন।
কক্সবাজার শহরের দিনমজুর শামসুল আলম বলেন, ‘অনেকদিন বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম। অতিরিক্ত গরম সহ্যের পর বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। তাই বৃষ্টিস্নানের ভিডিও তৈরি করে প্রিয়জনকে পাঠালাম। বৃষ্টিতে ভিজে অনেক ভালো লাগছে।’
শহরের ঘুনগাছতলা এলাকার রিকশাচালক সেলিম কায়সার বলেন, ‘এই কদিনে যে গরম পড়েছে, রিকশার প্যাডেল ঘুরালে মনে হয় জানটা বেরিয়ে যাবে। আজ স্বস্তির বৃষ্টি হচ্ছে। কী-যে ভালো লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না।’
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, ‘বৃষ্টি আগামীকালও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে তাপমাত্রা কমে যাবে।’
তিনি জানান, কক্সবাজারে বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ। আর বৃষ্টি চলাকালে দুপুর ১২টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।