বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা বাজারে সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে মোসা. মেঘলা আক্তার (১৯) নামের এক প্রসূতি ও তার নবজাতকের মূত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অপারেশন (সিজার) করার জন্য ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) অজ্ঞান করে অপারেশনের পরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মেঘলা বামনা উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামের আরিফের স্ত্রী।
এ বিষয়ে মেঘলার স্বামী আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার বিকালে আমার স্ত্রী মেঘলাকে ডেলিভারির (বাচ্চা প্রসব) জন্য সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করাই। রাত ১১টার দিকে ওটিতে অপারেশন করার জন্য অজ্ঞান করার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। রাতেই ডা. সবুজ কুমার দাস হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতাল সিলগালা করে দেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বলেন, ‘অনলাইনে আবেদন করা হলেও এই হাসপাতালের নিবন্ধন এখনও হয়নি। অনুমোদনবিহীন হাসপাতাল করার কোনও সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে হাসপাতালের নথিপত্রে এবং অনলাইনে তল্লাশি করে ডা. সবুজ কুমার দাসের কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া না যাওয়ায় তার সনদ নিয়ে সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় মেঘলার বাবা ছগির হোসেন বাদী হয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সবুজ কুমার দাস, মালিক ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বামনা থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে ডা. সবুজসহ হাসপাতালের কর্মচারীরা পলাতক রয়েছেন।