ফেসবুকে ১৩টি পেজ খুলে তরুণ-তরুণীদের অসামাজিক কাজে জড়িয়ে তাদের ভিডিও ধারণ শেষে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতো একটি প্রতারক চক্র। এই চক্রের ‘মূলহোতাকে’ গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে চক্রের আরও ১২ সদস্যকে খুঁজছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আবু বক্কর (২৬) বরিশালের বারৈজ্জারহাট এলাকার বাসিন্দা এবং পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী গ্রামের হেলাল গাজীর ছেলে। শনিবার রাতে রনগোপালদী গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
বিকালে কোতোয়ালি মডেল থানার কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে ১৩টি পেজ খুলে তরুণ-তরুণীদের অসামাজিক কাজে জড়িয়ে তাদের ভিডিও ধারণ শেষে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতো আবু বক্কর। বিশেষ করে এসব পেজে বিভিন্ন অফার দিয়ে তরুণীদের অসামাজিক কাজে যুক্ত করতো। যারা রাজি হতো তাদের ছবি-ভিডিও পেজগুলোতে আপলোড করতো। তা দেখে তরুণরা যোগাযোগ করলে টাকা নিয়ে তরুণীদের সঙ্গে নির্দিষ্ট স্থানে পরিচয় করিয়ে দিতো। বেশিরভাগ সময় তাদের নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে নিয়ে যেতো। সেখানে তরুণ-তরুণীর অন্তরঙ্গ ছবি-ভিডিও ধারণ করতো। সেই ছবি-ভিডিও দিয়ে পরে তরুণ-তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করতো আবু বক্কর ও তার ১৩ সহযোগী। এভাবে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো চক্রটি। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে অভিযান চালিয়ে আবু বক্করকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে ১৩টি পেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
এসব ফাঁদে কেউ যাতে না পড়ে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ আরও বলেন, ‘এই চক্রের আরও ১৩ সদস্যকে খুঁজছি আমরা। তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম, সহকারী পুলিশ কমিশনার নাফিছুর রহমান ও সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রণয় রায় প্রমুখ।