চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান। নিহত রবিউল হক (৪০) দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের মো. রহমতুল্লাহর ছেলে। এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ মালামাল পারাপারের কাজে যুক্ত ছিলেন রবিউল। বুধবার রাতে মালামাল পার করতে ভারতে গেলে ঠাকুরপুর সীমান্তের ৯২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বলেন, ‘রবিউল হকের লাশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভীমপুর থানায় রাখা আছে। বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান বলেন, ‘ঠাকুরপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আমরা বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করেছি। বিএসএফের কাছ থেকে জানার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবো। তারা এখনও আমাদের কিছুই জানায়নি।’
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। সাত দিন পর তার লাশ বিজিবি, বিএসএফসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত দুই দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ফেরত দেয় বিএসএফ।