১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ‘শুধু পণ্য বর্জন নয়, ভারতের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি বাস্তবায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জন নয়, বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধিকারের দাবিতে দেশের জনগণ নীরবে ঘরে ঘরে প্রস্তুত হচ্ছেন।’
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মহানগরীর চরপাড়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন ও আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক লিফলেট বিতরণকালে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। এ সময় তারা মার্কেটের দোকানি, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
ভারতীয় পণ্য বর্জনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ভারতের ৫২৭টি পণ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেই পণ্যগুলো নিষিদ্ধ করেছে। আরেকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, ভারতীয় দুটি ওষুধে ক্যানসারের মিশ্র উপাদান পাওয়ায় হংকং ও সিঙ্গাপুর সেটা নিষিদ্ধ করেছে।’
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘দেশি পণ্য, কিনে হই ধন্য। আমাদের শিল্প কলকারখানা ও কৃষক বাঁচান এবং দেশ রক্ষার আন্দোলনে সবাই এগিয়ে আসুন। আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু দেশটা সবার আগে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের সর্বনাশ করে ভারতকে সুবিধা দেওয়া রাজনীতি হতে পারে না।’
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ রওনক ইব্রাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম ও লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম।