প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য এস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন রাজশাহীর মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বিশেষ এই নামাজের আয়োজন করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।
নামাজে ইমামতি করেন নগরীর সোনাদিঘী জামে মসজিদের খতিব শেখ তৈয়বুর রহমান নিযামী। এ সময় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন ইমাম। দুই রাকাত নফল নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে প্রার্থনায় মিলিত হোন মুসল্লিরা।
রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম-উল-আযিম, প্যানেল মেয়র -২ হিসেবে ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম রাশেদুল হাসান টুলুসহ বিভিন্ন মহল্লার লোকজন এমনকি স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ নামাজে অংশ নেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে থাকলে তাকে মাঝারি তাপদাহ বলা হয়। আর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের অতিরিক্ত তাপমাত্রা হলে তাকে অতিরিক্ত তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তবে রাজশাহীতে এখন মাঝারি তাপদাহ বিরাজ করছে। কারণ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কিছু নিচেই অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন:
তিনি জানান, গত প্রায় এক মাস ধরেই রাজশাহী অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বুধবার রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে আরও প্রায় দুই সপ্তাহ এই তাপদাহ বিরাজ করতে পারে। এ সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাতেরও তেমন সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বেকায়দায় এমপি মনিরুল ইসলাম
/বিটি/এএইচ/