X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের ৬ জেলার মানুষ পাননি টিসিবি’র কোনও পণ্য

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
২৬ জুন ২০১৬, ১৩:২৯আপডেট : ২৮ জুন ২০১৬, ১৪:১৫

চট্টগ্রামে বিভাগে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকাভুক্ত ডিলার পাঁচ শতাধিক। এদের মধ্যে পণ্য তুলেছেন কত জন এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে সংখ্যাটি খুবই নগণ্য। বিপুল জনগোষ্ঠীর ও বানিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগে সিংহভাগ ডিলার পণ্য তোলেননি। তিন পার্বত্য জেলাসহ কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী জেলায় টিসিবি’র পণ্য ওঠাননি কোনও ডিলার।

ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তাদের চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট, সরবরাহ ওই অনুপাতে নেই। একই কথা বলেন ডিলাররাও।  বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য:

চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে, জেলায় এ মুহূর্তে টিসিবি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  জেলায় ৩৪৮ জন টিসিবি ডিলার রয়েছেন। এদের মধ্যে নগরে রয়েছে ১৪৫ জন। জেলার বাকি অংশে ২০৩ জন। ২৯ মে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নগরীর ১০টি স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছিল।  ১৬ জুন থেকে কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ রয়েছে।

ডিলারদের অভিযোগ, রমজান মধ্যভাগে আসার আগেই চালান শেষ হয়ে গেছে।  টিসিবি ডিলার মেসার্স মিরসরাই স্টোর এর স্বত্ত্বাধিকারী মুজিবুল হক জানান, ৯ জুন চালান শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আরও পণ্যের জন্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসতে চান। দফতর থেকে তাকে জানানো হয়, পণ্যের মজুদ ফুরিয়ে গেছে। কবে নতুন চালান আসবে সেটিও জানা নেই। টিসিবি ডিলার মজুমদার কিরণ বলেন, রমজানে আমাকে মাত্র ৩০০ কেজি ছোলা আর ৩০০ কেজি মসুরের ডালের দেওয়া হয়েছে। তবে ভোক্তারা পণ্যের মানে সন্তুষ্ট।

গোলাম সরওয়ার নামে এক সরকারি চাকুরে ও ভোক্তা টিসিবি স্বল্প চালান নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, পণ্যের দাম বাড়ানোর অসাধু চক্রান্ত এসব।

পণ্যের স্বল্পতার কথাটি স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম টিসিবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুজা উদ্দৌলা সরকার বলেন, সরবরাহ কম থাকার কারণে আমরাও পর্যাপ্ত পণ্য ডিলারদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি না। প্রায় ১০০ ডিলার আছেন যারা নিয়মিত পণ্য নিচ্ছেন না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

চাঁদপুর

চাঁদপুর প্রতিনিধি ইব্রাহিম রনি জানান, জেলায় মোট ২৮ জন ডিলারের মধ্যেরমজানে পণ্য নিয়েছেন ৭ জন ডিলার। এর মধ্যে শাহরাস্তি উপজেলায় ৪ জন, কচুয়া উপজেলায় ২জন এবং মতলব উত্তর উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। এ হিসাবে জেলায় পণ্য নেননি ২১ জন ডিলার। সদর উপজেলায় ডিলার থাকলেও পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায় না। রমজানে তিনি পণ্যও উত্তোলন করেননি।

শাহরাস্তি উপজেলার ডিলার মেসার্স মো. শাফায়াত উল্যা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী শাফায়াত উল্যা বলেন, আমরা গত ৫ জুন পণ্য তুলতে পেরেছি। আমাকে দেওয়া হয়েছে ৫০০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি ছোলা, মশারির ডাল ২৫০ কেজি। পরে আবার দ্বিতীয় ধাপে গত ৭ জুন চিনি দিয়েছে ২৬০ কেজি এবং সয়াবিন ২৮০ কেজি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে মাত্র এ ৪টি পণ্য দিয়েছে। তাছাড়া ক্রেতার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও যে পরিমাণ পণ্য বরাদ্দ দিয়েছে তা একেবারেই সামান্য। যা পেয়েছি, তা বিক্রি শেষ।

চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরাণবাজারের মেসার্স এসপি ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী লিটন বণিক বলেন, আমরা ডিলারশিপের লাইসেন্স নবায়ন করিনি। কারণ, এগুলো করলে মানসম্মানই থাকে না। তিনি বলেন, নিম্নমানের পণ্য। তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়াও যায় না। উপরন্তু ঢাকা থেকে পণ্য আনতে গাড়ি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা বলতে তেমন কিছুই থাকে না।

তিনি অভিযোগ করেন, দেখা গেল, আমরা পেয়েছি, ভেজা চিনি। পরে দেখা যাবে পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে, অমুক ডিলার ভেজা-ময়লা চিনি বিক্রি করছে। এতে আমাদের বদনাম হয়। সঠিকভাবে ব্যবসা করে যখন চোর সাজতে হয়, এমন ব্যবসা না করাই ভালো।

কুমিল্লা

কুমিল্লা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মোল্লা জানান, টিসিবি ঢাকা অফিস থেকে কুমিল্লার কার্যক্রম তদারকি করা হয়। ঢাকা বিভাগীয় অফিসের উপ-উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী হাওলাদার মাসুম জানান,কুমিল্লায় টিসিবির কোনো কার্যালয় নেই। ঢাকা থেকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো.হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন,খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

চেম্বার অব কমার্স কুমিল্লার সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন, ইদানিং টিসিবির কার্যক্রম তেমন চোখে পড়ছে না।

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাভিত্তিক টিসিবি ডিলার ও তাদের কার্যক্রম

জেলা

ডিলার সংখ্যা

পণ্য তুলেছেন

পণ্য তোলেননি

চাঁদপুর

২৮ জন

৭ জন

২১ জন

রাঙ্গামাটি

৩ জন

৩ জন

বান্দরবান

নোয়াখালী

৮৯ জন

৮৯ জন

খাগড়াছড়ি

৪ জন

৪ জন

কুমিল্লা

কুমিল্লায় টিসিবির কার্যালয় নেই। ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় বলে জানান ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী হাওলাদার মাসুম

 সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি।

 সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম

৩৪৮

এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রশাসন জানাতে চায়নি। তবে কার্যক্রম ছিল।

 

ফেনী

৩৩

৩৩

কক্সবাজার

 কার্যক্রম নেই

 ০

 -

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

টিসিবির বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি, তাই সুনির্দিষ্ট তথ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি

 সুনির্ধিষ্ট তথ্য নেই। তবে কিছু কার্যক্রম চোখে পড়েছে।

 সুনির্ধিষ্ট তথ্য নেই।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মৌলভী বাজার জেলার চৌমহনীতে টিসিবির বিভাগীয় কর্মকর্তার সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে পূর্ণাঙ্গ তথ্য লাভ করা সম্ভব হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিসিবি’র ডিলার বিসমিল্লাহ ট্রের্ডাসের মালিক আলী মিয়া জানান, তারা ৯জুন পর্যন্ত ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা এবং মসুর ডাল বিক্রয় করেছেন। পণ্যের মান বাজারের তুলনায় সমানে সমান। টিসিবি’র পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী তারা পণ্য পাননি। তিনি অভিযোগ করেন ,ব্যাংকে টিটি করেছিলেন পণ্যের জন্য। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের সরবরাহ না থাকায় তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

একই অভিযোগ জানান তানিম টেডার্সের মালিক হোসেন মিয়া বলেন, চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে টিসিবি’র পণ্যের জন্যে টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছিলাম কিন্তু পণ্যের সরবরাহ নেই জানিয়ে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

টিসিবি’র মৌলভী বাজারের বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানিয়ে দেন, পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। যে পরিমাণ পণ্য আছে তা শুধু বিভাগীয় পর্যায়ে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। জেলা পর্যায়ে বন্ধ রাখা হয়েছে।     

[রমজানে টিসিবি’র বিভাগভিত্তিক কার্যক্রম নিয়ে আজ রবিবার সারাদিন ও আগামীকাল সোমবার সিরিজ প্রতিবেদন থাকছে বাংলা ট্রিবিউন-এ। দেখতে চোখ রাখুন।]

কক্সবাজার

কক্সবাজার প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ জানান, জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. শাহাজাহান আলী বলেন, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবির) কোনও অফিস নেই। টিসিবির শাখা শুধুমাত্র চট্টগ্রামে রয়েছে। এ কারণে কক্সবাজার জেলায় কোথাও টিসিবির কার্যক্রম নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আওতাধীন মুলত তিনিই বাজার মনিটরিং করে থাকেন।

কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স’র সহ-সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, টিসিবির কোনও কার্যক্রম এ পর্যন্ত চোখে পড়েনি। এর কোনও শাখা কক্সবাজারে আছে বলে মনে হয় না। তবে বাজার মনিটরিং এবং ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে চেম্বার অফ কমার্স সহযোগিতা করে থাকেন।

ফেনী

ফেনী প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় টিসিবি’র মোট ডিলার সংখ্যা ৩৩ জন। এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায়  ১৪ জন, দাগনভুঞা উপজেলায় ১জন, সোনাগাজী উপজেলায় ৩ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলায়  ৪ জন, পরশুরাম উপজেলায় ৪ জন, ফুলগাজী উপজেলায় ৭ জন ডিলার রয়েছে। কোনও ডিলারই পণ্য ওঠাননি।

টিসিবির পণ্য না ওঠানো প্রসঙ্গে ফেনী শহরের ইসলামপুর রোড়ের বস্ত্র হকার্স মার্কেটের আহম্মেদ ট্রেডাসের মালিক আব্দুল মোমেন অভিযোগ করেন, এবার টিসিবির পণ্যের কোনও বরাদ্দ তিনিসহ অন্যান্য ডিলারের পাননি।

তিনি বলেন , টিসিবি পণ্য নিম্নমানের ও খাওয়ার অযোগ্য হওয়ায় এর আগেও বরাদ্দকৃত পণ্য ওঠাননি ফেনীর ডিলাররা। চট্টগ্রাম হতে এতো কম পরিমাণ পণ্য ওঠাতে  অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়াসহ বিবিধ কারণে ডিলাররা এই ব্যবসা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। তারা টিসিবির কাছে তাদের জামানতের টাকা ফেরত চেয়ে আবেদনও করেছেন বলে একাধিক টিসিবি ডিলার জানিয়েছেন।

ফেনী চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আইনুল কবির শামীম বলেন, টিসিবি পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় ও খরচ বেশি পড়ায় ফেনীর কোনও ডিলার পণ্য তুলতে রাজি নন।

রাঙ্গামাটি

রাঙামাটিতে টিসিবির ডিলারের মোট সংখ্যা ৩  জন। এদের মধ্যে নানিয়ারচর উপজেলায় ০১ জন। রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে ০১ জন ও তবলছড়ি বাজারে ০১ জন। এদের মধ্যে কেউ এবছর টিসিবির পণ্য ওঠাননি।

টিসিবির ডিলার রির্জাভ বাজারের ব্যবসায়ী  বিমল বড়ুয়া বলেন, পণ্যের মান খুব খারাপ, বাস্তায় মালও থাকে কম। প্রতি বস্তা চিনির মধ্যে ১০-১২ কেজি কম পাওয়া যায়। আবার যারা পরিদর্শনে থাকেন তাদেরও টাকা দিতে হয়।  গত বছর প্রায় ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা লস হয়েছে। এবছর মাল তোলা হয় নি। আমি নিজের জামানতের টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করেছি। এই মালামাল আনতে হয় চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট থেকে। বস্তায় লাভ টেকে মাত্র চার টাকা।

নানিয়ারচরের টিসিবির ডিলার মো. ইউনুছ বলেন, যেহেতু নানিয়ারচরে পানি না থাকায় পণ্য পরিবহণে সমস্যা হচ্ছে তাই আমি চেয়েছিলাম রাঙামাটি সদরে কোথাও কোনও এক জায়গায় পণ্য বিক্রির অনুমতি দেওয়া যায় কিনা। কিন্তু তারা কেউ কোনও ধরনের সহযোগিতা করেননি বলে আমিও কোনও পণ্য ওঠাইনি।

জেলার কৃষি বিপণন অধিদফতরের জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. সেলিম বলেন, পণ্য সব সময় খারাপ সেটা বলা ঠিক হবে না। তবে মাঝে মাঝে খারাপ পড়ে। মূলত কেউ যদি টিসিবির পণ্য নিয়ে আসে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমরা শুধু মনিটরিং করে থাকি। এর চেয়ে বেশি কিছু করার ক্ষমতা আমাদের নেই।

বান্দরবান

বান্দরবান জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের ব্যবসা বাণিজ্য শাখার সহকারী কমিশনার মো: কামরুজ্জামান জানান, ২০১৫ সালের পরে জেলায় টিসিবির ডিলার হতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি, তাই জেলায় টিসিবির কোন ডিলার তথা কার্যক্রম নেই।

নোয়াখালী

জেলায় টিসিবির তালিকাভুক্ত ডিলার ৮৯ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯ জন, বেগমগঞ্জে ৩২ জন, কবিরহাটে ৯ জন, কোম্পানীগঞ্জ ১১ জন, চাটখিলে ৬ জন, সোনাইমুড়ীতে ৮ জন, সেনবাগে ১১ জন, সুবর্ণচরে ১  জন এবং  হাতিয়া উপজেলায় ২ জন। এদের মধ্যে কেউ কোনও বরাদ্দও পাননি । তাই রমজান মাসে টিসিবির কোনও পণ্য আসেনি এ জেলায়।

বেগমগঞ্জ উপজেলার টিসিবি ডিলার মেসার্স শ্রীবাস চন্দ্র বণিক এর মালিক শ্রীবাস জন্দ্র বণিক জানান, টিসিবির সরবরাহকৃত মালামাল নিম্নমানের হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা কম। এ কারণে চট্টগ্রাম থেকে টিসিবির বরাদ্দকৃত মালামাল উত্তোলন করে এলাকায় নিয়ে এসে বিক্রি করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। এ কারণে দীর্ঘদিন থেকে টিসিবির কোনও মালামাল উত্তোলন করি না। মানসম্মত মালামাল বাজারমূল্যের চেয়ে কমমূল্যে সরবরাহ করলে টিসিবির সরবরাহকৃত মাল বাজারে ভালো চলবে।

নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি বলেন, টিসিবির পণ্য নিয়মিত সরবরাহ থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রিত থাকত এবং গ্রাহকরাও ন্যায্য মূল্যে তাহাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পেত। নোয়াখালীতে টিসিবির কোনও ভ্রাম্যমাণ গাড়ি বা ভ্যান খোলা বাজারে মাল বিক্রি করতে দেখা যায়নি।

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নয় উপজেলার মধ্যে তিন উপজেলায় ৪ জন টিসিবির ডিলারের নাম কাগজে কলমে দেখা গেলেও বাস্তবে টিসিবির কার্যক্রমের দেখা মেলেনি।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় ২ জন, মাটিরাঙা ও দিঘীনালায় ১ জন করে মোট ৪ জন সাধারণ ডিলার নিয়োগ করলেও জেলার বাকি ছয় উপজেলায় টিসিবি এবছর কোনও ডিলার নিয়োগ করেনি। নিয়োগকৃত ডিলারদের কোনও কার্যক্রম না থাকায় টিসিবির সেবা বঞ্চিত হয়েছে পাহাড়ের গ্রাহকেরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন টিসিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি লিখলেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একাধিকবার লেখালেখি করা হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি।

খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক সুদর্শন দত্ত বলেন, পাহাড়ের লোকজন এমনিতেই কম আয়ের মানুষ। আর এখানে টিসিবি ডিলার নিয়োগ না করায় এবং টিসিবির সেবা প্রদান না করায় টিসিবির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।

/এইচকে/টিএন/

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ:

রোজায় ১৮ জেলায় পৌঁছায়নি টিসিবি’র পণ্য

রংপুর অঞ্চলের ডিলারদের অভিযোগ: ব্যাপক চাহিদা তবুও বন্ধ করা হয়েছে পণ্য সরবরাহ

খুলনা অঞ্চলে পণ্য তুলেছেন মাত্র ২৩ শতাংশ ডিলার, দেওয়া হয়নি তেল-খেজুর

সম্পর্কিত
টিসিবির জন্য ৩৪৭ কোটি টাকার ডাল-তেল কিনছে সরকার
টিসিবির উপকারভোগী নির্ধারণের পদ্ধতি জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি
টিসিবির পণ্য নিতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মারধরে আহত দিনমজুর
সর্বশেষ খবর
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
ওয়ারীতে ‘হিট স্ট্রোকে’ একজনের মৃত্যু
ওয়ারীতে ‘হিট স্ট্রোকে’ একজনের মৃত্যু
রসায়ন পরীক্ষায় ১০ জনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’!
রসায়ন পরীক্ষায় ১০ জনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’!
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা