X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রমেকে ডায়ালাইসিস যন্ত্র বিকল, এসির প্রয়োজন মেটানো হয় ফ্যানে!

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
২৪ আগস্ট ২০১৬, ১৫:২৪আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০১৬, ১৫:২৪

রমেকে ডায়ালাইসিস যন্ত্র বিকল রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেফ্রোলজি বিভাগের ডায়ালাইসিস মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ ও রোগীদের সেবা দিতে এসির জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফ্যান। জানা গেছে, হাসপাতালে ১৮টি ডায়ালাইসিস মেশিনের মধ্যে ১০টিই বিকল হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত মেশিন চালু না থাকায় কিডনি রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

নেফ্রোলজি ওয়ার্ডের ইনচার্জ সেলিনা বেগম ও স্টাফ নার্স আকমল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিভাগে ১৮টি মেশিনের মধ্যে ৭টি বিকল হয়ে পড়ে আছে। ৩টির মনিটর কাজ না করায় সেগুলো ব্যবহার করা যায় না।’

তারা আরও বলেন, ‘এসি নষ্ট থাকায় মেশিনগুলো ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। এসি মেরামত না করলে দ্রুত আরও ২/৩টি মেশিন বিকল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

সরেজমিনে নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, এসি নষ্ট হওয়ায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেখানে সিলিং ফ্যান না থাকায় ধার করে আনা টেবিল ফ্যান দিয়েই চলছে মেশিন ঠাণ্ডা রাখা ও রোগীদের চিকিৎসা সেবা।

ওয়ার্ডের ইনচার্জ সেলিনা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ডায়ালাইসিস মেশিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও এখানে এসি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এসি মেরামতেরও কোনও উদ্যেগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে মেশিনগুলো বিকল হয়ে যাচ্ছে।’ রমেকে ডায়ালাইসিস যন্ত্র বিকল

তিনি আরও  জানান, ‘প্রচণ্ড গরমে ডায়লাইসিস করাতে এসে রোগীরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক রোগী নিজেরাই মেশিন ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের ব্যবস্থা করেন।’

দিনাজপুর থেকে আসা সামসুল আলম নামে এক কিডনি রোগী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। কিন্তু এখানে ডায়ালাইসিস মেশিন নষ্ট ও রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় ৪ ঘণ্টার জায়গায় তাদের ৩ ঘণ্টা ডায়ালাইসিস করানো হয়।’

একই অভিযোগ করেন রংপুর নগরীর শালবন এলাকার বাসিন্দা লোকমান হোসেন, কুড়িগ্রামের মোহাম্মদ আলীসহ অনেক কিডনি রোগী।

এদিকে, এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও নেফ্রোলজি বিভাগে কোনও ডাক্তারকে দেখা যায়নি। রোগীদের অভিযোগ ওয়ার্ড ইনচার্জ আর নার্সরা রোগীদের ডায়ালাইসিস করান। যেহেতু সপ্তাহে ২ বার ডায়লাইসিস করতে হয় তাই মাঝে মাঝে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা হয় রোগীদের।

এদিকে ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষমান কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা জানালেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপন করার পর স্বল্প আয়ের মানুষের অনেক উপকার হতো। ২০ হাজার টাকার প্যাকেজ নিলে ৬ মাস ধরে সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করা যায়। আর রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে শুধু রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আলাদা নেফ্রোলজি ওয়ার্ড আছে। ফলে রোগীদের জন্য একমাত্র এই চিকিৎসা কেন্দ্রটির দিকে কর্তৃপক্ষের যেন কোনও গুরুত্ব নেই। তারা বিকল হয়ে যাওয়া মেশিনগুলো সচল করা বা নতুন মেশিন স্থাপন করার কোনও উদ্যেগ নিচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধু বলেন, ‘মেশিন বিকল ও এসি নষ্ট হওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ 

হাসপাতালের পরিচালক ডা. আ স ম বরকতুল্লা বলেন, ‘মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ায় আপাতত ৮টি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। মেশিনগুলো সচল করার জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন- 

চাপে থাকলেও রামপাল নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আগামী সপ্তাহে ঢাকা আসছেন

/এসএনএইচ/এফএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজার গণকবরের ৮৫ শতাংশ মরদেহই অজ্ঞাত
গাজার গণকবরের ৮৫ শতাংশ মরদেহই অজ্ঞাত
‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের’ এক সদস্য গ্রেফতার
‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের’ এক সদস্য গ্রেফতার
বিশ্বসাহিত্যের খবর
বিশ্বসাহিত্যের খবর
দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী
দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের