X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘৭৫ শতাংশ কার্ডই করা হয়েছে দলীয়ভাবে’

আনোয়ার হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
১৪ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:৩২আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:৩২

১০ টাকা দরের চাল সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে হতদরিদ্রের চাল দরিদ্রের ঘরে না গিয়ে এর বড় একটি অংশই যাচ্ছে সচ্ছল ব্যক্তিদের ঘরে। কার্ড তৈরিতে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে এবং ৭৫ শতাংশ কার্ডই দলীয়ভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানান, কার্ডের তালিকা প্রণয়নে একজন  ট্যাগ অফিসার ও সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যের কমিটি করা হলেও সেখানে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের প্রাধান্য তেমন ছিল না। ১২ সদস্যের মধ্যে ১০ জনই রাজনৈতিকভাবে মনোনীত ছিল। তারাই এসব তালিকা করেছে।

তারা আরও  বলেন, ‘কার্ডের তালিকা নির্ধারণে ৭৫ শতাংশই দলীয়ভাবে করা হয়েছে।’ 

কার্ড বিতরণে দলীয় প্রভাব ও নতুন এবং পুরনো চেয়ারম্যানদের অভ্যন্তরীণ গোলযোগই ইউনিয়ন কমিটির তালিকা নির্ধারণে স্বজন-প্রীতির কারণ বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হোসেন ডাইং, বাবু ডাইং গ্রামে অনেক আদিবাসী হতদরিদ্র থাকলেও, তালিকায় মাত্র তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ওই ওয়ার্ডের অনেক সচ্ছল পরিবার কার্ড পাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ওই এলাকার একাধিক অসচ্ছল পরিবার জেলা প্রশাসকের কাছ লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, চাল ওজনে কম ও কার্ড বিতরণে কোনও অনিয়ম পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘দরিদ্র মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দামের চালের ব্যবস্থা করেছেন সরকার। সেটা যদি তাদের না দিয়ে সচ্ছল মানুষকে দেওয়া হয়, তাহলে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। হতদরিদ্ররা যাতে এই চাল প্রাপ্তির ব্যাপারে বঞ্চিত না হয় সেজন্য মনিটরিং অব্যাহত আছে।’

সরেজমিনে জেলার বারঘরিয়া, মহারাজপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও ঝিলিম ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, হতদরিদ্রদের চাল কেনার জন্য দীর্ঘ লাইন। স্বল্প মূল্যে চাল পেয়ে তারা বেশ খুশি। তবে বাইরে ওজনে কম দেওয়ার প্রপাগান্ডা থাকলেও সরেজমিনে ভোক্তারা ওজনে কম দেওয়ার বিষয়ে কোনও অভিযোগ করেননি।

বালিয়াডাঙ্গা ও চককীর্তি ইউনিয়নের ডিলার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সৈয়বুর রহমান জানান, কেজি প্রতি দেড় টাকা কমিশনের ভিত্তিতে সার্কুলারের মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি খাদ্য গোডাউন থেকে গ্রহণ করা চালের বস্তায় ৫০ কেজির জায়গায় ৪৮ থেকে ৪৯ কেজি চাল পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তারপরও তারা কার্ড প্রতি ৩০ কেজি করেই চাল দিচ্ছেন বলে জানান।

তারা আরও  জানান, দুজন চৌকিদার ও একজন  কৃষি অফিসারের সামনে চাল সঠিক ওজনে দেওয়া করা হচ্ছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মহিবুল হক জানান, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে দুজন করে ডিলারের মাধ্যমে ৬০ হাজার ৮৯ জন হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সচ্ছলদের কার্ড পাওয়ার বিষয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- 


চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে বিএনপির দুই প্রত্যাশা

/বিটি/এফএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা