X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঝালকাঠিতে দুই বিচারককে হত্যা

ঘাতকদের দাবি ছিল ‘আল্লাহর আইন অমান্য করায় হত্যা’

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি
১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:০২আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:০৪







ঘাতকদের দাবি ছিল ‘আল্লাহর আইন অমান্য করায় হত্যা’ ‘আল্লাহর আইন অমান্য করে’ মানব রচিত আইনে বিচার করায় বিচারকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জেএমবির জঙ্গিরা। আর এরই জের ধরে দুই বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে তারা দাবি করেছিল।




বিচারকের কাছে জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছিল, বাংলাদেশে ইসলামী আইনের শাসন নেই। এ জন্য জিহাদে নামতে বাধ্য হয় তারা। মানব রচিত আইন ও বিচার তারা মানেন না। তাই জিহাদের অংশ হিসেবে তারা এ হামলা চালিয়েছে। আর এ জন্য তারা ঝালকাঠিকে নিরাপদ জায়গা মনে করছিল। আল্লাহ ছাড়া তারা কারও কাছে আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয়। বিচারক যেহেতু অবৈধ, তাই তাদের বিচারও অবৈধ।
ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার সময় ঝালকাঠি জজ কোর্টের সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহম্মেদের গাড়ির কাছে যায় জেএমবি নেতা মো. আল মামুন। বিচারকদের একটি লিফলেট পড়তে দেয় সে। এ অবস্থায়ই হঠাৎ করেই একটি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে জেএমবি মামুন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে। গুরুতর আহতাবস্থায় সোহেল আহম্মেদকে বরিশালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি জজ কোর্টের ড্রাইভার সুলতান হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তিনি ২০১৬ সালের ২১ মার্চ সিআইডির এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ ৮জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র (নং ৩৮) দাখিল করেন। শুনানি শেষে ২৭ এপ্রিল চার্জ গঠন করেন আদালত। আসামিদের বক্তব্য শুনে দীর্ঘ শুনানি করে ৪৪ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হামলাকারী জেএমবির নেতা আল মামুনের ভাড়াটিয়া ঘর মালিক সুলতান হোসেনকে বাদী করে একই বছরের ২৯ মে ৭ জেএমবি নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেন তৎতকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তারেক রেজা আহম্মেদ।
এ মামলায় আসাদুল ওরফে আরিফ পলাতক থাকায় ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। মৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি খুলনা জেলা কারাগারে ছিলেন। এদিকে জেএমবি নেতা আসাদুলের ফাঁসি কার্যকরের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে খুলনা কারাগার। আসাদুলের ফাঁসির রায় কার্যকর উপলক্ষে খুলনা জেলা কারাগারের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এ ব্যপারে ঝালকাঠি পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ. মান্নান জানান, ঝালকাঠিতে ২ বিচারক হত্যা মামলা ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলায় সাত জনের ফাঁসির আদেশ হয়। এর মধ্যে জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রমান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়। কিন্তু জেএমবির অপর শীর্ষ নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফ দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। এ মামলায় একমাত্র পলাতক আসামির ফাঁসি কার্যকর হওয়ার বিচারের পূর্ণতা পেয়েছে।
/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি