লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ব শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ওই বিদ্যালয়ের ৩৩ শতক সম্পত্তির উপর দ্বিতল ভবনের নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় ওই ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ৈ যাচ্ছেন তিনি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে রামগঞ্জের মো. সরাফত আলী মিয়া, হাবিবুর রহমান, সুজা মিয়া, দুধ মিয়া, রুপ ভানুসহ ১০/১১ জন ৭৪১ ও ৭৪৩ নং দাগ মূলে ৩৩ শতাংশ সম্পত্তি পূর্ব শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দান করেন। কিন্তু অভিযোগ উঠে, সম্পত্তি দান করার পরও সরাফত আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন তার বাবার ওই দান করা সম্পতি দখল অব্যাহত রেখে প্রসাশনকে ম্যানেজ করে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘ফারুক হোসেন স্কুলের শিক্ষক ও প্রসাশনকে ম্যানেজ করে ওই সম্পত্তি দখল করার জন্যই নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছিলেন। আর সভাপতি হওয়ার পরপরই জোর করে এখন স্কুলের জমিতে দুই তলা ভবনের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।’
অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফারুক হোসেন জানান, ‘বিদ্যালয়ের অনেক সম্পত্তি অনেকেই দখল করে আছে। সেগুলো আগে দখলমুক্ত হোক। তারপর আমি আমারটা ফেরত দেবো।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলোয়ারা বেগম জানান, ‘দলিল মূলে ৩৩ শতাংশ সম্পত্তি আমাদের দখলে নাই।’ সম্পত্তি উদ্ধারে কেন কোনও উদ্যোগ নেননি-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দূর থেকে আমরা এখানে চাকরি করতে আসি। সম্পত্তি উদ্ধার করতে গেলে আমাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। এজন্য চুপচাপ আছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, ‘আমি তো রামগঞ্জে যোগদান করেছি অল্প কয়েক মাস হয়েছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলো আসলে অনেক পুরনো সমস্যা। আর ভবন নির্মানের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
আরও পড়ুন-
দোকানের সঙ্গে ঝুলিয়ে স্কুলছাত্রকে নির্যাতন
/এফএস/