নীলফামারীর সৈয়দপুর হাসপাতালে হাসনা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়েছেন স্বামী রাশেদুল ইসলাম। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সৈয়দপুর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মৃত মোজামের ছেলে রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের অশুরখাইল গ্রামের আবদুল হামিদের মেয়ে হাসনার। কিন্তু বিয়ের পর থেকে প্রায়ই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করতেন রাশেদুল।কিন্তু দরিদ্র বাবার অবস্থা ভেবেই সব অত্যাচার সহ্য করতেন হাসনা বেগম। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাসনাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন স্বামী রাশেদুর। এতে হাসনার মৃত্যু হলে লাশের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এলাকাবাসী ছুটে আসলে তড়িঘড়ি করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসনার নিথর দেহ সৈয়দপুর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান রাশেদুল ইসলাম।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শহিদার রহমান মিলন জানান, মৃত হাসনা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, হাসনা বেগমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন:
আরও ৫ জঙ্গিকে গ্রেফতার করলেই শেষ হবে গুলশান হামলা মামলার তদন্ত
/বিটি/