X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে আরও ২১ হাজার রোহিঙ্গা

আবদুল আজিজ, কক্সবাজার
০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:২০আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৪৭




আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কক্সবাজার অফিসের প্রধান সানজুক্তা সাহানি জানিয়েছেন, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে ২১ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। ফাইল ছবি


সোমবার বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে জাতিসংঘ ১০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ার কথা বললেও মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই সংখ্যা ২১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ রোহিঙ্গা টেকনাফ নয়াপাড়া, লেদা শরণার্থী ক্যাম্প এবং উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যরা জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচিতজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।’
সানজুক্তা সাহানি আরও বলেন, ‘শুধু আইওএম নয়, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, ইউনিসেফের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে। সব সংস্থার হিসাবে বর্তমানে নতুন করে ২১ হাজার রোহিঙ্গা শুধুমাত্র কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে বলে আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এখনও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আশ্রয়ের সন্ধানে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী সপ্তাহে এই সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।’
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, ঘুমধুম সীমান্ত ছাড়াও উখিয়ার বালুখালী, থাইংখালী, রহমতেরবিল, ঝিমনখালী, পালংখালীর আঞ্জুমানপাড়া, টেকনাফের উলুবনিয়া, লম্বাবিল, হ্নীলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে। এছাড়াও নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে জলসীমানা অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশে আসছে। গত নভেম্বরে ২০০ জন রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। এরপরও বিজিবির কড়া নিরাপত্তা ভেদ করে আসছে রোহিঙ্গারা।
অবৈধভাবে আসা এসব রোহিঙ্গা কৌশলে মিশে যাচ্ছে স্থানীয়দের সঙ্গে। এ পর্যন্ত কতজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তার কোনও সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই। জাতিসংঘ বলছে ১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। তবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ২১ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে কক্সবাজারে। এসব রোহিঙ্গা স্থানীয় শরণার্থী ক্যাম্পের পাশে গড়ে ওঠা বস্তির পর এখন ছড়িয়ে পড়ছে কক্সবাজারের বিভিন্ন অঞ্চলে। কেউ ভাড়া বাসায়, আবার কেউ নিজ উদ্যোগে শুরু করছে বসতি স্থাপন।
এদিকে, কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যে হারে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে, তা অব্যাহত থাকলে কক্সবাজারে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শরণার্থী শিবিরের নিয়মানুযায়ী অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।’ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফেরত পাঠাতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা হয়। এতে সীমান্ত পুলিশের ১২ সদস্য নিহত হয়। এই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। প্রাণভয়ে রোহিঙ্গারা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে।
/এআর/এএআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের ভালো দিক দেখছেন লিভারপুল কোচ
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের ভালো দিক দেখছেন লিভারপুল কোচ
রাশিয়ায় বোমারু বিমান বিধ্বস্ত
রাশিয়ায় বোমারু বিমান বিধ্বস্ত
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন